Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - sarowar.ph

Pages: 1 2 [3] 4 5 6
31
চীন থেকে অনেক দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এরপর পথেঘাটে, অফিসে অনেকেই মাস্ক পরছেন। আবার মাস্ক ব্যবহারের পক্ষে-বিপক্ষে মতও দিচ্ছেন অনেকে। ঘুরেফিরে উঠে আসছে একটি প্রশ্নই, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কতটা প্রতিরোধ করবে ফেস মাস্ক?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু ফেস মাস্ক পরলেই নিজেকে নিরাপদ ভাবার সুযোগ নেই। পাতলা সার্জিক্যাল মাস্ক সাধারণ দূষণ, ধুলাবালু আটকাতে বেশি ব্যবহৃত হলেও তা পুরোপুরি নিরাপত্তা দেয় না। তবে ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তির মাস্ক পরা জরুরি। এর বাইরে মাস্কের দুটো উপকার আছে: মাস্ক পরা থাকলে নাকেমুখে হাতের স্পর্শ পড়ে কম, আর একেবারে মুখের সামনে কেউ হাঁচি-কাশি দিলে তার থেকে মাস্ক কিছুটা নিরাপত্তা দেয়। তবে সাধারণ মাস্কের ফাঁকফোকর গলে ভাইরাস বা বাতাসবাহিত ড্রপলেট সহজেই প্রবেশ করতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মাস্ক মুখে ঠিকমতো ফিটও হয় না।

সাধারণ চারকোনা সার্জিক্যাল মাস্ক পরে কিছু বৃহদাকার ড্রপলেট সংক্রমণ যেমন ফ্লু, হুপিং কফ, মেনিনজাইটিস অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যায়। আক্রান্ত রোগী ও তার পরিচর্যাকারী, চিকিৎসক, নার্স, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের এটা পরা উচিত। তবে প্রতিবার রোগীর পরিচর্যার পর ডিসপোজিবল এই মাস্ক ফেলে দিতে হবে। আধঘণ্টা পরপর পরিবর্তন করলে ভালো। মাস্কের নীল অংশটা পানিপ্রতিরোধী। আর ভেতরের (সাদা) অংশ নাক থেকে বের হওয়া পদার্থ শুষে নেয়। কেউ কাশি দিলে ভেতরের অংশটা সেটা শুষে নেয়। মাস্ক সঠিকভাবে পরা, আলাদা ঘরে বা কোণে গিয়ে খোলার পর সঠিক জায়গায় ফেলা ও ফেলার পর হাত পরিষ্কার করা উচিত।


করোনা, সার্স, যক্ষ্মা, হাম, চিকেন পক্স ইত্যাদি ভাইরাসের ক্ষুদ্র ড্রপলেট বাতাসে ভেসে বেড়ায়। একে প্রতিরোধ করার জন্য সম্ভব হলে গোলাকার এন-৯৫ রেসপিরেটর মাস্ক পরা উচিত। আক্রান্ত রোগী এ ক্ষেত্রে পেস মাস্ক পরবেন, কিন্তু পরিচর্যাকারী এন-৯৫ রেসপিরেটর পরবেন।

শুধু মাস্ক পরলেই হবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বারবার হাত ধোয়া, নাকমুখে হাতের স্পর্শ না লাগানো আর যেকোনো ফ্লু আক্রান্ত রোগী থেকে অন্তত ৬ ফুট দূরে অবস্থান করা—এই তিনটি নিয়ম পালন করা জরুরি।

(ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, লালবাগ, ঢাকা।)

32
বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ২০১৮ সালে পৃথিবীতে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৯৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে বছরে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ মারা যাবে।

মানব দেহে ক্যান্সার নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। তবে ক্যান্সার হলে আর বাঁচা সম্ভব নয়- এ ধারণাও সঠিক নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের দাবি, মারণব্যাধি এ ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে এর থেকে রক্ষা পাওয়া অনেকটাই সম্ভব। যার অর্থ হলো আগে থেকেই সাবধান হওয়া।

ক্যান্সারের বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে। যেগুলো প্রথম পর্যায়ে দেখা দিলেই সাবধান হওয়া দরকার এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। চলুন জেনে নেয়া যাক ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো-


 

Loading..


Copy video url
Play / Pause
Mute / Unmute
Report a problem
Language
Mox Player
দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি
আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে ক্লান্তিবোধ করেন বা অবসাদে ভোগেন, তবে সেটা অনেক রোগের কারণই হতে পারে এবং ক্যান্সারের কারণেও হতে পারে। মলাশয়ের ক্যান্সার (colon cancer) বা রক্তে ক্যান্সার (blood cancer) হলে সাধারণত এমন উপসর্গ দেখা যায়।

দ্রুত ওজন কমে যাওয়া
কোনো কারণ ছাড়া হঠাৎ করেই দ্রুতগতিতে যদি ওজন কমতে থাকে তবে তা চিন্তার বিষয়। কারণ, এটি ক্যান্সারের অন্যতম উপসর্গ।

দীর্ঘদিনের ব্যথা
কোনো কারণ ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে শরীরের কোনো অংশে যদি ব্যথা হয় আর তাতে ওষুধেও যদি কাজ না করে, তাহলে বিষয়টি নিয়ে ভাবনার যথেষ্ট কারণ আছে। তবে শরীরের কোনো জায়গায় ব্যথা হচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করছে রোগীর ব্রেইন টিউমার বা মলাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে কি-না।

অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড
শরীরের কোনো অংশে অস্বাভাবিক কোনো মাংসপিণ্ডের উপস্থিতি দেখা দিলে বা মাংস জমাট হলে কিংবা এ ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্যণীয় হলে ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পারে। এসব বিষয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


ঘন ঘন জ্বর
জ্বর যেকোনো রোগের উপসর্গ। শরীরে ক্যান্সার জেঁকে বসলে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এতে ঘন ঘন জ্বর হতে পারি। ব্ল্যাড ক্যান্সারেে ঘন ঘন জ্বর হয়।


 
ত্বকে পরিবর্তন
ত্বকে অস্বাভাবিক পরিবর্তনই ক্যান্সার শনাক্ত করার সহজ উপায়। ত্বকে অতিরিক্ত তিল বা ফ্রিকেল অথবা আঁচিলের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। যদি আঁচিলের রঙ, আকারে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

দীর্ঘস্থায়ী কাশি
ওষুধ খাবার পরও কাশি না ভালো হলে বা কাশির কারণে বুক, পিঠ বা কাঁধে ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সামান্য কাশি ভেবে একেবারেই ফেলে রাখা ঠিক নয়।

মল-মূত্র ত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন
যদি ঘন ঘন মল-মূত্রের বেগ অনুভব হয় তাহলে ক্যান্সার নিয়ে ভাবনার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ঘন ঘন ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যও মলাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষণ। মূত্রত্যাগের সময় অন্ত্রে ব্যথা বা রক্তক্ষরণ মূত্রথলির ক্যান্সারের উপসর্গ।

অকারণে রক্তক্ষরণ
কাশির সময় যদি রক্তক্ষরণ হয় তাহলে এটি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারি। এছাড়া জনিপথ বা মলদ্বার থেকে রক্তক্ষরণসহ এ ধরনের অন্যান্য অস্বাভাবিকতাও ক্যান্সারের উপসর্গ।

খাবারে অনিচ্ছা
নিয়মিত বদহজম পেট, কণ্ঠনালী বা গলার ক্যান্সার নিয়ে চিন্তার কারণ রয়েছে। সাধারণত এসব উপসর্গকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। তবে এড়িয়ে যেতে নেই।

অন্যান্য উপসর্গ
এগুলো ছাড়াও ক্যান্সারের আরও বিভিন্ন লক্ষ্য দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে- পা ফুলে যাওয়া, শরীরের আকারে অস্বাভাবিক পরিবর্তন হওয়া ইত্যাদি।


 
তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারলে বেশিরভাগ ক্যান্সারেরই চিকিৎসা ও নিরাময় সম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ক্যান্সারে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব। যে বিষয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে, যেমন- সিগারেট, অ্যালকোহল, অতিরিক্ত ওজন এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিতে হবে।

এছাড়া স্বাস্থ্যকর একটি জীবনযাপন প্রক্রিয়া বেছে নিতে হবে, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়ানো ক্ষেত্রে ভালো পথ। কারণ, গবেষকেরা বলছেন, পৃথিবীতে অন্তত ২০০ ধরনের ক্যান্সার রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলোই রয়েছে যেগুলো আক্রান্ত হওয়ার পর মানুষের সুস্থ হওয়ার হার অনেক বেশি, যেমন- স্তন ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সার। ফলে অবহেলা না ভয় না পেয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।

(আরএস/পিআর)

33
করোনাভাইরাস নিয়ে তোলপাড় পুরো বিশ্ব। শুরুটা চীনে হলেও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, নেপাল, মালয়েশিয়াতেও। সংক্রমণ ছড়িয়েছে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকাতেও। কিন্তু করোনাভাইরাসে যে আক্রান্ত আপনি, তা বুঝবেন কী করে। প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসের প্রায় সব লক্ষণই সাধারণ সর্দি-কাশি ও জ্বরের মতো।

করোনাভাইরাসে সাধারণ লক্ষণ
১. জ্বর
২. শুকনো কাশি
৩. নিশ্বাস নিতে কষ্ট
৪. পেশিতে যন্ত্রণা
৫. ক্লান্তি


 
কম সাধারণ করোনাভাইরাস লক্ষণ
১. বুকে কফ জমে যাওয়া
২. মাথা ব্যথা
৩. হেমোটাইসিস
৪. ডায়রিয়া

যে লক্ষণগুলি থাকলে বুঝবেন সাধারণ সর্দি-কাশি
১. সর্দি
২. গলায় ব্যথা

যেহেতু করোনাভাইরাস লোয়ার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্টে আক্রমণ করে তাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর শুকনো কাশি, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট, নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে। কিন্তু কোনোভাবেই গলায় ব্যথা থাকবে না।

ফ্লু এবং ঠান্ডা লাগার মধ্যে পার্থক্য


সাধারণ ঠান্ডা লাগে, গলা খুসখুসে পাশাপাশি নাক দিয়ে পানি পড়া এবং কাশির মতো লক্ষণ দেখা দেবে। সঙ্গে হতে পারে মাথা ব্যথা ও সামান্য জ্বর। বেশ কয়েকদিন ভোগায় রোগীদের।

অন্যদিকে ফ্লু হলে মাথা ও গা-হাত-পায়ে ব্যাথা, শুকনো কাশি, গলা ব্যথা ও প্রচণ্ড জ্বর। জ্বর কখনও কখনও ১০৫ ডিগ্রি ফ্যারেনহাইটও ছাড়াতে পারে। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে।

সাধারণ ঠান্ডা লেগে জ্বর হলে দু-তিন দিনের মধ্যেই তা কমে যায়। এক সপ্তাহের মধ্যে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান। অন্যদিকে ফ্লু হলে জ্বর কমতেই অন্তত এক সপ্তাহ সময় লেগে যায়। সম্পূর্ণ সুস্থ হতে অনেক সময় লাগে।

(জেএইচ/পিআর)

34
Allied Health Science / জন্ডিস হলে কী খাবেন
« on: December 23, 2019, 09:51:08 AM »
জন্ডিস হলে কী খাবেন?

জন্ডিস মানে যকৃতের প্রদাহ বা হেপাটাইটিস। এটি আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের লক্ষণ। জন্ডিস হলে রোগীর পথ্য কী হবে, তা নিয়ে অনেকের ভেতর অনেক ভ্রান্তি রয়েছে, যার কোনো ভিত্তি নেই। জন্ডিস হলে এমন খাবার খাওয়া উচিত, যাতে যকৃৎ কিংবা পিত্তথলির ওপর কোনো চাপ না পড়ে। অল্প করে একটু পরপর সঠিক খাবার খেলে এবং পূর্ণ বিশ্রামে থাকলে এমনিতেই জন্ডিস সেরে যায়।

জন্ডিস হলে যা খাবেন


গোটা শস্য: কার্বোহাইড্রেটের চাহিদা পূরণে বাদামি চাল, রুটি, ওট্স খেতে পারেন। গোটা শস্যে প্রচুর আঁশ, ভিটামিন থাকে, যা ক্ষতিকর টক্সিন বের
করে দেয়।

প্রোটিন: খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন মাছ, মুরগির মাংস, ডাল পরিমাণমতো থাকতে হবে। না হলে রোগী দুর্বল হয়ে পড়বে। অনেকে মনে করেন, জন্ডিসে আক্রান্ত রোগী মাছ-মাংসজাতীয় খাবার খেতে পারবেন না। এটা আসলে ভুল ধারণা।

সবজি: মিষ্টিকুমড়া, মিষ্টি আলু, মুলা, বিট, গাজর, টমেটো, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও পালংশাক জন্ডিস রোগীর জন্য খুব ভালো।

ফল: বেরিস, পেঁপে, তরমুজ, আনারস, পাকা আম, কলা, কমলা, জলপাই, অ্যাভোকাডো, আঙুরের মতো সহজপাচ্য ফল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকতে হবে।

দুগ্ধজাতীয় খাবার: জন্ডিস হলে ফুল ক্রিম দুধ বা দই, পনির খাওয়া ঠিক নয়। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে, যা যকৃতের জন্য ক্ষতিকর।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার: লেবু, বাতাবি লেবুর শরবত জন্ডিস রোগীর জন্য খুবই ভালো। এগুলো শরীরে পানির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া প্রতিদিন বাদামও পরিমাণমতো খেতে পারেন। সামান্য আদা কুচি বা রসুন কুচি, আদার রস বা আদা-চা খাওয়া যেতে পারে দিনে দু-একবার। এগুলো যকৃতের জন্য ভালো।

পানি: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি (দৈনিক অন্তত আট গ্লাস) পান করতে হবে। তবে অতিরিক্ত পানি পানের প্রয়োজন নেই। পানি শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়। আখের রস, ডাবের পানিও শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে। তবে রাস্তার পাশের আখের শরবত না পান করে ঘরে তৈরি শরবত খেতে হবে।

যা খাওয়া যাবে না

চিনি বা অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার, কাঁচা লবণ, অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার, রেড মিট (গরু, মহিষ, ছাগলের মাংস), অ্যালকোহল, ট্রান্স ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।

(লেখক: পুষ্টি বিশেষজ্ঞ মেডিনোভা মেডিকেল, মালিবাগ)

35
Allied Health Science / ঝরে যাক মেদ
« on: September 28, 2019, 12:27:31 PM »
বেশি খেলে পেটে মেদ বা চর্বি জমে। কিন্তু মেদ জমার ভয়ে কি আপনি কম খেয়ে থাকবেন? পছন্দের খাবার খাবেন আবার পেটে মেদও জমবে না—এ দুটি যদি একসঙ্গে সম্ভব হয়, তাহলে তো কথাই নেই। সেটাও সম্ভব কিছু নিয়ম মানলে।

নিজেকে ভালো রাখুন
নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে পেটের মেদ কমাতেই হবে। এ জন্য সময় একটু বেশি লাগলেও সঠিক নিয়মে নিয়মিত ব্যায়াম করলে পেটের মেদ দূর করা সম্ভব। পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তনও আনতে হবে। খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা পরে পানি পান করা শরীরের জন্য উপকারী। রাতের খাবার খেতে হবে ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে। এসবের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করলে পেটের মেদ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ভোগ লাইফস্টাইল লাউঞ্জের প্রশিক্ষক এ সুফিয়ার জানান, পেটের মেদ কমাতে নিয়মিত ব্যায়ামের বিকল্প নেই। সকালে খালি পেটে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা সময় ব্যায়ামের জন্য দিন। সকালে সম্ভব না হলে সন্ধ্যা বা রাতের দিকেও করতে পারেন। একই সঙ্গে সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে। এখানে একটি জিনিস মনে রাখতে হবে, না খেয়ে থাকা মানে ডায়েট নয়। সম্ভব হলে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরপর খান। এটা ভালো। ব্যায়াম করার পাশাপাশি শর্করা, আমিষ, চর্বিজাতীয় খাবারও খেতে হবে। একই সঙ্গে ভিটামিনযুক্ত খাবার এবং পরিমাণমতো পানি পান করা উচিত।


মেদ কমানোর ব্যাপারে ভালো ফল পেতে দিনে দুই বেলা এ সুফিয়ারের দেওয়া ব্যায়ামগুলো করতে পারেন। নিয়মিত এ ব্যায়াম করলে তিন মাসের মধ্যে আপনার পেটের মেদ কমার সুফল পাবেন।

পেট ও পুরো শরীর
পেট তো বটেই, পাশাপাশি পুরো শরীরের মেদ কমানোর দিকে নজর দেওয়া উচিত। তাহলে পুরো শরীর সুন্দর কাঠামো পাবে। শরীরের প্রতিটি অঙ্গের জন্য যে ব্যায়ামটি করলে আপনি সবচেয়ে বেশি উপকার পান, তার ওপর জোর দেওয়া উচিত। যেমন আপনি সাঁতার কাটতে পারেন। আবার সাইক্লিং করতে পারেন। পুরো শরীরের মেদ কমানোর লক্ষ্য মাথায় রাখলে পেটের মেদও কমে আসবে। পেটের মেদ কমানোর জন্য ভারোত্তোলনও করতে পারেন। শরীরের মেদ কমার পাশাপাশি শক্তিশালী পেশি গঠিত হয়। এতে যেমন ডাম্বেল ব্যবহার করা হয়, তেমনি শরীরের ওজনটাকেও কাজে লাগানো হয়। পেশি শক্তিশালী করার কারণে ভবিষ্যতেও আপনার শরীর সহজেই মেদ ঝরাতে (ফ্যাট বার্ন) পারবে।

খাদ্যাভ্যাস
পেটের মেদ কমাতে ভাজাপোড়া কম খাওয়া উচিত। চেষ্টা করুন কম তেলে রান্না করা বা সেদ্ধ করা খাবার খেতে। কোনোভাবেই ফাস্ট ফুড খাওয়া উচিত নয়। মেয়নেজ, পনির, সস, তেল, মাখন এসব আপনার পেটে চর্বি জমতে বড় ভূমিকা রাখে। দিনে তিন বেলা ভারী খাবার খাওয়ার চেয়ে পাঁচ বেলা খান পরিমাণে কম করে। একেবারে না খেয়ে থাকা ঠিক নয়। ভাত খাওয়ার চেয়ে ফল বা সবজি বেশি করে খান। পেট ভরবে কিন্তু ভুঁড়ি বাড়বে না। কোমল পানীয় কিছুক্ষণের জন্য প্রশান্তি দিতে পারে কিন্তু এটা পেটে চর্বি জমানোর পেছনে দায়ী। একইভাবে বাজারের ফ্রুট জুসে থাকা প্রচুর চিনি ও অন্যান্য উপাদান ভুঁড়ি বাড়াতে সহায়ক। তাই প্রচুর পানি, বাসায় বানানো ফলের রস, ফলের সালাদ হতে পারে খুব ভালো বিকল্প।

অভ্যাস বদলান
পেটের মেদ কমানোর জন্য নিয়মিত হাঁটুন। পেটে মেদ জমার অন্যতম কারণ খাবার ঠিকভাবে হজম না হওয়া। ঘুমানোর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন। এতে খাবার ভালোভাবে হজম হবে। পেটে মেদ জমবে না। অফিস বা বাসায় যতটা সম্ভব লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। এটা পেটের জমে থাকা চর্বি অপসারণের খুব ভালো উপায়। সিঁড়ি বাওয়ার ফলে পেটের ওপর চাপ পড়ে এবং ধীরে ধীরে চর্বি কমতে থাকে।

চেষ্টা করুন সব সময় সোজা হয়ে দাঁড়াতে, বসতে ও হাঁটতে। কুঁজো হয়ে হাঁটবেন না বা বসবেন না। দীর্ঘ সময় কুঁজো হয়ে এক স্থানে বসে থাকা, কম্পিউটারে কাজ করা, এসবের কারণে ভুঁড়ি বেড়ে যায়। প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর একবার উঠে দাঁড়ান ও সোজা হয়ে বসুন।

(Collected)

36
(Drug-resistant bacteria are gaining a stronghold in developing countries where meat production has soared.)

Farm animals in India and northeast China are becoming more resistant to common antimicrobial drugs — a worrying trend that is rising as meat production increases in the developing world, researchers report.

Hotspots of drug resistance are also emerging in Kenya, Uruguay and Brazil, according to a study1 of antimicrobial resistance in livestock across Asia, Africa and South America. Meat production has risen sharply in these regions since 2000, fuelled by more intensive farming practices, including the use of antibiotics in animals to promote growth and prevent infections. The study was published on 19 September in Science.

“For the first time, we have some evidence that antibiotic resistance [in farm animals] is rising, and is rising fast in low- and middle-income countries,” says Thomas Van Boeckel, an epidemiologist at the Swiss Federal Institute of Technology in Zurich who co-authored the analysis. He says that governments should take action against the growing threat and coordinate their efforts on a global scale.

To study how resistance has evolved over time, Van Boeckel and his colleagues analysed 901 epidemiological studies, conducted in developing nations, that focused on four common bacteria: Salmonella, Campylobacter, Staphylococcus and E. coli. The researchers used the information to map where multidrug resistance exists, and where it is starting to emerge.


Source: Ref. 1

Their results also indicate that the four types of antimicrobial drug most commonly used in farm animals to help them gain weight — tetracyclines, sulfonamides, quinolones and penicillins — are also the ones with highest resistance rates. Between 2000 and 2018, the proportion of drugs to which bacteria have become resistant almost tripled in chickens and pigs, and doubled in cattle.

The situation is serious because some of the countries where hotspots exist export thousands of tons of meat every year, says Carlos Amábile-Cuevas, a microbiologist at the Lusara Foundation in Mexico City, a research institute that focuses on antibiotic resistance. About one-fifth of chickens and pigs are raised in parts of the world where hotspots have been found.

Even if nations implement policies to control the use of antibiotics in animals, those efforts might be undermined if they import food that has not been produced using the same standards. “This problem doesn’t respect political borders,” Amábile-Cuevas says.

Van Boeckel says that high-income countries, where antibiotics have been used since the 1950s, should subsidize safer farming practices in parts of the world where resistance is rising. “We are largely responsible for this global problem we’ve created,” he says. “If we want to help ourselves, we should help others.”

doi: 10.1038/d41586-019-02861-5

37
এ বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের অনেকেই ডেঙ্গুজনিত চোখের সমস্যায়ও ভুগছে। ডেঙ্গুতে নানা ধরনের চোখের জটিলতা দেখা দিতে পারে। কোনো কোনো জটিলতা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। এমনকি দৃষ্টিশক্তি কমিয়েও দিতে পারে।

চোখের ভেতর রক্তক্ষরণ: ডেঙ্গু জ্বরের একটি জটিলতা হলো রক্তে অণুচক্রিকা বা প্লাটিলেট কমে দেহের নানা জায়গায় রক্তক্ষরণের মতো জটিলতা তৈরি হওয়া। চোখের ভেতরে বা পেছনে রেটিনায়ও এই রক্তক্ষরণ হতে পারে। ছোট, বড়, তীব্র, মৃদু—বিভিন্ন মাত্রায় রক্তক্ষরণ হতে পারে। সাধারণভাবে এটি বোঝা যায় না। তবে চক্ষু বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা করে বিষয়টি নির্ণয় করতে পারেন। জ্বরের পাঁচ থেকে সাত দিনের মাথায় এটি হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি।


ম্যাকুলোপ্যাথি: রেটিনার কেন্দ্রীয় এলাকা ম্যাকুলা নামে পরিচিত। এই এলাকা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। সঠিক কারণ জানা না গেলেও ধারণা করা হয়, রোগ প্রতিরোধব্যবস্থায় জটিলতার কারণে ম্যাকুলোপ্যাথি বা ফোভিওলাইটিস বা চোখের পেছনে প্রদাহ হতে পারে। ফলে দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা নিজে নিজে সেরে যেতে পারে, আবার দীর্ঘমেয়াদিও হতে পারে।

চোখে ব্যথা, চোখ লাল: জ্বরের শুরুতে অন্য ভাইরাস জ্বরের মতো ডেঙ্গুতেও চোখের পেছনে ব্যথা, চোখে অস্বস্তি ও ব্যথা, আলোর দিকে তাকাতে অস্বস্তি, চোখ লাল ইত্যাদি হতে পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই। দুই বা তিন দিনের মধ্যে নিজে নিজেই এটি সেরে যায়।

 

অন্যান্য জটিলতা: ডেঙ্গুর কারণে ইউভিআইটিস (চোখের একধরনের প্রদাহ), সেন্ট্রাল রেটিনাল ভেইন অকলুশন, প্যানফথালমাইটিস, স্নায়ুগত সমস্যা, সাব-হাইলয়েড হেমোরেজ ইত্যাদি জটিলতাও দেখা দিতে পারে।

কী করবেন?

■ জ্বরের প্রথম দিন থেকেই যে চোখে ব্যথা, লাল চোখ বা চোখে অস্বস্তি ও খচখচানি থাকে, তার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। ব্যথার জন্য প্যারাসিটামলই যথেষ্ট। প্রচুর পানি পান করতে হবে। সাধারণত দুই-তিন দিনের মাথায় এই উপসর্গগুলো কমে যায়।

■ চার দিন পরও চোখের ব্যথা, ঝাপসা দেখা, অস্বস্তি ইত্যাদি রয়ে গেলে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

■ প্রত্যেক ডেঙ্গু রোগীর, বিশেষ করে যাদের প্লাটিলেট কমেছে, জ্বরের সাত দিনের মাথায় একবার চোখ পরীক্ষা করানো ভালো। কেননা, এ সময়ই ম্যাকুলোপ্যাথি, ফোভিওলাইটিস বা ইউভিআইটিস-জাতীয় প্রদাহ হয়ে থাকে। এ ছাড়া যেকোনো সময় দৃষ্টিশক্তি কমে এলে বা ঝাপসা দেখতে শুরু করলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

■ প্লাটিলেট বিপজ্জনক মাত্রায় কমে গেলে শরীরের অন্যান্য স্থানের মতো চোখেও রক্তক্ষরণ হতে পারে। তাই চোখ দেখাতেও ভুলবেন না।

■ ডেঙ্গুজনিত বেশির ভাগ চোখের সমস্যা স্বল্পমেয়াদি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে, দৃষ্টিশক্তি বিনষ্টও হতে পারে। কাজেই চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো চিকিৎসা নিতে হবে।

(ডা. মাফরুহা আফরিন, চক্ষু বিশেষজ্ঞ)

38
ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাসজনিত রোগ এবং অন্যান্য ভাইরাস জ্বরের মতো এই জ্বরও কিছু উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেরে যায়। তবে অনেক সময় তীব্র সংক্রমণের কারণে হাজারে পাঁচজনের মতো রোগীর কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হতে পারে। এর ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়তে পারে। ডেঙ্গুজনিত অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ হলো এনকেফালোপ্যাথি।

এনকেফালোপ্যাথি কেন হয়


• মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ

• মস্তিষ্কের রক্তনালিতে প্রতিবন্ধকতা

• রক্তে সোডিয়াম লবণ শূন্যতা

• যকৃৎ অকার্যকর হয়ে পড়া

লক্ষণ

ডেঙ্গুর অন্যান্য সাধারণ লক্ষণগুলোর সঙ্গে তীব্র মাথাব্যথা, স্থান-কাল-পাত্র চিনতে না পারা, অসংলগ্ন আচরণ, খিঁচুনি অথবা অচেতন হয়ে পড়লে ডেঙ্গু এনকেফালোপ্যাথি হয়েছে বলে ধারণা করতে হবে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা

ডেঙ্গুর অন্যান্য সাধারণ পরীক্ষার পাশাপাশি এনকেফালোপ্যাথি সন্দেহ করলে নিম্নোক্ত পরীক্ষাগুলো দ্রুত করতে হবে

• রক্তের সোডিয়াম দেখার জন্য সিরাম ইলেকট্রোলাইট

• যকৃতের কার্যকারিতা দেখার জন্য লিভার এনজাইম পরীক্ষা

• মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ অথবা প্রতিবন্ধকতা দেখতে মাথার সিটি স্ক্যান বা এমআরআই

চিকিৎসা

• শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখা। প্রয়োজনে আইসিইউতে নিয়ে যন্ত্রের সাহায্যে অক্সিজেন দেওয়া

• মস্তিষ্কের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে

• সঠিক মাত্রায় শিরাপথে স্যালাইন দেওয়া

• শরীরের সঙ্গে মাথা ৩০ ডিগ্রি অবস্থানে রাখা

• শরীরে অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড যাতে জমতে না পারে, সে ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনে ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা

• কিছু ক্ষেত্রে শিরাপথে স্টেরয়েড দেওয়ার দরকার হতে পারে

• শরীরে অতিরিক্ত পানি জমা হলে বের করার ব্যবস্থা করা

• রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখা

• রক্তে লবণ ও অ্যাসিড-ক্ষারের মাত্রা ঠিক রাখা

• খিঁচুনি হলে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া

• সুপারইমপোজড বা ডেঙ্গুর ওপর আবার ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে উপযুক্ত ও সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার

• নিয়মিত কোষ্ঠ পরিষ্কারের জন্য ল্যাকটুলোজ দিতে হবে

ডেঙ্গু এনকেফালোপ্যাথির চিকিৎসা সঠিক সময়ে শুরু করতে না পারলে জীবন সংশয় হতে পারে। তবে এ সময় অন্যান্য নানা কারণে মস্তিষ্ক ও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হতে পারে। কাজেই সেসব কারণও মাথায় রেখে চিকিৎসা দিতে হবে।


(রাশেদুল হাসান, সহকারী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ)

39
Allied Health Science / ভেষজ পানির গুণাগুণ
« on: September 15, 2019, 09:06:38 AM »
প্রতিদিন আমাদের অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত। কিন্তু এই পানির সঙ্গে কিছু উপাদান মেশালে তা হয়ে ওঠে পুষ্টিকর ও শক্তিবর্ধক। তখন একে বলে ডিটক্স ওয়াটার বা ডিটক্স পানি। তাজা ফল, সবজি ও ভেষজ উপাদান টুকরো করে কেটে স্বাভাবিক তাপমাত্রায়, হালকা গরম বা শীতল পানিতে নির্দিষ্ট সময় ভিজিয়ে রেখে এই মিশ্রণ তৈরি করা হয়।

•  ডিটক্স পানি সারা দিন শরীরকে সতেজ ও শীতল রাখতে সাহায্য করে।


•  শরীর থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সহায়ক।

•  শরীরের মেদ কোষগুলোর নিষ্কাশনে সাহায্য করে এটি। খাবার হজমে সাহায্য করে ও বিপাক বাড়ায়।

•  যকৃৎ ও ত্বকের জন্য ডিটক্স পানি উপকারী। প্রদাহ কমাতেও এটি সহায়ক।

•  এই পানিতে যে ফল মেশানো হয়, তা মিষ্টি বা চিনির প্রতি আগ্রহ কমায়, রুচি বাড়ায়।

•  ফল ও সবজির ভিটামিন, খনিজ ও অন্যান্য গুণ থাকলেও এতে ক্যালরি বেশি থাকে না।

•  উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমাতেও উপকারে আসে ডিটক্স পানি।

উপকারী ও জনপ্রিয় কিছু ডিটক্স পানি

•  আদা ও লেবু: এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক ইঞ্চি পরিমাণ আদাকুচি ও আধখানা লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন।

•  লেবু ও পুদিনা পাতা: ১৫ থেকে ২০টি পুদিনা পাতা, পাতলা করে কাটা লেবুর ৫ বা ৬টি টুকরো বা আধখানা লেবুর রস ৫০০ মিলিলিটার পানিতে ভিজিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। সকালে খালি পেটে বা দিনে দুই থেকে তিনবার পান করতে হবে।

•  লেবু, শসা ও পুদিনা পাতা: ৮ কাপ পানিতে একটি আধখানা লেবুর রস ও ওই পরিমাণ লেবু কুচি করে কেটে মিশিয়ে দিতে হবে। তারপর আধখানা শসা কুচি করে ৭টি পুদিনা পাতাসহ ওই পানিতে দিয়ে ২–৩ ঘণ্টা রেখে পান করুন।

•  আপেল, দারুচিনি: ১ লিটার পানিতে একটি আপেল স্লাইস করে কেটে এক টেবিল চামচ দারুচিনি দিয়ে কয়েক ঘণ্টা রেখে ঘুমানোর আগে পান করলে শরীরের চর্বি কমে ও বিপাকক্রিয়া ভালো হয়।

•  চিয়া সিড ও লেবু: আধ চা–চামচা চিয়া সিড এক কাপ পানিতে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে যে জেল তৈরি হবে, তাতে এক চা–চামচ লেবুর রস ও আরও পানি মিশিয়ে নেড়ে পান করুন। এতে তন্তু বা আঁশ থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

এ ছাড়া ডিটক্স পানি তৈরিতে স্ট্রবেরি, কমলা, সাইট্রাস ফলের খোসা, জাম্বুরা, বিট ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়।

(জেনিফার বিনতে হক, পুষ্টিবিশেষজ্ঞ)

40
ডেঙ্গু হলেই যে মানুষ মারা যাবে, তা কিন্তু নয়। আমরা ডেঙ্গুতে আতঙ্কগ্রস্ত হলেও এ সম্পর্কে বিস্তর জানলে আমাদের আতঙ্ক কিছুটা হলেও কমবে। তবে সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই।

ডেঙ্গুর ভাইরাসবাহী মশা কামড়ানোর ২ থেকে ৭ দিন পর এসব উপসর্গ স্পষ্টভাবে লক্ষণীয় হয়। এ রোগের কিছু সাধারণ উপসর্গ হলো জ্বরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশ বেড়ে যায়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। বিরামহীন মাথাব্যথা, হাড়, হাড়ের জোড় ও পেশিতে তীব্র ব্যথা, বমি ভাব বা বমি হওয়া, গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, সারা শরীরের ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া, চোখের পেছনে ব্যথা হওয়া ইত্যাদি। ডেঙ্গু যদি প্রথমবার আক্রান্ত করে এবং এটি যদি তরুণ ও শিশুদের হয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো উপসর্গ থাকে না। জ্বরও থাকে না, এ রকমও হতে পারে। টিপিক্যাল ডেঙ্গু বা ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গুতে জ্বরের সঙ্গে সর্দি-কাশি থাকতে পারে। সংক্রমণের কোর্স তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত: প্রাথমিক, প্রবল এবং আরোগ্য।


প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে বেশি জ্বর, ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি, সঙ্গে থাকে সাধারণ ব্যথা ও মাথাব্যথা; এটি সাধারণত দুই থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়। এই পর্যায়ে ৫০-৮০ শতাংশ উপসর্গে র​্যাশ বেরোয়। এটা উপসর্গের প্রথম বা দ্বিতীয় দিনে লাল ফুসকুড়ি হিসেবে দেখা দেয়। অথবা চার থেকে সাত দিনের মধ্যে হামের মতো র​্যাশ দেখা দেয়। কারও কারও মুখ ও নাকের মিউকাস মেমব্রেন থেকে অল্প রক্তপাতও হতে পারে।

কিছু লোকের ক্ষেত্রে অসুখটি চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়, যার কারণে প্রবল জ্বর হয় এবং সাধারণত এক থেকে দুই দিন স্থায়ী হয়। দেহে তরলের পরিমাণ কমে যায় এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্ত সরবরাহ হ্রাস পায়। এই পর্যায়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বিকলতা এবং প্রবল রক্তপাত হয়, সাধারণত গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল ট্র্যাক্ট হতে পারে। ডেঙ্গুর সব ঘটনার ৫ শতাংশের কম ক্ষেত্রে শক (ডেঙ্গু শক সিনড্রোম) এবং হেমারেজ (ডেঙ্গু হেমারেজিক ফিভার) ঘটে, তবে যাদের আগেই ডেঙ্গু ভাইরাসের অন্যান্য স্টিরিওটাইপের সংক্রমণ ঘটেছে (সেকেন্ডারি ইনফেকশন), তারা বর্ধিত বিপদের মধ্যে রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে, যেমন ফুসফুস ও পর্দার মধ্যে (প্লুরাল ইফিউশন) কিংবা পেটে সামান্য পরিমাণ পানি জমতে পারে। কিন্তু বেশি প্লাজমা লিকেজ হলে রক্তচাপ কমে যায় ও রোগী শকে চলে যায়। বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সরবরাহ কমে যেতে পারে ও মাল্টি অর্গান ফেইলিউর হতে পারে। ফুসফুস, কিডনি, হার্ট ইত্যাদি এর ব্যতিক্রম নয়। হার্ট ফেইলিউর বা কিডনি ফেইলিউর হলে বুকে পানি জমা, শ্বাসকষ্ট, অক্সিজেন সরবরাহ কমে যাওয়া ইত্যাদি জটিলতায় পড়তে পারে রোগী। ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে তাই শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা, শ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়া অসম্ভব নয়। ফুসফুসের অভ্যন্তরে বায়ুকুঠুরির মধ্যের পর্দা ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়, ফলে তীব্র শ্বাসকষ্ট হয় এবং কাশির সঙ্গে রক্ত এসে একই সঙ্গে দুই ফুসফুসের পর্দায় পানি আসার কারণে শ্বাসকষ্ট হয়।

এরপর আরোগ্য পর্যায়ে বেরিয়ে যাওয়া তরল রক্তপ্রবাহে ফেরত আসে। এটি সাধারণত দুই থেকে তিন দিন স্থায়ী হয়। এই উন্নতি হয় চমকে দেওয়ার মতো, কিন্তু এতে প্রচণ্ড চুলকানি এবং হৃৎস্পন্দনের গতি ধীর হতে পারে। আরেক রকম র​্যাশও বেরোতে পারে ম্যাকুলোপাপুলার বা ভাস্কুলাইটিক রূপে, যার ফলে ত্বকে গুটি বেরোয়। এই পর্যায়ে তরলের অতিপ্রবাহ অবস্থা ঘটতে পারে। যদি এতে মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়, তাহলে সচেতনতার মাত্রা হ্রাস হতে অথবা মূর্ছা যেতে পারে। এরপর এক ধরনের ক্লান্তির অনুভূতি অনেক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে।

(ডা. মো. আজিজুর রহমান)
লেখক: বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

41
শিশু, বয়স্ক—সবারই হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর। ডেঙ্গু হলে খাবার-দাবার ও পুষ্টির দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। বিশেষ করে শিশুদের জ্বর হলে তারা খাওয়া একেবারেই ছেড়ে দেয়। এ থেকে হতে পারে পানিশূন্যতাসহ নানা জটিলতা। বাড়িতে কারও ডেঙ্গু জ্বর হলে তাই নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন।

■ সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর হলে চিকিৎসকেরা সারা দিনে অন্তত আড়াই লিটার থেকে তিন লিটার পানি পান করার পরামর্শ দেন। জ্বর হলে পানি পান করতে অনেকেরই ইচ্ছে হয় না। তাই পানির চাহিদা পূরণ করতে পানির সঙ্গে ফলের রস (কেনা জুস নয়, বাড়িতে করা রস), ডাবের পানি যোগ করুন। ফলের রসে ভিটামিন সি আছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মাল্টা, কমলা, লেবু, পেয়ারা, কিউই, স্ট্রবেরি, পেঁপে, আনার বা ডালিম ইত্যাদি খেতে হবে। এসব ফলে জলীয় অংশ অনেক। তা ছাড়া রুচি বাড়াতেও সাহায্য করবে। ডাবের পানিতে খনিজ বা ইলেট্রোলাইটস আছে, যা ডেঙ্গু জ্বরে খুবই দরকারি।

■ বিভিন্ন ধরনের সবজি থেঁতো করে জুস করে খেলে খুবই উপকার হবে। গাজর, টমেটো, শসা ইত্যাদি সবজি বেশি করে খেতে দিন। কেননা এতে জলীয় অংশ বেশি। ব্রকোলি ভিটামিন কে এর উৎস, যা ডেঙ্গুতে রক্তপাতের ঝুঁকি কমায়। খেতে হবে নানা ধরনের শাকও।

■ ডেঙ্গু রোগীকে প্রতিদিন নানা ধরনের স্যুপ, যেমন সবজির স্যুপ, টমেটোর স্যুপ, চিকেন স্যুপ বা কর্ন স্যুপ দিন। এতে পানির চাহিদা পূরণ হবে, পাশাপাশি পুষ্টিও নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া নরম সেদ্ধ করা খাবার, জাউ, পরিজ ইত্যাদি খেতে পারেন।

■ ইদানীং ডেঙ্গুতে অনেকেরই পেটে হজমের সমস্যা, বমি, পেট ব্যথা হচ্ছে। যকৃতেও অস্বাভাবিকতা হয় ডেঙ্গুতে, এসজিপিটি বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত মসলা ও চর্বি তেলযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। তবে খাদ্যতালিকায় আমিষ থাকতে হবে যথেষ্ট। দুধ, ডিম ও এগুলোর তৈরি নানা খাবার, মাছ ও মুরগি খেতে হবে।

■ নানা ধরনের ভেষজ খাবারের উপকারিতা আছে। যেমন পেঁপে পাতা অণুচক্রিকা বাড়াতে সাহায্য করে বলে ডেঙ্গুতে উপকারী। দুটি তাজা পেঁপে পাতা চূর্ণ করে বেটে রস করে এক চামচ করে দুবেলা পান করতে পারেন।

42
এ বছর বাংলাদেশে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বেশি হচ্ছে। চোখ, নাক ও ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ, বমি, পেটব্যথা, খাদ্যনালি, মূত্রনালিসহ বিভিন্ন জায়গায় রক্তক্ষরণের উপসর্গ নিয়েই ডেঙ্গুতে আক্রান্তরা হাসপাতালে বেশি আসছে। জ্বর, মাথাব্যথার উপসর্গ অপেক্ষাকৃত কমই পাওয়া যাচ্ছে। বেশির ভাগ রোগীরই রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা ২০ হাজারের কম পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণেই এবারের ডেঙ্গু অন্যবারের চেয়ে আলাদা বলে মনে হচ্ছে।

রক্তে প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকার স্বাভাবিক মাত্রা দেড় লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ। ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট কমা স্বাভাবিক। প্রায় ৯০ শতাংশ রোগীর প্লাটিলেট কমে। তবে তা এক লাখের নিচে নামে না। এ ছাড়া নানা ধরনের ভাইরাস জ্বরেও প্লাটিলেট কমতে পারে। তবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১০ থেকে ২০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে বিষয়টি জটিল আকার ধারণ করে। ৫ শতাংশ ডেঙ্গু রোগীর মারাত্মক রক্তক্ষরণ হয়। এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, প্লাটিলেট ২০ হাজারের নিচে নামলেই কেবল রক্তক্ষরণের ভয় থাকে। আর তা যদি ৫ হাজারের কম হয়, তাহলে মস্তিষ্ক, কিডনি, হৃদ্‌যন্ত্রে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি থাকে। রক্তক্ষরণের কারণে যদি রক্তচাপ কমে যায়, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, হিমোগ্লোবিন ১০–এর কম হয়, তবেই রক্ত দেওয়ার প্রশ্ন আসে। তবে রক্ত দিলে প্রতি ইউনিটে রোগীর প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়ে মাত্র ২০ হাজার। কাজেই এতে খুব একটা যে লাভ হয়, তা–ও নয়। হিসাবমতে, ডেঙ্গুর চিকিৎসায় প্লাটিলেটের দরকারই পড়ে না। রোগীর রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা ডেঙ্গুর তীব্রতার মাত্রা বুঝতে সাহায্য করে।

এবারের ডেঙ্গু আলাদা কেন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা এক লাখের নিচে নেমে যায় বা হেমাটোক্রিট (রক্তের মোট পরিমাণের সঙ্গে লোহিত কণিকার মোট পরিমাণের অনুপাত) ২০ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়। এর সঙ্গে রক্তনালিতে রক্তপাতের কারণে প্রোটিন কমে যাওয়া, বুকে-পেটে পানি জমাসহ অন্যান্য জটিলতাও দেখা দেয়। সাধারণত দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার আক্রান্ত হলে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার হয়। বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে ২০০০ সাল থেকে। কাজেই এবার অনেকেই দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার আক্রান্ত হচ্ছেন।

ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার আবার দুই ধরনের। হেমোরেজিক ফিভার গ্রেড-১ সাধারণ ডেঙ্গু জ্বরের মতোই। রক্তক্ষরণ হয় না, কেবল টোরনিকেট পরীক্ষায় ত্বকের নিচে রক্তবিন্দু দেখা যায়। গ্রেড-২ হলে চোখ, নাক, ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ হয়। সতর্কসংকেত হলো বমি, পেট ব্যথা, খাদ্যনালি, মূত্রনালি, মেয়েদের যোনিপথে রক্তক্ষরণ এবং এগুলো ক্রমশ বাড়তে থাকা। এমনটা হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

ডেঙ্গু কখন মারাত্মক

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডেঙ্গুকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছে। সে অনুযায়ী ডেঙ্গু তিন প্রকার। ১. সতর্কসংকেতহীন ডেঙ্গু ২. সতর্কসংকেতসহ ডেঙ্গু এবং ৩. মারাত্মক বা সিভিয়ার ডেঙ্গু

জ্বর কমে যাওয়ার পর অর্থাৎ রোগের ষষ্ঠ, সপ্তম বা অষ্টম দিনে সিভিয়ার ডেঙ্গু দেখা দেয়। এ সময় রক্তচাপ কমে যায়, রক্তবমি হয়, কালো মল, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে, ত্বকের নিচে রক্ত জমে, প্রস্রাব কমে যায়, যকৃৎ বড় হয়ে যায়। এ ছাড়া বুকে–পেটে পানি জমে, ফুসফুসে পানি জমে শ্বাসকষ্ট হয়। রক্তচাপ অনেক কমে যাওয়ায় অস্থিরতা, অসংলগ্ন কথাবার্তা, একাধিক অঙ্গ অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে।

প্রথম থেকে ঠিকমতো চিকিৎসা করালে এবং সঠিক পরিমাপে তরল পদার্থ দিতে পারলে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করে না। রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দিতে পারলে ডেঙ্গু সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়।

43
এখন ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বেশি হচ্ছে। এ রোগে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীরই রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা কমে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু জ্বর হলে সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। রক্তে প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকার স্বাভাবিক মাত্রা দেড় লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ। প্রায় ৯০ শতাংশ রোগীর প্লাটিলেট কমে যায়।

এ ছাড়া নানা ধরনের ভাইরাস জ্বরেও প্লাটিলেট কমতে পারে। প্রথম থেকে ঠিকমতো চিকিৎসা করালে এবং সঠিক পরিমাপে তরল পদার্থ দিতে পারলে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করে না। প্লাটিলেট বাড়াতে পারে—এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জেনে নিন:

 

এখন ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বেশি হচ্ছে। এ রোগে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীরই রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা কমে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু জ্বর হলে সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। রক্তে প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকার স্বাভাবিক মাত্রা দেড় লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ। প্রায় ৯০ শতাংশ রোগীর প্লাটিলেট কমে যায়।

এ ছাড়া নানা ধরনের ভাইরাস জ্বরেও প্লাটিলেট কমতে পারে। প্রথম থেকে ঠিকমতো চিকিৎসা করালে এবং সঠিক পরিমাপে তরল পদার্থ দিতে পারলে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করে না। প্লাটিলেট বাড়াতে পারে—এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জেনে নিন:


পেঁপে: প্লাটিলেট বাড়াতে পেঁপের জুস খেতে পারেন। পেঁপেপাতা অণুচক্রিকা বাড়াতে সাহায্য করে বলে ডেঙ্গুতে উপকারী। পেঁপেপাতা বেটে রস করে পান করতে পারেন। বে ছাড়া পাতা সেদ্ধ করেও খাওয়া যায়।

ব্রোকলি: ভিটামিন ‘কে’– এর দারুণ উৎস ব্রোকলি, যা রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে। যদি দ্রুত কমতে থাকে, তবে প্রতিদিনকার খাবারে অবশ্যই ব্রোকলি যুক্ত করবেন। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও নানা উপকারী খনিজ রয়েছে।

বেদানা: বেদানায় দরকারি নানা পুষ্টি ও খনিজ উপাদান রয়েছে, যা শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাতে পারে। শরীরের ধকল কাটাতে বেদানা দারুণ উপকারী। এ ছাড়া এটি আয়রনের উৎস বলে রক্তের জন্য উপকারী। প্লাটিলেটের সংখ্যা স্বাভাবিক রাখতে এবং ডেঙ্গু সারাতে এটি উপকারী।

পালং: আয়রন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অন্যতম উৎস পালং। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া শরীরে প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে পারে।

ডাব: ডাবের পানিতে খনিজ বা ইলেট্রোলাইটস আছে, যা ডেঙ্গু জ্বরে খুবই দরকারি। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

44
Genetic & Biotechnology / Re: 7 Natural Depression Treatments
« on: July 12, 2019, 10:47:20 AM »
Great news

45
The human body is a complex mosaic made up of clusters of cells with different genomes — and many of these clusters bear mutations that could contribute to cancer, according to a sweeping survey of 29 different types of tissue.

It is the largest such study to date, and compiles data from thousands of samples collected from about 500 people. The results, published on 6 June in Science1, could help scientists to better understand how cancer starts, and how to detect it earlier.

“We now appreciate that we are mosaics’, and that a substantial number of cells in our body already carry cancer mutations,” says Iñigo Martincorena, a geneticist at the Wellcome Sanger Institute in Hinxton, UK. “These are the seeds of cancer.”

Tissue mosaics arise as cells accumulate mutations — from DNA errors that creep in during cell division, or because of exposure to environmental factors such as ultraviolet light or cigarette smoke. When a skin cell with a given mutation divides, it can create a patch of skin that is genetically different from its neighbours.

Previous studies have found high levels of mosaicism in the skin2, oesophagus3 and blood4. Those results were typically gleaned from sequencing specific genes in microscopic tissue samples.

Complex patterns
These studies caught the eye of Gad Getz, a computational biologist at Massachusetts General Hospital in Boston. Getz and his team decided to take a different tack: rather than sequencing DNA from minute samples, they would mine a database of RNA-sequence data from the Genotype-Tissue Expression (GTEx) project. Because the body uses DNA as a template for making RNA sequences, mutations in DNA are sometimes reflected in RNA.

The decision to study RNA gave Getz and his colleagues quick access to data from 6,700 samples taken from 29 tissues in about 500 people. But their approach has its drawbacks. Not all DNA codes for RNA, so not every DNA mutation will be evident in RNA sequences. And because the samples used for the GTEx project are relatively large, the DNA signature from small clusters of cells with unique genomes might be be drowned out by the far larger numbers of other cells.

Overall, the study found fewer examples of mosaicism in some types of tissue than would be expected on the basis of previous research. But the key, says Martincorena, is that the latest analysis demonstrated that mosaicism is present across a wide array of tissues.

Tissues with a high rate of cell division, such as those that make up the skin and oesophagus, tended to have more mosaicism than tissues with lower rates of cell division. Mosaicism also increased with age, and was particularly prevalent in the lungs and skin — tissues that are exposed to environmental factors that can damage DNA.

Subtle signals
A gene called TP53 — which helps to repair DNA damage and is known as the ‘guardian of the genome’ — was one of the most common mutation sites. Certain changes in TP53 are associated with cancer, but it might take additional mutations in other genes before cells give rise to tumours.

“What we’re seeing are some of the earliest precancerous changes that are then going to accumulate more mutations,” says Erin Pleasance, who studies cancer genomics at the British Columbia Cancer Agency in Vancouver, Canada. “Eventually a small proportion of these may become cancer.”

Researchers now need to find ways to sort out which of those cells will become tumours and which are ‘normal’, says Cristian Tomasetti, an applied mathematician at Johns Hopkins Medicine in Baltimore, Maryland. That could be crucial for improving efforts to detect cancers early.

Tomasetti has developed methods for detecting tumour DNA circulating in the blood, which researchers hope could one day be used to find early signs of cancer. But he says that his team was initially surprised to find that some of the mutations in their results — which are associated with cancer, and so could have indicated the presence of a tumour — were from a group of normal blood cells.

“This messy situation is the new normal,” Tomasetti says. “The challenge is now to figure out up to what point we call something normal.”

doi: 10.1038/d41586-019-01780-9


References

1.
Yizhak, K. et al. Science 364, eaaw0726 (2019).

(Survey finds that ‘normal’ human tissues are riddled with mutations.)

Pages: 1 2 [3] 4 5 6