-
তিন গম্বুজ মসজিদ ও প্রাচীন কবর, ভিঙ্গুলিয়া, হাইমচর, চাঁদপুর ।
হাইমচরের ভিঙ্গুলিয়া গ্রামের মল্লিক বাড়িতে রয়েছে একটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ ও মসজিদের প্রাঙ্গণে রয়েছে কিছু বাঁধানো প্রাচীন কবর। জনশ্রম্নতি রয়েছে যে, এটি মলুলকজান বিবির মসজিদ। শিলালিপি থেকে যতদুর পাঠ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে তাতে জানা যায়, মসজিদটি ঈসা খাঁর আমলে জালালপুরের মল্লিক খেতাবপ্রাপ্ত কোনো শাসক নির্মাণ করেছিলেন। বাড়ির চতুপার্শ্বে পরীখা খনন করা আছে। লোকে বলে, মল্লিক বাড়ি, মল্লিক বাড়ি হচ্ছে ঈশা খাঁন আমলে প্রশাসকের পদবী। আরো জানা যায় যে, মেঘনায় বিলীন হওয়া হিঙ্গুলিয়া গ্রামেও অনুরূপ তিন গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ ছিল।
Source: http://www.chandpurnews.com/?p=861
-
নাগরাজাদের বাড়ি, মঠ ও দিঘী, কাশিমপুর, মতলব উত্তর, চাঁদপুর ।
মতলবের কাশিমপুরে রয়েছে বিখ্যাত নাগরাজাদের বাড়ি ও ঐতিহাসিক মঠ। নাগরাজাদের বাড়িতে রয়েছে পাঁচশত বছরের প্রাচীন প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাসাদসমূহ। বোয়ালজুড়ি খালের দু’পাড়ে দুই রাজা। নাগরাজা (রামেশ্বরী দেবীর পিতা) ও দারাশাহের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের কাহিনী ও অমর প্রেমের গাঁথা এখনও লোকমুখে বিরাজিত। নায়ের গাঁয়ের কাচিয়ারা গ্রামে রয়েছে চল্লিশ একর আয়তনের কাঞ্চনমালার দিঘী।
বর্তমান অবস্থা : নাগরাজাদের বাড়িটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় বর্তমানে বিদ্যামান।
যোগাযোগ ব্যবস্থা : জেলা সদর থেকে বাস/ সিএনজি যোগে মতলব উত্তর হয়ে সিএনজি/ মোটর সাইকেল যোগে নাগরাজদের বাড়ী যাওয়া যায়।
Source: http://www.chandpurnews.com/?p=1070
-
সাহেবগঞ্জ নীল কুঠি সাহেবগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ চাঁদপুর ।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার এই ঐতিহাসিক গ্রামটিতে সাহেবগঞ্জ নীল কুঠিটির জীর্ণ ও পুরাতন ভবনের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। জানা যায় যে, সাহেবগঞ্জ ফিরিঙ্গী গোলন্দাজ বণিকেরা নীল চাষের খামার হিসেবে একটি ব্যবসা কেন্দ্র ও শহর গড়ে তুলেছিল। লোক মুখে জানা যায় যে, এটা একটি শিল্প ও বাণিজ্য এলাকা ছিল। গ্রামটির নকশা এবং রাসত্মা-ঘাট, জল নিস্কাশনের খাল, পাকা কালভার্ট, ১২টি স্থানের পুরাতন দালানকোঠার বিভিন্ন নমুনায় এটাই প্রতিয়মান হয়। এখানে নীল চাষ করতে অনিচ্ছুক চাষীদেরকে শাসিত্ম ও ভয় দেখাবার জন্য জেলহাজতও তৈরী করেছিল। তৎকালীন ফিরিঙ্গি বণিকেরা মধ্যপ্রাচ্য হতে কয়েক জন দর্জিকে এ এলাকায় নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়ে বিশেষ ধরণের পোশাক তৈরী করত এবং তা বিভিন্ন রং এ রঞ্জিত করে বিদেশে চালান দিত। তখন হতে ঐসকল বিদেশী দর্জিরা এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করে।
Source: http://www.chandpurnews.com/?p=928
-
উজানীতে বেহুলার পাটা উজানী, কচুয়া ।
পদ্মপুরাণে বর্ণিত রয়েছে চাঁদ সওদাগরের পুত্রবধু বেহুলার পৈত্রিক নিবাস চাঁদপুর জেলাধীন কচুয়া উপজেলার উজানী গ্রামে (তৎকালীণ উজানী নগরে)। উত্তরাংশে বেহুলার পৈত্রিক রাজবাড়ী অর্থাৎ বেহুলার পিতার নামানুসারে রাজবাড়ীটি নামকরণ করা হয়েছে। রাজবাড়ীর দক্ষিণাংশে রয়েছে বেহুলার দিঘীর নামে পরিচিত বেহুলার দিঘী। বেহুলার দিঘীর উত্তর পাড়ে রাজবাড়ী হতে প্রায় ৫০ মিঃ দক্ষিণে বেহুলার ছোটবেলার খেলনার সামগ্রী পুরানো পাথরের নির্মিত শিলা পাথরটি (আঞ্চলিক ভাষায় বেহুলার পাটা) আংশিক বিদ্যমান আছে। দৈর্ঘ্য ৩২ ইঞ্চি ও প্রস্থ ২৬ ইঞ্চি বিশিষ্ট এ শিলাটির ওজন প্রায় ২৫০ কেজি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এ শিলাটি আদি অবস্থার আংশিক মাত্র। কয়েক বছর পূর্বে জনৈক ধোপা এই শিলায় খারাপ কাপড় ধোয়ার সময় শিলা পাটাটি বিকট শব্দে স্থানামত্মরিত হয়ে উজানী গ্রামের দুধখাঁর দিঘীতে পতিত হয়। শিলা পাটাটি পানির ওপর ভেসে উঠে বলে জনশ্রম্নতি আছে ।
বেহুলা – লক্ষীন্দরের পাটা রক্ষণা বেক্ষণের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে। এ শিলাটির একটি খন্ডাংশ বক্তারখাঁর শাহী মসজিদে পশ্চিম পাশে সম্পূর্ণ অযত্নে ও অবহেলায় পড়ে আছে।
Source: http://www.chandpurnews.com/?p=464
-
রূপসা জমিদার বাড়ী , চাঁদপুরের ঐতিহ্য ।
মাইনুদ্দিন ভুইয়্যা রনি,ফরিদগঞ্জ :গ্রামের নাম রূপসা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সুদীর্ঘ ঐতিহ্যই এ রূপের অহংকার। প্রায় দু’শতাব্দি আগের কথা, যখন এ অঞ্চলের বেশীরভাগ জনপদগুলোতে উন্নত সভ্যতার আলোর ছোঁয়া পায়নি । চাঁদপুর জেলার সুপ্রাচীন জনপদ ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা গ্রাম তখনও স্নিগ্ধতায় সমৃদ্ধ ছিল। সমৃদ্ধশালী এ গ্রামটির গৌরবময় ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে ঐ গ্রামেরই ঐতিহ্যবাহী জমিদার পরিবারের ইতিহাস। ঊনিশ শতকের প্রথমভাগে মোহাম্মদ গাজী এই জমিদার পরিবারের পত্তন করেন। প্রকৃত অর্থে মোহাম্মদ গাজীর সুযোগ্য পুত্র আহমেদ গাজী চৌধুরীর সময়কালেই এ জমিদার পরিবারের বিস্তৃতি ঘটে। সাধারণভাবে জমিদার বলতেই সাধারণ মানুষের মনে যে জমিদারের প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠে আহমেদ গাজী সে ধরনের জমিদার ছিলেন না । প্রজাহিতৈষী এ জমিদার তার কাজের মাধ্যমে নিজেকে একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। দয়া ও দানশীলতা ছিল তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য তিনি অনেকগুলো জমি ওয়াকফ করে যান। এখানে লাউতলীর দিঘীর ওয়াকফ উলেস্নখযোগ্য। শিক্ষানুরাগী এ জমিদার অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। এর মধ্যে রূপসা আহমদিয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এবং রূপসা আহমদিয়া মাদ্রাসা উলেস্নখযোগ্য। তিনি ছিলেন খুবই ধর্মানুরাগী। ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারকল্পে তিনি অকৃপণভাবে অনুদান প্রদান করতেন। রূপসার সুপ্রাচীন জামে মসজিদ তিনিই প্রতিষ্ঠা করেন। তাছাড়া তিনি আরো অনেক মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন ।
Source: http://www.chandpurnews.com/?p=420