Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Jannatul Ferdous

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 17
31
Wow. Interesting post.

32
Skin / মেকআপ তুলতে...
« on: July 07, 2018, 04:09:41 PM »
যতই ক্লান্তি থাকুক না কেন, মেকআপ তুলে ঘুমাতে যাই। ঘুমের আগে মেকআপ তুলতে ভুলি না। প্রয়োজন ছাড়া ত্বকে মেকআপ দিই না। ঢালিউড, বলিউড, হলিউডের নায়িকারা যে যেভাবেই বলুন না কেন—অর্থ একটাই। ত্বক ভালো রাখতে কী করা দরকার? প্রশ্ন থাকে এটা। মেকআপ করতে অনেকেই ভালোবাসেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মেকআপ করতেও ক্লান্ত হন না। কিন্তু তোলার সময় ‘ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো প্রভু’ মনে চলে এলেই তৈরি হয়ে যাবে সমস্যা। মেকআপ ভারী হোক বা হালকা, ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে মেকআপ তোলাটা আবশ্যক। ত্বকের ধরন অনুযায়ী মেকআপ তোলার নিয়মেও রয়েছে ভিন্নতা।

ত্বক বুঝে মেকআপ রিমুভার
যাদের ত্বক শুষ্ক, নারকেল তেলের চেয়ে ভালো মেকআপ রিমুভার আর কিছু নেই বলে মনে করেন প্রিভে স্যালন অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী নাহিলা হিদায়াত। যাদের ত্বক তৈলাক্ত ও ব্রণ হওয়ার প্রবণতা আছে, তাদের ক্ষেত্রে জেল বা ক্রিম-জাতীয় মেকআপ রিমুভার বা মেকআপ রিমুভিং ওয়াইপ ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি। বাজারে তেল-জাতীয় বাম পাওয়া যায়। মেকআপের প্রায় সবটুকু তুলতে সাহায্য করে এগুলো। শুষ্ক ত্বকে মেকআপ রিমুভার হিসেবেও বেশ ভালো কাজ করে।

ত্বকের সংবেদনশীল অংশের মেকআপ তুলতে
ঠোঁট ও চোখের অংশের ত্বক সংবেদনশীল হওয়ায় সেই অংশে মেকআপ তোলার সময় অতিরিক্ত ঘষাঘষি বা টানাটানি না করাই ভালো বলে জানালেন গালা মেকওভার স্টুডিও অ্যান্ড স্যালনের স্বত্বাধিকারী নাভিন আহমেদ। তাঁর মতে, তুলায় অল্প একটু ক্লিঞ্জার নিয়ে চোখের পাতা পা-ঠোঁটে কিছু সময়ের জন্য ধরে রাখলেই মেকআপ তুলে ফেলা সম্ভব। এখন বাজারে চোখের জন্য বিশেষ ধরনের মেকআপ রিমুভার পাওয়া যায়। এ ছাড়া চোখ ও ঠোঁটের মতো সংবেদনশীল অংশের মেকআপ তোলার ক্ষেত্রেও নারকেল তেল বেশ কার্যকরী। ঠোঁটের মেকআপ পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে তুললে যেকোনো লিপস্টিক এমনকি ম্যাট লিপস্টিকও যেমন সহজে তোলা যায়, তেমনি ঠোঁটের আর্দ্রতাও ঠিক বজায় থাকে।

স্বাভাবিক, কুসুম গরম নাকি ঠান্ডা পানি
ত্বক মাত্রাতিরিক্ত শুষ্ক থাকলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোয়া এড়িয়ে চলাই ভালো বলে মনে করেন নাহিলা হিদায়াত। কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে শুষ্ক ত্বকের টান টান ভাবটা থাকে না। যদি লোমকূপ বড় হয়ে যায়, ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে লোমকূপগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। এ ছাড়া পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর না মুছে সেভাবেই রেখে দিলে ত্বক নমনীয় থাকে। অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহারেও ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যায়।

 ভুল কিছু পদ্ধতি
মেকআপ তোলায় সরাসরি সাবান বা সাবান-জাতীয় ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ না ধোওয়াই ভালো। টোনার দিয়েও মেকআপ তোলা একেবারেই উচিত নয়। মেকআপ রিমুভার দিয়ে ঘষাঘষি করে মেকআপ তোলা উচিত নয়। কটন প্যাড বা কটন বলে মেকআপ রিমুভার লাগিয়ে আলতো করে তুলে নিলেই যথেষ্ট। বডি লোশন দিয়েও অনেকে মেকআপ তুলে থাকেন, যা ত্বকে জ্বালাপোড়া ভাবের কারণ হতে পারে।

তৈলাক্ত ত্বকে তেল দিয়ে মেকআপ একেবারেই তোলা উচিত নয়। এতে লোমকূপে তেল জমে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শুষ্ক ত্বকে জেল-জাতীয় কোনো পণ্য ব্যবহার না কারাটাই শ্রেয়।



কোন মাধ্যমে যাবেন
মেকআপ রিমুভিং ওয়াইপ দিয়ে মেকআপ তোলা সবচেয়ে সহজ। তেল ব্যবহার করলে কটন প্যাড ব্যবহার করুন। জেল বা ক্রিম-জাতীয় মেকআপ রিমুভার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কটন বল দিয়ে মুছে নিলে ভালো। কারণ কটন বল ত্বকের জন্য বেশ নমনীয়। এ ছাড়া বাজারে কিছু ময়েশ্চারাইজড মেকআপ ওয়াইপ পাওয়া যায়, যা অত্যন্ত কার্যকরী।

যা করবেন
চোখের চারপাশের অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণে মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করুন।

মেকআপ রিমুভার ব্যবহারের পর অবশ্যই মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করুন।

সঠিকভাবে মেকআপ তোলার পর অবশ্যই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

মেকআপ রিমুভার ব্যবহারের পর জ্বালাপোড়া বা চুলকানি ভাব হলে তৎক্ষণাৎ তা ব্যবহার পরিহার করুন।

মেকআপ রিমুভার দিয়ে মেকআপ তুলে, মুখ ক্লিঞ্জার দিয়ে ধোয়ার পর টোনার, ময়েশ্চারাইজার ও আই ক্রিম ব্যবহার করুন।

ত্বকের ধরন বুঝে মেকআপ রিমুভার বাছাই করতে হবে।

যা করবেন না
চোখের চারপাশে বেশি ঘষাঘষি করবেন না।

চোখে আলগা পাপড়ি ওঠানোর পরও যদি আঠা লেগে থাকে, কটন প্যাডে ক্লিঞ্জার ভিজিয়ে কিছুক্ষণ সে জায়গায় ধরে রাখুন।

মেকআপ রিমুভার শুধু আপনার মেকআপ তোলার কাজে ব্যবহার করা যাবে।

সাবান, স্ক্রাব, টোনার বা ফেসওয়াশ দিয়ে কখনোই সরাসরি মেকআপ তুলবেন না।

তাড়াহুড়ো না করে ধীরস্থিরভাবে মেকআপ তুলুন।

33
অতিরিক্ত চা-কফি পান করেন? আপনার ঠোঁটে কালো দাগ পড়া স্বাভাবিক। যাঁরা বেশি বেশি রোদে যান বা ঠোঁটের যত্ন কম নেন, তাঁদের জন্যও ঠোঁটের কালচে দাগ সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে। বাজারে অবশ্য ঠোঁটের দাগ দূর করার নানা ওষুধ স্ক্রাব পাওয়া যায়। কিন্তু তা অনেক সময় কার্যকর নয়। কিন্তু প্রাকৃতিক কিছু উপায় আছে, যাতে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করা যায়। এ রকম কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জেনে নিন:

গোলাপজল: তুলার বল তৈরি করে তাতে গোলাপজল মিশিয়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে লাগান। এতে ঠোঁটে রক্ত চলাচল বাড়বে এবং ঠোঁট বাড়তি যত্ন পাবে। ঠোঁটের দাগও দূর হবে।

শসার জুস: অর্ধেক শসা ব্লেন্ড করে জুস তৈরি করুন। তুলার বল দিয়ে এই জুস ঠোঁটে লাগাতে পারেন। ২০-৩০ মিনিট পর তা ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। শসার জুস আর্দ্র রাখার পাশাপাশি ঠোঁটে সতেজ ভাব এনে দিতে পারে।

বিট: এক টুকরো নিয়ে ঠোঁটে ভালো করে ঘষতে থাকুন। ১৫-২০ মিনিট পর ভালো করে তা ধুয়ে ফেলুন। বিটের রস ঠোঁটের পোড়া ও কালচে ভাব দূর করবে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকে সতেজতা এনে দিতে পারে এবং ত্বক সুস্থ রাখে।

বেকিং সোডা: বেকিং সোডার সঙ্গে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। চক্রাকারে ২-৩ মিনিট ঠোঁটে মাখুন। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ভেজা ভাব শুকিয়ে গেলে ঠোঁটের কোনো জেল ব্যবহার করুন।

অ্যাপল সিডার ভিনেগার: এক চা-চামচ পানিতে এক চা-চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার নিয়ে তুলা দিয়ে ঠোঁটে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা দানকারী উপাদান হিসেবে কাজ করবে এটি।

ঘৃতকুমারী: ঘৃতকুমারীর রয়েছে তাক লাগানো গুণ। ঘৃতকুমারীর জলীয় অংশ ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। এরপর হালকা গরম পানিতে তা ধুয়ে ফেলুন। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে।

গ্লিসারিন: তুলা দিয়ে প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে একটু গ্লিসারিন মাখিয়ে রাখুন। এতে ঠোঁট আর্দ্র থাকবে। শুষ্কতা দেখা যাবে না।

লেবু-মধু: অনেকক্ষণ যাঁদের রোদে থাকতে হয়, তাঁরা লেবুর সঙ্গে মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে পারেন। এ মিশ্রণ কিছুক্ষণ ঠোঁটে রাখুন। এরপর ভেজা নরম কাপড় দিয়ে তা মুছে ফেলুন।

নারকেল তেল: আঙুলের মাথায় একটু নারকেল তেল নিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে রাখুন। এতে যে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, তা ঠোঁট আর্দ্র ও সবল রাখে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।

34
 :D :D :D :D great.

35
Jokes / Re: Laugh Unlimited
« on: June 09, 2018, 11:14:11 AM »
funny....

36
Jokes / Re: Jokes
« on: June 09, 2018, 11:13:02 AM »
 :D :D :D :D

41
Common Forum/Request/Suggestions / Re: one-time plastic cup
« on: June 06, 2018, 01:46:20 PM »
informative post. we are using this dangerous products without knowing.

42
Everyone should have this knowledge and should be careful in our everyday life.

43
এখন ৫০ থেকে ৬০ লাখ মানুষ ঘুরতে যায়

  পাঁচ বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ২৫ থেকে ৩০ লাখ।
 ২০০০ সালের দিকে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ থেকে ৫ লাখ।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের হিসাব অনুযায়ী, দেশে পর্যটন খাতে সরাসরি কর্মরত আছেন ১৫ লাখ মানুষ।
তরুণদের হাত ধরে শুরু হয়েছে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম। দল বেঁধে দুর্গম পাহাড়ে ঘোরা, সমুদ্রে ডুব লাগানো—এসব এখন বাংলাদেশেই হচ্ছে।

অনেকের কাছে দেশের ভেতরে কোথাও বেড়াতে যাওয়া মানে কক্সবাজারে সমুদ্রসৈকত দেখা, সুন্দরবন অথবা সিলেটের চা-বাগান ভ্রমণ। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের তরুণেরা শুধু এতটুকু ভ্রমণে এখন আর সন্তুষ্ট নন। তাঁরা এখন দুর্গম পাহাড়ের বুনো সৌন্দর্য অথবা সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে সার্ফিংয়ের রোমাঞ্চ পেতে চান। চান সমুদ্রের তলদেশের বিস্ময়কর জগৎ দেখতে, সাঁতরে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে কিংবা সিলেটের সবুজ চা-বাগানের উঁচু-নিচু টিলায় সাইকেল চালাতে।

সুখবর হলো, এ ধরনের রোমাঞ্চে ঠাসা পর্যটনের অভিজ্ঞতা এখন দেশেই পাওয়া যাচ্ছে। ইংরেজিতে এ ধারার পর্যটনকে বলা হয় অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম। এমন পর্যটনের স্বাদ নিতে বান্দরবান, খাগড়াছড়ির দুর্গম পাহাড়ে এখন দল বেঁধে ভ্রমণে যাচ্ছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। কক্সবাজারে তৈরি হয়েছে ঢেউয়ের সঙ্গে সার্ফিং করার সুযোগ। সিলেটের সবচেয়ে বড় ও পুরোনো চা-বাগান মালনিছড়ার উঁচু-নিচু টিলায় সাইকেল চালানোর সুযোগ এখন পাওয়া যাচ্ছে।

ভ্রমণপিপাসু কিছু তরুণের হাত ধরে অ্যাডভেঞ্চার পর্যটনের যাত্রা শুরু হলেও এখন সরকারিভাবেই এ ধরনের পর্যটন প্রসারে কাজ হচ্ছে। বেসরকারি খাতের সঙ্গে এ খাতে এখন কাজ করছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড। পর্যটনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করলে বাংলাদেশে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে গড়ে ‍উঠবে। বাংলাদেশে চালু হওয়া বিভিন্ন ধরনের অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের সংক্ষিপ্ত পরিচয় নিচে তুলে ধরা হলো:

ট্রেকিং

উঁচু-নিচু দুর্গম পাহাড়ে দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানোকে বলা হয় ট্রেকিং। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে ৩ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতার পাহাড় রয়েছে ১২টি। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বান্দরবানের সাকা হাফং, মোদক মুয়াল, কেওক্রাডং প্রভৃতি। এসব পাহাড়ের কয়েকটিকে ঘিরে এখন দল বেঁধে ট্রেকিংয়ের আয়োজন করা হয়। এসব দলের আকার হয় সাধারণত ৫ থেকে ১০ জন। এসব দলকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করার জন্য একজন পাহাড়ি গাইড বা পথপ্রদর্শক থাকেন। পাহাড়ে রাতে থাকার ব্যবস্থা বা ক্যাম্প করা, খাবার ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো আয়োজক গ্রুপের মাধ্যমে করা হয়। দিনের বেলা বুনো পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি পাহাড়ে রাতের আকাশের তারা দেখার মতো রোমাঞ্চ উপভোগ করা যায় এমন ভ্রমণে।

জিপলাইনিং ও রাফটিং

জিপলাইনিং হলো উঁচু পাহাড়ের চূড়া থেকে তার বা দড়ি বেয়ে ভূমিতে দ্রুতগতিতে নেমে আসা। আর পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা জোরালো ঢেউয়ের ঝরনা বা নদী দিয়ে নৌকায় করে বয়ে চলাকে বলা হয় রাফটিং। বান্দরবানের মুনলাইপাড়া নামক স্থানে পর্যটন করপোরেশনের সহযোগিতায় এখন জিপলাইনিংয়ের সুযোগ রয়েছে। আর রাফটিংয়ের উত্তেজনা পেতে হলে যেতে হবে বান্দরবানের নাফাখুমে।

সার্ফিং ও প্যারাগ্লাইডিং

উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে ভেসে চলাই হলো সার্ফিং। প্যারাসুটের মাধ্যমে ওপরে ভেসে থাকাকে বলা হয় প্যারাগ্লাইডিং। কক্সবাজারে লাবণী সমুদ্রসৈকত পয়েন্টে সার্ফিং করার জন্য এখন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সার্ফিংকে খেলা হিসেবে প্রসারের জন্য বাংলাদেশ সার্ফিং ফেডারেশন নামের একটি সংগঠন রয়েছে। বাংলাদেশে সার্ফিংকে উৎসাহিত করতে বিশ্বখ্যাত সার্ফার টম বাওয়ার পর্যটন করপোরেশনের আমন্ত্রণে ইতিমধ্যে কয়েকবার কক্সবাজারে ঘুরে গেছেন। আর কক্সবাজারের হিমছড়ি ও দরিয়ানগর সমুদ্রসৈকত পয়েন্টে প্যারাগ্লাইডিংয়ের সুবিধা রয়েছে। আকাশে ভেসে বেড়ানোর এই ক্রীড়াশৈলীর মাধ্যমে ১২ থেকে ১৫ মিনিট উড়তে উড়তে বঙ্গোপসাগর দেখা যায়।

নদীভিত্তিক পর্যটন

নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌকা বা ছোট আকারের জাহাজে করে ঘুরে বেড়ানোও এখন বেশ জনপ্রিয়। রাজধানীর উপকণ্ঠে পূর্বাচলে শিমুলিয়া ঘাট থেকে বালু নদ আর শীতলক্ষ্যা ধরে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ঘোড়াশালে সারা দিন ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সহায়তায় বেসরকারি সংস্থা ঢাকা ডাইনার ক্রুজ জাহাজে ঘুরে বেড়ানোর এ ব্যবস্থা চালু করে সম্প্রতি। এসব ভ্রমণে বড় নৌকার সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে ছোটখাটো জাহাজও। বেসরকারি উদ্যোগে সারা দেশের বিভিন্ন নদী ও হাওর ভ্রমণের এমন অনেক উদ্যোগ এখন নেওয়া হচ্ছে।

বাংলা চ্যানেল পাড়ি

কক্সবাজারে শাহ পরীর দ্বীপ থেকে সেন্ট মার্টিন পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ পথটি বাংলা চ্যানেল নামে পরিচিত। বাংলা চ্যানেলের আবিষ্কারক প্রয়াত আলোকচিত্রী কাজী হামিদুল হক। পর্যটন করপোরেশন ও বেসরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এখন বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দেওয়ার আয়োজন করা হয়। এমন সাঁতারের আয়োজনে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ও প্রশাসনিক অনুমতি পাওয়ার বিষয়ে আগ্রহী পর্যটকদের সহায়তা করে পর্যটন করপোরেশন।

স্কুবাডাইভিং

সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সমুদ্রের তলদেশ দেখার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে স্কুবাডাইভিংয়ের মাধ্যমে। সেন্ট মার্টিনের স্বচ্ছ সমুদ্রের নিচে দেখা মিলবে বিচিত্র কোরাল ও নানা বর্ণের জলজ উদ্ভিদের। ঢাকা ডাইভার্স ক্লাব নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যটকদের জন্য সেন্ট মার্টিন দ্বীপে স্কুবাডাইভিংয়ের আয়োজন করে।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘পর্যটকেরা সব সময় বৈচিত্র্য, ঐতিহ্য আর অ্যাডভেঞ্চার খোঁজেন। আমাদের দেশে যেমন বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্য আছে, তেমনি অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। পাহাড়, পর্বত ও বন সবই আছে। বেসরকারি উদ্যোগে এখন বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চারের আয়োজন হচ্ছে, আমরা তাদের সহায়তা করছি।’ তিনি মনে করেন, সঠিকভাবে প্রচার চালানো হলে রোমাঞ্চের খোঁজে বিদেশি পর্যটকেরা বাংলাদেশে আসবেন। ফলে সামগ্রিকভাবে পর্যটন খাতে আয় বাড়বে। বৈদেশিক মুদ্রাও বেশি আয় হবে।

পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) হিসাব অনুযায়ী, বছরে এখন ৫০ থেকে ৬০ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যায়। বছর পাঁচেক আগেও এ সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ লাখ ছিল। আর ২০০০ সালের দিকে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ থেকে ৫ লাখ। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের পর্যটন খাতে সরাসরি কর্মরত আছেন ১৫ লাখ মানুষ। আর পরোক্ষভাবে আরও ২৩ লাখ লোক এ খাতের সঙ্গে যুক্ত আছেন। সব মিলিয়ে এ খাতে প্রায় ৪০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। আর্থিক মূল্যে দেশীয় পর্যটন খাতের আকার দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৪ হাজার কোটি টাকার।

44
Food Habit / রোজায় সুস্থ থাকুন
« on: May 10, 2018, 01:19:59 PM »
আর কয়েক দিন পর রোজা শুরু। সারা বছরের খাদ্যাভ্যাস বদলে যাবে এই এক মাসে। প্রথম দিকে মানিয়ে নিতেও হবে বেশ অসুবিধা। কিন্তু কিছুটা নিয়ম মেনে চললেই ডায়াবেটিস, অ্যাসিডিটি, কিডনিজনিত নানা সমস্যার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যাবে সহজেই।

রোজার ডায়েট সম্পর্কে ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান ও প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা শামসুন্নাহার নাহিদ জানালেন, রোজায় অনেকে সাহ্‌রিতে খান না বা ইফতারের পর রাতে না খেয়ে শুয়ে পড়েন। আসলে রোজায় কিন্তু কোনোভাবেই সাহ্‌রি খাওয়া বাদ দেওয়া যাবে না; বরং সাহ্‌রিতে খেতে হবে সব থেকে বেশি খাবার। সাধারণত আমরা দুপুরে বেশি খাই। সাহ্‌রিতে খেতে হবে সেই পরিমাণ। আর ইফতারে খেতে হবে সাহ্‌রির থেকে কম কিন্তু রাতের খাবারের থেকে বেশি পরিমাণ খাবার।

ইফতারে যেকোনো এক ধরনের শরবত কিন্তু থাকতেই হবে। সেই সঙ্গে কারও ডায়াবেটিস বা এ ধরনের সমস্যা নেই এমন প্রত্যেক মানুষের কিন্তু যেকোনো ধরনের মিষ্টি খাওয়া দরকার। সঙ্গে চিড়া, মুড়ি, খিচুড়ি বা এজাতীয় অন্য কোনো শর্করাজাতীয় খাবারও খেতে হবে। রোজায় সারা দিন না খেয়ে থাকার ফলে শরীরে যেসব ঘাটতি তৈরি হয়, সেসব পূরণে যেকোনো একটি প্রোটিন খাওয়া জরুরি। সে ক্ষেত্রে ছোলা, চিকেন, হালিম, কাবাব বা ডিমের তৈরি খাবার খেতে হবে। আর যাঁরা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাঁরা শরবত খাবেন চিনি ছাড়া। আর কিডনি রোগে আক্রান্ত সবাইকে কিন্তু ছোলা, বেসন—এসব বাদ দিতে হবে। বেসন ছাড়া বানানো আলুর চপ, শাকসবজি দিয়ে বানানো পাকোড়া—এসব খাওয়া ভালো বলেও জানান শামসুন্নাহার নাহিদ।

রোজায় সুস্থ থাকতে কোনোভাবেই বাইরের ভাজা–পোড়া খাবার খাওয়া যাবে না। সাহ্‌রি বা ইফতারে যেকোনো ধরনের খাবার খেতে হবে ঘরে বানানো। বাইরে বাসি বা পোড়া তেলের পাশাপাশি একই ধরনের তেলে ঝাল আর মিষ্টি খাবার ভাজার জন্য অ্যাসিডিটি বাড়বে। রোজায় প্রচুর পানি পানের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমও খুব জরুরি। এর সঙ্গে খেতে হবে সহজপাচ্য খাবার। জুস কিনে আনার চেয়ে দেশি ফল দিয়ে নিজেই ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন। পাশাপাশি বাজারের হালিম বা জিলাপির বিকল্প হতে পারে ঘরে তৈরি হালিম আর বাসায় তৈরি পায়েস বা মিষ্টি। খেয়াল রাখতে হবে রোজায় কোনোভাবেই ইফতারি, রাতের খাবার আর সাহ্‌রি—কোনোটাই বাদ দেওয়া যাবে না। রোজায় সুস্থ থাকতে খুব বেশি কষ্ট নয়, মানতে হবে নিয়ম।


45
Travel / Visit / Tour / নাফাকুম
« on: May 08, 2018, 11:18:23 AM »

নাফাকুম জলপ্রপাত
বান্দরবান জেলার থানচী উপজেলায় অবস্থিত এই প্রাকৃতিক জলপ্রপাত টি।.২৫-৩০ ফুট এই জলপ্রপাত টি রেমাক্রী হয়ে সাঙ্গু নদীতে মিলেছে যেখানে মিলনস্থলে প্রাকৃতিক ভাবেই কয়েকধাপ সিঁড়ির মত করে হেলে দুলে নৃত্যের ছন্দে সাঙ্গু তে মিশে গেছে। আর এই নৃত্যের দলে এখানে সৃষ্টি হয়েছে আরেকটি ফলস যার নাম রেমাক্রী খুম।

কখন যাবেন
বর্ষার সময় এই জলপ্রপাত টি ভয়াবহ রুপ ধারন করে আর তখন যাতায়াত খুব ই রিস্কি। তাছাড়া বর্ষায় সাঙ্গুর স্রোত অনেক বেশী থাকে ফলে রিস্ক অনেকটা বেড়ে যায়। তাই বর্ষার শেষ দিকে শীতের শুরুতে অথবা শীতের শেষ দিকে বর্ষার শুরুতে যাওয়াই ভালো। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর অথবা মে-জুলাই মাসে যাওয়া যেতে পারে।


কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বান্দরবান যাবেন এসি নন এসি অনেক বাস আছে ভাড়া নন এসি- ৬৫০ আর এসি ৮৫০ টাকা নিবে। বান্দরবান এর থানচী বাসস্ট্যান্ড থেকে লোকাল বাসে থানচী বাজার যেতে হবে, ভাড়া নিবে জনপ্রতি ২০০ টাকা। এছাড়া বান্দরবান শহর থেকে থানচী রিসার্ভ চান্দের গাড়ি নিয়েও যেতে পারেন ভাড়া নিবে ৪০০০-৫০০০ টাকা। থানচী বাজার এর গাইড সমিতি থেকে এবার আপনাকে গাইড ঠিক করতে হবে এবং সাথে রিসার্ভ ট্রলার নিতে হবে। এখানে ট্রলার আর গাইডের এক ধরনের সিন্ডিক্যাট চলে যেখানে তাদের হাতে পর্যটক রা জিম্মি। নাফাকুম পর্যন্ত মোট দুইজন গাইড লাগে যার একজন থানচী বাজার থেকে নিবেন অন্যজন রেমাক্রী বাজার থেকে (এটা নিয়ম সেখানের)। গাইড এখন প্যাকেজ আকারে নিতে হয় থানচী থেকে নাফাকুম পর্যন্ত যাওয়া আসা ২০০০ টাকা এবং রেমাক্রী থেকে যে গাইড নিবেন তাকে দিতে হবে ১০০০ টাকা। আর ট্রলার ভাড়া করবেন ৪০০০-৫০০০/- টাকা দিয়ে। যেদিন যাবেন সেদিন ও পরদিন নিয়ে আসা পর্যন্ত এই কন্টাক্ট। এক বোটে ৬-৭ জনের বেশি যেতে পারবেন না, বলতে গেলে এটাও এক ধরনের সিন্ডিকেট। তবে লোকাল ট্রলার ও আছে যদি ভাগ্য ভালো হয় মিলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে খরচ অনেক কম পড়বে । থানচী বাজার থেকে রেমাক্রী বাজার পর্যন্ত ভাড়া ১৫০-১৮০ টাকা জনপ্রতি। রেমাক্রী বাজার থেকে প্রায় ২-৩ ঘন্টা ঝিরি পথ পায়ে হেটে পাড়ি দিলেই পেয়ে যাবেন এই অপূর্ব সুন্দর জলপ্রপাত টি। এই দুই থেকে তিন ঘন্টার ঝিরি পথের প্রথমেই ছোট দুটি পাহাড় পাড়ি দিয়ে নেমে যেতে হবে ঝিরি পথে। এর পর পুরোটাই ঝিরি পথ কোথাও পাথুরে কোথাও মাটির কোঠাও কাদা কোথাও পানির। দু তিন জায়গায় হয়ত হাটু অথবা কোমর পানি পাড়ি দিতে হবে এই পথে এ পাড় থেকে ওপাড় যেতে। তাই সাথে দড়ি নিয়ে যেতে পারেন চলার সুবিদারথে। থানচী বাজারে গাইড ঠিক করার পর সবার নাম একটা কাগজে লিপিবদ্ধ করে থানচী থানা ও আর্মি ক্যাম্পে জমা দিয়ে আসতে হবে আপনাকে।


কোথায় থাকবেন
থানচী বাজারে কিছু গেস্ট হাউজ আছে সেখানে রাত্রী যাপন করা যাবে ভাড়া জনপ্রতি ১৫০-২০০ টাকার মত। এছাড়া রেমাক্রী বাজারে আদিবাসীদের বাসায় থাকার ব্যবস্থা আছে জনপ্রতি ১২০-১৫০ টাকা করে রাত্রী যাপন করতে পারবেন। এছাড়াও যারা ক্যাম্পিং করতে চান তারা বাজারের আশেপাশে কোথাও ক্যাম্প করতে পারবেন তবে তেমন ভালো মনপুত জায়গা নেই ক্যাম্পিং এর জন্য। শীতকাল হলে বাজারের ঘাটে শুকনা জায়গায় ক্যাম্প করতে পারেন।


কোথায় খাবেন
যদি থানচী বাজারে থাকেন তাহলে থানচী বাজারেই খাওয়া দাওয়া করার জন্য বেশ কিছু হোটেল পাবেন মোটামুটি মানের খাবার। রেমাক্রী বাজারে থাকলে খাবারের কথা আগেই বলে দিতে হবে তাহলে তারা খাবার রান্না করে রাখবে।পাহাড়ি মুরগি খেতে চাইলে গাইড কে বললে সে ব্যবস্থা করে দিবে, তবে দাম একটু বেশি হবে এবং দামাদামি অবশ্যই করে নিবেন। সবচেয়ে ভালো হয় নিরামিষ খেলে, এতে খরচ অনেক কমে যাবে। কারন সেখানে মুরগির দাম অনেক বেশি।


নাফাকুম জলপ্রপাতের উপরের দৃশ্য
কি কি দেখবেন
বান্দরবানের এমন কোন স্থান নাই যা আসলে না দেখার মত। বান্দরবান শহর থেকে থানচী যেতে পথে পড়বে শৈল্প্রপাত, চিম্বুক পাহাড়, পিক৬৯, নীলগিরি সহ আরো অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা। থানচী থেকে ট্রালারে করে যেতে হবে পাহাড়ি খরস্রোতা সাঙ্গু নদীর উপড় দিয়ে স্রোতের বিপরীতে। এই বিপরীতে চলতে পথে দেখবেন কোথাও শান্ত সৃষ্ট ভদ্র সাঙ্গু আবার কোথাও দেখবেন বিকট ভয়ংকর খরস্রোতা সাঙ্গুর রূপ। যেতে পথে পড়বে রাজা পাথর এলাকা। এই রাজাপাথর এলাকায় দেখবেন বিশাল আকৃতির বহু পাথর যা আদিবাসীদের কাছে দেবতা এবং তাদের কাছে পূজনীয়। ছোট এক বাজার দেখবেন রাজা পাথর এলাকা পাড় হয়ে নাম তার তিন্দু। এরপর ই চোখে পড়বে নাফাকুম জলপ্রপাত এর বয়ে চলা জল আর সাঙ্গুর মিলনস্থল রেমাক্রীকুম। এছাড়া আশেপাশের বিশাল বিশাল পাহাড়, পাহাড়ের গায়ে লেগে থাকা মেঘ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ তো আছেই।


ভ্রমন পরিকল্পনা
রাতের বাসে ঢাকা থেকে বান্দরবান। সেখান থেকে লোকাল বাসে করে থানচী যাওয়া। রিসার্ভ নৌকা সম্ভব হলে লোকাল নৌকা করে রেমাক্রী বাজার যেয়ে সে রাতে রেমাক্রী থাকা। পরদিন সকালে রওয়ানা হয়ে নাফাকুম ঘুরে দুপুরের মাঝে রেমাক্রী বাজারে ফেরত আসা। দুপুরে রওয়ানা দিয়ে থানচী বাজার সেখান থেকে বিকালের বাসে বান্দরবান শহর। রাতের বাসে ঢাকা। এভাবে পরিকল্পনা করলে কম খরচ এবং কম সময় নাফাকুম ঘুরে আসা সম্ভব।


টিপস ও পরামর্শ
গ্রুপ করে যাওয়া ভালো, এতে করে খরচ কমে যাবে।
আদিবাসী সভ্যতা, সংস্কৃতি নিয়ে ব্যাঙ্গ করা থেকে বিরত থাকুন ও তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত নিরাপত্তার স্বার্থে সাঙ্গু নদী পাড়ি দেওয়ার সময় ও নাফাকুম এ যাওয়ার সময় লাইফ জ্যাকেট সাথে রাখুন।
সাঙ্গু নদী একটি খরস্রোতা পাহাড়ি নদী, তাই অতিরিক্ত সতর্কতা নিয়ে নদীতে নামুন। পাহাড়ের খাদ গুলো ভালো করে লক্ষ করে পা ফেলুন নদীতে।
ভারী জামা কাপড় না নেওয়াই ভালো।
ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলে যথাস্থানে ফেলুন, প্রকৃতি কে আপন অবস্থায় ছেড়ে দিন। প্রকৃতির ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ থেকে বিরত থাকুন।
চিপস, চানাচুর, বিস্কুটের প্যাকেট পথে না ফেলে ব্যাগে ভরে নিয়ে আসুন ও যথাস্থানে ফেলুন।
চলার সময় নিরবতার সাথে পথ চলুন। হৈ হুল্লুর থেকে বিরত থাকুন।
ছোট বাচ্চা নিয়ে এই ট্রেইলে না যাওয়াই ভালো। তবে মহিলা/মেয়েরা অনায়াসে এই ট্রেইলে যেতে পারেন কোন সমস্যা নাই, ভয়ের ও কিছু নাই। তেমন কঠিন কোন ট্রেইল নয় এটা।
নৌকা নেওয়ার সময় দামাদামি করে নিবেন, ওরা অনেক বেশি ভাড়া চেয়ে বসবে, তাই দর কষাকষি করে যতটুকু কমানো যায়।
ঝিরি পথে হাটার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন যেন পা পিছলে পাথরে পরে কি কোন দুর্ঘটনা না ঘটে।
নাফাকুমের জলপ্রপাতে সাতার না জানলে ঝাপ দিবেন না। পাথর ও খাদে আটকে গেলে মারাত্নক বিপদে পড়বেন।
একা একা কোথাও যাবেন না দল ছেড়ে, পাহাড়ে হারিয়ে গেলে রাস্তা খুজে পাওয়া দুস্কর, তাছাড়া আপনার একার জন্য দলের বাকী সদস্যরা বিপদে পড়বেন।
ব্যাকপ্যাক নিবেন সাথে, হাতের কোন ব্যাগ নিবেন না, পানির বোতল ও শুকনা খাবার রাখুন ট্রেইলে হাটার সময়।
মশার কামোড় থেকে বাচতে অডোমস ক্রীম রাখুন সাথে, এছাড়া প্রাইমারী ওষুধ সাথে রাখুন।
থানচীর পর তেমন মোবাইল নেটওয়ার্ক পাবেন না। রেমাক্রী বাজারে একটি মাত্র ফোনের দোকান পাবেন যেখানে ৫ টাকা মিনিট কথা বলা যাবে।
থানচীর পর বিদ্যুত নেই তাই সাথে এক্সট্রা পাওয়ার ব্যাংক রাখুন।
রেমাক্রী থেকে নাফাকুম যেতে ঝিরিপথে দু তিন জায়গায় হাটু অথবা কোমর পানি পাড়ি দিতে হতে পারে, নিরাপত্তার জন্য দড়ি রাখতে পারেন সাথে।
জলপ্রপাত এর মুখে বসে ছবি উঠানোর সময় অতিরিকত সাবধানতা অবলবন করুন যেন পা পিছলে পড়ে না যান।
ট্রেকিং এর সময় সাথে লাঠি,পুল বা বাঁশ জাতীয় কিছু রাখুন, যার সাহায্য নিয়ে পথ চলতে সুবিধা হবে।


Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 17