Daffodil International University
Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Hadith => Topic started by: bipasha on October 08, 2012, 09:23:19 AM
-
একজন লোক রাসুল (সাঃ) এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন: হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ)!! আমার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশী সদাচরণ পাওয়ার অধিকারী কে?
তিনি বললেন, তোমার মা। সাহাবী জিজ্ঞাসা করলেন: তারপর কে? রাসুল (সাঃ) বললেন, তোমার মা। সাহাবী পূনরায় জিজ্ঞাসা করলেন: তারপর কে? রাসুল (সাঃ) জবাব দিলেন: তোমার মা। সাহাবী চতুর্থবার জিজ্ঞাসা করলেন, তারপর কে? রাসুল (সাঃ) জবাবে বললেন: তোমার পিতা।
(বুখারী-৫৯৭১, মুসলিম-২৫৪৮, সহীহ ইবনে হিব্বান-৪৩৪; এ ছাড়া কাছাকাছি অর্থে এসেছে-ইবনে মাজাহতে-৩৬৫৮)" (দুরুসুস সাওতিয়্যাহঃ ১৭/৭)
-
(http://sphotos-h.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash4/420940_424415814288053_310419308_n.jpg)
-
(http://sphotos-c.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-prn1/535836_424785334251101_1902411136_n.jpg)
-
(http://sphotos-f.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash4/c0.0.403.403/p403x403/285688_424769617586006_193636045_n.jpg)
-
●|●হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কাপড়ের যে অংশ টাখনুর নীচে যাবে তা [টাখনুর নীচের অংশ] জাহান্নামে জ্বলবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৭৮৭}
এই বিধান পুরুষের জন্য আর মেয়েদের জন্য বিধান হল নিচ পর্যন্ত কাপড় ঝুলিয়ে রাখবে যা নাকি উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালমা (রাঃ) থেকে আবু দাউদ, নাসায়ী, তিরমিযী শরীফে বর্নিত হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, কারণ এটিই তাদের জন্য অধিক আবৃতকারী। আর এখন আমাদের সমাজে এর উলটা ছেলেরা টাকনুর নিচে একেবারে মাটি টেনে কাপড় পড়ে আর মেয়েরা টাকনুর উপরে যতটুকু পারে উঠিয়ে। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) আমাদের কত ভালবাসতেন। সারাটা জীবন আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করে গেছেন। তাঁর কথা অনুযায়ী কি আমরা চলতে পারি না।
-
●|● রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
“দুটি ফোঁটা ও দুটি চিহ্ন থেকে অধিক প্রিয় কোনো বস্তু আল্লাহর নিকট নেই।
এক- আল্লাহর ভয়ে নির্গত চোখের পানির ফোঁটা । দুই-আল্লাহর রাস্তায় প্রবাহিত রক্তের ফোঁটা।
আর দুটি চিহ্ন, এক- আল্লাহর রাস্তায় (জিহাদের) আঘাতের চিহ্ন। দুই-আল্লাহর ফরযসমূহ থেকে কোনো ফরয আদায়ের চিহ্ন।â€
---- তিরমিযী, হাদীস নং ১৬৬৯-----
-
উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন,
একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট বসেছিলাম, এমন সময় হঠাৎ এক ব্যক্তি আমাদের সামনে উপস্থিত হয়, যার কাপড় ছিল ধবধবে সাদা, চুল ছিল ভীষণ কালো; তার মাঝে ভ্রমণের কোন লক্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছিল না। আমাদের মধ্যে কেউ তাকে চিনতে পারে নি। সে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে গিয়ে বসে, নিজের হাঁটু তার হাঁটুর সঙ্গে মিলিয়ে নিজের হাত তার উরুতে রেখে বললেন:
“হে মুহাম্মাদ, আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলুনâ€।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন:
“ইসলাম হচ্ছে এই- তুমি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন সত্য ইলাহ্ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসূল, সালাত প্রতিষ্ঠা কর, যাকাত আদায় কর, রমাদানে সওম সাধনা কর এবং যদি সামর্থ থাকে তবে (আল্লাহর) ঘরের হজ্জ কর।â€
তিনি (লোকটি) বললেন:
“আপনি ঠিক বলেছেনâ€।
আমরা বিস্মিত হলাম, সে নিজে তার নিকট জিজ্ঞাসা করেছে আবার নিজেই তার জবাবকে ঠিক বলে ঘোষণা করছে।
এরপর বলল:
“আচ্ছা, আমাকে ঈমান সম্পর্কে বলুনâ€।
তিনি (রাসূল) বললেন:
“তা হচ্ছে এই- আল্লাহ্, তাঁর ফিরিশ্তাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ ও আখেরাতর উপর ঈমান আনা এবং তাকদীরের ভাল-মন্দের উপর ঈমান আনা।â€
সে (আগন্তুক) বলল:
“আপনি ঠিক বলেছেনâ€।
তারপর বলল:
“আমাকে ইহসান সম্পর্কে বলুনâ€।
তিনি বলেন:
“তা হচ্ছে এই- তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদাত কর যেন তুমি আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছ, আর তুমি যদি তাঁকে দেখতে নাও পাও তবে তিনি তোমাকে দেখছেনâ€।
সে (আগন্তুক) বলল:
“আমাকে কেয়ামত সম্পর্কে বলুনâ€।
তিনি (রাসূল) বললেন:
“যাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে সে জিজ্ঞাসাকারী অপেক্ষা বেশী কিছু জানে নাâ€।
সে (আগন্তুক) বলল:
“আচ্ছা, তার লক্ষণ সম্পর্কে বলুনâ€।
তিনি (রাসূল) বললেন:
“তা হচ্ছে এই- দাসী নিজের মালিককে জন্ম দেবে, সম্পদ ও বস্ত্রহীন রাখালগণ উঁচু উঁচু প্রাসাদে দম্ভ করবেâ€।
তারপর ঐ ব্যক্তি চলে যায়, আর আমি আরো কিছুক্ষণ বসে থাকি। তখন তিনি (রাসূল) আমাকে বললেন:
“হে উমার, প্রশ্নকারী কে ছিলেন, তুমি কি জান?
আমি বললাম:
“আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল অধিক ভাল জানেনâ€।
তিনি বললেন:
“তিনি হলেন জিবরীল। তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন শিক্ষা দিতে তোমাদের কাছে এসেছিলেন।â€
[সহীহ্ মুসলিম: ৮]