Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Md. Abul Bashar

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 12
32
যেভাবে মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব

মাইগ্রেন এক বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। মাথার যে কোনো এক পাশ থেকে শুরু হয়ে তা মারাত্মক কষ্টকর হয়ে ওঠে। মাইগ্রেনের যন্ত্রণা অত্যন্ত কষ্টদায়ক এবং দীর্ঘস্থায়ী। যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, তীব্র মাথা যন্ত্রণার পাশাপাশি তাদের বমি বমি ভাব, শরীরে এবং মুখে অস্বস্তিভাব দেখা দিতে পারে। এ ব্যথা টানা বেশ কয়েকদিন থাকে। তাই যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, তাদের এই ব্যথার জন্য দায়ী কিছু কাজ বা অভ্যাস এড়িয়ে চলাই ভালো। এতে মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হতে পারে।

১) পেট খালি রাখা:
পেট খালি থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা বা সমস্যা শুরু হতে পারে। এর কারণ হলো- খালি পেটে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয় যা মাইগ্রেনের সমস্যাকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
২) আবহাওয়া:
অতিরিক্ত রোদে ঘোরাঘুরির কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত গরম, অতিরিক্ত আর্দ্রতার তারতম্যে ব্যথা হয়।

৩) মানসিক চাপ:

যারা অনেক বেশি চাপ নিয়ে একটানা কাজ করে চলেন এবং নিজের ঘুম ও খাওয়া-দাওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময় মেনে চলতে পারেন না, তাদের বেশি মাইগ্রেনে আক্রান্ত হতে দেখা যায়।

তাই মানসিক চাপ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
৪) অতিরিক্ত আওয়াজ: অতিরিক্ত আওয়াজ, খুব জোরে গান শোনা ইত্যাদির কারণেও মাইগ্রেনের সমস্যা শুরু হয়ে যেতে পারে। প্রচন্ড জোরে আওয়াজের কারণে প্রায় দুদিন টানা ব্যথার আশঙ্কা থাকে।

৫) অতিরিক্ত ঘুমানো:

মাত্র এক দিনের ঘুমের অনিয়মের কারণে শরীরের উপরে খারাপ প্রভাব পড়তে পাড়ে। যেমন- যারা নিয়মিত মোটামুটি ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা করে ঘুমান, তারা যদি হুট করে একদিন একটু বেশি ঘুমিয়ে ফেলেন, সেক্ষেত্রে ব্যথা শুরু হয়। তাই সচেতন হতে হবে।


33
যেসব কাজে নামাজ ভেঙে যায়

নামাজ বেহেশতের চাবি, ইসলামের স্তম্ভ, প্রতিটি জ্ঞানসম্পন্ন সাবালক মুসলমানের ওপর নামাজ ফরজ। তাই নামাজের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কিভাবে পড়লে নামাজ আল্লাহর কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য হবে, তা যেমন জানা জরুরি, কী কী কারণে নামাজ ত্রুটিযুক্ত হয়ে যায় বা ভেঙে যায়, তা-ও অবশ্যই জানা উচিত। নিম্নে নামাজ ভঙ্গের কিছু কারণ তুলে ধরা হলো—

১.   নামাজে অশুদ্ধ কিরাত পড়া। যতটুকু অশুদ্ধ পড়লে কোরআনের অর্থ ও উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই নামাজ আবার পড়তে হবে। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ১/৬৩৩-৬৩৪, হিন্দিয়া : ১/৮০, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৩/৩৪৪)
২.   নামাজের ভেতর কথা বলা। নামাজে এমন কোনো অর্থবোধক শব্দ করা, যা সাধারণ কথার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়, তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ১/৬১৩, আল বাহরুর রায়েক : ২/২)
৩.   নামাজরত অবস্থায় কোনো লোককে সালাম দেওয়া। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ২/৯২, আল বাহরুর রায়েক : ২/১২০)

৪.   কারো সালামের উত্তর দেওয়া। (বুখারি, হাদিস : ১২১৭)

৫.   ব্যথা কিংবা দুঃখে উহ-আহ শব্দ করা। (আদ্দুররুল মুখতার : ১/৬১৯, আল বাহরুর রায়েক : ২/৪, মারাকিল ফালাহ : ১/১২১)

৬.   বিনা কারণে কাশি দেওয়া। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ৩/৬১৮, মারাকিল ফালাহ : ১/১২১, আল বাহরুর রায়েক : ২/৫)
৭.   আমলে কাসির করা। ফিকাহবিদরা আমলে কাসিরের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেছেন। এর মধ্যে বিশুদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য অভিমত হলো, কোনো মুসল্লির এমন কাজে লিপ্ত হওয়া, যার কারণে দূর থেকে কেউ তাকে দেখলে তার মনে প্রবল ধারণা জন্মাবে যে ওই ব্যক্তি নামাজরত নয়। (ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৩/৪৮৫, ফাতাওয়ায়ে শামি : ১/৬২৪-৬২৫, বায়েউস সানায়ে : ১/২৪১)

৮.   দুনিয়াবি কোনো বিপদে কিংবা বেদনায় শব্দ করে কাঁদা। (হাশিয়াতু তাহতাবি : ১/৩২৫, ফাতাওয়ায়ে শামি : ১/৬১৯, নুরুল ইজাহ, পৃষ্ঠা ৬৮)

৯.   তিন তাসবিহ পরিমাণ সতর খুলে থাকা। নামাজি ব্যক্তির নাভির নিচ থেকে হাঁটু পর্যন্ত শরীরের কোনো স্থান যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় অনাবৃত থাকে, তাহলে তার নামাজ ভেঙে যাবে। (ফাতওয়ায়ে শামি : ১/২৭৩, কাফি : ১/২৩৮, মাওয়াহিবুল জলিল : ১/৩৯৮, মুগনিল মুহতাজ : ১/১৮৮, হাশিয়াতুত তাহতাবি : ১/৩৩৭)
 উল্লেখ্য, নারীদের মাথাও সতর। কোনো কারণে মাথার ওড়না সরে গেলে নামাজ ভেঙে যাবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৬৪১, তিরমিজি, হাদিস : ৩৭৭, ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৬৫৫)

১০.  মুক্তাদি ছাড়া অন্য ব্যক্তির লোকমা (ভুল সংশোধন) লওয়া। যেমন—ইমাম সাহেব কিরাতে ভুল করছেন, সঙ্গে সঙ্গে নামাজের বাইরের কোনো লোক লোকমা দিলে তা গ্রহণ করা। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ১/৬২২, হিন্দিয়া : ১/৯৮)

১১.  সুসংবাদ বা দুঃসংবাদের প্রত্যুত্তর করা। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ১/৬১৩, আল বাহরুর রায়েক : ২/২)

১২.  অপবিত্র জায়গায় সিজদা করা। (বাদায়েউস সানায়ে : ১/১১৫, আল বাহরুর রায়েক : ২/৩৭, তাবয়িনুল হাকায়েক : ১/৯৫)

১৩.  কিবলার দিক থেকে সিনা (বুক) ঘুুরে যাওয়া। তবে অপারগতাবশত যানবাহনে নামাজের ক্ষেত্রে মাসআলা ভিন্ন। (মারাকিল ফালাহ : ১/১২১, নুরুল ইজাহ : ১/৬৮)
১৪.  নামাজে কোরআন শরিফ দেখে পড়া। (মারাকিল ফালাহ ১/১২৪, হাশিয়াতুত তাহতাবি ১/৩৩৬)। তবে সৌদি আরবের আলেমরা এই মাসআলার ক্ষেত্রে ভিন্নমত পোষণ করেন।

১৫.  নামাজে শব্দ করে হাসা। (কানযুদ্দাকায়েক : ১/১৪০)

১৬.  নামাজে সাংসারিক (দুনিয়াবি) কোনো বিষয় প্রার্থনা করা। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ১/৬১৯, আল বাহরুর রায়েক : ২/৩)। তবে এই মাসআলার ক্ষেত্রে অন্য মাজহাবের ভিন্নমত আছে।

১৭.  হাঁচির জবাব দেওয়া। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ২/১১৭)

১৮.  নামাজরত অবস্থায় খাওয়া ও পান করা। (মারাকিল ফালাহ : ১/১২১, নুরুল ইজাহ : ১/৬৮)
১৯.  ইমামের আগে মুক্তাদি দাঁড়ানো। মুক্তাদির পায়ের গোড়ালি ইমামের আগে চলে গেলে নামাজ ভেঙে যাবে। তবে যদি (দুজনের জামাতে নামাজের ক্ষেত্রে) মুক্তাদি ইমামের পায়ের গোড়ালির পেছনেই দাঁড়ায়, কিন্তু তিনি লম্বা হওয়ার কারণে তাঁর সিজদা ইমামকে অতিক্রম করে যায়, তাহলে তাঁর নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে : ১/১৫৯, আল মাবসুত লিস সারাখসি : ১/৪৩)

এখানে নামাজ ভঙ্গের প্রসিদ্ধ ১৯টি কারণ তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু এর বাইরেও নামাজ ভঙ্গ হওয়ার আরো কারণ আছে। যেমন—কোনো প্রাপ্তবয়স্ক নারী পাশে এসে নামাজে দাঁড়িয়ে যাওয়া; ইমামের আগে কোনো রুকন আদায় করে ফেলা; ইচ্ছাকৃত অজু ভাঙার মতো কোনো কাজ করে ফেলা; পাগল, মাতাল কিংবা অচেতন হয়ে যাওয়া ইত্যাদি নামাজ ভঙ্গের কারণ।


34
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় শিম

শীত পড়তেই নানা ধরনের মৌসুমি সবজিতে ভরে যায় বাজার। এর মধ্যেই রয়েছে শিম। এই সময়ে প্রায় সব রান্নাতেই শিম দেওয়া হয়। কিন্তু কী হয় নিয়মিত শিম খেলে, তা কি জানা আছে?

শিমে রয়েছে নানা ধরনের খনিজ পদার্থ। তার সঙ্গেই রয়েছে ফাইবার, আয়রন এবং ক্যালশিয়াম। ফলে শিম নিয়মিত খাওয়া গেলে নানা দিক থেকে উপকার হয় শরীরের।

১. রোগের প্রতিকার এবং প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে।
২. প্রচুর পরিমাণ খনিজ পদার্থ থাকায় চুল পড়ার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে শিম।

৩. অনেকটা ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৪. অনেকটা পানিও থাকে এই সবজিতে। ফলে ত্বকের আর্দ্রতা দূর করতেও সাহায্য করে শিম।

৫. রক্তে কোলেস্টেরল ও শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে শিম।

৬) হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায় শিম।


35
অমিক্রনের পক্ষে টিকার সুরক্ষা ভেদ করা ‘প্রায় অসম্ভব’

করোনাভাইরাসের অন্য ধরনগুলোর তুলনায় নতুন ধরন অমিক্রন আরও গুরুতর অসুস্থতা তৈরি করবে—এমনটা মনে হচ্ছে না। এ ছাড়া কোভিড টিকার কারণে পাওয়া সুরক্ষা অমিক্রনের পক্ষে সম্পূর্ণরূপে ভেদ করা প্রায় অসম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা গতকাল মঙ্গলবার এমনটাই বলেছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে ডব্লিউএইচওর এক কর্মকর্তা বলেন, ব্যাপকভাবে জিনগত রূপ পরিবর্তন করে আসা নতুন এ ধরন সম্পর্কে এখনো অনেক কিছুই অজানা থাকলেও প্রাথমিকভাবে হাতে আসা তথ্য-উপাত্ত ইঙ্গিত দিচ্ছে, ডেলটা কিংবা করোনার অন্য ধরনগুলোর চেয়ে অমিক্রন মানুষকে বেশি অসুস্থ করবে না।

সংস্থাটির জরুরি সেবাবিষয়ক পরিচালক মাইকেল রায়ান এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রাথমিকভাবে আসা তথ্য-উপাত্ত করোনার নতুন এ ধরনে গুরুতর অসুস্থতার কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছে না। গুরুতর অসুস্থতা বরং কম হওয়ারই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। অবশ্য এ নিয়ে তিনি আরও গবেষণার ওপর জোর দিয়েছেন।
মাইকেল রায়ান আরও বলেন, করোনার নতুন এ ধরন বেশি দিন শনাক্ত হয়নি। তাই এর যেকোনো ইঙ্গিত ব্যাখ্যার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, একই সঙ্গে কোভিডের বিদ্যমান টিকাগুলো থেকে পাওয়া সুরক্ষা যে অমিক্রন একেবারে পাশ কাটিয়ে যাবে—এমন কোনো ইঙ্গিতও পাওয়া যায়নি।

৫৬ বছর বয়সী রায়ান আরও বলেন, ‘আমাদের হাতে আছে উচ্চমাত্রায় কার্যকর টিকা। গুরুতর অসুস্থতা কিংবা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দিক বিবেচনায় এ পর্যন্ত আসা করোনার সব কটি ধরনের ক্ষেত্রে এসব টিকায় সুরক্ষার বিষয়টিও প্রমাণিত।’

ডব্লিউএইচওর এ কর্মকর্তা বলেন, এটা ভেবে বসে থাকার কোনো কারণ নেই যে অমিক্রনের ক্ষেত্রে এমনটা হবে না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীদের করা প্রাথমিক একটি গবেষণায় পাওয়া তথ্য-উপাত্তের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুরক্ষার দিকটি বিবেচনায় বিদ্যমান কোভিড টিকাগুলো অন্তত কাজ করবে।




Source: Prothom Alo

36

রাতে ঘুমানোর আগে সুরা আল–মুলক পড়ুন

আল–কোরআনে সুরা আল–মুলক নামের একটি স্বতন্ত্র সুরা আছে। এটি ৬৭ নম্বর সুরা। এ সুরা পাঠের সীমাহীন ফজিলত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআনে এমন একটি সুরা আছে, যার মধ্যে ৩০টি আয়াত রয়েছে, যা তার পাঠকারী ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করবে এবং তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর সেটি হলো “তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলকু (সুরা মুলক)।’” (সুনানে আত-তিরমিজি ২৮৯১)।

প্রতি রাতে (রাতের যেকোনো সময়) সুরা মুলক তিলাওয়াত করা গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত। আত-তিরমিজি শরিফের ২৮৯২ নম্বর হাদিস অনুযায়ী, রাসুলুল্লাহ (সা.) ‘আলিফ লাম মিম তানজিলুল কিতাব’ (সুরা আস-সাজদা) ও ‘তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলকু’ (সুরা মুলক) তিলাওয়াত না করে কোনো দিন ঘুমাতেন না।

তবে এর মানে এই নয় যে সুরাটি দিনে পড়া যাবে না। এটি যেকোনো সময় পড়া যাবে, তবে রাতের বিশেষ জিকির হিসেবে এ সুরা পড়া উত্তম। সুরাটি নামাজের সঙ্গে পড়াও উত্তম। মুখস্থ না থাকলে দেখে দেখে অর্থ বুঝে পড়লে বিশেষ সওয়াব পাওয়া যায়।

সুরাটির নামকরণের মধ্যেই এর বিষয়বস্তু ও মর্মার্থ সুস্পষ্ট হয়েছে। আরবি ‘মুলক’ মানে ‘সার্বভৌমত্ব’। আসমান ও জমিনে সার্বভৌমত্বের একমাত্র মালিক যে আল্লাহ, তা এ সুরায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এ সুরার শুরুতেই আল্লাহ সব ক্ষেত্রে তাঁর সার্বভৌম কর্তৃত্বের কথা ঘোষণা করেছেন।

দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে আমল করার দিক থেকে কে উত্তম, তা পরীক্ষা করার জন্য যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন। তিনি পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল।’

খেয়াল করা দরকার, আল্লাহ বলছেন, ‘যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন’। এতে বোঝা যায়, জীবনের মতো মৃত্যুও আলাদা একটি সৃষ্টি; অর্থাৎ শুধু জীবনের অবসান বা অনুপস্থিতিই মৃত্যু নয়। মৃত্যু স্বতন্ত্র একটি সৃষ্টি।
এ আয়াত থেকে স্পষ্ট হয়, যিনি মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন, তিনি অবশ্যই মৃত্যু থেকে মুক্ত। অর্থাৎ মৃত্যু তাঁর ওপর কার্যকর হতে পারে না।

৩ ও ৪ নম্বর আয়াতে সাতটি আসমানে ও অন্যান্য ক্ষেত্রে আল্লাহর সৃষ্টির নৈপুণ্যের কথা বলা হয়েছে। এখানে আল্লাহ পাক তাঁর সৃষ্টিতে কোনো খুঁত বা অসংগতি আছে কি না, তা খুঁজে দেখতে বলেছেন। একবার নয়, বরং আরও একবার (বারবার) খুঁজে দেখতে বলা হয়েছে। কারণ, প্রথমবার মানুষ অবাক হয়ে কোনো কিছু দেখে। তখন কোনো ভুলত্রুটি–অসংগতি চোখে পড়ে না। দ্বিতীয়বার বা বারবার ভালো করে দেখলে ভুল ধরা পড়ে। তাই প্রথম অবাক দৃষ্টির পর দ্বিতীয় অনুসন্ধানী দৃষ্টি দিয়েও খুঁত বা অসংগতি খুঁজতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আল্লাহ সবার কাছে চ্যালেঞ্জ দিয়ে রেখেছেন, যতবারই দেখা হোক না কেন, কোনো অসংগতি ধরা পড়বে না। কোনো অসংগতি না পেয়ে মানুষের দৃষ্টি ক্লান্ত হয়ে লজ্জাবনতভাবে ফিরে আসবে।

এরপর পঞ্চম আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি তোমাদের কাছের আসমানকে প্রদীপমালায় সজ্জিত করেছি। আর সেগুলোকে (প্রদীপ) শয়তানদের মেরে তাড়ানোর উপকরণ বানিয়ে দিয়েছি। এসব শয়তানের জন্য আমি প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি।’
এই আসমানকে প্রদীপ দ্বারা (অর্থাৎ নক্ষত্ররাজি) যেমন সৌন্দর্যমণ্ডিত করা হয়েছে, তেমনি এগুলোকে আক্রমণের মাধ্যমও করা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহর এই সৃষ্টির মধ্যে একই সঙ্গে সৌন্দর্যের কোমলতা যেমন রয়েছে, তেমনি আক্রমণের কঠোরতাও রয়েছে।

১৫ নম্বর আয়াতের প্রথম অংশে আল্লাহ বলেছেন, ‘তিনি তো সেই, যিনি ভূপৃষ্ঠকে তোমাদের জন্য সুগম বা অনুগত করে দিয়েছেন।’

এর পরের অংশে আল্লাহ বলছেন, ‘তোমরা এর (ভূপৃষ্ঠ) ওপর চলাফেরা করো এবং আল্লাহর দেওয়া রিজিক খাও। তোমাদের তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে।’

সুরা আল–মুলককে ৬টি অংশে ভাগ করা যায়:

প্রথম অংশে (আয়াত ১-৪) আল্লাহর ক্ষমতা বর্ণনা করা হয়েছে এবং শেষ অংশে (আয়াত ২৮-৩০) আল্লাহর ক্ষমতার তুলনায় আমাদের দুর্বলতার কথা প্রকাশ করা হয়েছে।

দ্বিতীয় অংশে (আয়াত ৫-১৫) জাহান্নাম ও জান্নাতের কথা এসেছে। তৃতীয় অংশে (আয়াত ১৬-২২) বলা হয়েছে, বিপদ শিগগির আসন্ন। তার প্রস্তুতির জন্য কতটুকু সময় প্রয়োজন, সেটা বলা হয়েছে পরের অংশে, অর্থাৎ চতুর্থ অংশে (আয়াত ২৩-২৪)।

পঞ্চম অংশে (আয়াত ২৫-২৭) প্রকাশ করা হয়েছে যে মানুষ অবাধ্যবশত জানতে চায়, সে বিপদ কবে ঘটবে?

আল্লাহ আমাদের প্রতি জুমাবারে অসাধারণ এ সুরা পড়ার ও বোঝার তৌফিক দিন।




● ফেরদৌস ফয়সাল প্রথম আলোর হজ প্রতিবেদক। afef78@gmail.com

37
সংযত আচরণ ইমানদারের লক্ষণ
আবদুর রশিদ

জীবজগতের মধ্যে মানুষই একমাত্র জীব মানুষ হয়ে উঠতে যার পরিচর্যার দরকার হয়। যা অন্য কোনো জীবের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। প্রত্যেক বাবা-মায়ের লক্ষ্য থাকতে হবে তাঁর সন্তান যেন মানবিক গুণ অর্জন করে। কেউ যদি খারাপ আচরণ করে কোনো মুমিনের উচিত নয় তার সঙ্গে একই ধরনের আচরণ করা। কারণ মানুষ হলো সৃষ্টির সেরা জীব। তার আচরণ হওয়া উচিত মানুষের মতো। পশুর  মতো বিবেকবর্জিত বা কান্ডজ্ঞানহীন আচরণ মানুষের হওয়া উচিত নয়। এ বিষয়ে একটি হাদিস স্মরণযোগ্য।

হুজায়ফা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা কালের দাস (হীনভাবে অন্যের আচরণের মতো আচরণকারী) হয়ে যেও না। বোলো না যে লোকেরা যদি ভালো ব্যবহার করে তবে আমরাও (তাদের সঙ্গে) ভালো ব্যবহার করব। আর তারা যদি দুর্ব্যবহার করে তবে আমরাও তাদের সঙ্গে জুলুম করব। বরং তোমরা নিজেদের এই আদর্শের অনুসারী বানাও যে লোকেরা ভালো ব্যবহার করলে তোমরাও ভালো ব্যবহার করবে এবং তারা জুলুম করলে তোমরা তাদের অনুসরণ করবে না।’ তিরমিজি।

মানুষকে অবশ্যই ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হতে হবে। যাকে তাকে অনুসরণ ও অনুকরণ কোনো খাঁটি মানুষের কাছ থেকে আশা করা যায় না। সমাজের সবাই খারাপ পথে চললে সে গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসানো কোনো মুমিনের কাজ হতে পারে না। সমাজের গতি যেদিকেই হোক না কেন মুমিনদের অবশ্যই ন্যায়-ইনসাফ ও সদাচরণ করতে হবে। সদাচরণ অন্য মানুষের মঙ্গল কামনা, সংঘাত এড়িয়ে চলা মুমিনদের ভূষণ হিসেবেই বিবেচিত হয়। এমনকি যুদ্ধের মতো সংঘাতময় পরিবেশেও মুমিনের কর্তব্য হলো সংঘাত এড়িয়ে চলা যায় কি না সে চেষ্টা করা।
আবদুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন দুশমনের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত থাকাকালে সূর্য ঢলে পড়ার অপেক্ষায় ছিলেন। এরপর তিনি লোকদের মাঝে দাঁড়িয়ে বলেন- হে লোকেরা! তোমরা শত্রুর সঙ্গে সংঘর্ষ কামনা কোর না; বরং আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা ও শান্তি কামনা কর। আর যখন শত্রুর মুখোমুখি হও তখন ধৈর্য ধারণ কর (অবিচল থাক)।’ বুখারি, মুসলিম।

‘ইসলাম সদাচরণকে কতটা গুরুত্ব দিয়েছে রসুলুল্লাহ (সা.)-এর আরেকটি হাদিস তার প্রমাণ। তিনি বলেন, ‘যে লোক আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে সে হয় ভালো কথা বলবে নচেৎ নীরব থাকবে। মহান আল্লাহ আপন কালামে বলেন, ‘মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করুক না কেন তা-ই লিখে (সংরক্ষণ করে) রাখার জন্য তার সঙ্গে রয়েছে সদাতৎপর প্রহরী।’ (একবার) হজরত ওকবা ইবনে আমের (রা.) আরজ করলেন, হে আল্লাহর রসুল! কীভাবে নাজাত পাওয়া যাবে?

রসুল (সা.) বললেন, তোমার রসনা সংযত রাখ, তোমার বাড়িকে (পরিজনদের) সুরক্ষিত রাখ। তোমার ত্রুটি-বিচ্যুতির (পাপের) জন্য কাঁদো আর মনে রেখ পাষাণ-চিত্তরা আল্লাহর নৈকট্য থেকে সবচেয়ে বেশি দূরে।’ আবু দাউদ, তিরমিজি। আরেক হাদিসে রসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত মানুষ হচ্ছে বাচাল, অশ্লীল ও অসংযত কথাবার্তায় অভ্যস্ত ব্যক্তি।’ আল্লাহ আমাদের সবাইকে সদাচরণের তৌফিক দান করুন।




লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক

38
নতুন ধরন নিয়ে সতর্ক বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ স্থগিত করার ঘোষণা। বিমানবন্দর, স্থলবন্দর বা দেশের সব প্রবেশপথে স্ক্রিনিং আরও জোরদার করার জন্য নির্দেশনা।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন (ভেরিয়েন্ট) ১১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা শুরু করেছে। সতর্কতা হিসেবে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ স্থগিত করার ঘোষণ দিয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময় নষ্ট না করে স্বাস্থ্য বিভাগকে মাঠে নামতে হবে।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে এলেও নতুন ধরনের উদ্ভব ও তা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ৯ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হয়। বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার বলেছে, নতুন ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয়েছে আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায়।
গত বছর অক্টোবরেও ভারতে নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছিল। ‘ডেলটা’ নামের ওই ধরন অতি দ্রুত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল। ডেলটা ধরন বাংলাদেশে শনাক্ত হয় এ বছর ৮ মে। প্রথম শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি ভারতফেরত ছিলেন।

এ পর্যন্ত আফ্রিকার ছয়টি দেশসহ হংকং, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ইসরায়েলে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশ আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ স্থগিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ফ্লাইট বাতিল করেছে। একই পথ বেছে নিয়েছে জাপান ও সিঙ্গাপুর।
আফ্রিকার নতুন ধরনটি সম্পর্কে স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক আছে বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল সুইজারল্যান্ডে যাত্রার আগে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেন, এই ভাইরাসটি খুবই আগ্রাসী। সে কারণে আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ এখন স্থগিত করা হচ্ছে। সব বিমানবন্দর, স্থলবন্দর বা দেশের সব প্রবেশপথে স্ক্রিনিং আরও জোরদার করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কী বলেছে
২৬ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, নতুন ধরনটি নিয়ে এ পর্যন্ত মূল্যায়নে দেখা যায় আগের ধরনগুলোর চেয়ে নতুন ধরনটির ছড়িয়ে পড়ার গতি দ্রুততর। এর অর্থ হচ্ছে নতুন ধরনের মাধ্যমে সংক্রমণ ব্যাপক হওয়ার আশঙ্কা আছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সদস্যদেশগুলোকে চারটি পদক্ষেপ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে: নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি নতুন ধরনটি সম্পর্কে জানতে জিন বিশ্লেষণ করতে হবে; পূর্ণাঙ্গ জিন বিশ্লেষণের তথ্য সর্বসাধারণের জানার জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে; নতুন রোগী শনাক্ত হলে বা সংক্রমণ গুচ্ছ আকার ধারণ করলে তা বিশ্ব সংস্থাকে জানাতে হবে এবং নতুন ধরনের সংক্রমণের তীব্রতা, রোগনির্ণয় পদ্ধতিসহ বিদ্যমান জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক উদ্যোগের কার্যকারিতা বোঝার জন্য কাজে সমন্বয় বাড়াতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলেছে, মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, ভিড় এড়িয়ে চলার পাশাপাশি টিকা নেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে।

সরকার কী করছে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনাবিষয়ক কমিটিগুলো নিয়মিত বৈঠক করে না বা সভা ডাকা হয় না। আট সদস্যের পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটির সর্বশেষ সভা হয়েছিল গত বছর অক্টোবর মাসে। অন্যদিকে রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক কমিটির সর্বশেষ
সভা হয় এ বছর ফেব্রুয়ারিতে। এসব কমিটি করোনাবিষয়ক বৈজ্ঞানিক তথ্য ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের পাশাপাশি সরকারকে নানা বিষয়ে পরামর্শ দিত।

নতুন ধরন মোকাবিলার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পয়েন্ট অব এন্ট্রি বা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ঢোকার নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। সেসব স্থানে পরীক্ষা জোরদার করার মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নির্দেশ এলে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি আজ রোববার সভা করবে বলে জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সহিদুল্লা। এই সভায় নতুন পরিস্থিতিতে সরকারের করণীয় বিষয়ে আলোচনা হবে।

ভাইরাসের নতুন ধরন বা নতুন রোগী শনাক্তে বড় ভূমিকা আছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর)। আইইডিসিআরের পরিচালক তাহমিনা শিরীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘নমুনা পরীক্ষা চলমান। সেসব নমুনা থেকে নিয়মিতভাবে জিন বিশ্লেষণ করা হয়। আশা করি নতুন ধরন এলে আমরা দ্রুততম সময়ে শনাক্ত করতে পারব।’

দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের তথ্য জানানো হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। দেশে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৯৭৫ জন। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সর্বশেষ দুজন মারা যাওয়ার কথা জানিয়েছে। গতকাল নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ১৫ শতাংশ। সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে আসার এই সময়ে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের তথ্য জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক কমিটির সদস্য জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল প্রথম আলোকে বলেন, বিদেশ থেকে দেশে প্রবেশের স্থানগুলোতে রোগ শনাক্তকরণ ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি কোয়ারেন্টিন (সঙ্গনিরোধ), আইসোলেশন (বিচ্ছিন্নকরণ) ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। হাসপাতালে রোগী ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করতে হবে। মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। নতুন ধরন আসার জন্য বসে থাকা উচিত হবে না। সময় নষ্ট না করে স্বাস্থ্য বিভাগকে মাঠে নামতে হবে।

39
Great to know that....

40
Eyes / চোখের সুরক্ষায় যা করবেন
« on: November 25, 2021, 10:52:57 AM »
চোখের সুরক্ষায় যা করবেন

দিনে কতঘণ্টা ল্যাপটপ বা মোবাইল বা টেলিভিশনের সামনে ব্যয় করেন? ফোনে স্ক্রিন টাইম চেক করতে পারেন। অনলাইন ক্লাস বা কাজের সময় যোগ করতে পারেন। তাহলে ফলাফল কী হল? আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এটি আপনার চোখে কতটা চাপ সৃষ্টি করতে পারে? গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই গ্যাজেটগুলি থেকে নির্গত রশ্মি আমাদের চোখের জন্য ক্ষতিকারক। পর্যাপ্ত পরিচর্যায় চোখের স্বাস্থ্যের চিকিৎসা এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য বজায় রাখা যায়।

আমাদের চোখের সুস্থ থাকার জন্য প্রাকৃতিক আলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিকিত্‍সকদের মতে, চোখের যত্নের জন্য প্রতি বছর একবার করে চক্ষু পরীক্ষা করা উচিত। দিনে টানা ১২ ঘণ্টার বেশি ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে ডুবে থাকলে এমনিতেই চোখের সমস্যা শুরু হওয়া স্বাভাবিক। এই সব সমস্যা থেকে দূরে থাকতে কী কী মাথায় রাখা দরকার, তা জেনে নিন-

সঠিক ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান-
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার খাওয়া উচিত। ডায়েটে রাখুন স্বাস্থ্যকর খাবার। চোখের দৃষ্টি ও সুস্থ থাকতে ডায়েটের দিকেও নজর দেওয়া দরকার।

ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি-

অতিবেগুনি বিকিরণ থেকে চোখকে প্রতিরোধ করুন। সূর্য হল ইউভি এবং আলোর সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক উৎস। সকালের দিকে বা ভোরবেলায় সূর্যের আলো চোখের জন্য ভাল, তবে সরাসরি সূর্যের দিকে তাকাবেন না যেন।

কৃত্রিম উৎস-

বাল্ব, টিউবলাইট ব্যবহৃত এলইডি বা এলসিডি-সহ অনেক আলোর কৃত্রিম উত্‍‌সের সংস্পর্শে আমরা বেশিই থাকি। এছাড়া টিভি, মোবাইল, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ প্রভৃতিও দেখা হয়। সূর্যের মতো শক্তিশালী না হলেও দীর্ঘক্ষণ চোখের সান্নিধ্যে থাকলে চোখের উপর নেগেটিভ প্রভাব পড়ে।

ডিজিটাল স্বাস্থ্যবিধি-

২০-২০-২০ নিয়ম। তারমানে প্রতি ২০ মিনিট অন্তর একজন ব্যক্তিকে ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরে তাকাতে হবে। এতে চোখের পেশি শিথিল হয়। চোখের সুস্থতার জন্য এই নিয়ম অবশ্যই পালন করা আবশ্যিক।

ধূমপান ত্যাগ করা-

বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ও ছানির সঙ্গে ধূমপান সংযুক্ত রয়েছে। ধূমপান আপনার দৃষ্টিশক্তি হারানোর সম্ভাবনাকে দ্বিগুণ করে তোলে। এছাড়া ডায়াবেটিস-সম্পর্কিত দৃষ্টি সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

প্রতি বছর চক্ষুপরীক্ষা-

চিকিত্‍সকদের মতে, প্রতি বছর চোখের পরীক্ষা করানো উচিত। চোখ সুস্থ রাখতে আপনি যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারেন তা হল নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করা। চোখের চশমার প্রয়োজন কিনা তা নির্ধারণ করার চেয়ে চোখের পরীক্ষা আরও বেশি জরুরি।


41
কোরআন ও হাদিসে অপচয় নিষিদ্ধ

মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের জন্য অফুরন্ত নিয়ামতের ব্যবস্থা করেছেন। এবং তাঁর দেওয়া নিয়ামতগুলো যথাযথভাবে ভোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ আল্লাহর নির্দেশিত পদ্ধতিতে নিয়ামতের সঠিক ও যথাযথ ব্যবহার আল্লাহর শুকরিয়ার অংশ। যেসব কারণ মানুষের ওপর নিয়ামত সংকুচিত করা হয় বা মানুষকে বিপদে পড়তে হয়, তন্মধ্যে একটি হলো অপচয়। মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের পবিত্র কোরআন ও হাদিসের অসংখ্য স্থানে অপচয় করতে নিষেধ করা হয়েছে। এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে আদম সন্তান, প্রত্যেক নামাজের সময় তোমরা সুন্দর পোশাক গ্রহণ করো। আর পানাহার করো; কিন্তু অপচয় কোরো না। নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)

তবে এর মানে এই নয় যে অপচয় রোধ করতে গিয়ে কৃপণতা অবলম্বন করবে। মহান আল্লাহ কৃপণদের পছন্দ করেন না। অপচয় ত্যাগ করার অর্থ হলো মধ্যপন্থা অবলম্বন করা।

এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি একেবারে ব্যয়কুণ্ঠ হয়ো না, আর একেবারে মুক্তহস্তও হয়ো না, তাহলে তুমি তিরস্কৃত, নিঃস্ব হয়ে বসে থাকবে।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৯)
অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ তাঁর পছন্দের বান্দাদের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘আর তারা যখন ব্যয় করে তখন অপব্যয় করে না এবং কার্পণ্যও করে না; বরং মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ৬৭)

বিষয়টি হাদিস শরিফে এভাবে এসেছে, ‘পানাহার করো, সদকা করো আর পোশাক পরিধান করো, যতক্ষণ তা অপচয় ও অহংকার মিশ্রিত না হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৬০৫)

উল্লেখ্য, আল্লাহর অবাধ্যতায় (পাপকাজে) খরচ করা অপব্যয় এবং আল্লাহর পথে খরচ না করা কৃপণতা। আর আল্লাহর নির্দেশানুসারে ও তাঁর আনুগত্যের পথে খরচ করা হলো মধ্যপন্থা অবলম্বন করা। (ফাতহুল কাদির) অনুরূপ আবশ্যকীয় খরচে ও বৈধ খরচেও সীমা অতিক্রম করা অপব্যয় বলে গণ্য। অতএব সে ক্ষেত্রেও সাবধানতা ও মধ্যপন্থা অবলম্বন করা একান্ত জরুরি।

আল্লাহর দেওয়া সম্পদ অপচয় করা আল্লাহ তাআলা কিছুতেই পছন্দ করেন না। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাদের তিন বস্তু পছন্দ করেন আর তিন বস্তু অপছন্দ করেন। আল্লাহর পছন্দনীয় বস্তুগুলো হলো, তাঁর ইবাদত করা, তাঁর সঙ্গে কাউকে অংশীদার না করা এবং সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ থাকা, বিচ্ছিন্ন না হওয়া।

আর আল্লাহর অপছন্দনীয় বস্তু তিনটি হলো, অহেতুক কথা বলা, অহেতুক প্রশ্ন করা ও অনর্থক সম্পদ বিনষ্ট করা।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৭১৫)

কোনো ব্যক্তি অপচয় বা অপব্যয় করে শয়তান কর্তৃক প্ররোচিত হয়ে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে সে আল্লাহর আদেশ ভুলে অপচয়ে মত্ত হয়ে থাকে। মনের খাহেশের পূজারি হয়ে ওঠে। এ জন্য পবিত্র  কোরআনে অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই আখ্যায়িত করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৭)

আল্লামা বরকুভি (রহ.) বলেন, ‘শয়তানের ভাই শয়তানের মতোই। এই পৃথিবীতে শয়তানের চেয়ে নিকৃষ্ট কোনো নাম নেই। এ হিসেবে অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই আখ্যায়িত করার চেয়ে নিকৃষ্ট কোনো বিশেষণ নেই।’ (আত-ত্বরিকতুল মুহাম্মদিয়্যা, পৃষ্ঠা : ১০৩)

42


ক্ষমা মানে অপরাধ মার্জনা করে দেওয়া। আল্লাহর কাছে প্রত্যেকেরই ক্ষমা প্রার্থনা করা অপরিহার্য কর্তব্য। কারণ স্বয়ং আল্লাহ ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা করো আল্লাহর কাছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল, আয়াত : ২০)

আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ চিত্তে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি ক্ষমা করে দেবেন। কেননা আল্লাহপাক কোরআনের শতাধিক আয়াতে নিজেকে ক্ষমাশীল বলে ঘোষণা করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দাদের জানিয়ে দাও যে নিশ্চয়ই আমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও অপরিসীম দয়ালু।’ (সুরা হিজর, আয়াত : ৪৯)

অন্য আয়াতে তিনি বলেন, ‘এর পরেও কি তারা আল্লাহর দিকে ফিরে আসবে না (অর্থাৎ তাওবা করবে না) এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে না? অথচ আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৭৪) বান্দার প্রতি আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ অসীম। আল্লাহ বলেন, ‘বলো, হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছ, আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা জুমার, আয়াত : ৫৩)

ক্ষমা লাভের উপায়

কোরআন ও হাদিসে আল্লাহর ক্ষমা লাভ করার অনেক উপায় বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে কয়েকটি উপায় এখানে উল্লেখ করা হলো—

ঈমান ও নেক কাজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা

যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে ও নেক আমল করবে, আল্লাহ তাদের ক্ষমার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘যারা ঈমান আনে ও সত্কর্ম করে, আল্লাহ তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের।’ (সুরা ফাতহ, আয়াত : ২৯; সুরা মায়েদা, আয়াত : ৯) অন্যত্র তিনি বলেন, ‘আর যারা ঈমান আনে ও সত্কর্মসমূহ সম্পাদন করে, তাদের জন্য আছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সুরা ফাতির, আয়াত : ৭)

আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা

আল্লাহর ক্ষমা লাভের জন্য তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯৯)

তিনি আরো বলেন, ‘যে কেউ দুষ্কর্ম করে অথবা স্বীয় জীবনের প্রতি অবিচার করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হয়, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও দয়ালু পাবে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১১০)

অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘ক্ষমা প্রার্থনা করো তোমার জন্য এবং মুমিন নর-নারীদের পাপের জন্য। আল্লাহ তোমাদের গতিবিধি ও অবস্থান সম্বন্ধে অবগত আছেন।’ (সুরা মুহাম্মদ, আয়াত : ১৯)
অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান! যত দিন তুমি আমাকে ডাকবে এবং আমার কাছে ক্ষমার আশা রাখবে, আমি তোমাকে ক্ষমা করব, তোমার অবস্থা যা-ই হোক না কেন। আমি কারো পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তোমার গুনাহ যদি আকাশ পর্যন্তও পৌঁছায় অতঃপর তুমি আমার কাছে ক্ষমা চাও, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব। আমি ক্ষমা করার ব্যাপারে কারো পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তুমি যদি পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়ে আমার দরবারে উপস্থিত হও এবং আমার সঙ্গে কাউকে শরিক না করে আমার সামনে আসো, আমি পৃথিবী পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমার কাছে উপস্থিত হব। (তিরমিজি, হাদিস, ৩৫৪০)

তাওবা করা

আল্লাহর ক্ষমা লাভের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে পাপ করার পরই তাঁর কাছে অনুতপ্ত হয়ে তাওবা করা। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই তাঁর বান্দাদের তাওবা কবুল করেন ও পাপ মোচন করেন।’ (সুরা শুরা, আয়াত : ২৫)

তিনি আরো বলেন, ‘এর পরও কি তারা আল্লাহর দিকে ফিরে আসবে না (অর্থাৎ তাওবা করবে না) ও তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে না? অথচ আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৭৪)

তাকওয়া বা আল্লাহভীতি অর্জন করা

আল্লাহর নির্দেশিত বিষয় প্রতিপালন ও নিষিদ্ধ বিষয় পরিহার করার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করা, যা ক্ষমা লাভের অন্যতম উপায়। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! যদি তোমরা আল্লাহভীরু হও, তাহলে তিনি তোমাদের জন্য সত্য-মিথ্যা পার্থক্য করার পথ বের করে দেবেন এবং এর ফলে তোমাদের পাপ মোচন করবেন ও তোমাদের ক্ষমা করে দেবেন। বস্তুত আল্লাহ হলেন মহা অনুগ্রহশীল।’ (সুরা আনফাল, আয়াত : ২৯) অন্যত্র তিনি বলেন, ‘যারা দৃষ্টির অগোচরে তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের জন্য আছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সুরা মুলক, আয়াত : ১২)

আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন। আমিন।

43
বাংলাসহ ১০ ভাষায় সম্প্রচার হবে হজের খুতবা

এবার আরাফার বিস্তৃত প্রাঙ্গণে হাজিদের উদ্দেশ্যে হজের যে খুতবা পাঠ করা হবে সেটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কাছে পৌঁছে দিতে সৌদি আরব সরকার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

এবারের হজের খুতবা বাংলাসহ মোট ১০টি ভাষায় অনুদিত হবে এবং দু’টি প্লাটফর্মে সেটি সম্প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছেনসৌদির পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা বিভাগের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল সুদাইস।

যে সকল ভাষায় সম্প্রচারিত হবে সেগুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, ফ্রেন্স, তুর্কি, মালাইউ, চায়নিজ, উর্দু, ফার্সি, রাশিয়ান ও হাউসা। শায়খ ড. আবদুর রহমান আল সুদাইস, ইসলামের সুমহান বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম কর্তৃক গৃহীত হারামাইন শরীফাইন ও আরাফা'র খুতবার তাৎক্ষণিক অনুবাদ প্রকল্পের অংশ হিসেবে, মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববী পরিচালনা পরিষদ (আর রিয়াসা আল আম্মা) জানিয়েছে, উক্ত খুতবা বিশ্বের এই দশটি ভাষায় সরাসরি (লাইভ) সম্প্রচার করা হবে। 

চলতি বছরে আরাফার দিনের খুতবা দেবেন মক্কার মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শেখ ড. বন্দর বিন আবদুল আজিজ বালিলা। রাজকীয় এক ডিক্রির মাধ্যমে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান এই নির্দেশ জারি করেন।

গ্র্যান্ড মসজিদের ইমামের দায়িত্ব ছাড়াও শেখ বন্দর কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলার্সেরও সদস্য। আরাফার দিনে খুতবার দায়িত্ব দেয়ার পর সৌদি বাদশাহ সালমানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শেখ বন্দর বালিলা।

করোনাকালে দ্বিতীয় বারের মতো সীমিত সংখ্যক হাজিদের অংশগ্রহণে হজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার (১৭ জুলাই) থেকে সৌদির বিভিন্ন স্থান থেকে হাজিরা মক্কার মসজিদুল হারামে এসে তাওয়াফ শুরু করেছেন। এবারের জিলহজ মাসের নবম দিন আরাফার দিন অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র হজ।




Source: BD Protidin

সূত্র: দ্যানিউজগ্লোরি।

44
যেভাবে বুঝবেন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাদা রক্তকণিকা, লিম্ফ নোড এবং অ্যান্টিবডি দ্বারা গঠিত হয়ে থাকে এবং শরীরকে বাহ্যিক সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো দেখে আপনি বুঝবেন যে আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে।

ঘন ঘন সংক্রমিত-
চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, যে প্রাপ্তবয়স্করা সাধারণত বছরে দুই থেকে তিনবার সাধারণ সর্দিতে ভুগতে পারেন। তবে যাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল তাদের ক্ষেত্রে প্রায় সারা বছর জুড়ে দীর্ঘস্থায়ী কাশি হতে পারে।

দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা-
বিজ্ঞানের মতে, প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হজমের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাই সঠিক খাবার না খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, গ্যাস, ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে ঘন ঘন।

পেশীতে ব্যাথা-
শরীরের ভেতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী না হলে আপনি রক্তনালীতে প্রদাহ, ভ্যাসকুলাইটিসের সমস্যায় ভুগতে পারেন। এতে করে পেশীতে ব্যাথা হবে।

অবসাদ-
রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হলেও অনেকের খুব শরীর দুর্বল লাগে সারাদিন। বলা যায় যে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য আপনার সারাদিন ঘুম ভাব থাকে বজায়। এতে করে শরীর ক্লান্ত হবে ধীরে ধীরে ও আপনার মনমেজাজ ভালো থাকবে না।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা-
অনেকে খুব সাধারণ ব্যাপারেই সারাক্ষন দুশ্চিন্তা করতে থাকেন। আপনার যদি যে কোন বিষয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হয় তবে তা ভালো লক্ষণ না এটাও জেনে রাখুন। কারণ দীর্ঘদিন ধরে এমন হতে হতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর প্রভাব পড়তে পারে।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

45
দুপুরের ঘুম ভাব দূর করার উপায়


অফিস বা বাসাবাড়ি যেখানেই অবস্থান করেন, দুপুরের খাবারের পর প্রতিটি মানুষের মাঝেই একটু ঘুম লক্ষ করা যায়। বিশেষ করে খাওয়ার পর মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ হ্রাস পাওয়ার কারণেই এ ঘুম ভাব আসে।

এটা একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে এ স্বাভাবিক ব্যাপারটি সহজ সাধারণ উপায় অবলম্বন করেই দূর করা যায়। নিচে দুপুরের ঘুম ভাব দূর করার কয়েকটি উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো :

পানি পান করুন
পানি ঘুম ঘুম ভাব দূর করার সব চাইতে ভালো ওষুধ। পানি পান করলে আমাদের দেহের কোষগুলো নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। এক গ্লাস পানি পান করে নিন। দেখবেন ঝিম ঝিম ঘুম ধরা ভাব কেটে গেছে। এরই সাথে পানি পান করলে মস্তিষ্ক নতুন করে কাজ করার জন্য তৈরি হয়ে যায়।

এক কাপ চা-কফি

চা বা কফি ঝিম ভাব দূর করার জন্য সব চাইতে কার্যকর একটি পানীয়। দুপুরের খাবারের শেষে এক কাপ চা-কফি খেলে এক নিমেষে দূর হবে ঝিম ধরা ভাব। চা-কফির ক্যাফেইন আমাদের মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে বেশ কার্যকর।

হাঁটাহাঁটি করুন

বসে থাকলে কিংবা চেয়ারে একটু গা এলিয়ে পড়ে থাকলে ঘুম ঘুম ভাব আরো জাঁকিয়ে বসে। তাই উঠে পাঁচ মিনিটের জন্য হলেও হাঁটুন। এতে শরীরের আলস্য কেটে যাবে। আর ঘুম ঘুম ভাবও দূর হবে।
 
চোখে মুখে পানি দিন

চোখে পানির ঝাপটা দিন। চোখে মুখে ঠান্ডা পানির একটু ঝাপটা দিলে আমাদের মাথা ঝিম ধরা এবং শরীরে অলসভাব একেবারে দূর হয়ে যায়।

কথা বলুন

আপনি যদি ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে চুপচাপ কাজে মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করতে থাকেন, তাহলে কখনোই এই ঝিম ধরা ভাবটি যাবে না। কারণ এতে করে আপনার আলস্য কাটানোর কোনো কাজই হচ্ছে না।

দুপুর পরের এই অস্বস্তিকর ভাব থেকে উঠতে চাইলে কলিগ বা সহপাঠীর সঙ্গে ৫-১০ মিনিট কথা বলতে পারেন। আমরা যখন কথা বলি বা কোনো কিছু নিয়ে আলোচনা করি তখন আমাদের মস্তিষ্ক সজাগ হয়ে থাকে। তাই অল্প কিছুক্ষণ কথা বলে দেখুন।

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 12