Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - sadia.ameen

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 12
31
চিংড়ি মাছ খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এমনকি যাদের চিংড়িতে অ্যালার্জি আছে, তাদেরও মনটা আটকে থাকে ওই চিংড়ির স্বাদেই। গলদা চিংড়ি আর কুচো চিংড়ি যাই হোক না কেন, রান্নায় চিংড়ি মানেই স্বাদের মাত্রা বহুগুন বেড়ে যাওয়া। আর যদি তা হয় এমন শীতের সন্ধ্যায় চায়ের সাথে চিংড়ির মুচমুচে পাকোড়া, তা হলে তো কথাই নেই। চায়ের সাথে দারুন জমে জিভে জল আনা মজাদার এই প্রন পাকোড়া। তৈরিও হবে মাত্র ১০ মিনিটে!
উপকরন

চিংড়ি মাছ ( মাঝারি সাইজ ) – ১০ টি
ডিম – ১ টি
রসুনবাটা – আধা চা চামচ
আদা বাটা – আধা চা চামচ
গোল মরিচের গুঁড়া – আধা চা চামচ
কাচা মরিচ কুচানো – ২ টি
লবন – স্বাদ মতো
হলুদ গুঁড়া – সামান্য
বেকিং পাউডার – আধা চা চামচ
ময়দা – আধা কাপ
সয়াবিন তেল – ভাজার জন্য
প্রনালী–

    -চিংড়ি মাছের মাথাগুলো ফেলে গরম পানি দিয়ে মাছ ভাল করে ধুয়ে নিন।
    -মাছগুলো হালকা থেঁতো করে নিন।
    -এবার একটি বাটিতে চিংড়ি মাছের সাথে একে একে আদা বাটা , রসুন বাটা , গোল মরিচের গুঁড়া , কাঁচা মরিচ কুচি ও হলুদ গুঁড়া মেশান । স্বাদ মতো লবন দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিন ।
    -এবার এর সাথে ১ টি ডিম , ময়দা ও বেকিং পাউডার মিশিয়ে ম্যারিনেট হতে দিন ৫ মিনিট।
    -ম্যারিনেট করা হয়ে গেলে পুরো মিশ্রণটি ছোট ছোট বলের আকারে গড়ে সয়াবিন তেলে হালকা আঁচে সোনালী করে ভেজে তুলুন ।
    -সস ও সালাদ দিয়ে গরম গরম পাকোড়া পরিবেশন করুন ।
http://www.priyo.com/2013/12/04/43884.html#sthash.DlXnmyCe.dpuf

32
বর্তমান যুগে ক্যান্সার মহামারী আকার ধারন করছে। প্রতিদিনই ক্যান্সারের মরণ ফাঁদে যোগ হচ্ছে মানুষ। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি যে এখন পর্যন্ত কোন বিজ্ঞানীর পক্ষে ক্যান্সারের প্রতিষেধক তৈরি করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তাই সব থেকে ভাল পথ হচ্ছে ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করা। ক্যান্সার যাতে শরীরে বাসা বাঁধতে না পারে তার জন্য শরীরকে প্রস্তুত করা।

বিশ্বব্যাপী পরিচালিত অনেক গবেষণা অনুযায়ী বলা হয় ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে হলে ২ ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা যেতে পারে। প্রথমত, ডায়েট ও দ্বিতীয়ত, ব্যায়াম। গবেষকরা বলেন, কিছু নির্দিষ্ট খাবারের মধ্যে ক্যান্সার প্রতিরোধের গুন রয়েছে। সেগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে ক্যান্সারকে দূরে রাখা সম্ভব। আসুন দেখে নিই প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় কোন কোন খাদ্য যোগ করলে ক্যান্সারের হাত থেকে আপনি নিজেকে ও নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে পারবেন।
চীনাবাদাম

চীনাবাদাম ভিটামিন ই এর সবথেকে ভালো উৎস। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ চীনাবাদাম কোলন, ফুসফুস, যকৃত, এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। সকালে কিংবা বিকালের নাস্তায় চীনাবাদাম রাখুন। এ ছাড়াও এক চামচ চীনাবাদামের মাখন লাগানো এক টুকরো পাউরুটি আপনার শরীরকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখতে পারে।
জাম্বুরা

জাম্বুরা, কমলালেবু , ব্রোকলি এই সব কিছুতে রয়েছে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি ক্যান্সার হওয়ার জন্য দায়ী নাইট্রোজেন যৌগের গঠন রোধ করে। জাম্বুরা, কমলালেবু, ব্রকলী এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অন্যান্য ফল খাদ্যনালী, মূত্রাশয়, স্তন ক্যান্সার, সার্ভিকাল ক্যান্সার, এবং পেট ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তাই প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি রাখুন।
মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলু বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ একটি সবজি। গবেষণায় দেখা যায় উচ্চ মাত্রায় বিটা ক্যারোটিন শরীরে থাকলে তা কোলন, স্তন, পেট ও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় আরও প্রমানিত হয়, যে মহিলারা মিষ্টি আলুর মত বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ সবজি তাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন রাখেন তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় অর্ধেক কমে যায়।
হলুদ

হলুদের মধ্যে বিদ্যমান সবথেকে সক্রিয় একটি উপাদান যা ‘কারকিউমিন’ নামে পরিচিত প্রদাহজনিত সমস্যা বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উভয় হিসাবে কাজ করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানব দেহের টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দেহকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলে। শরীরকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করতে চাইলে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন অথবা মাছ ও মাংসের তরকারিতে প্রয়োজন মত ব্যাবহার করতে পারেন।
চা

চায়ে রয়েছে ক্যাটচীন নামক একটি যৌগ। এই যৌগটি মানবদেহকে ক্যান্সারের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। সম্প্রতি চীনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা চা পান করেন তাদের ফুসফুস, প্রস্টেট, কোলন এবং স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যারা চা পান করেন না তাদের থেকে অনেক কম। চায়ের মধ্যে সবুজ চা (গ্রিন টী) ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য সবথেকে কার্যকরী।
ডালিম

ডালিমে রয়েছে ‘এলাজিক অ্যাসিড’। এই এলাজিক অ্যাসিড শরীরে ক্যান্সারের জন্য দায়ী যৌগকে নিস্ক্রিয় করে ও ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি বন্ধ করে। যেকোনো উপায়ে পরিবারের সবাইকে আজকে থেকেই ডালিম বা ডালিম জাতীয় ফল যেমন বেদানা খাবার জন্য উৎসাহী করুন। সালাদ, জুস, মিল্কশেক অথবা সরাসরি যেকোনো উপায়ে ডালিম খেতে পারেন সবাই।
টমেটো

ক্লিনিক্যাল অনকোলজি জার্নালে ২০০৯ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায় টমেটো ‘লাইকোপিন’ নামক ক্যান্সার প্রতিরোধকে সমৃদ্ধ। লাইকোপিন দেহকে প্রস্টেট ক্যান্সার সহ অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাই পুরুষ ও মহিলা প্রত্যেকের সপ্তাহে অন্তত তিনটি টমেটো খাদ্য তালিকায় রাখা অত্যন্ত জরুরী।
বেরি

ক্যান্সার প্রতিরোধে যে খাবারগুলো তালিকা করা হয় তার মধ্যে বেরিস শীর্ষে। রাস্পবেরি, ব্লুবেরি, ক্র্যানবেরি এবং স্ট্রবেরির মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা। ‘পটেরস্টিলবেন’ নামক একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেরিকে দেয় ক্যান্সার প্রতিরোধের এই ক্ষমতা। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মৌসুম অনুযায়ী বেরি রাখা অত্যন্ত জরুরী দেহকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলার জন্য।
http://www.priyo.com/2013/12/04/43785.html#sthash.cyIF29ya.dpuf

33
চা পান প্রতিদিনের রুটিনে পরিনত করেননি এমন মানুষ কমই আছেন। সকালে উঠে এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চা শরীরকে ঝরঝরে করে তোলে সারাদিনের জন্য। বিকেলের আড্ডায় চায়ের প্রাধান্য সবখানেই দেখা যায়। শুধুমাত্র শরীরের জড়তা কাটিয়েই চায়ের গুনাগুন শেষ হয়ে যায় না। চায়ের মধ্যে রয়েছে স্ট্রোক, বাত, দাঁতের ক্ষয় রোধ এবং এমনকি ক্যান্সারের মত রোগকে রুখে দেবার মতন ক্ষমতা। চায়ের রয়েছে আরও একটি গুন। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা চায়ে এমন একটি যৌগ খুঁজে পেয়েছেন যেটি চর্বি শোষণের ক্ষমতা রাখে। এর অর্থ চায়ের এতসব গুনাগুনের সাথে আরও একটি গুন যোগ হল, আর তা হচ্ছে শরীরের চর্বি শোষণ করে আপনাকে স্লিম রাখার ক্ষমতা। আসুন চিনে নেয়া যাক সেই ৫ ধরনের চা যা আপনাকে স্লিম রাখতে সাহায্য করবে।
পুদিনা চা

ক্যালোরি দ্রুত ক্ষয় করতে সহায়ক আরেকটি চা হচ্ছে পুদিনার চা বা মেন্থল চা। এই চায়ের মধ্যে রয়েছে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি যা আপনার ইমিউন সিস্টেমের জন্য অত্যন্ত জরুরি। ছোট বড় সবাই এই চা পান করতে পারেন, হজমের সমস্যার দূর করতেও অত্যন্ত কার্যকর। খুব সহজেই পুদিনার চা তৈরি করতে পারেন। তাজা হলে তো চমৎকার, তাজা পাতা সবসময় না পেলেও সমস্যা নেই। কয়েক টেবিল চামচ শুকনো পুদিনা পাতা ফুটন্ত গরম পানিতে চার/পাচ মিনিট জাল দিয়ে নিন। এর পর এতে প্রয়োজন মত মধু মিশিয়ে নিন। এই চা ঠাণ্ডা ও গরম দুই ভাবেই পান করা যায়। পুদিনার চা খুবই হালকা একটি পানীয় যা নিমিষেই আপনাকে চাঙ্গা করে তুলবে, এছাড়াও আপনার শরীরের চর্বি শোষণ করে স্লিম হতে সাহায্য করবে।
রাশি মৌরির চা

রাশি মৌরি, একটি ছোট্ট চিরহরিৎ গাছ। এটি প্রধানত চীনের স্থানীয় ফল। পরিপাক যন্ত্রণার যেমন পেট খারাপ, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব ইত্যাদির চিকিত্সার জন্য এই ফলটি ব্যবহার করা হয়। রাশি মৌরির চা হজমের সকল সমস্যার উপশম করে। হজমের সমস্যা সমাধান করে এই চা আপনাকে শারীরিক দিক থেকে প্রতিটি খাদ্য থেকে পুষ্টি যোগানোতে সহায়তা করে। এতে করে শারীরিক গঠন ঠিক হয়। রাশি মৌরির চা তৈরি অত্যন্ত সহজ। রাশি মৌরি ফলটির একটি সম্পূর্ণ শুঁটি থেকে এই চা তৈরি করা হয়ে থাকে। একটি সম্পূর্ণ শুঁটি ১০ মিনিটের জন্য এক কাপ গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়। ১০ মিনিট পরে এতে মধু মিশিয়ে নেয়া হয়। ব্যস তৈরি হয়ে গেল স্বাস্থ্যকর মৌরি চা।
সবুজ চা (গ্রিন টী)

গবেষণায় দেখা যায় শরীরের বিপাক ক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য যে রাসায়নিক ইজিসিজি দরকার তা পাওয়া যায় সবুজ চায়ে। এই রাসায়নিক মানুষের শরীরের ক্যালোরি ক্ষয়ে সহায়তা করে। দিনে প্রায় ৭০ ক্যালোরি পর্যন্ত ক্ষয় করার ক্ষমতা রাখে সবুজ চা। গবেষকরা বলেন, যদি আপনি এক বছরে ৫০,০০০ ক্যালোরি ক্ষয় করতে অর্থাৎ ১৫ পাউনড ওজন কমাতে চান, তবে যে কোমল পানীয় পান করেন তার বদলে ১-২ কাপ সবুজ চা পান করুন। সবুজ চা বছরে ৫০,০০০ ক্যালোরি (১৫ পাউন্ডের বেশি ওজন )ক্ষয় করতে সক্ষম। এছাড়াও সবুজ চা শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের স্তর ঠিক রাখে। ক্যান্সার সেল উৎপাদনকে নিস্ক্রিয় করতে সবুজ চায়ের ভূমিকা রয়েছে।
ওলং চা

ওলং চা চীনাদের ঐতিহ্যবাহী একটি চা। এটি ক্যামেলিয়া ফুল গাছের পাতা, কুঁড়ি ও ডালপালা থেকে তৈরি বিশেষ ধরনের চা। ওলং চা চিন্তা, দক্ষতা এবং মানসিকতার উন্নতিতে ব্যবহৃত হয়। এটি ক্যান্সার, দাঁতের ক্ষয় , অস্টিওপরোসিস রোগ , এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করতেও ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে, স্থুলতা কমাতে, ধমনীতে রক্ত সঞ্চালনের কাজে, উচ্চ কলেস্টেরল কমাতে এই চা বিশেষ ভাবে উপযোগী। স্থুলতা কমাতে এর ভূমিকা সবুজ চায়ের থেকেও বেশি। প্রতিদিন প্রায় ২ কাপ ওলং চা পান করলে স্থুলতা কমবে, ফ্যাট বার্ন হবে।
গোলাপের চা

তাজা গোলাপের পাপড়ি এবং চায়ের কুঁড়ি মিশ্রিত এই গোলাপের চা পৃথিবীর প্রাচীনতম মসলা চা। এই চায়ের রয়েছে মানব দেহের উপর উল্লেখযোগ্য থেরাপিউটিক প্রভাব। এই চা শরীরের টক্সিন দূর করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও কমনীয় করে। এছাড়া গোলাপের চায়ে বিদ্যমান চা ভিটামিন এ, B3, সি, ডি এবং ই যে কোন ধরনের সংক্রামকের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং ওজন হারাতে সাহায্য করে। এই চা তৈরি করতে আপনার লাগবে কিছু তাজা গোলাপের পাপড়ি ও তাজা চায়ের কুঁড়ি। ফুটন্ত গরম পানিতে তাজা গোলাপের পাপড়ি ও তাজা চায়ের কুঁড়ি ৫-৬ মিনিট জ্বাল দিন। এরপর এতে মধু মিশিয়ে পান করুন। ওজন কমানোর সাথে সাথে এই চা আপনার ত্বকও উজ্জ্বল করবে।
- See more at: http://www.priyo.com/2013/12/01/43303.html#sthash.zG3JiceH.dpuf

34
ওজন সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই, অনেক চেষ্টা করেও কিছুতেও যেন কমাতে পারছেন না অতিরিক্ত ওজন। ওজন কমাতে কোনো চেষ্টারই কমতি করেন না বাড়তি ওজনের মানুষেরা। অপারেশন থেকে শুরু করে ওজন কমানোর চা, বিভিন্ন ক্ষতিকর ওষুধ সব চেষ্টার পরও ওজন কমে না অনেকেরই। এগুলোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যাতেও ভুগছেন কেউ কেউ। আর সাথে বিষণ্ণতা তো আছেই।

এখন পর্যসন হচ্ছে- কীভাবে কমাবেন অতিরিক্ত এই ওজন?

যারা ওজন সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য আছে প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর কিছু সহজ সমাধান। আসুন জেনে নেয়া যাক প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর ৬টি সহজ সমাধান সম্পর্কে।
ঘুমাতে যাওয়ার ৪ ঘন্টা আগে খান

যারা রাত জাগেন তাদের অনেকেরই গভীর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু খাবার খাওয়ার অভ্যাস আছে। আবার অনেকেই রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। এই অভ্যাসটি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৪ ঘন্টা আগে খেয়ে নিন। খেয়েই ঘুমাতে গেলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে শরীরে মেদ জমে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৪ ঘন্টা আগে গেলে খাবার ঘুমানোর আগেই হজম হয়ে যায়। ফলে শরীর বাড়তি মেদ থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যায়।
মশলা

প্র্তিদিনের রান্নায় আমরা নানান রকম মশলা খেয়ে থাকি। তার মধ্যে বেশ কিছু মশলা ওজন কমাতে সহায়ক। তার মধ্যে গোল মরিচ, আদা, দারচিনি ইত্যাদি মশলা ওজন কমাতে বেশ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। নিয়মিত খাবারে এদের ব্যবহার সাহায্য করবে ওজন কমাতে। সকালের জেলি রুটিতে ছিটিয়ে নিন একটু দারুচিনি গুঁড়ো, কিংবা মিশিয়ে নিন দুধের সাথে। ওজন কমাতে ও হার্ট ভালো রাখতে এটা বেশ কার্যকরী।
সবুজ চা

সবুজ চা বা গ্রিন টি ওজন কমাতে খুবই উপকারী। এর প্রতিটি দানায় রয়েছে মানুষের শরীরের ওজন কমাতে সহায়ক পলিফেনল ও কোরোজেনিক এসিড। সবুজ যা মেটাবলিজম বাড়ায় যা কিনা শরীরের ওজন কমাবার প্রধান শর্ত। দৈনিক ২ থেকে ৩ কাপ সবুজ চা পান করে বছরে ১৫ পাউনড পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব। এবং হ্যাঁ, ব্যায়াম ছাড়াই। কেবল আপনার প্রতিদিনের চা বা কফির বদলে পান করুন সবুজ চা! আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি সান দিয়েগোতে একটি সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে যে গ্রিন টি ওজন কমায়। অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছেন এমন ১৬ জনকে ২২ সপ্তাহ ধরে সবুজ চা পান করানোর পর দেখা গিয়েছে যে তাদের ওজন গড়ে ৩.৮৫ কেজি কমে গিয়েছে।
সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা

ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দিন শুরু করলে শরীর অনেক বেশি কর্মক্ষম থাকে, ফলে শরীরে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয় ও ওজন কমে। আর বাড়তি কিছু করতে চাইলে ঘুম থেকে উঠে নিজের হাতের সাহায্য ছাড়া উঠে বসার চেষ্টা করুন। এতে পেটে চাপ লাগবে এবং পেটের মেদ কমে আসবে। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে থেকে কিছুক্ষন হেঁটে এলে তো আরও ভালো।
প্রচুর পানি পান

প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। প্রচুর পানি পানে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং শরীর সহজে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। এছাড়াও প্রচুর পানি পান করলে শরীর থেকে দূষিত চর্বি জাতীয় পদার্থ বের হয়ে যায়। পানি পানে খাবার সহজে হজম হয়, ফলে দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমে না সহজে।
লেবু-মধু পানীয়

সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস হালকা বা কুসুম গরম পানির সঙ্গে দুই চা চামচ লেবুর রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। এর কিছুক্ষণ পর সকালের নাশতা খেতে পারেন। লেবু-মধু পানীয় ওজন কমাতে অব্যর্থ পদ্ধতি। তবে এর সঙ্গে অবশ্যই পরিমিত খাদ্য গ্রহণ ও সম্ভব হলে কিছুটা ব্যায়াম করতে হবে। তাহলে বেশ দ্রুত আপনার ওজন কমে যাবে প্রাকৃতিক ভাবেই।

35
উপকরণ:

দুধ ১লিটার
গুড়া দুধ আধা কাপ
গাজর কুচি ২ কাপ
দারচিনি ১টা
এলাচ ২টা
চিনি পরিমানমত
আতপ চাল পানিতে ভিজানো ১ মুঠ (আধা ভাঙ্গা করে নেয়া)
কিসমিস ও বাদাম সাজানোর জন্য
সয়াবিন তেল/ ঘি পরিমানমত

প্রণালী:

    একটি কড়াইতে গরম তেল/ঘিতে দারচিনি, এলাচ, হালকা ভেজে নিন।
    এবার কড়াইয়ে তরল দুধ, গুড়া দুধ ও আতপ চাল মিশিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন।
    চাল সেদ্ধ হয়ে আসলে গরম দুধে চিনি ও গাজরকুচি ঢেলে দিন ও নাড়তে থাকুন।
    দুধ কমে অর্ধেক হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে জ্বাল দিতে থাকুন।
    গাজরের পায়েস চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন।
    গাজরের পায়েস ঠান্ডা হলে বাটিতে ঢেলে উপরে কিসমিস ও বাদাম দিয়ে সাজিয়ে দিন।
    খাবারের পর ডেসার্ট হিসেবে কিংবা বিকেলের নাস্তায় পরিবেশন করুন মজাদার গাজরের পায়েস।

36
এনসেফালাইটিস লিথারজিকা হচ্ছে এনফেফালাইটিস রোগের একটি রহস্যময় ধরণ। ১৯১৭ সালে স্নায়ুবিজ্ঞানী কনস্টানটাইন ফন ইকনোমো প্রথম এই রোগের কথা বর্ণনা করেন। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, রোগী বাক ও চলনশক্তি হারিয়ে জীবন্ত মূর্তিতে পরিণত হয়। ১৯১৫ থেকে ১৯২৬ সালের মাঝে এনসেফালাইটিস লিথারজিকা মহামারী আকারে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মহামারী আকারে আর এর আবির্ভাব না ঘটলেও বিচ্ছিন্নভাবে কিছু মানুষের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রায়ই শোনা গিয়েছে।

এ রোগের লক্ষণগুলোর মাঝে আছে জ্বর, গলা ও মাথা ব্যথা, জড়তা, একটি জিনিসকে দুটি করে দেখা, যে কোন ক্ষেত্রে দৈহিক ও মানসিকভাবে দেরিতে সাড়া দেয়া, ঘুমের সময় উল্টো হয়ে যাওয়া অর্থাৎ রাতে জেগে থাকা ও দিনে ঘুমানো। রোগের চূড়ান্ত পর্যায়ে রোগী কোমাতে চলে যেতে পারে। এছাড়া রোগীর চোখের সঞ্চালন হয়ে যেতে পারে অস্বাভাবিক ধরণের, পারকিনসন’স ডিজিজ হতে পারে, শরীরের উপরের অংশ দুর্বলতা, মাংস পেশীতে ব্যথা, কাঁপুনি, ঘাড় নাড়াতে অক্ষমতা ও আচরণগত পরিবর্তন দেখা দেয়।

ভয়াবহ এই রোগের কারণ কি সেটি নিয়ে এখনো কোন উপযুক্ত ব্যাখ্যা পাওয়া যায় নি। ২০০৪ সালের এক গবেষণাতে দেখা যায়, যেসব রোগী এনসেফালাইটিস লিথারজিকাতে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের গ্রুপ-এ Streptococcus ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ফ্যারিঞ্জাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গবেষকদের ধারণা, এনসেফালাইটিস লিথারজিকা, Sydenham's chorea ও PANDAS (pediatric autoimmune neuropsychiatric disorders associated with streptococcal infections)- এ চারটি রোগই মানুষের দেহে Streptococcus ব্যাকটেরিয়া প্রবেশের পরই সৃষ্টি হয়। এনসেফালাইটিস লিথারজিকার কারণ হিসেবে কেউ কেউ ইনফ্লুয়েঞ্জাকেও দায়ী করেছেন।

যেহেতু রোগের কারণ এখনো রহস্যঘেরা, তাই এর প্রতিষেধকও এখন পর্যন্ত নেই। রোগের প্রাথমিক অবস্থাতেই রোগীর দেহ স্থিতিশীল অবস্থায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময় রোগীদের স্টেরয়েড প্রয়োগ করা হলে কিছুটা ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ রোগীই জীবন্ত মূর্তিতে পরিণত হয়, নড়া-চড়া কিংবা কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ধীরে ধীরে রোগীর মস্তিষ্ক তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে শুরু করে। ১৯৬০ সালের দিকে Levodopa (L-DOPA) নামে একটি ওষুধ প্রয়োগ করা হয়, তবে রোগীদের কাউকেই বাঁচানো যায় নি।

পিটার কামিংস এর উপন্যাস The Neuropathology of Zombies তে এই রোগটিরই একটি পরিবর্তিত রূপকে জম্বিদের উত্থানের কারণ হিসেবে দেখানো হয়। জম্বি হলো জাদু বা কোন গুপ্তবিদ্যা প্রয়োগ করে মৃতদেরকে জীবন্ত মানুষের মত চলাচলে সক্ষম করে তোলে। যাই হোক, এখনো এনসেফালাইটিস লিথারজিকা রোগের মূল কারণ অমীমাংসিত।

37


ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড সায়েন্স ফোরাম’এ বিজ্ঞানীরা জানান, আগামী বছরের মাঝেই এরকম একটি স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হবে, যেটি ভূমিকম্পের পূর্বাভাস জানাতে পারবে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গত সপ্তাহে তাঁদের একটি নতুন প্রকল্প একটি কনফারেন্সে প্রদর্শন করেছেন যেটি ভূমিকম্পের ঝুঁকির ব্যপারে মানুষকে আগে থেকেই সতর্ক করতে সক্ষম হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সেসিমোলজিক্যাল ল্যাবরেটরির পরিচালক অধ্যাপক রিচার্ড এলেনের অধীনে একটি দল ভূমিকম্পের পূর্বাভাস সংক্রান্ত সতর্ক সংকেত দিতে সক্ষম এরকম প্রযুক্তি নির্ভর অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরি করেছে। ইতোমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর এটি তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিয়েছেন।

এই স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারকারীর অবস্থান ভূমিকম্পের কেন্দ্র বা এপিসেন্টার থেকে কতটুকু দূরে অবস্থান করছেন, সেটির উপর ভিত্তি করে কম্পন সৃষ্টি হওয়ার কয়েক সেকেন্ড থেকে এক মিনিট সময়ের মাঝেই সতর্ক সংকেত দিতে সক্ষম। আর এটি করার জন্য অ্যাপ্লিকেশনটি ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট কম্পন থেকে তৈরি হওয়া প্রাথমিক তরঙ্গকে (P wave or primary wave) রেকর্ড করে রাখে। বিশেষ এলগরিদম ব্যবহার করে এই এপ্লিকেশনটি কখন একটি ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়েছে , এটির শক্তিমাত্রা কত ও উৎপত্তি স্থান কোথায়, আনুমানিক কখন এটি সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে আঘাত হানতে পারে সেটি নির্ণয় করবে। এরপর ঐ এলাকার মানুষদেরকে সতর্ক সংকেত দিবে। এই প্রযুক্তি ভূমিকম্পের এপিসেন্টার বা উৎপত্তি স্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে পর্যন্ত কাজ করতে সক্ষম।

আর এই আগাম সতর্ক সংকেত মানুষকে সাহায্য করবে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে কিংবা শিল্প-কারখানা বা যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিতে, যাতে ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে আনা যায়। এই অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহার করা হবে এক্সিলারেটোমিটার, গাইরোস্কোপ, জিপিএস, ওয়াই-ফাই লোকেটর ও ম্যাগনেটোমিটার।

সারা বিশ্বে বর্তমানে প্রায় ১ বিলিয়ন মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, ক্যালিফোর্নিয়াতে এই সংখ্যাটি প্রায় ১৬ মিলিয়ন।

38
মিষ্টি খাবার খেতে যারা খুবই ভালোবাসেন তারা সেমাইয়ের নারকেলি পায়েস খেয়েছেন কখনো? অনেকেই হয়তো ভাবছেন সেমাইয়ের আবার পায়েস বানায় কী করে! খুব সহজেই সেমাই দিয়ে পায়েস রাঁধা যায়। আর সেমাইয়ের পায়েস রাঁধতে সময়ও লাগে কম। তাই মেহমান এলে কিংবা বিকালে নাস্তার জন্য খুব অল্প সময়েই রান্না করে ফেলতে পারবেন মজাদার এই পায়েস। আসুন জেনে নেয়া যাক সেমাইয়ের নারকেলি পায়েস তৈরির সহজ রেসিপিটি।

উপকরণ:

দুধ ১ কেজি
চিনি আধা কাপ
সেমাই ১ কাপ
নারকেল ১/৪ কাপ
ঘি (ভাজার জন্য) সামান্য
কিসমিস ২ চা চামচ
মাওয়া (গুঁড়ো করা) ১ টেবিল চামচ

প্রণালী:

    সেমাই সামান্য ঘি দিয়ে ভেজে নিন।
    একটি পাত্রে চুলায় দুধ জ্বাল দিন।
    দুধ একটু গরম হয়ে এলে তাতে চিনি দিন।
    দুধ ঘন হয়ে অর্ধেক হয়ে গেলে সেমাই ও নারিকেল দিয়ে দিন।
    ৭/৮ মিনিট রান্না করুন।
    এরপর নামিয়ে ঠান্ডা করুন।
    ঠান্ডা হলে সার্ভিং ডিসে ঢেলে কিসমিস ও গুড়া করা মাওয়া ছড়িয়ে পরিবেশন করুন মজাদার নারকেলি সেমাই পায়েস।


39
শীতকাল মানেই মজার মজার সবজি। শীতের সবজির তালিকায় রয়েছে মূলাও। সহজলভ্য এই সবজিটি অনেকেই বেশ পছন্দ করেন। সাদা রঙের এই সবজিটি হালকা গন্ধযুক্ত বলে অনেকেই আবার খেতে চান না।

মূলার আদি নিবাস কন্টিনেন্টাল এশিয়া। মূলার বৈজ্ঞানিক নাম Raphanus sativus. longipinnatus। এর ইংরেজি নাম Daikon। এই Daikon শব্দটি এসেছে জাপানি ভাষা থেকে, যার অর্থ হলো 'বৃহত্‍ মূল'। চীনে এটা পরিচিত সাদা গাজর বা White Radish নামে। এছাড়াও জায়গাভেদে মূলাকে Oriental radish, Japanese radish, Chinese radish, Mooli ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়। হিন্দি ও উর্দুতে মূলাকে মূলি নামে ডাকা হয় বলে মূলি শব্দটা ইংরেজিতেও প্রচলিত।

শীতের মৌসুমি সবজি বলে মূলার বেশ কদর রয়েছে। দেখতে অতি সাদামাঠা হলেও মূলাতে রয়েছে বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের সমাহার। এ কারণে মূলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। প্রতি ১০০ গ্রাম মূলাতে রয়েছে-

খাদ্যশক্তি- ১৮ কিলোক্যালরি
শর্করা- ৪.১ গ্রাম
চিনি- ২.৫ গ্রাম
খাদ্যআঁশ- ১.৬ গ্রাম
চর্বি- ০.১ গ্রাম
আমিষ- ০.৬ গ্রাম
থায়ামিন- ০.০২ মিলিগ্রাম
রিবোফ্লেভিন- ০.০২ মিলিগ্রাম
নিয়াসিন- ০.২ মিলিগ্রাম
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড- ০.১৩৮ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি৬- ০.০৪৬ মিলিগ্রাম
ফোলেট- ২৮ আইইউ
ভিটামিন সি- ২২ মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম- ২৭ মিলিগ্রাম
আয়রন- ০.৪ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম- ১৬ মিলিগ্রাম
ম্যাংগানিজ- ০.০৩৮মিলিগ্রাম
ফসফরাস- ২৩ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম- ২১ মিলিগ্রাম
জিংক- ০.১৫ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম- ২২৭ মিলিগ্রাম

মূলা মূলজাতীয় সবজি, অনেকটা গাজরের মতোই! মূলা তরকারি হিসেবে যেমন রান্না করে খাওয়া যায় তেমনি খাওয়া যায় কাঁচাও। সালাদের উপকরণ হিসেবে কাঁচা মূলা বেশ জনপ্রিয়। মূলার পাতা শাক হিসেবেও খাওয়া হয়।

40
ভাবছেন দশ মিনিটে টক দই তৈরি, তাও কি সম্ভব? ছোট্ট একটা কৌশল জানলে খুব সম্ভব!

অনেক বিশেষ খাবার তৈরি করতে আমরা এই টক দই ব্যবহার করে থাকি। কেউ বাজার থেকে কিনে আনেন, কেউ বা বাড়িতেই দই পাতেন। কিন্তু সব সময় কি দই কেনা বা পাতানোর কথা মনে থাকে? মাঝে মাঝে আমরা ভুলে যাই! আর দই পাতালেই তো আর জমে যায় না, কম করে হলেও ১২ ঘণ্টা প্রয়োজন দই জমতে। আজকালকার এই ব্যস্ত জীবনে কার আছে এতটা সময়? কিংবা ধরুন শখের রান্না কিংবা রূপচর্চা করবেন, ফুরিয়ে গেছে টক দইয়ের মজুদ। এরকম সংকটের মুহূর্তে খুব সহজেই আপনি বানিয়ে ফেলতে পারবেন কাজের উপযোগী দই। আর তাও মাত্র দশ মিনিটে। আসুন, জেনে নেই প্রনালী।
উপকরণ-

গুঁড়ো দুধ
গরম পানি
লেবুর রস
প্রনালী-

উষ্ণ গরম পানিতে গুঁড়ো দুধ গুলে নিতে হবে। প্রতি কাপ পানির জন্য প্রয়োজন হবে ৩ চা চামচ গুঁড়ো দুধের। এবার এতে মেশাতে হবে লেবুর রস। প্রতি কাপ পানির জন্য ২ চা চামচ লেবুর রস নিন। এরপর মিশ্রণটি ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন। দশ মিনিট পরেই তৈরি হবে জমাট বাঁধা টক দই! এভাবে মাত্র দশ মিনিটেই আপনি তৈরি করে ফেলতে পারবেন দই।

এই দই সাধারণ দইয়ের মতোই ব্যবহার করতে পারবেন রান্নায়, রায়তা বা লাচ্ছি তৈরিতে। কাজে আসবে রূপচর্চাতেও!

41
শরীরকে ঝরঝরে ও চাঙ্গা রাখতে চায়ের কোন বিকল্প নেই। রোজ সকালে নাস্তার টেবিলে এক কাপ চা না হলে যেমন চলেনা, তেমনি বিকালে এক কাপ চা যেন সারা দিনের ক্লান্তিটাই ভুলিয়ে দেয়। আর সেই চা যদি আবার হয় মশলাদার, তাহলে তো তার কথাই নেই। চায়ে মশলা মিশ্রিত করা মানে তাতে সম্পূর্ন ভিন্ন এক স্বাদ পাওয়া। মশলা চায়ে সাধারনত চিনি ও দুধের সাথে থাকে এলাচ, দারুচিনি ,লবঙ্গ, জ়োয়ান ইত্যাদি মশলা যা ভেষজ গুনাবলী সমৃদ্ধ। এসব মশলায় রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কেরোটিন ও জরুরী মিনারেল যা স্বাস্থ্যের জন্য বয়ে আনে বাড়তি সুফল। এই চায়ে ক্যাফেইন এর পরিমাণ খুব সামান্য । আয়ুর্বেদিক তত্ত্ব অনুযায়ী, মশলা চায়ে ব্যবহৃত উপাদান সমূহ শরীরকে সতেজ ও প্রানবন্ত করে এবং মনকে রাখে প্রফুল্ল।
মশলা চা পানের উপকারিতাঃ

মশলা চায়ে ব্যবহার্য সকল মশলাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। শুধু গরম মশলার ব্যবহার যেন এক কাপ চা পানের উপকারিতা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। চায়ে ভেষজ বা মশলা ব্যবহারের ফলে এরা পরিপাকে সাহায্য করে।এতে অল্প মাত্রায় ক্যাফেইন থাকে বলে সাধারণ দুধ চা অপেক্ষা এই চা কম ক্ষতিকর। মৌসুমি সর্দি ও কাশি প্রতিরোধেও এই চা অত্যন্ত চমৎকার কাজ দেয়। মশলা চায়ে একই সঙ্গে হরেক রকম মশলার উপস্থিতি হতে পারে আপনার নানাবিধ সমস্যার সমাধান।

মশলা চা গরম বা ঠান্ডা অবস্থায় পান করা যেতে পারে। তবে গরম অবস্থায় পান করাই শ্রেয়। সুস্বাস্থ্যকর এই মশলা চা তৈরি করা বেশ সহজ। আসুন জেনে নেই অল্প সময়ে কিভাবে মশলা চা তৈরি করা যায় ।
উপকরণঃ

পানি-২ কাপ
এলাচ- ২টি
দারূচিনি- ২ টি
লবঙ্গ- ৩/৪টি
জোয়ান- ১/৪ চা চামচ
চিনি- ২ চা চামচ
চা পাতা- ২ চা চামচ
দুধ-২ কাপ
প্রস্তুত প্রণালীঃ

    -পাত্রে পানি নিয়ে তাতে এলাচ,দারুচিনি ,লবঙ্গ ও জোয়ান গূড়ো দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন । অতঃপর তাতে চা পাতা দিন। ।অল্প আঁচে মিশ্রণ্টিকে ফুটান ।
    -যখন মিশ্রণটি ফুটতে শুরু করবে তখন তাতে চিনি দিন ।
    -পানি শুকিয়ে অর্ধেক হয়ে গেলে তাতে দুধ মেশান ।
    -এই অবস্থায় আরো ২ মিনিট ফুটান এবং নিমিয়ে ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে নিন ।
    -চায়ের মিষ্টতা বাড়াতে চাইলে চিনির সাথে মধু মেশাতে পারেন ।
    -এবার আর কী, আপনার পছন্দের কোনো নাস্তার সাথে উপভোগ করুন চমৎকার এক কাপ স্বাস্থ্যকর চা ।

42
বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন হুয়াউই অ্যাসেন্ড পি৬ এখন বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল শনিবার ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশের বাজারে ৬.১৮ মিলিমিটার পুরুত্বের এ স্মার্টফোন বিক্রি শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে এ ফোনের বিস্তারিত জানান হুয়াউই টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক (ডিভাইস বিজনেস) মরগান লিউ। এ ছাড়া বক্তৃতা করেন হুয়াউই বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বেকার জোহ, পরিচালক মো. সাফায়েত আলম এবং কিউ মোবাইল লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দীন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অ্যাসেন্ড পি৬ স্মার্টফোনে রয়েছে ১.৫ গিগাহার্টজ কোয়াড-কোর প্রসেসর। এর রয়েছে ধাতব আবরণ। ৪.৭ ইঞ্চি পর্দা, ৮ মেগাপিক্সেল পেছনের এবং ৫ মেগাপিক্সেল সামনের ক্যামেরা রয়েছে পি-৬-এ। অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ অপারেটিং সিস্টেমে চলে এটি। এর টাচস্ক্রিনে আছে ‘ম্যাজিক টাচ’ প্রযুক্তি, ফলে হাতমোজা পরেও এতে কাজ করা যাবে। দেশের বাজারে এটি পাওয়া যাবে ৩৪ হাজার ৯৯০ টাকায়।(prothomalo)

43
Latest Technology / ই.কো’র যাত্রা শুরু
« on: December 01, 2013, 05:48:22 PM »
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে নেটওয়ার্ক অবকাঠামো বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ই.কো। মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপের নতুন উদ্যোগ ই.কো গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান ই.কো বাংলাদেশ লিমিটেড। ৩০ নভেম্বর ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ই.কো কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটির পরিচয় প্রসঙ্গে বলেন, এটি প্যাসিভ নেটওয়ার্ক ইনফ্রাস্ট্রাকচার অপারেটর যা সাশ্রয়ী মূল্যে নেটওয়ার্ক সংশ্লিষ্ট সার্বিক অবকাঠামো তৈরি, ট্রান্সমিশন এবং সার্ভিস সলিউশন মূলক সেবা দিতে কাজ করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব এন আই খান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ই.কো-এর প্রধান নির্বাহী জেমস ম্যাকলরিন ও ই.কো বাংলাদেশ লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড্রু রোল্ট।
অ্যান্ড্রু রোল্ট জানিয়েছেন, ই.কো বাংলাদেশে একটি নেটওয়ার্ক ইনফ্রাস্ট্রাকচার অপারেটর হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করা ছাড়াও আরো বেশি কিছু করতে আগ্রহী। আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা  বিশ্বমানের যোগাযোগ ব্যবস্থার আওতায় আনতে চেষ্টা করব।
জেমস ম্যাকলরিন বলেন, বাংলাদেশের যোগাযোগ খাতের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত্ গড়তে ভূমিকা পালন করবে ই.কো।

44
পুরোনো সংস্করণের উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহারকারীদের একটি সিকিউরিটি বাগ বা কম্পিউটার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার ত্রুটির বিষয়ে সতর্ক করেছে মাইক্রোসফট।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, কম্পিউটারে এ বাগ থাকায় সাইবার দুর্বৃত্তরা কম্পিউটারে হানা দিয়ে অসত্ উদ্দেশ্যে সাধন করতে সক্ষম। বিবিসি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ থেকে প্রায় এক যুগ আগে অর্থাত্ ২০০১ সালে উইন্ডোজ এক্সপি উন্মুক্ত করেছিল বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। জনপ্রিয় এ সফটওয়্যারটিতে বাগ থাকায় সাইবার দুর্বৃত্তরা এখন আক্রমণের জন্য বেছে নিয়েছে এ প্ল্যাটফর্মটিকে। মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সার্ভার ২০০৩ ও উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেমের দুর্বলতা সাইবার দুর্বৃত্তদের সুবিধা দিচ্ছে।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, উইন্ডোজ এক্সপির নিরাপত্তা বাগ সাময়িকভাবে দূর করতে এরই মধ্যে একটি আপডেট উন্মুক্ত করেছে তারা। তবে এই আপডেট ইনস্টল করা হলে উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেমের কিছু ফাংশান ঠিকমতো কাজ করতে নাও পারে।
কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ফায়ারআই উইন্ডোজ এক্সপির এই নিরাপত্তা ত্রুটি খুঁজে পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তা বিশ্লেষকেদের দাবি, উইন্ডোজ এক্সপিতে বাগ থাকায় অ্যাডোবি রিডারের পুরোনো সংস্করণ ব্যবহার করে সাইবার দুর্বৃত্তরা কম্পিউটারের ক্ষতি করতে পারে এবং তাদের নিজস্ব কোড কম্পিউটারে ইনস্টল করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এ সমস্যা সমাধানে অ্যাডোবি রিডারের সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

মাইক্রোসফট জানিয়েছে, তাঁরা এ সমস্যাটি নিয়ে অবগত আর এই সমস্যা সমাধানে এক্সপি ব্যবহারকারীর জন্য কিছু সার্ভিস বন্ধ করে রাখার বিকল্প নেই।

এদিকে বেশ কিছুদিন ধরেই  উইন্ডোজের পুরোনো সংস্করণ এক্সপি ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে মাইক্রোসফট। উইন্ডোজের সাম্প্রতিক সংস্করণগুলো জনপ্রিয় করতে বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে রয়েছে এক্সপিকে বিদায় দেওয়া। ২০১৪ সালের ৮ এপ্রিলের পর উইন্ডোজ এক্সপির জন্য আর কোনো আপডেট বা নিরাপত্তা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। মাইক্রোসফট অফিস ২০০৩-এর অফিশিয়াল সাপোর্টও শেষ হবে একই সময়ে। মাইক্রোসফট জানিয়েছে, এক্সপির আপডেট বন্ধ করা হলেই কম্পিউটারের ম্যালওয়্যারের আক্রমণ বেড়ে যাবে। তাই আগেভাগেই মাইক্রোসফটের নতুন সংস্করণ আপডেট করার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, এক সময়ের জনপ্রিয় উইন্ডোজ এক্সপি ২০১৪ সাল নাগাদ বন্ধ হবে আর উইন্ডোজ ৭ বন্ধ হবে ২০২০ সালের ১৪ জুন। ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত উইন্ডোজ ৭-এর  জন্য ফিচার আপডেট করে যাবে প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে, বর্তমানে বাজারে থাকা উইন্ডোজ ৮, উইন্ডোজ আরটি ও উইন্ডোজ ফোন ৮ এ তিনটি প্ল্যাটফর্মকে একীভূত করে নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরির পরিকল্পনা করছে মাইক্রোসফট।

45
Five out of every 100 people in Spain suffer from panic disorder, one of the diseases included within the anxiety disorders, and they experience frequent and sudden attacks of fear that may influence their everyday lives, sometimes even rendering them incapable of things like going to the shops, driving the car or holding down a job.

It was known that this disease had a neurobiological and genetic basis and for some time the search had been on to discover which genes were involved in its development, with certain genes being implicated without their physiopathological contribution being understood. Now, for the first time, researchers from the Centre for Genomic Regulation (CRG) have revealed that the gene NTRK3, responsible for encoding a protein essential for the formation of the brain, the survival of neurons and establishing connections between them, is a factor in genetic susceptibility to panic disorder.

"We have observed that deregulation of NTRK3 produces changes in brain development that lead to malfunctions in the fear-related memory system," explains Mara Dierssen, head of the Cellular and Systems Neurobiology group at the CRG. "In particular, this system is more efficient at processessing information to do with fear, the thing that makes a person overestimate the risk in a situation and therefore feel more frightened and, also, that stores that information in a more lasting and consistent manner."

Different regions of the human brain are responsible for processing this feeling, although the hippocampus and amygdala play crucial roles. On the one hand, the hippocampus is responsible for forming memories and processing contextual information, which means that the person may be afraid of being in places where they could suffer a panic attack; and on the other, the amygdala is crucial in converting this information into a physiological fear response.

Although these circuits are activated in everyone in warning situations, what the CRG researchers have discovered is that "in those people who suffer from panic disorder there is overactivation of the hippocampus and altered activation in the amygdala circuitry, resulting in exaggerated formation of fear memories," explains Davide D'Amico, a PhD student at the CRG, co-author of the work and the article published in the Journal of Neuosciences, together with Dierssen and the researcher Mónica Santos.

They have also found that Tiagabine, a drug that modulates the brain's fear inhibition system, is able to reverse the formation of panic memories. Although it had already been observed to alleviate certain symptoms in some patients, "we have discovered that it specifically helps restore the fear memory system," points out Dierssen.

Panic disorder

Panic attacks are a key symptom of panic disorder. They can last several minutes, be sudden and repeated, and the sufferer has a physical reaction similar to the alarm response to real danger, involving palpitations, cold sweats, dizziness, shortness of breath, tingling in the body, nausea and stomach pain. On top of this, they feel continuously anxious when faced with the prospect of suffering another attack.

This study by the CRG researchers reveals that the way in which the memories resulting from a panic attack are stored is what ultimately ends up producing the disorder, which usually appears between 20 and 30 years of age. Although it has a genetic basis, it is also influenced by other environmental factors, such as accumulated stress. This is why the authors of the paper consider elevated environmental stress in Spanish society to have led to an increase in the occurrence of these disorders.

Currently, there is no cure for this disease, which is treated with medicines that block the more serious symptoms, as well as with cognitive therapy, which aims to help the person learn to survive the attacks better. "The problem is that drugs have many side effects and psychotherapy is not really aimed at specific moments in the process of forming and forgetting fear memories. In our work we have defined a specific creation mechanism for these fear memories that could help in the development of new drugs and, also, in identifying the key moments for applying cognitive therapy," indicates D'Amico.(sciencedaily)

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 12