Daffodil International University
IT Help Desk => IT Forum => Topic started by: arefin on August 31, 2012, 10:19:19 PM
-
(http://www.banglanews24.com/images/imgAll/2012August/SM/landintEditM20120827080830.jpg)
২৭ আগস্ট সোমবার থেকে দেশে ইন্টারনেট ব্যাকআপ আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) সংযোগের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের সীমান্ত অঞ্চল বেনাপোল দিয়ে স্থলপথের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এ নিরবিচ্ছিন্ন বিকল্প ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হবে।
এরই মধ্যে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান টাটা দেশের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তার (কেবল) সংযোগের কাজ প্রায় চূড়ান্ত করেছে। এ জন্য এসটিএম-৬৪ পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশে অ্যালায়েন্স হোল্ডিংস এবং ওয়ান এশিয়া কমিউনিকেশন যৌথভাবে এ বিকল্প ইন্টারনেট সেবা ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে।
ফলে স্থলপথে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের এ সমস্যা সমাধান হবে। ২৭ আগস্ট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এ সংযোগ চালু হচ্ছে। আর আসছে সেপ্টেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে আইটিসির মাধ্যমে এ সংযোগটি চালু হবে।
এখনও বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ সেবা শুধু আন্তর্জাতিক সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এ একটিমাত্র সংযোগ দিয়েই বিশ্বের সঙ্গে ইন্টারনেটে যুক্ত হয় বাংলাদেশ। এ মুহূর্তে একমাত্র ইন্টারনেট সংযোগমাধ্যমে সিমিউই(৪) কোনো সমস্যায় পড়লে দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে। তাই আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল কেবলের (আইটিসি) মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ভিডিও, ভয়েস এবং তথ্যসেবা পাওয়া যাবে। এমন কথাই জানিয়েছে ওয়ান এশিয়া কমিউনিকেশন সূত্র।
এ প্রসঙ্গে ওয়ান এশিয়া কমিউনিকেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা মোহাম্মাদ হেলাল বাংলানিউজকে বলেন, এরই মধ্যে দেশের বিকল্প ইন্টারনেট মাধ্যম হিসেবে আইসিটির কারিগরি সংযোগের (ফিজিক্যাল কানেক্টিভিটি) কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরপর পরীক্ষামূলক পর্ব চূড়ান্ত করে বাণিজ্যিক বিপণন শুরু হবে।
নতুন এ সংযোগ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ সিমিইউ(৪) সাবমেরিন কেবল ছাড়াও সাতটি চ্যানেলে ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করতে পারবে। ফলে বাংলাদেশ অচিরেই অবিচ্ছেদ্য ইন্টারনেট সংযোগমাধ্যমে প্রবেশ করছে। এ জন্য যে চ্যানেলটি তৈরি করা হয়েছে তা বেনাপোল-কলকাতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে মুম্বাই এবং চেন্নাইয়ের ল্যান্ডিং স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত হবে।
বাংলাদেশের ইন্টারনেট সংযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে টাটা কমিউনিকেশন সব সময় তিনটি চ্যানেল লাইভ রাখার কথা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে। এর ফলে দেশের করপোরেট সেবাভুক্তরা অপেক্ষাকৃত কমমূল্যে বিকল্প ইন্টারনেটের এ সুবিধা পাবেন। তবে সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে কি ধরনের সেবাব্যয় কমবে তা বিটিআরসি এবং আইএসপি সেবাদাতাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।
আগামী সেপ্টেম্বরের শেষদিকেই এ বিকল্প ইন্টারনেটের সংযোগের সুবিধা বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্যিকভাবে অবমুক্ত করা হবে। এ মুহূর্তে আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা ছাড়া আর তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। ফলে অবিচ্ছেদ্য ইন্টারনেট সুবিধাভুক্ত হতে বাংলাদেশের ইন্টারনেট ভোক্তাদের আর খুব বেশি দিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না। এমন আশাবাদের কথাই জানালেন ওয়ান এশিয়া কমিউনিকেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা মোহাম্মাদ হেলাল।
সোর্সঃ বাংলা নিউজ