বিশ্বজুড়ে ছোট প্রযুক্তিপণ্যের তালিকায় বর্তমানে স্মার্টফোন শীর্ষে রয়েছে। ছোট এ মোবাইল ডিভাইসে কম্পিউটিংয়ের ছোটখাটো কাজ সেরে নেয়ার ব্যাবস্থা থাকায় এর চাহিদা রয়েছে সবার কাছেই। তবে অফিস আদালতের ছোটখাটো কাচে স্মার্টফোনের উপযোগিতা সেলফোনের চেয়ে অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা। এক গবেষণায় জানা গেছে, স্মার্টফোন ডিভাইসের কারণে কর্মীরা কর্মস্থলে অতিরিক্ত দুই ঘণ্টা সময় অতিরিক্ত ব্যয় করছেন। স্মার্টফোনের মাধ্যমে যেকোনো সময়ে ই-মেইল দেখা এবং প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করা যায় বলে অফিসের ইমেইল দেখা, অফিসের কল ধরা হয় কর্মদিবসের পরেও। এ কারণে অফিসের দায়িত্ব পালনের নির্দিষ্ট সময়ের বাইরেও অফিসের কাজেই অতিরিক্ত সময় ব্যয় করছেন কর্মীরা। গবেষণায় দেখা গেছে, ৯০ শতাংশেরও বেশি কর্মী ই-মেইল দেখার কাজ সেলফোনেই করে থাকেন। এদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ দিনে ২০ বারের বেশি ইমেইল দেখে থাকেন। স্মার্টফোনের কারণে যুক্তরাজ্যের অধিবাসীরা বছরে গড়ে ৪৬০ ঘণ্টা সময় অফিসের সময়ের পরও ব্যয় করছেন। যুক্তরাজ্যে কর্মীদের কর্মেেত্র গড়ে সময় দিতে হয় ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা। কিন্তু কর্মত্রে থেকে বের হওয়ার পর অফিসের প্রয়োজনে কল আসা, ই-মেইল দেখা ইত্যাদি মিলিয়ে তাদের অতিরিক্ত প্রায় দুই ঘণ্টা ব্যয় হয়েছে। গবেষণায় প্রতি ১০ জনের একজন জানান, সাধারণ কর্মদিবসের বাইরে অফিসের ই-মেইল দেখাসহ কল ধরা ইত্যাদি কাজে গড়ে তিন ঘণ্টা সময় ব্যয় করছেন। জরিপে দেখা গেছে, প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ কর্মী ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং ঘুম থেকে উঠেই অফিসের ই-মেইলে দেখেন। তিন ভাগের এক ভাগ কর্মী মধ্যরাতেও ইমেইলের জবাব দিচ্ছেন।
(http://www.dailynayadiganta.com/new/wp-content/uploads/2012/11/com-13.gif)
Ref: Nayadiganta