Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Hello Obayed

Pages: [1]
1
রায় সব নবজাতকের জন্ডিস হয়। এতে অনেকেই আতঙ্কে ভোগেন। অনেকেই জানেন না নবজাতকের জন্ডিস হলে কী করতে হয়।

নবজাতকের জন্ডিস মানে হলো তার রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়া। রক্ত কণিকা ভেঙে বিলিরুবিন তৈরি হয়। লিভারে তা ক্ষুদ্র কণিকায় রূপান্তরিত হয়ে পায়খানার মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। সাধারণভাবেই নবজাতকের বিলিরুবিন একটু বেশি থাকে। এটা স্বাভাবিক। এ জন্যই বলা হয়, প্রতিটি শিশুই জন্মের পরপর জন্ডিসে আক্রান্ত হয়।

এর কারণ আছে। গর্ভে শিশু যখন বড় হয় তখন মায়ের শরীরের সঙ্গে সংযুক্ত প্লাসেন্টারের মাধ্যমে এই বিলিরুবিন তার দেহ থেকে বের হয়ে যায়। তখন গর্ভস্থ শিশুর লিভারকে বিলিরুবিন ভাঙতে কাজ করতে হয় না। কিন্তু জন্মের পরপর তা করতে হয়। এ সময় লিভার পুরোপুরি কার্যক্ষম হতে সময় লাগে। এ কারণেই নবজাতকের কিছু সময়ের জন্য হলেও জন্ডিস দেখা দেয়।

বেশির ভাগ নবজাতকের ত্বক হলদেটে হয়ে যায়। চোখের সাদা অংশও হলদেটে হয়। এর কারণ বিলিরুবিন হলদে রঙের পদার্থ। আর এটাই নবজাতকের জন্ডিস হিসেবে পরিচিত। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে বিলিরুবিনের মাত্রা নির্ণয় করা যায়। যদি রক্তে অতিরিক্ত বিলিরুবিন পাওয়া যায়, তবে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

সাধারণত জন্মের প্রথম চার সপ্তাহ বা ২৮ দিন বয়স পর্যন্ত সময়কালকে নিউনেটাল পিরিয়ড বলা হয়। এ বয়সের শিশুরাই নবজাতক হিসেবে পরিচিত। নবজাতকের জন্ডিস নিয়ে মা-বাবারা বেশ চিন্তিত থাকেন। তবে সময়মতো চিকিৎসা নিলে এবং কিছু নিয়ম মেনে চললে নবজাতকের জন্ডিস ঠিক হয়ে যায়।

জন্ডিসের উপসর্গ

* নবজাতকের শরীর হলুদাভ হয়ে যায়।

* প্রথমে মুখ হলুদাভ হয়। আস্তে আস্তে শরীর হলুদ হবে, এমনকি হাত ও পায়ের তালু পর্যন্ত হলুদ হয়ে যাবে। পুরো শরীর হলুদ হয়ে গেলে বিলম্ব না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

* শিশু দুধ পান করে না।

* পেট ফুলে যায়।

* নড়াচড়া কম করে।

* শরীরে তীব্র জ্বর থাকতে পারে। আবার শরীর অতিরিক্ত ঠাণ্ডাও হয়ে যেতে পারে।

* কোনো কোনো ক্ষেত্রে খিঁচুনিও হতে পারে।

প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা

জন্ডিসের মাত্রা ও কারণ নির্ণয়ের জন্য শিশুবিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে নবজাতকের রক্তের প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষা করাতে হয়। যেমন-রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা এবং তা প্রত্যক্ষ না পরোক্ষ তা নির্ণয়, মা ও নবজাতকের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা, কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট, কুম্বস টেস্ট, রেটিকুলোসাইট কাউন্টসহ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা।

চিকিৎসা কখন লাগে?

সাধারণত জন্মগত কারণে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ জন্ডিস পরিলক্ষিত হয়। এসবের বেশির ভাগই ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিস বা সাধারণ জন্ডিস। এ ক্ষেত্রে বয়স্কদের চেয়ে শিশুর দেহের রেড সেল ভলিউম বা লোহিত রক্তকণিকা বেশি থাকে। এই রক্তকণিকার স্থায়িত্ব কম থাকে। তাই লোহিত কণিকা ভেঙে বিলিরুবিন বেশি তৈরি হয়। লিভার পুরোপুরি কার্যক্ষম হয় না বলে শরীরে বিলিরুবিন জমে যায়। তাই নবজাতকের জন্ডিস বেশি হয়।

ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিসের ক্ষেত্রে নবজাতককে প্রতিদিন আধা ঘণ্টা করে ১০ দিন সূর্যের আলোতে রাখলেই ভালো হয়ে যায়। তবে জন্ডিসের মাত্রা বেশি মনে হলে (বিলিরুবিন ১৪ বা তার বেশি হলে) হাসপাতালে এনে ফটোথেরাপি দিতে হয়।

নবজাতকের রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা কেমন, শিশু কত সপ্তাহে জন্ম গ্রহণ করেছে, বিলিরুবিন কী পরিমাণে বাড়ছে তার ওপর চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে।

নবজাতকের জন্ডিস হলে সাধারণত বেশি করে বুকের দুধ খাওয়াতে হয়। এতে বারবার পায়খানা হয়, পায়খানার মাধ্যমে শরীরে জমে থাকা বিলিরুবিন বের হয়ে যায়।

হাসপাতালে চিকিৎসা হিসেবে সাধারণত ফটোথেরাপি প্রয়োগ করা হয়। এক ধরনের বেগুনি আলোর মধ্যে, হালকা গরম আবহাওয়ায় শিশুটিকে কিছু সময়ের জন্য রাখতে হয়। শিশুকে সাধারণত চোখ ঢেকে দেওয়া হয়। শিশুর শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে এ সময়ও কিছুক্ষণ পরপর বুকের দুধ পান করানো উচিত।

বেশির ভাগ শিশু এক থেকে দুই দিন ফটোথেরাপি পেলেই ভালো হয়ে যায়।

তবে নবজাতকের বিলিরুবিন যদি অতিমাত্রায় বাড়তে থাকে, তবে হাসপাতালে চিকিৎসা করানো উচিত। এ সময় শিশুকে রক্ত দেওয়ারও প্রয়োজন হতে পারে। কখনো কখনো ইন্ট্রাভেনাস ইমিউনোগ্লোবিউলিনও লাগতে পারে।

মনে রাখা দরকার, বিলিরুবিনের অতি মাত্রা শিশুর মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। জটিলতার মধ্যে আছে-সেরিব্রাল পালসি, কান নষ্ট হয়ে যাওয়া, কার্নিকটেরাস ইত্যাদি। তবে এগুলো খুব অল্প দেখা যায়।

বিভিন্ন প্রকারের জন্ডিস

এ ছাড়া নানা কারণে নবজাতকের জন্ডিস হতে পারে। এসব কারণে জন্ডিস হলে তা মারাত্মক জটিলতাও তৈরি করতে পারে। যেমন-

হেমোলাইটিক এনিমিয়া : এ ক্ষেত্রে নবজাতক রক্তশূন্য হয়ে পড়ে। তার লিভার ও প্লীহা বড় হয়ে যায়। চোখ বেশি হলুদাভ হয়। যথাসময়ে চিকিৎসা না হলে নবজাতকের লিভার ফেইলিওর হতে পারে। লিভার সিরোসিসও হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে শিশুটি মৃত্যুমুখে পতিত হতে পারে।

রক্তের গ্রুপজনিত জন্ডিস : নবজাতকের বা শিশুর রক্তের গ্রুপ যদি পজিটিভ, আর মায়ের নেগেটিভ গ্রুপের হয়-এ ক্ষেত্রে বিপজ্জনক ধরনের জন্ডিস হতে পারে। এ ছাড়া মায়ের রক্ত পজিটিভ হলেও এ ধরনের বিপদ ঘটতে পারে।

ইনফেকশন : নবজাতকের রক্তে ইনফেকশন ছড়িয়ে গেলে একে সেপটিসেমিয়া হয়। এটি হলে জন্ডিসও হয়। এ ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে ৭ থেকে ১০ দিনের মতো সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করাতে হয়।

প্রি-ম্যাচুরিটি বা সময়ের আগে জন্মানো শিশু : অপরিণত জন্ম হলে নবজাতকের জন্ডিস হতে পারে। মাত্রা বেশি হলে ফটোথেরাপি দিতে হবে। আবার জন্ডিসের মাত্রা কম হলে (১৪ মি.গ্রা./ ডেসিলিটারের নিচে হলে) সূর্যের আলোতে ভালো হয়ে যায়।

মায়ের ডায়াবেটিস : কোনো নবজাতকের মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে জন্মগ্রহণের পর নবজাতকের জন্ডিস হতে পারে। এ ক্ষেত্রে নবজাতকের শর্করা লেভেল স্বাভাবিক রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে 'রাউন্ড দ্য ক্লক ফিডিং' বা ঘন ঘন বুকের দুধ দিতে হবে।

হাইপো থাইরাডিজম : এ ক্ষেত্রে বুকের দুধ খেলেই জন্ডিস হয়। এ ক্ষেত্রে শিশুর থাইরয়েড হরমোন রিপ্লেসমেন্ট করাতে হয়।

এ ছাড়া কিছু কারণ রয়েছে যে জন্য জন্ডিস হয়। যেমন-এনজাইম ডিফেক্ট বা লিভার ব্লকেজ থাকলে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অসম্পূর্ণ বা অরগান ডিফেক্ট থাকলে, নবজাতকের পিত্তথলিতে কোনো সমস্যা থাকলে, গ্লুকোজ সিক্স ফসফটাস এনজাইম ডিফিসিয়েন্সি থাকলে, পাইলোরিক স্টেনোসিস বা পাকস্থলীতে খাদ্য নির্গমনে কোনো বাধা থাকলেও জন্ডিস হতে পারে।



2
মূত্রনালীতে সংক্রমণ নারীদের মধ্যে সচরাচর দেখা যায়। সংক্রমণ রোধ করার উপায় রয়েছে। এটি হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি, ডায়েট, পরিচ্ছদ এবং কার্যকর্ম। এ পদ্ধতি পালন করলে প্রাকৃতিক প্রতিরোধক উপায়গুলো কার্যকর হতে পারে, সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব।

স্বাস্থ্যবিধি : বাথরুমকর্ম শেষে গোপনাঙ্গ পরিচ্ছন্ন করতে হবে সামনে থেকে পেছনদিকে। আমরা যদি পেছন দিক থেকে পরিচ্ছন্ন করা শুরু করি তাহলে মলাশয়ের জীবাণু হাতে বা টিস্যুতে স্থানান্তরিত হবে, পরবর্তীতে মূত্রনালীর সংক্রমণ হয়। দু’বার পরিষ্কার করা ভালো অভ্যাস, একই টিস্যু আবার ব্যবহার যথাযথ নয়। মোছার গতিও হতে হবে মৃদু। মনে করা হয় দীর্ঘসময় গোসল বেশ ভালো, তা ঠিক নয়। বাথটাব নয় শাওয়ার নেয়া ভালো। নিজের ত্বক ফ্লোর থেকে সংক্রমণ হয়, বাথটাবে বেশি সময় অবগাহন করলে। বেশি সময়ে বাথটাবে বসে থাকলে মুত্রাশয় পথে সংক্রমণ ত্বরান্বিত হয়। প্রস্রাবের তাগিদ এলে ধরে রাখা ঠিক না। প্রতি চার ঘণ্টায় একবার জাগ্রত অবস্থায় প্রস্রাব করা ভালো।

ডায়েট : পানি যথেষ্ট পান করলে মূত্রনালী সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব। প্রতি আহারের সময় দু’গ্লাস পানি পান করা শুরু হোক। প্রস্রাব যদি স্বাভাবিক রঙের চেয়ে গাঢ় হয়, স্বাভাবিক বর্ণ হলো হালকা হলুদ, তাহলে বোঝা যায় প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করা হচ্ছে না। পানি ছাড়া একে ঠেকাতে ক্রানবেরি জুসও পান করা যেতে পারে।
পোশাক পরিচ্ছদ : খুব আটসাট অর্ন্তবাস পরা ভালো নয়। সূতি হলে ভালো। এর ফলে আর্দ্রতা শুষে নিতে পারে। আর্দ্রতা থাকলে ত্বক নরম হয়ে যায়, ভিজে যায়, জীবাণু তৈরি হয়। নারীদের জন্য সূতি অন্তর্বাস প্রয়োজন।

কাজকর্ম : যদি খেলাধূলা করেন বা যেকোনোও রকম শরীরচর্চা করেন তাহলে বারবার প্রস্রাব করা প্রয়োজন হয়। প্রচুর পানি পান করবেন, অন্য কোনো তরলও পান করতে পারেন।
স্বামী-স্ত্রী মিলনের পরও যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। তা না হলে মূত্রনালী সংক্রমণের আশংকা থাকে। মূত্রথলিতে জীবাণু প্রবেশের আশংকা থাকে তাই এর পর মূত্রথলি খালি করা বিধেয়। এ সময় দু’গ্লাস পানি পান করা উচিত। চিকিৎসক পরামর্শ দিলে ইউরিনারি এন্টিসেপ্টিক ব্যবহার করতে হয়।
অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতার মতোই নারীদের ক্ষেত্রে মূত্রনালী সংক্রমণ প্রসঙ্গে নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধই শ্রেয়।

3
Pharmacy / Meningitis in children — a very serious disease
« on: May 05, 2015, 11:13:36 AM »
Shoumen (not a real name) is a three years old breast feed baby who is properly vaccinated with a history of age appropriate development. Suddenly he felt sick, presented with high fever, headache, vomiting, lethargy, neck stiffness and convulsion. He was hospitalised immediately. After through physical examination lumber puncture done and cerebrospinal fluid (CSF) was obtained for examination in the lab. CSF study confirmed the diagnosis of Meningitis. Shoumen was treated by parental antibiotics for two weeks and then discharged with some advice and asked for follow up after four weeks.

Bacterial meningitis is a serious but common infection of central nervous system. Delay in treatment may end up with various complications and even death. Organisms may affect the brain coverings directly if there is any head injury, fracture, following some diagnostic procedures but mostly it affects brain via blood (hematogenous spread).

Fever, headache, vomiting, neck stiffness and other signs of meningeal irritation, lethargy, convulsion are the dominating features. Early diagnosis and prompt treatment is necessary to minimise morbidity and mortality.

Common complications include hydrocephalus (a medical condition in which there is an abnormal accumulation of CSF in the ventricles of the brain), subdural effusion (collection of fluid trapped between the surface of the brain and the outer lining of the brain called dura matter), brain abscess, cerebral palsy, cranial nerve palsy, deafness, visual problem, mental retardation, epilepsy etc.

Every year more than 1.2 million people are affected by meningitis. Bacterial meningitis is the most severe and common form. Even with prompt diagnosis and treatment, approximately 1 in 10 patients die and up to 1 in 5 sustain permanent damage and disability.

Meningitis is a disease that can affect anyone, anywhere and at any time but children are the main victims. Breastfeeding, maintaining proper hygiene and vaccination reduces the incidence of the disease.

24th April is observed as World Meningitis Day to create awareness about the disease.

4
Allied Health Science / Mulberry as antidiabetic
« on: April 29, 2015, 11:44:01 AM »
Mulberry

Familia de Moraceae

Mulberry photos Mulberry photos Mulberry photos

The tree which grows berries called Mulberry. Its scientific name is Morus nigra and belongs to the Moraceae family.
The Mulberry has large oval leaves, rounded at the base, toothed edges and hairs on nerves in the back.
The fruits of Mulberry (berries) grow grouped to form the default. These are black or reddish purple, with a particularly bittersweet.
The fruit is very juicy and flavorful.
It is believed that morality originated in ancient Persia.
Morus nigra is a tree widely cultivated in all regions.
Mainly interested in harvesting the fruit, but also can take the leaves and root of this herb.
When the berries are ripe, have large amounts of sugars, mostly glucose and fructose. They also contain albuminoids, gums, organic acids, pectosa, and coloring matter.
The fruits of this medicinal plant are mild laxatives.
The Mulberry is a good anti-inflammatory; this effect is due primarily to the cortex. It is widely used in the mouth and throat inflammations.
The leaves of this herb have astringent properties and anti-diabetic and used in pharyngitis, stomatitis and hyper glycemia.

Recipes for this herb:

Fruits: Berries are eaten directly from the tree. Do not overuse of the berries as they can get diarrhea and cramps.

Juice: You can also make Mulberry juice.

Infusion is prepared from the leaves of the mulberry.
It takes a handful of fresh leaves of Morus nigra and placed in a quart of boiling water.
They drink 3 cups a day before meals.

This same infusion, a little more concentrated, can be used to make washing and gargling.

Extract: This extract is prepared from the leaves of this herb. They take 30 to 50 drops before meals.

Mulberry syrup, gives very good results in gargles, and sore mouth and throat.

5
মৃতিভ্রংশের একটি রোগ আলঝেইমার। আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত সবকিছু ভুলে যায়, স্মৃতি মনে করতে পারেন না। রোগটিতে আক্রান্ত ব্যক্তি পরিচিত ব্যক্তি থেকে শুরু করে একটু আগে দেখা জিনিসের কথাও স্মরণ করতে পারেন না।
সম্প্রতি আলঝেইমার রোগের কারণ অনুসন্ধানে গবেষণা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক। এতে দেখা যায়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে আলঝেইমার রোগের যোগসূত্র রয়েছে। গবেষকদের এমন আবিষ্কার স্মৃতিভ্রমের মতো এ রোগটির চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থার এএফপির খবরে জানানো হয়, সম্প্রতি ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের ওই গবেষণা ওপর জার্নাল অব নিউরো সায়েন্স সাময়িকীতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে দাবি করা হয়, গবেষকেরা আলঝেইমার রোগের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার এমন বিশেষ কিছু কোষ খুঁজে পেয়েছেন। এসব কোষ প্রধান পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে মস্তিষ্ককে বাধা দেয়।
ওই গবেষকেরা ইঁদুরের মস্তিষ্কে বিশেষ ধরনেরওষুধ ব্যবহার করেন। এতে প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওই কোষগুলো আর মস্তিষ্কের প্রধান উপাদান সংগ্রহের পথে বাধা দিতে পারে না। এতে ওই ইঁদুরগুলোর স্মৃতিভ্রংশ থেকে রক্ষা পায়।
ওই গবেষণায় প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ওই কোষগুলোর ভূমিকা সুস্পষ্ট বোঝা যায়নি। তবে এ গবেষণা আলঝেইমার হওয়ার সম্ভাব্য কারণ বের করেছে। যা নতুন চিকিৎসা পদ্ধতিতে আলঝেইমার নিরময়ে নতুন দিগন্ত খুলেছে বলে আশা করা হচ্ছে।

6
Pharmacy / স্ট্রোক হলে যা জরুরি
« on: April 23, 2015, 09:46:48 AM »
স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া মানেই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ। রোগী একদিকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন আরেকদিকে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখার প্রাণান্তকর চেষ্টা করতে থাকেন আত্মীয়-স্বজনেরা। এই অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে উপস্থিত হয়ে তাঁকে একনজর দেখার জন্যও ভিড় জমান রোগীর স্বজনেরা। যেন দ্রুত তাঁকে শেষবার একনজর জীবিত দেখে নেওয়ার তাগিদ অনুভব করেন। সবচেয়ে পরিচিত স্ট্রোকের মধ্যে পড়ে মস্তিষ্কের শিরায় রক্ত জমে রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ার যাওয়ার ঘটনাটি। এতে মস্তিষ্কের ওই শিরার নিকটস্থ কোষগুলো দ্রুত মারা যেতে শুরু করে। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন যে, বর্তমানে এই রোগের কার্যকর চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে। স্ট্রোকের মতো অবস্থা দেখা দিলে দ্রুত নিউরোলজিস্টকে দেখাতে হবে। সম্প্রতি স্ট্রোকের জরুরি চিকিৎসা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য ইকোনমিস্ট।
মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধা স্ট্রোকের একটি চিকিৎসা হচ্ছে ‘থ্রম্বোলাইটিক থেরাপি’, যে চিকিৎ​সায় ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে দ্রুত মস্তিষ্কের জমাট বাঁধা রক্ত গলে যায় এবং রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক হয়। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটে গেলে ভিন্ন বিষয়) উভয় ক্ষেত্রেই এই থেরাপি বা ওষুধের মাধ্যমে জমাট বাঁধা রক্ত গলিয়ে ফেলা হয়। স্ট্রোক হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই থেরাপি দেওয়া হলে মস্তিষ্কের ক্ষতি কম হয় এবং প্যারালাইসিস বা দীর্ঘমেয়াদি অক্ষমতা তৈরির বিষয়গুলো কমে যায়। নিউরোলজিস্ট বা স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা স্ট্রোকের চিকিৎসার বিষয়টিকে বলেন, ‘টাইম ইজ ব্রেইন’।
স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে স্ট্রোকের রোগী এলে তিনি লক্ষণ দেখেই দ্রুত চিকিৎসা দেন এবং ওষুধ প্রয়োগ করেন। তবে এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা একটি ধাপ আগে সম্পন্ন করেন আর তা হচ্ছে কম্পিউটেড টমোগ্রাফি বা সিটি স্ক্যানারে রোগীর মস্তিষ্ক স্ক্যান করা। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে তাঁরা সিটি স্ক্যান করেন। যদি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে তবে থ্রম্বোলাইটিক ওষুধ প্রয়োগ করলে রোগীর অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে দাঁড়ায়। এ জন্য সিটি স্ক্যানের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সিটি স্ক্যান করতে গেলে সময় লাগে। গত কয়েক দশকে অবশ্য সিটি স্ক্যান করার মতো বিষয়টিতে সময় বাঁচানোর বেশ কয়েকটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে। চিকিৎসকেরাও স্ট্রোকের রোগী চেনার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন। সিটি স্ক্যানার মেশিনও জরুরি বিভাগে সহজলভ্য হয়েছে। এ ছাড়াও স্ক্যান করার আগে ইনজেকশনের মাধ্যমে সরাসরি ওষুধ প্রয়োগের বিষয়টিও এখন চিকিৎসকদের নখদর্পণেই থাকে।
তবে, অনেক সময় চিকিৎসা পদ্ধতিতে সামান্য সময় বাঁচাতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবহেলাও করে বসতে পারেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে মানবিক উপাদান বা মানসিক সাহায্য। ইসরায়েলের সরোকা ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের নিউরোলজিস্ট গাল ইফারজেন স্ট্রোকের রোগীদের নিয়ে গবেষণা করেছেন। গবেষক ইফারজেন খেয়াল করে দেখেন, চিকিৎসাকেন্দ্রের জরুরি বিভাগে যখন স্ট্রোকের রোগীকে আনা হয় তখন তাঁর সঙ্গে বন্ধু, স্বজন বা পরিবারের সদস্যদের থাকা জরুরি। যেসব স্ট্রোকের রোগীকে একা আসতে হয় তাদের তুলনায় স্বজনদের সঙ্গে এলে তাঁর অবস্থা কিছুটা ভালো থাকে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রোগীদের নিয়ে এই পর্যবেক্ষণ করেছেন এই গবেষক। তাঁর গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে ‘মেডিসিন’ সাময়িকীতে।
গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রোকের রোগীর সঙ্গে দুজনের বেশি উপস্থিত থাকলে তাঁর চিকিৎসা সঠিকভাবে হয় এবং সিটি স্ক্যানও দ্রুত করা যায়। যে রোগীদের মস্তিষ্কে জমাট বাঁধা রক্ত গলানোর জন্য ওষুধ দেওয়া দরকার তাদের ক্ষেত্রেও জরুরি চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়। অবশ্য রোগীর পাশে স্বজনদের উপস্থিতির কারণে জরুরি চিকিৎসা মেলে কি না সে বিষয়টি নিয়ে এখনো নিশ্চিত নন গবেষকেরা। গবেষণায় দেখা যায়, স্ট্রোকের রোগীর সঙ্গে যদি একজন থাকেন তবে সিটি স্ক্যান দ্রুত সম্পন্ন হয়। এতে রোগীর সঙ্গে কেউ না থাকার চেয়ে একজন সঙ্গী থাকলে ১৫ মিনিট পর্যন্ত সময় বাঁচে। সঙ্গী দুজন হলে ২০ মিনিট পর্যন্ত সময় বাঁচানো যায়। তবে দুজনের বেশি হলে খুব বেশি ফায়দা হয় না।
রোগীর সঙ্গে যাঁরা থাকবেন তাঁরা রোগীর নিকটাত্মীয় না কি স্বজন সে বিষয়টি অবশ্য গবেষক ইফারজেন রেকর্ড রাখেননি। তাঁরা কীভাবে চিকিৎসার দেরি হওয়া ঠেকায় তারও কোনো রেকর্ড নেই। তবে গবেষক ইফারজেনের ধারণা, স্বজনদের কিছুটা বাড়তি যত্ন, সাহায্য রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকখানি সময় বাঁচিয়ে দেয়।
গবেষকেরা অবশ্য স্বীকার করেছেন, চিকিৎসার সময় রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনদের উপস্থিতি কতটা প্রভাব ফেলে সে বিষয়ে খুব কম গবেষণা করা হয়েছে। অনেক হাসপাতালে এখন নিয়ম রয়েছে যে, জরুরি বিভাগে রোগীর সঙ্গে কেবল পরিবারের একজন সদস্য উপস্থিত থাকতে পারবেন।
তড়িঘড়ি চিকিৎসার সময় যাতে চিকিৎসকদের কাজে ব্যাঘাত না ঘটে সে কারণে দর্শনার্থীদের একত্রে হাসপাতালে বা চিকিৎসাকেন্দ্রে আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেদের করা এক গবেষণায় দেখা যায়, স্ট্রোকের চিকিৎসার সময় মায়াকান্না করে এমন স্বজনদের উপস্থিতির কারণে চিকিৎসকদের পক্ষে সঠিক চিকিৎসা দিতে বিলম্ব হতে দেখা যায়। অবশ্য, অন্য কোনো গবেষণায় কার্ডিওপালমোনারি রিসাচসাইটেশন, পেডিয়াট্রিক ট্রমার মতো বিষয়গুলোতে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি চিকিৎসা মানে কোনো হেরফের ঘটিয়েছে এমন কোনো প্রমাণ নেই।
অবশ্য গবেষক ইফারজেন তাঁর এই গবেষণায় কিছু সীমাবদ্ধতার কথা মেনে নিয়েছেন। কারণ, এই গবেষণায় নমুনার পরিমাণ কম দেখানো হয়েছে। এ ছাড়াও ইসরায়েলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে অন্য দেশের বিষয়টি নাও মিলতে পারে।
অন্য দেশে বা অন্য চিকিৎসাকেন্দ্রে যে ব্যবস্থা নেওয়া হোক না কেন ইতিমধ্যে সরোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছেন তিনি। ইফারজেন বলেন, ‘আমরা স্ট্রোকের রোগীদের সঙ্গে এখন দুজনকে আসার অনুমতি দিচ্ছি। ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের একা আসা নিরুৎসাহিত করে স্বজনসহ উপস্থিত হতে পরামর্শ দিচ্ছি।’

ড. ইফারজেনের পরামর্শ হচ্ছে, চিকিৎসাকেন্দ্রের জরুরি বিভাগে একাকী স্ট্রোক রোগী আসলে তাঁর চিকিৎসার সময় স্বজনের মতোই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করা উচিত। এই বিষয়টি অন্যান্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখতে পারে।

7
Pharmacy / An Excellent review on antidiabetic herbal medicinal plants
« on: April 22, 2015, 04:29:03 PM »
Please have a look on the review who are interested for antidiabetic herbals

8
Pharmacy / A database of 389 medicinal plants for diabetes
« on: April 22, 2015, 04:25:52 PM »
Medicinal plants used to treat hypoglycemic and hyperglycemic conditions are of considerable interest to ethno-botanical community as they are recognized to contain valuable medicinal properties in different parts of the plant. The active principles of many plant species with desired properties are isolated to cure ailments such as diabetes type-1 and type-2, respectively. DiaMedBase is  a database containing information of medicinal plants for diabetes.

Please follow the link for surfing and enjoy the information

http://www.progenebio.in/DMP/DMP.htm

Regards
Obayed

9
Pharmacy / Recombinant Protein Production of Human Immune Protein
« on: April 22, 2015, 12:26:09 PM »
Recombinant production of functional full-length and truncated human TRAM/TICAM-2 adaptor protein involved in Toll-like receptor and interferon signaling


Highlights

 Full-length and truncated TRAM proteins were successfully expressed in E. coli and purified.
Systematic construct design and small-scale expression helped to determine the boundaries of the TRAM TIR domain.
 TRAM and TLR4 TIR domains interacts physically; the BB loop regions of both proteins are crucial for this interaction.
 Large-scale purification and biophysical characterization identified a TRAM construct suitable for structural studies.

For Abstract/Full paper, please wirte to me
Obayed

Pages: [1]