Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - afrin.ns

Pages: [1] 2 3
1
যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা মাটির নমুনার ভেতরে অ্যান্টিবায়োটিকের নতুন একটি পরিবারের খোঁজ পেয়েছেন। যেসব সংক্রমণের চিকিৎসা খুবই কঠিন, সেগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রাকৃতিক উপদানের মিশ্রণে নতুন এই অ্যান্টিবায়োটিক কাজে লাগানো সম্ভব হবে।

রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গত ৩০ বছরের মধ্যে এই প্রথম অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের নতুন আশার কথা শুনিয়েছেন।-খবর বিবিসি অনলাইন।

বিজ্ঞানীরা বলেন, মাটির মিশ্রণ পরীক্ষা করে দেখা গেছে- এর ভেতরে থাকা ম্যালাসিডিনস নামে অ্যান্টিবায়োটিক পরিবার বিভিন্ন সুপারবাগ ধ্বংস করতে পারে। এমনকি এতে এমআরএসএর মতো সুপারবাগও শেষ হয়ে যাবে।

ন্যাচার মাইক্রোবাইয়োলজি নামে একটি জার্নালে এ নিয়ে নিবন্ধ ছাপা হয়েছে।

বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে ওষুধ-প্রতিরোধী রোগকে। মানুষ ক্রমাগত রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে এবং রোগ নিরাময়ে ওষুধ কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। সেক্ষেত্রে নতুন এই অ্যান্টিবায়োটিক আশার কথা শুনিয়েছে বিশ্বের কোটি মানুষকে।

ওষুধে কাজ না হওয়ায় বিভিন্ন রোগে প্রতি বছর সাত লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটছে। নতুন এ্যান্টিবায়োটিক এই সংখ্যা হয়তো অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারবে।

সুপারবাগ এমআরএসএ ইঁদুরের ত্বক আক্রান্ত হলে নতুন এই অ্যান্টিবায়োটিক তাতে প্রয়োগ করা হয়। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, তাতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটেনি।

এর আগে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধে কাজ হয় না, এমন রোগ সন্ত্রাসবাদের চেয়েও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে, যা আধুনিক বিশ্বকে উনিশ শতকের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে, যখন সামান্য সংক্রমণ কিংবা অস্ত্রোপচার জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিত।

2
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভিনগ্রহীদের পাঠানো বার্তার মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে পৃথিবীর জন্য বড় বিপদের বীজ। অসতর্ক হলেই বিপন্ন হতে পারে সভ্যতা। ইন্টারস্টেলার কমিউনিকেশন নামের এক গবেষণাপত্রে তেমনটাই জানিয়েছেন গবেষকরা। জার্মানির সোনবার্গ অবজার্ভেটরির বিজ্ঞানী মাইকেল হিপকে ও হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশক্তির পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক জন জে লিয়েনার্ড যৌথভাবে এই গবেষণাপত্রটি রচনা করেছেন।

তারা জানাচ্ছেন, বহির্বিশ্বে নানারকমের সভ্যতা থাকতে পারে। হতেই পারে তাদের অনেকেই বন্ধুভাবাপন্ন। আবার শত্রুতার মনোভাব নিয়েও অনেকে যোগাযোগের চেষ্টা করতে পারে। তাই ভিনগ্রহীদের তরফ থেকে কোনোরকম সাড়া পেলে যেন ভালো করে ভেবে দেখা হয়। এ ব্যাপারে কোনো ঝুঁকি নেয়া উচিত হবে না।

তাদের মতে, ভিনগ্রহীদের পাঠানো জটিল বার্তাকে পড়ার জন্য কম্পিউটার ছাড়া গতি নেই। সেক্ষেত্রে তেমন কোনো মেসেজকে খুলতে গেলে টেকনিক্যাল ঝুঁকি তো থাকছেই। কোনো বিপজ্জনক ভাইরাস পাঠিয়ে পৃথিবীর সব কম্পিউটারকে ধ্বংস করে টেলিযোগাযোগকে মুহূর্তে বড় ধাক্কা দিতেই পারে ভিনগ্রহীরা। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন মেসেজ পাঠিয়ে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। মিথ্যার ফাঁদ পেতে তারা মানুষকে বিরাট ঝুঁকির সামনে ফেলে দিতে পারে।

3
বাসাবাড়ি পরিচ্ছন্ন করতে সবাই বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেন। কিন্তু নিয়মিতভাবে এসব পণ্য ব্যবহার করলে মানুষের ফুসফুস দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

নরওয়ের বার্জেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক প্রায় ছয় হাজার মানুষের ওপর একটি জরিপ চালিয়ে এসব তথ্য দিয়েছেন। তারা বলেন, আসবাবপত্র পরিষ্কারে মেয়েরা এসব য্ন্ত্র বেশি ব্যবহার করে বলে তারা পুরুষদের তুলনায় বেশি আক্রান্ত হন।

বিজ্ঞানীরা বলেন, বাসাবাড়ি পরিষ্কার করতে যে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়, তা অপ্রয়োজনীয়। এ জন্য সুক্ষ্ম সুতা দিয়ে সেলাই করা কাপড় ও পানি যথেষ্ট। সেখানে আমাদের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা অনুচিত।

যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা বলেন, লোকজনের উচিত তাদের বাসাবাড়িতে যেন যথেষ্ট বাতাস ঢুকতে পারে সেই ব্যবস্থা করা। স্প্রের বদলে তরল পদার্থ দিয়ে পরিষ্কার করা। এতে কিছুটা উপকার পাওয়া যাবে।

গবেষক দলটি ইউরোপীয় কমিউনিটি রেসপাইরেটরি হেলথ সার্ভে থেকে তথ্য নেন। আগের জরিপগুলোতে দেখা গেছে, পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহৃত উপাদানগুলো ব্যবহারে স্বল্প মেয়াদি স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। বিশেষ করে রাসায়নিক পদার্থগুলো মানুষের অ্যাজমা সমস্যা তৈরি করে।

কিন্তু এই জরিপটিতে দেখা গেছে, এসব পদার্থ মানুষের শরীরের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরি করে। আধ্যাপক সিসিল স্ভানেস বলেন, এসব রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ দূষণ করে। মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ফুসফুসের কার্যক্রম দুর্বল করে দেয়।

4
নতুন নতুন যাত্রীর সঙ্গে দিন দিন বাড়ছে প্লেনের সংখ্যা। তাই ২০২০ সালের মধ্যে প্রতি ১০ ঘণ্টায় একটি করে প্লেন বানানোর লক্ষ্যে এগোচ্ছে বোয়িং।

বোয়িংপ্রধান ডেনিস মুইলেনবার্গ জানিয়েছেন, এ দশকের শেষে বছরে ৯০০টিরও বেশি প্লেন বানানোর কথা রয়েছে। বর্তমানে রেকর্ড হারে প্লেন উৎপাদন করছে প্রতিষ্ঠানটি। ভবিষ্যতে উৎপাদন আরও বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে তাদের।

সিএনবিসিকে মুইলেনবার্গ বলেন, এ দশকের শেষে অ্যারোস্পেস ও প্রতিরক্ষা জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি বছরে ৯০০টির বেশি প্লেন তৈরি করবে। আগের বছর রেকর্ড ৭৬৩টি বাণিজ্যিক প্লেন সরবরাহ করেছে বোয়িং। এ হিসাবে প্রতিটি প্লেন তৈরিতে সময় লেগেছে সাড়ে ১১ ঘণ্টা।

চলতি বছর ৮১০ থেকে ৮১৫টি প্লেন সরবরাহের প্রত্যাশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। মুইলেনবার্গ বলেন, সামনের ২০ বছরে ‘প্লেনের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে’- যেখানে ৪১ হাজার নতুন প্লেনের দরকার হবে। তিনি বলেন, প্রতি বছর এয়ার ট্রাফিক বাড়ছে, যা বছরে ছয় থেকে সাত শতাংশ। এতে বিশ্বজুড়ে প্লেনের চাহিদা বাড়ছে বলে জানান বোয়িংপ্রধান।


5
ক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের একটা ঘরে একটা ছোট্ট ধূসর বাক্স রয়েছে। এই বাক্সেই ঘরের সব থেকে মূল্যবান বস্তু— অধ্যাপক স্টিফেন হকিংয়ের কণ্ঠস্বর। ‘অ্যামিওট্রোপিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস’ (এএলএস)-এ আক্রান্ত অধ্যাপক হকিংকে গত ৩০ বছর ধরে বৈদ্যুতিক স্বরক্ষেপণ প্রযুক্তি ব্যবহার করেই কথা’ বলতে হতো।

১৯৮৫ সালে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হকিংয়ের গলা ফুঁড়ে ট্র্যাকিওস্টোমি করা হয়েছিল, ফলে কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন হকিং। নিজের ধ্যান-ধারণা ও তত্ত্ব প্রকাশ করতে হকিং টাইপ করা শুরু করেন। কিন্তু ক্ষয়িষ্ণু পেশিশক্তির ফলে সেটিও যথেষ্ট কষ্টকর কাজ ছিল। মিনিটে খুব বেশি হলে মাত্র ১৫টি শব্দ টাইপ করতে পারতেন হকিং।

এভাবেই তিন বছরে শেষ হয় ৫০৭৫০ শব্দে ‘আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম। ততদিনে টাইপ করা শব্দ কণ্ঠস্বরে রূপান্তরিত করার প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফের কথা বলতে শুরু করেছেন অধ্যাপক।

কিন্তু রোগকে যে বেধে রাখা যায় না! কয়েক বছরের মধ্যেই বুড়ো আঙুল চালানোর ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন হকিং। মিনিটে একটা শব্দের বেশি বলা সম্ভব হচ্ছিল না। বন্ধ হয়ে যায় টাইপ করা এবং কথা বলাও।

তখন কম্পিউটার নির্মাতা সংস্থা ইন্টেলের সহপ্রতিষ্ঠাতা গর্ডন মুরকে চিঠি লেখেন হকিং। অধ্যাপকের প্রশ্ন ছিল- আজকাল আমার স্পিচ ইনপুটের গতি খুব ধীর হয়ে গেছে। আপনারা কী কোনোভাবে আমাকে সাহায্য করতে পারেন?

মুরের নির্দেশে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজে নামেন ইন্টেলের প্রকৌশলীরা। হকিংয়ের গালের একটা পেশি ও চোখের কুঞ্চন, রেটিনার স্ক্যান এবং মস্তিষ্কের তরঙ্গ— এটুকু সম্বল করেই এক অসম লড়াই শুরু হয়। অধ্যাপকের শরীরে মারণ এএলএসের দ্রুত বংশ বিস্তারের সঙ্গে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির লড়াই। গত কয়েক দশক ধরে কিন্তু রোগকে জিততে দেননি কম্পিউটার প্রকৌশলীরা। অসংখ্য বক্তৃতা দিয়েছেন অধ্যাপক, সারা পৃথিবী শুনেছে তার যান্ত্রিক কণ্ঠস্বর। সেই কণ্ঠস্বরই এখন বাক্সবন্দি।

এই কাঁপাকাঁপা যান্ত্রিক কণ্ঠেই হকিং একবার তার সহকর্মীদের বলেছিলেন- আমার সমাধি প্রস্তরে যেন শুধু ওই সমীকরণটি লেখা থাকে। কোন সমীকরণ? যার সাহায্যে হকিং দেখিয়েছিলেন যে, ব্ল্যাকহোল থেকেও তেজস্ক্রিয় রশ্মির বিকিরণ হয়। আর এই শেষ ইচ্ছে পালন করতেই ফাঁপড়ে পড়ে গিয়েছেন ক্যামব্রিজের পাথর খোদাইকারেরা। কারণ তারা তো জানেনই না, কী করে লিখতে হয় ‘পাই’!

6
লাফ দিয়ে আকাশে কিছুক্ষণ ভেসে বেড়ানোর জন্য নতুন ড্রোন ব্যাকপ্যাক বানিয়েছে জাপানের লুনাভিটি নামের একটি শিক্ষার্থী দল।

বর্তমানে ফ্ল্যাইং ট্যাক্সি নিয়ে কাজ করছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। পুরোদমে আকাশে ওড়া নয়, কিন্তু আকাশে ওড়ার কিছুটা অনুভূতি দিতে নতুন ব্যাকপ্যাকটি তৈরি করেছে লুনাভিটি খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির।

নতুন এই ব্যাকপ্যাকটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অফ টোকিও’র একদল শিক্ষার্থী। নিম্নমুখী কয়েকটি রোটর ব্যবহার করা হয়েছে এতে। রোটরগুলোর শক্তিশালী ধাক্কায় অনেকটা উঁচুতে লাফ দেয়া যায়, যা মানুষের ক্ষমতার থেকে অনেক বেশি। এর মাধ্যমে চাঁদে হাঁটার মতো অভিজ্ঞতা পেতে পারেন গ্রাহক।

রাস্তায় লাফানো এবং হুইলচেয়ারের পরিবর্তে এই ড্রোন ব্যাকপ্যাকটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আরও বাস্তবিক অর্থে মজার জন্য বাস্কেটবল খেলায় এটি ব্যবহার করা যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন এই ব্যাকপ্যাকটি বিক্রির জন্য বাজারে আনা হবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। টেকশহর।

7
গরমে কাঁচা আমের এক গ্লাস শরবত সারা শরীরে এনে দিতে পারে প্রশান্তি। বাজারে এখন কাঁচা আম পাবেন। পুষ্টিবিদেরা বলেন, কাঁচা আমের জুস শরীরের জন্য ভালো। কাঁচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় প্রচণ্ড গরমে তা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। কাঁচা আমের জুসের কয়েকটি গুণের কথা জেনে নিন:

শরীরে লবণের ঘাটতি দূর করে
গরমে অতিরিক্ত ঘামে শরীর থেকে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও লৌহ বের হয়ে যায়। কাঁচা আমের জুস শরীরের এই ঘাটতি দূর করে। যাঁরা ওজন কমাতে বা শরীরের বাড়তি ক্যালরি খরচ করতে চান, তাঁদের জন্য এখন আদর্শ ফল কাঁচা আম।

পেট ভালো রাখে
গরমে পেটের গোলমাল? এক গ্লাস আমের জুস দারুণ কাজে লাগতে পারে। খাদ্য হজমে সহায়তা করে কাঁচা আম। অন্ত্রকে পরিষ্কার করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয় কাঁচা আম।

শরীর ঠান্ডা থাকে
কাঁচা আমে পটাশিয়াম থাকার কারণে তা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে৷ এ কারণে শরীরে ঘাম কম হয়। গরমে ক্লান্তিও দূর হয়৷ দুপুরে খাওয়ার পর এই গরমে কিছুটা ঝিমুনি ভাব দেখা দিতে পারে। কাঁচা আমে আছে প্রচুর শক্তি। দুপুরের খাওয়ার পরে কয়েক টুকরা কাঁচা আম খেলে ঝিমুনি দূর হয়।

হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য ভালো
কাঁচা আমকে হৃদ্‌যন্ত্রবান্ধব বলা যেতে পারে। এতে আছে নিয়াসিন নামের বিশেষ উপাদান। এটি হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায় এবং বাজে কোলস্টেরল স্তরকে কমাতে সাহায্য করে। যকৃতের রোগ নিরাময়ের প্রাকৃতিক বন্ধু হতে পারে কাঁচা আম।

স্কার্ভি ও মাড়ির রক্ত পড়া রোধ করে
কাঁচা আম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘সি’ জোগাতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ির রক্ত পড়া কমায় কাঁচা আম। আমচুর স্কার্ভি নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর। নিশ্বাসের দুর্গন্ধ ও দাঁতের ক্ষয় রোধেও সহায়তা করে কাঁচা আম।

8
Fashion / বয়সের কাছে হারতে মানা
« on: March 01, 2018, 11:37:42 AM »
 হাল সময়ে বয়সের কাছে হার মানা কখনোই ঠিক নয়। মনটা তরুণ রাখাই জরুরি। আর একটু সচেতন হলে বয়সকে হার মানাতে নিজের ইচ্ছাই যথেষ্ট। আপনি নন, বয়সই হার মানবে আপনার কাছে।
 
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে যে স্বাভাবিক কোমলতা বা উজ্জ্বলতা থাকে, তা হারিয়ে যায়। কিছু কিছু নিয়ম মেনে চললে এই বুড়িয়ে যাওয়া ভাবকে ঠেকানো যায়। যেমন—সঠিক খাদ্য তালিকা মেনে চলা, নিয়মিত ত্বকের আর শরীরের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া। বয়স হলে শরীর ও মনে আসে কিছু পরিবর্তন। যেমন—ত্বকে দাগ বা ভাঁজ পড়া, ত্বকের রং পরিবর্তন, ত্বক ছাপিয়ে শিরা দৃশ্যমান হওয়া, শারীরিক অবকাঠামো ভেঙে পড়া ইত্যাদি। এ সবকিছু মিলে যে ব্যাপারটি সবচেয়ে ক্ষতিকর হয়ে ওঠে, তা হলো মানসিক অবসাদ। ত্বকের উপর বয়সের প্রভাব মূলত জীবনের চার অধ্যায়ে বিন্যস্ত—কৈশোর, তারুণ্য, মধ্যবয়স ও বার্ধক্য। কৈশোরে  ত্বকের যে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়, তার পরিণতি মেলে তারুণ্যে। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার শুরুটা মধ্যবয়সে। এ বয়সে ত্বকে কোলাজেনের পরিমাণ প্রতিবছর শতকরা এক ভাগ কমতে থাকে। এতে চোখের চারপাশে ও কপালে দেখা দেয় বলিরেখা। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে তা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে খুব তাড়াতাড়ি। ত্বকনিঃসৃত তেলের নিঃসরণ কমে যায় বলে সহজেই ত্বকে দাগ পড়ে। বার্ধক্যে ত্বকের নিচে জমে থাকা চর্বি কমে যেতে থাকে বলে চামড়া বা ত্বক ঝুলে পড়ে।
 
বয়সকে জয় করার মূলমন্ত্র কিন্তু ইতিবাচক চিন্তা আর তারুণ্য। তারুণ্য চিরকালীন। আপনার মন সজীব থাকলে কারো সাধ্য নেই আপনাকে বুড়িয়ে দেওয়ার। নিজের প্রতি মনোযোগ ও যত্ন আর সবসময় হাসিখুশি থাকার মূলমন্ত্র আয়ত্তে আনতে হবে নিজেকেই। বয়সের পরিপক্বতাকে আত্মবিশ্বাসের অনুষঙ্গ মনে করে বাকি সব উপসর্গ সহজেই মুছে দেওয়া সম্ভব। আক্ষরিক অর্থে হিসাব করতে বসলে মনে পড়ে, বেশকিছু বছর চলে গেছে জীবন থেকে। অথচ আমাদের মনেই থাকে না। আসল কথা হলো, মন যদি সুন্দর থাকে, তবে কিছুই কিন্তু বাধা হতে পারে না। নিজেকে ঠিক রাখতে হলে সবার আগে মনটাকে হাসিখুশি রাখা চাই। জীবনে আনন্দের সঙ্গে বেদনারও বসবাস। তাই বলে সেটা ধরে বসে থাকলে চলবে না। বাইরে সুন্দর থাকাটাও কিন্তু খুবই দরকার। আমাদের দেশের আবহাওয়া যেমন, তাতে ঘরে থাকলেও নিজের যত্ন নিতে হবে। সাধারণত আমরা নিজের প্রতি খুব একটা যত্ন নিই না। ব্যাপারটা আমরা সবচেয়ে বেশি বুঝতে পারি, যখন আমাদের ত্বক স্বাভাবিক কোমলতা হারায়। ছোটবেলা থেকে পরিচ্ছন্ন থাকার চর্চা করতে হয়। মন যদি তরুণ থাকে, তবে এর অভিব্যক্তি মুখেও পড়ে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি ত্বকে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ঠিক রেখে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখে। আর একটা কথা, ‘মন ভালো থাকাটা খুবই জরুরি’।
 
সবার আগে নিজের খাদ্যাভ্যাস নজরে আনা উচিত। কোন খাবার ত্বকের জন্য ভালো আর কোনটি নয়—সে বিষয়ে রাহিমা সুলতানা বলেন, ‘রঙিন খাবার, যেমন—প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল খাওয়া উচিত। তাজা খাবার ত্বক সতেজ করে। মাংস বাদ দিয়ে মাছ খাওয়ার অভ্যাস বাড়িয়ে তুলুন। ইচ্ছোমতো ভাত বা ভাতজাতীয় খাবার না খেয়ে সবজির স্যুপ বা এ জাতীয় খাবার খান। শাকাহারী শব্দটিকে ভালোবাসতে শিখুন। বাদাম, পেস্তা অথবা মাছের তেল বাদে অন্যান্য তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। মিষ্টি জাতীয় খাবার, চিনি ইত্যাদি যথা সম্ভব খাদ্য তালিকার বাইরে রাখুন। সপ্তাহে এক বা দুইদিন মাংস খেলেও প্রচুর সবজি রাখুন সঙ্গে। বার্ধক্যে কাজের পরিমাণ সাধারণত কমে যায় বলে ক্যালোরির চাহিদাও কমে যায়। তাই উচ্চ ক্যালোরিসম্পন্ন খাবার এড়িয়ে চলুন। ত্বকের দাগ ও ভাঁজ নির্মূলে সাহায্য করে। পুষ্টিকর খাবার, আঁশযুক্ত খাবার খাদ্য তালিকায় সংযোজন করুন।
 
নিয়মিত শরীরচর্চা, হাঁটা শরীরকে রাখে উপযুক্ত, মনেও আনে প্রশান্তি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। সুনিদ্রা সুস্বাস্থ্যের বড় বন্ধু। নিয়মিত শরীরচর্চা সুনিদ্রার সহায়ক। শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূরীকরণে এর কোনো বিকল্প নেই।
 
ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। হাত ও পায়ের যত্নে মনোযোগ বাড়িয়ে দিতে হবে। রূপবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। উপযুক্ত মালিশ করানো উচিত নির্দিষ্ট সময় অন্তর। তবে, অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী।
 
যেকোনো ব্যাপারে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভালো। তবুও প্রতিরোধের সময় পার হয়ে গেলেও প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে। ডায়েটিশিয়ানের মতে, ‘আমাদের ত্বকের স্তর তিনটি। উপরের স্তর এপিডার্মিস, যা চামড়া নামে পরিচিত। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এ স্তরের আর্দ্রতা কমতে থাকে। ত্বক মলিন হয়। বলিরেখা দেখা দেয় এ স্তরেই। এর পরের স্তর ডার্মিস, যেখানে থাকে কোলাজেন বা ইলাস্টেন। ত্বক টান টান রাখার দায়িত্ব এ স্তরের। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে টান টান ভাব কমতে থাকে। শেষ স্তরের নাম সাবকিউটেনাস টিস্যু। বয়স অনেক হয়ে গেলে ভিতরের এ স্তরটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাওয়ার ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার খেতে হবে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’-সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ প্রচুর বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল খাওয়া যেতে পারে। হলুদ ফলমূল, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদির পরিমাণ খাদ্য তালিকায় বাড়াতে হবে। আমিষ খাওয়ার বেলায় মাংসের পরিবর্তে মাছের দিকে পক্ষপাতিত্ব বাড়ান। এই চর্চা কম বয়স থেকেই থাকা ভালো।

9
Fashion / মেধা বিকাশে সুষম খাবার
« on: March 01, 2018, 11:35:09 AM »
 সুষম খাদ্য বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সুষম খাদ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু পুষ্টিজ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞতা ও অনভ্যাসের কারণে দৈনন্দিন জীবনে সুষম খাদ্যের তালিকা প্রস্তুত করা বা মেনে চলা প্রায়ই হয়ে ওঠে না। সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য একটি সুষম খাদ্য তালিকা থাকা অত্যন্ত জরুরি। সবার আগে কোন খাদ্যে কী পরিমাণ পুষ্টি উপাদান আছে বা কোন খাদ্য কী পরিমাণ গ্রহণ করতে হবে, সেটা জানতে হবে। আবার এর সঙ্গে কোন উপাদান দেহে কী কাজ করে সে সম্পর্কেও পরিষ্কার ধারণা থাকা দরকার।
 
শর্করা জাতীয় খাদ্য
 
পরিশোধিত শর্করা জাতীয় খাদ্যের পুষ্টিমান অপরিশোধিত শর্করা জাতীয় খাদ্যের চেয়ে কম। অর্থাত্ কলেছাঁটা চালের চেয়ে ঢেঁকিছাঁটা চাল অধিক উপকারী এবং লাল আটার কার্যকারিতা প্যাকেটজাত আটার চেয়ে বহুগুণে বেশি। আমরা থায়ামিন নামক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ঢেঁকিছাঁটা চালের মাধ্যমে পেয়ে থাকি। একই কথা খাটে লাল চিনি বা সাদা চিনির বেলায়ও। লাল চিনির পুষ্টিগুণ মেশিনে প্রস্তুতকৃত চিনির চেয়ে বেশি। আরও বেশি উপকারী হলো আখের গুড়।
 
স্নেহ বা ফ্যাট-জাতীয় খাদ্য
 
প্রাণিজ স্নেহজাতীয় পদার্থ বা অ্যানিমেল ফ্যাট, যেমন—মাখন বা ঘি দিয়ে প্রস্তুতকৃত খাদ্য; উদ্ভিজ্জ স্নেহজাতীয় পদার্থ, যেমন—সয়াবিন বা সূর্যমুখী তেলের চেয়ে উচ্চ ক্যালরিসম্পন্ন। ফলে কেউ যদি দৈনন্দিন রান্নায় সব সময় ঘি বা মাখন বা পনির ব্যবহার করেন, তাহলে সে পরিবারের সদস্যরা সবসময়ই প্রয়োজনের চেয়ে অধিকমাত্রায় ক্যালরি গ্রহণ করছেন। সে কারণেই প্রাণিজ স্নেহজাতীয় পদার্থ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে উদ্ভিজ্জ স্নেহজাতীয় পদার্থ, যেমন—সয়াবিন, সূর্যমুখীর তেল, ভুট্টার তেল ব্যবহার করা শ্রেয়। ফাস্টফুডে মেয়োনিজ, পনির ব্যবহার করা হয়; যেগুলো সবই প্রাণিজ চর্বি।
 
আমিষ জাতীয় খাদ্য
 
এর অন্যতম উত্স হলো মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, শিমের বিচি, ডাল ইত্যাদি। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাণিজ প্রোটিন তুলনামূলকভাবে সহজপাচ্য। তবে রেড মিট বা গরু, খাসির মাংসে প্রচুর পরিমাণে চর্বি থাকে, ফলে এগুলো বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব খাবার রান্না করার ওপরও পুষ্টিমান অনেকাংশে নির্ভরশীল। মনে রাখতে হবে, মাছ বা মাংস রান্নার সময় সেগুলো খুব বেশি কষালে খাদ্যের পুষ্টিমান কমে যায়। পুষ্টিমানের দিক দিয়ে সামুদ্রিক মাছ অত্যন্ত উন্নতমানের। বিশেষ করে কিছু কিছু সামুদ্রিক মাছে পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে; যেগুলো কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সুতরাং আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় সামুদ্রিক মাছ সংযোজন করলে ভালো হয়।
 
শাকসবজি, ফলমূল ও পানি
 
দেহের প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ শাকসবজি থেকে বেশি আসে। শাকসবজি ছাড়াও ফলমূল রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ উদ্দেশ্যে প্রতিদিন একটা করে টকজাতীয় ফল খেতে হবে। কারণ এধরনের ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকে। ভিটামিন ‘সি’ রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। তবে ফলমূলও হতে হবে টাটকা। প্যাকেটজাত ফলের রসে চিনি, কৃত্রিম রং ও ফ্লেভার ব্যবহার হয়; যা এর পুষ্টিগুণ কমিয়ে দেয়। সুতরাং এ ধরনের কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তুতকৃত পরিশোধিত ফলের রসের চেয়ে সরাসরি ফল খাওয়া বেশি উপকারী।
 
সুস্থ ও সবল দেহের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানিও পান করতে হবে। অন্য কোনো সমস্যা না থাকলে দিনে কমপক্ষে ছয় থেকে আট গ্লাস পানি প্রয়োজন হয়।
 
তবে সারকথা হলো শুধু তালিকা বানানোই কাজ নয়; প্রয়োজন খাদ্য তালিকা ব্যবহারিক জীবনে সঠিকভাবে মেনে চলা। এর সঙ্গে প্রয়োজন নিয়মিত শরীরচর্চা, সুঅভ্যাস গড়ে তোলা এবং মানসিক প্রশান্তি।

10
Fashion / চোখের চারপাশের যত্ন
« on: March 01, 2018, 11:33:42 AM »
 চোখের চারপাশে কালো দাগ থাকলে সব প্রস্তুতির পরও চেহারা অনেকখানি মলিন দেখায় এবং সৌন্দর্যও ফুটে ওঠে না। তাই চোখের চারপাশের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি।
 
চোখের চারপাশের কালো দাগের কারণ
 
চোখের চারপাশের যত্ন নিতে হলে আপনাকে আগে জেনে নিতে হবে কী কী কারণে চোখের চারপাশে কালো দাগ তৈরি হয়। রক্ত স্বল্পতা, কিডনি সংক্রমণ, ক্ষতিকর সূর্য রশ্মি, অনিদ্রা, হরমোনের পরিবর্তন, পুষ্টির অভাব, বংশগত কারণ, ধূমপান ও মদ্যপান; এছাড়া পানি স্বল্পতাসহ নানা কারণে চোখের চারপাশ কালো হতে পারে। অ্যালার্জি, হাঁপানি বা এক্সিমার মতো চোখের চুলকানি সৃষ্টিকারী যেকোনো রোগে চোখের চারপাশে কালো দাগ হতে পারে। চোখ চুলকানো বা ঘষার কারণে এটা হয়ে থাকে। কিছু খাদ্যও (অ্যালার্জি-বর্ধক) এই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আবার যেকোনো ওষুধ, যা শিরাকে স্ফীত বা বর্ধিত করে তার জন্যও হতে পারে। খাদ্যের পুষ্টির অভাব বা সুষম খাদ্যের অভাবে চোখের নিচে দাগ দেখা দিতে পারে। খনিজ লবণের অভাবে এটা হয় বলে ধারণা করা হয়। খনিজ লবণের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়, ফলে দেহের টিস্যু ঠিকমতো অক্সিজেনের সরবরাহ পায় না। গর্ভাবস্থায় বা মাসিকের সময়ও চোখের নিচে ফ্যাকাসে হতে পারে, ফলে চোখের নিম্নাবস্থিত শিরা আরও দৃশ্যমান হয়। ঘুমের অভাবে ত্বক ফ্যাকাশে হতে পারে। এতে দাগ আরো গাঢ় হতে পারে। এটি লিভার রোগের লক্ষণও হতে পারে। বয়সের সঙ্গে কালো দাগ আরও লক্ষণীয় এবং স্থায়ী হয়।

11
নবজাতকের পুষ্টি সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারনা রাখেন না দেশের অর্ধেক মা-ই। আর এই অজ্ঞতা সবচেয়ে বেশি রংপুর, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগে। এসব অঞ্চলের ৪২ থেকে ৫২ ভাগ মায়ের নবজাতক শিশুদের পুষ্টিজ্ঞান কম। তারা জানেন না কখন শিশুদের বাড়তি খাবার দিতে হবে। শিশুর ৬ থেকে ২৩ মাস বয়সে কী ধরনের বাড়তি খাবার খাওয়াতে হবে সে বিষয়ে সঠিক নির্দেশনা পান না মায়েরা। তবে তুলনামূলক শহুরে মায়েরা একটু বেশি সচেতন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষিত মায়েরা বেশি সচেতন। শিশু পুষ্টি, নবজাতক শিশুর যত্নসহ মায়েদের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে করা একটি জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), বিআইডিএস, ইউনিসেফ এবং পরিকল্পনা কমিশনের আইএমইডি বিভাগ যৌথভাবে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, শিশুর জন্মের ৩০ মিনিটের মধ্যে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য বিশেষজ্ঞরা মত দিলেও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা বা জ্ঞানের অভাবে অনেক মা-ই এটি করেন না। গ্রামে ৩৬ ভাগ ও শহরের ২৩ ভাগ মা ত্রিশ মিনিটের মধ্যে বুকের দুধ খাওয়ানোর কোনো দিকনির্দেশনা পান না। যারা দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তা পান, তাদের মধ্যে ৭০ ভাগ মা জরিপকালে জানিয়েছেন যে, তারা জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে বুকের দুধ খাওয়ান। ২২ ভাগ মা জানিয়েছেন তারা এই ত্রিশ মিনিটের মধ্যে না খাওয়ালেও প্রথম দিন থেকেই শুরু করেন। চার ভাগ মা বাচ্চা জন্মের প্রথম মাসে তাদের বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করেন।

12
Fashion / নখের সমস্যায় করণীয়
« on: March 01, 2018, 11:30:33 AM »
 বেকায়দাভাবে যখন নখ বৃদ্ধি পায় এবং নখ নীচের মাংসের ভেতর ঢুকে যায় তখন নখের কোনায় প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। এই সমস্যাকে ‘নখের কোনা ওঠা’ বলা হয়। হাতের নখের থেকে পায়ের নখে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। কারণ পায়ের নখে তুলনামূলকভাবে ধুলো-বালি, ময়লা, ঘাম, পানি বেশি লাগে। ফলে নখের কোনে ইনফেকশন দেখা দেয়। কখনো কখনো ব্যথার সাথে হলুদ পুজও দেখা যায়।
 
নখের কোনা ওঠার প্রথম চিকিৎসা হলো নখের যে বাড়তি অংশের জন্য ব্যথা হচ্ছে সেই অংশটুকু কেটে ফেলতে হবে। তাহলে ব্যথা সাথে সাথে কমে যাবে। যদি নখের কোনায় পুঁজ জমে থাকে তাহলে টপিকাল এন্টিবায়োটিক লাগাতে হবে অথবা ওরাল এন্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। তবে ইনফেকশন হয়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো। এছাড়াও হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, এন্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান, জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
 
তবে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম উপায়। তাই নখ সব সময় সোজাভাবে কাটতে হবে, পায়ের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, বাহির থেকে আসার পর পা ও হাত ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে মুছে ফেলতে হবে, পরিষ্কার জুতা ও মুজা পরতে হবে, আরামদায়ক ও পায়ের মাপ মত জুতা পরতে হবে, প্রতিদিন গোসলের সময় পায়ের নীচের শক্ত চামড়া পরিষ্কার করতে হবে। তবে দীর্ঘদিন নখের কোনা ওঠা সমস্যায় ভুগে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

13
দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ কিংবা ইনসুলিন নিয়েও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না- এমন রোগীদের জন্য সুখবর। ওষুধ কিংবা ইনসুলিন ছাড়াই কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হলিস্টিক হেলথ কেয়ার সেন্টার রোগীদের সেই পরামর্শ দিচ্ছে। ওই কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

শুক্রবার রাজধানীর পান্থপথে সেল সেন্টার মিলনায়তনে ‘৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। হলিস্টিক হেলথ কেয়ার সেন্টার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সমকালের উপ-সম্পাদক আবু সাঈদ খান। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের মেডিটেশন, ব্যায়াম থেকে মানুষ দূরে সরে যাচ্ছে। অপরদিকে ওষুধ কোম্পানিগুলোর আগ্রাসী বাণিজ্যিক নীতির কবলে পড়ে মানুষের মধ্যে ওষুধ নির্ভরতা দিন দিন বাড়ছে। ওইসব ওষুধ সেবনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাক্তক ক্ষতিকর। তাই এই ওষুধ নির্ভরতার বিরুদ্ধে একটা যুদ্ধ প্রয়োজন। এই যুদ্ধ হবে কিভাবে ওষুধ ব্যবহার কমানো যায়, সার্জারি না করানো যায়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন করে তোলা।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন হলিস্টিক হেলথ কেয়ার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, ডায়াবেটিস কোনো প্রাণঘাতী রোগ নয়। তবে সব রোগের উপসর্গ হিসেবে কাজ করে। নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস আক্রান্ত একজন ব্যক্তি শতভাগ সুস্থ থেকে দীর্ঘায়ু লাভ করতে পারেন।

ডা. গোবিন্দ দাস আরও বলেন, ওষুধের ব্যবহার ছাড়া শুধুমাত্র ব্যায়াম, খাদ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাত্র ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। হলিস্টিক হেলথ কেয়ার সেন্টারে এমন বেশকিছু রোগী আছেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ কিংবা ইনসুলিন  ব্যবহারের পরও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না। এসব রোগীদের কিছু সুনির্দিষ্ট কৌশল ও প্রক্রিয়া শিখিয়ে দেওয়ার পর তাদের ডায়াবেটিস এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ কৌশলটি সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে রোগীরা ওষুধ কিংবা ইনসুলিন ছাড়াই কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এনেছেন, সে সম্পর্কে অবহিত করেন। বেসরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মহীন্দ্র নাথ বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে তিনি ডায়াবেটিসে ভুগছেন। আগে প্রতিদিন ৫৬ ইউনিট করে ইনসুলিন নিতেন। বর্তমানে ইনসুলিন ও ওষুধ ছাড়াই ব্যায়াম ও খাদ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সুস্থ আছেন। ফরিদপুরের এক গৃহবধূ জানান, আগে প্রতিদিন ১০০ ইউনিট করে ইনসুলিন নিতে হতো। এখন হলিস্টিক হেলথ কেয়ারের পরামর্শ পালন করে তিনি ইনসুলিন ছাড়াই সুস্থ আছেন।

অনুষ্ঠানে ড. আলমাসুর রহমান রোগীদের বিভিন্ন পরামর্শমূলক বক্তব্য দেন। গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া তিনদিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠান শেষ হবে শনিবার। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।

বিষয় : ডায়াবেটিস

14
দাঁত থাকতেই দাঁতের মর্যাদা বোঝা উচিত। বিপরীত ঘটলে তার খেসারতও দিতে হয় ভালোভাবেই।

শরীরের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টার প্রতি অবহেলা করা যাবে না কোনোভাবেই। দিনে কতবার দাঁত ব্রাশ করা উচিত; কখন করা উচিত তারও রয়েছে নির্দিষ্ট নিয়ম।

সংবাদ মাধ্যমে এবেলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দিনের শুরুটাই শুরু হয় দাঁত ব্রাশ করা দিয়ে। অনেকেই একে তেমন গুরুত্ব দেন না। যেমন তেমন করে শেষ করেন ব্রাশ করা। কিন্তু এটা খুব বড় ভুল।

আসলে দাঁত মাজার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আমরা সেই জিনিসটাকেই অবহেলা করে থাকি। যার ফল হয়ে দাঁড়ায় মারাত্মক। দাঁত মাজার ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন না করলে যে বড় বিপদ ঘটতে পারে তা জানিয়েছে একটি গবেষণা।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিনে অন্তত দুইবার প্রত্যেকের দাঁত মাজা উচিত। সেই সঙ্গে ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, মিষ্টি কিংবা চকোলেট জাতীয় খাবার খাওয়ার পরেও একবার দাঁত মেজে নেওয়া দরকার। তবে টকজাতীয় খাবার খাওয়ার পর দাঁত না মাজলেই ভালো হবে বলে জানাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসকদের ওই গবেষণা।

গবেষণায় বলা হয়েছে, দাঁত মাজার সময়ে অন্তত ৪৫ ডিগ্রি পর্যন্ত মাড়ি পর্যন্ত বাকিয়ে ব্রাশ করতে। আর প্রতি তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ বদলাতে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, সম্ভব হলে ভালো মানের টুথব্রাশ ব্যবহার করতে। ফ্লুরাইড যুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করলে ফল ভালো হয়। ভাল করে দাঁত না মাজলে রোগবালাইয়ের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। মুখে দুর্গন্ধের সঙ্গে সঙ্গে দাঁতে পোকা ও দাগ পড়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়।

15
ঠাণ্ডা লাগলে অনেকসময় বুকে কফ জমে যায়।কখনও কখনও এটা থেকে সংক্রমণও তৈরি হয়। কফ জমলে বুক ভারী হয়ে আসে, অস্বস্তি হয়, গলাও ব্যথা করে। কখনও কখনও এটা এতটাই তীব্র হয় যে খেতেও কষ্ট হয়।

এ ধরনের সমস্যা হলে ঘরোয়া উপায়েই এর সমাধান সম্ভব। কফ জমে বুক ভারী হয়ে এলে এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে মধু ও লেবুর রস যোগ করে দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন। মধু গলা ও বুক পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে। আর লেবুতে থাকা ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

গরম দুধের সঙ্গে মধু, হলুদ আর গোলমরিচ মিশিয়ে খেলেও ঠাণ্ডার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। হলুদ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে আর গোল মরিচ হজমে সহায়তা করে এবং ঠাণ্ডা, কাশি সারায়। উপকার পেতে দিনে দুইবার এটি খেতে পারেন।

এই সময় গরম পানি পান করলে গলায় আরাম বোধ করবেন।ধীরে ধীরে বুকে জমাট বাঁধাও কমে আসবে।

গরম পানির সঙ্গে আদার রস আর সামান্য লবণ মিশিয়ে দিনে ৩ থেকে ৪ বার কুলিকুচি করলে গলা ও বুক পরিষ্কার করতে সহায়তা করবে।

আদা কিংবা তুলসি চা-ও গলা ব্যথা কিংবা বুকের কফ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। চায়ের সঙ্গে চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

গরম পানির সঙ্গে হলুদের গুড়া মিশিয়ে কুলিকুচি করলেও বুকে জমাট বাঁধা কফ কমে যায়। 

এক গ্লাস গরম পানিতে রসুনের রস, লেবুর রস, মধু মিশিয়ে দিনে তিন থেকে চারবার খেলে বুকে জমে থাকা কফ থেকে অনেকটা আরামবোধ করবেন।

Pages: [1] 2 3