Daffodil International University
Health Tips => Protect your Health/ your Doctor => Topic started by: Sahadat Hossain on August 29, 2022, 11:42:12 AM
-
ঘন ঘন শ্বাস ফেলা বা নেওয়া, বুকের পাঁজর ওঠানামা, শ্বাসের গতি দ্রুত বা ঘন হওয়া, দম বন্ধ অনুভূতি—এসব উপসর্গ দেখা দিলেই আমরা বলি শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তবে শ্বাসকষ্ট নিজে কোনো রোগ নয়, নানা রোগের উপসর্গ।
শ্বাসকষ্ট হলে প্রথমেই মনে পড়ে হৃদ্রোগ আর ফুসফুসের রোগের কথা। এসব রোগকে আমরা বেশি ভয় পাই। লক্ষ করে থাকবেন, জোর করে কিছুক্ষণ শ্বাস বন্ধ করে থাকলে প্রয়োজনের তুলনায় বাতাস কম প্রবেশের জন্য রক্তের কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যায় এবং দম বন্ধ অস্বস্তিকর অনুভূতির সৃষ্টি করে।
হৃদ্পিণ্ডের রোগে যখন হৃদ্পেশির সংকোচন করার ক্ষমতা কমে যায়, তখন ফুসফুসে রক্ত জমে ফুসফুসকে অনমনীয় করে তোলে, কখনো ফুসফুসে পানি জমে। এতে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
আবার হাঁপানি হলে ফুসফুসে বাতাস ঢোকা ও বেরোনোর নল (ব্রঙ্কিওল) সরু হয়ে যাওয়ায় জোরে জোরে শ্বাস নিতে হয়। ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়াতেও শ্বাসকষ্ট হয়। এমনকি শ্বাসকষ্ট হতে পারে রক্তে পিএইচ কমে গেলে বা অ্যাসিড জমে গেলে।
তবে কখনো কখনো কোনো রোগের সঙ্গে শ্বাসকষ্টের অনুভূতিকে মেলানো যায় না। চোখের সামনে দেখছেন রোগী ঘন ঘন শ্বাস নিচ্ছে বা ফেলছে, বাতাসের জন্য ছটফট করছে, কিন্তু যুক্তিসংগত কোনো কারণ পাওয়া যাচ্ছে না। একে চিকিৎসকেরা বলেন হাইপারভেন্টিলেশন সিনড্রোম।
শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর দহন বা মেটাবলিজম বেড়ে যাওয়ায় নিশ্বাসের হার বেড়ে যায়। হাইপারভেন্টিলেশন সিনড্রোমের কারণ যদিও খুব স্পষ্ট নয়, তবে এর সঙ্গে উৎকণ্ঠা ও একধরনের ভয় পাওয়ার রোগের (প্যানিক ডিজঅর্ডার) সম্পর্ক আছে। সে অর্থে এটা মনের রোগ।
এ ক্ষেত্রে শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে বেশি করে শ্বাস নেওয়ার জন্য রক্তের কার্বন ডাই-অক্সাইড শ্বাসের সঙ্গে অত্যধিক মাত্রায় বেড়ে যায়। ফলে রক্তে ক্ষারের মাত্রা বেড়ে যায়।
দেখা গেছে, উৎকণ্ঠায় ও ভয় পেলে ২৫ থেকে ৮৩ শতাংশ ক্ষেত্রে একধরনের শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়, যার শারীরিক কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। এ ছাড়া মানসিক কোনো সমস্যা নেই, এমন ১১ শতাংশ ক্ষেত্রে শারীরিক কোনো কারণ ছাড়াই শ্বাসের একধরনের কষ্ট হয়। পুরুষদের চেয়ে নারীরা এ সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন।
তবে সত্যি কোনো গুরুতর রোগ, নাকি মানসিক কারণে কেউ শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে, তা সঠিক পরীক্ষা–নিরীক্ষা ছাড়া বোঝা অসম্ভব। তাই শ্বাসকষ্ট যে মাত্রায়ই হোক, আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতে হবে।
সব শেষে যদি দেখা যায়, এর পেছনে কোনো গুরুতর শারীরিক কারণ নেই, কারণটি মনে, তবে মনোবিদের সাহায্য নিতে হতে পারে।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ
Ref: https://www.prothomalo.com/lifestyle/health/by4ptahk3c