Daffodil International University

Faculties and Departments => Faculty Sections => Faculty Forum => Topic started by: Md. Khairul Bashar on December 02, 2012, 01:28:07 PM

Title: অসাধারন শপথ
Post by: Md. Khairul Bashar on December 02, 2012, 01:28:07 PM
বিপুল-বিশাল জনগোষ্ঠীর ভারে নাভিশ্বাস উঠেছে আমাদের ছোট্ট এই দেশের। জনঘনত্ব যত বাড়ছে ততই বিপন্নতা বাড়ছে প্রাকৃতিক পরিবেশের। নদী-নালা-খাল-বিল দখল ও ভরাট হয়ে যাচ্ছে, যেগুলো এখনো দখলের শিকার হয়নি, সেগুলো দূষণের শিকার হচ্ছে। শিল্পকারখানার রাসায়নিক বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদী ও অন্যান্য জলাশয়ে। কৃষিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহারের ফলে বিপন্ন হচ্ছে জীববৈচিত্র্য ও ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য। মাছ, ব্যাঙ, কাঁকড়া, কেঁচোসহ অজস্র ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীব-অণুজীবের বিপন্নতা বাড়ছে। ইতিমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে অনেক প্রজাতির মাছ। বনবাদাড়ের সংখ্যা কমে গেছে, দ্রুত আরও কমে যাচ্ছে। পাখিহীন হয়ে যাচ্ছে অনেক জনপদ। সব মিলিয়ে, পরিবেশ সুরক্ষার তাগিদ আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে অনেক আগেই। এবং যতই দিন যাচ্ছে, সেই তাগিদ ততই বাড়ছে।

তাই, বাংলাদেশ সরকারের ৩৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট যখন একসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন যে তাঁরা দেশের পরিবেশ সুরক্ষার জন্য সততা ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন, তখন এটিকে খুবই সময়োচিত, অসাধারণ এক শপথ বলে মনে হয়। পরিবেশ সুরক্ষার জন্য সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর আছে, দূষণের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আছে অনেক আইনকানুন, যেগুলোর যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা সম্ভব হলে পরিবেশদূষণের লাগামহীন প্রবণতা কিছুটা হলেও কমবে। ম্যাজিস্ট্রেটরা বিচারিক ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রজাতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা। পরিবেশদূষণের বিরুদ্ধে তাঁরা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করলে এবং দূষণের অপরাধের দায়ে দোষী ব্যক্তিদের আইন অনুযায়ী শাস্তি দিলে তার একটি ইতিবাচক প্রভাব সমাজে সৃষ্টি হবে। পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর অনেক কর্মকাণ্ডকে অনেকে অন্যায়-অপরাধ বলে মনেই করে না। আবার অনেকে অন্যায় জেনেও এসব করে। কারণ, অন্যরাও তা অবলীলায় করে, কারোরই তো কিছু হয় না। আসলে এভাবে যে আমাদের সবার জন্য ও বিশেষ করে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই দেশ ক্রমেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে—এই সচেতনতারই বড্ড অভাব রয়েছে।সেদিক থেকে ৩৫ জন ম্যাজিস্ট্রেটের শপথ একটা বড় আশাব্যঞ্জক ঘটনা।


সূত্রঃ http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-12-02/news/309960
Title: Invalid SIM (3 crore 83 lac)
Post by: arefin on December 02, 2012, 07:40:47 PM
ওয়ারিদ থেকে এয়ারটেল হওয়ার মাঝে এ পর্যন্ত এক কোটি ৪৯ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৯টি সিম বিক্রি করেছে কোম্পানিটি। তার মধ্যে অক্টোবরের শেষ দিন পর্যন্ত কার্যকর সিমের সংখ্যা ৬৮ লাখ ৭৮ হাজার ১৮৯টি। তাদের দেওয়া হিসেব অনুসারে মোট বিক্রি হওয়া সিমের ৫৩ দশমিক ৯৯ শতাংশই অকার্যকর।

(http://img.priyo.com/files/201212/inactive-sim.jpg)

প্রতি মাসের শেষে অপারেটরগুলো বিটিআরসিতে যে হিসেব দেয় সেখান থেকেই পাওয়া গেছে এই তথ্য। তবে এর মধ্যে বিটিআরসি কেবল কার্যকর মিসের হিসেবটিই প্রকাশ করে। বিক্রি হওয়া সিম আর অকার্যকর সিমের সংখ্যা কখনোই তারা হিসেবে উল্লেখ করে না।

আবার অকার্যকর সিমের সংখ্যার বিবেচনায় অবশ্য সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলালিংক। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের ১ কোটি ৪২ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭৩টি সিম অকার্যকর থেকেছে বলে জানা পাওয়া গেছে। বাংলালিংক বিটিআরসিকে জানিয়েছে, তারা এ পর্যন্ত ৪ কোটি ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৩৭৩টি সিম বিক্রি করেছে। যার মধ্যে এখনো পর্যন্ত কার্যকর আছে ২ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার ৪০০টি। এক মাস আগেও তাদের অকার্যকর সিম ছিল ছিল ১ কোটি ৩৭ লাখ ১৭ হাজার ৭৫১টি। অক্টোবর মাসে এর সঙ্গে আরো ৫ লাখ ২৭ হাজার সিম নতুন করে অকার্যকরের তালিকায় উঠেছে।

এর আগে অবশ্য কার্যকর আর অকার্যকর সিমের ক্ষেত্রে একটি সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দিয়েছে বিটিআরসি। ২০০৯ সালের অক্টোবরে বিটিআরসি সব অপারেটরকে জানিয়ে দেয় যে কোনো একটি সিম টানা তিন মাস একটিবারের জন্যেও ব্যবহার না হলে সেটিকে অকার্যকর হিসেব গণ্য করতে হবে।

এই হিসেবে দেশে এখন মোট অকার্যকর সিম আছে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ১০ হাজার ৮৭৫টি। সঙ্গে কার্যকর সিম আছে ৯ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ২৫টি। এক মাস আগেও (সেপ্টেম্বর) তাদের অকার্যকর সিম ছিল ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৯ হাজার ২৩৯টি।

বিটিআরসি বলছে, তিন মাস নয়; এক মাসের মধ্যে কোনো একটি সিমে যদি কোনো এসএমএস বা কল না হয় তাহলেই সেটিকে অকার্যকরের তালিকায় নেওয়া উচিৎ। এ বিষয়ে বিটিআরসি'র এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, অহেতুক প্রচার করা হচ্ছে যে দেশের মোট মোবাইল গ্রাহক ১০ কোটি প্রায়। এই নিয়ম চালু করা হলে প্রকৃত গ্রাহকের সংখ্যা অনেক কমে আসবে।

বিটিআরসি'র কাছ থেকে পাওয়া ওই হিসেবে দেখা গেছে, সবচেয়ে কম অকার্যকর সিম আছে সিটিসেলের, ৯৯ হাজার ২৮০টি। দেশের সবচেয়ে পুরনো এই অপারেটর বর্তমান কার্যকর সিম আছে ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৫২১টি। টেলিটকের কার্যকর সিম ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯৭টির বিপরীতে অকার্যকর সিম আছে ১৭ লাখ ৬৭ হাজার ৮৬৭টি। এই অপারেটটির এ পর্যন্ত ৩১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৪টি সিম বিক্রি করলেও তার মধ্যে ৫৬ দশমিক ৩৮ শতাংশই তাদেরকে নানা কারণে ছেড়ে গেছে। তবে ভিওআইপি'র অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কারণেও তাদেরকে অনেক সিম বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

অকার্যকর সিমের বিবেচনায় সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে দেশের শীর্ষ অপারেটর গ্রামীণফোন। তাদের ৪ কোটি ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৫৫১টি কার্যকর সিমের বিপরীতের অক্টোবরের শেষে অকার্যকর সিমের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫০৪টি। তবে অক্টোবর মাসে তাদের অকার্যকর সিমের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের শেষে অকার্যকর সিম ছিল তাদের ৪৪ লাখ ৭ হাজার ২৬১টি।

তবে একমাত্র অপারেটর হিসেবে সেপ্টেম্বরের তুলনা অক্টোবরে অকার্যকর সিম কমিয়ে আনতে পেরেছে কেবল রবি। সেপ্টেম্বর মাসের শেষে তাদের অকার্যকর সিম ছিল ৯৭ লাখ ২৯ হাজার ৪৯টি। আর অক্টোবরের শেষে তারা সেটি ৯৬ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭১টিতে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়।

অপারেটরটির এক ভাইস প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে প্রিয় টেককে বলেন, এই সময়ে তারা পুরনো সিম ব্যবহার করার ওপরে অনেক বড় বড় অফার দিয়েছেন। সে কারণে বন্ধ করেও আবার অনেক গ্রাহক তাদের কাছে ফেরত এসেছেন।

অকার্যকর সিম কার কতো
অপারেটর       প্রিপেইড                      পোস্টপেইড         মোট
বাংলালিংক      ১,৩৩,৪৫,২১৯    ৮,৯৯,৭৫৪              ১,৪২,৪৪,৯৭৩
রবি                      ৯৪,৭২,২৮৬    ১,৬৭,২৮৫                ৯৬,৩৯,৫৭১
এয়ারটেল       ৭৭,৮৭,৩৪৩    ২,৮২,৩৩৭                 ৮০,৬৯,৬৮০
গ্রামীণফোন                    -                     -                 ৪৪,৮৯,৫০৪
টেলিটক             ১৭,৪৭,২৮৭    ২০,৫৮০                 ১৭,৬৭,৮৬৭
সিটিসেল                ৯৫,৯৬০    ৩,৩২০                    ৯৯,২৮০
Title: Talk with doctor for leaving smoke
Post by: Shamsuddin on December 03, 2012, 11:24:21 AM
নিউ ইয়র্ক, সেপ্টেম্বর ০৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)-আপনি কি ধূমপান ত্যাগ করার চেষ্টা করছেন? তাহলে একা একা চেষ্টা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন অথবা ‘নিকোটিন প্যাচ’ ব্যবহার করুন।

স¤প্রতি আন্তর্জাতিক এক গবেষণা ফলাফলে দেখা গেছে, একা একা ধূমপান ত্যাগের চেষ্টা থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ বা ‘নিকোটিন প্যাচ’ ব্যবহার করে ধূমপান ছাড়া সহজ হয়।

ধূমপান ত্যাগে উদ্দীপকের ব্যবহার নিয়ে আগের করা গবেষণাগুলোতে পরস্পরবিরোধী ফলাফল পাওয়া গিয়েছিল। যদিও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে উদ্দীপক ব্যবহারে ভাল ফল পাওয়া গিয়েছিল কিন্তু বাস্তব জীবনে সেরকম ফল পাওয়া যায়নি।

কিন্তু সা¤প্রতিক এই গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু উদ্দীপক ব্যবহারে ধূমপান ত্যাগের হার চার থেকে পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

গবেষকদলের প্রধান নিউ ইয়র্কের বাফেলো রসওয়েল পার্ক ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের পরিসংখ্যানবিদ কারিন কাসাজা বলেন, “যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ধূমপায়ীরা চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ বা নিকোটিন প্যাচ ব্যবহার করে ধূমপান ত্যাগ করতে তুলনামূলকভাবে বেশি সফল হয়েছেন।”

 â€˜ধূমপান ত্যাগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন’


গবেষকদল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার ধূমপান ছাড়ার চেষ্টারত ৭ হাজার ৪শ’রও বেশি ধূমপায়ীর ওপর জরিপ চালিয়ে এসব তথ্য পেয়েছেন।

ধূমপান ত্যাগ করার পরবর্তী ছয়মাস এসব ধূমপায়ীরা গবেষকদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন।

এদের মধ্যে ২২শ’ ধূমপায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ গ্রহণ করেছে বা নিকোটিন প্যাচ ব্যবহার করেছে, বাকীরা নিজে নিজে চেষ্টা করেছে।

যারা নিজে নিজে চেষ্টা করেছে তাদের মাত্র ৫ শতাংশ পরবর্তী ছয়মাস ধূমপান এড়িয়ে চলতে পেরেছে।


তুলনায়, নিকোটিন প্যাচ ব্যবহারকারী ১৮ শতাংশ ধূমপায়ী পরবর্তী ছয়মাস ধূমপান থেকে বিরত থাকতে পেরেছে, ওষুধ হিসেবে বুপ্রোপিয়ন ব্যবহারকারী ১৫ শতাংশ ও ভারনিক্লাইন ব্যবহারকারী ১৯ শতাংশও পরবর্তী ছয়মাস ধূমপান এড়িয়ে চলতে পেরেছে।


Source: Internet
Title: Tomato & Stroke
Post by: nmoon on December 03, 2012, 01:08:37 PM
টমেটোতে উজ্জ্বল লাল রঙের লিকোপেন নামের একটি উপাদান আছে যা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় বলে দাবি করেছেন ফিনল্যান্ডের একদল গবেষক।
Title: Re: টমেটো ‘স্ট্রোক প্রতিরোধী’
Post by: saratasneem on December 08, 2012, 03:15:49 PM
We should take tomato regularly.
Title: Freedom fighter fighting to stay alive
Post by: Md. Khairul Bashar on December 09, 2012, 12:13:33 PM
১৯৭১ সালে পাশাপাশি থেকে শত্রুর মোকাবিলা করার সময় পাকিস্তানি সৈন্যদের ছোড়া গুলি মাথায় লেগে শহীদ হয়েছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবদুল ওয়াহেদ। সহযোদ্ধাকে হারানোর সেই শোক আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন। চার দশক ধরে তিনি কালো পোশাক ছাড়া অন্য কিছু পরছেন না। যেকোনো আনন্দ-উৎসবেও তাঁর পরনে থাকে কালো পাঞ্জাবি আর লুঙ্গি।মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিনকে চেনেন না, এমন লোক বগুড়ার চেলোপাড়ায় খুঁজে পাওয়া যাবে না। এলাকার তরুণ সাইদুর বলেন, 'মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তিনি কখনো অন্যের মুখাপেক্ষী হননি। রাত-দিন পরিশ্রম করেন। এই বয়সেও সড়কের পাশে ডাল-ভাত বিক্রি করে কোনো রকমে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন। আমরা কখনো এ মানুষটিকে কারো কাছে হাত পাততে দেখিনি। এ কারণে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে কার্পণ্য করি না।

চেলোপাড়া রেলব্রিজ ঘেঁষে সারি সারি ঝুপড়িঘর। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিনের বাড়ি কোনটা, জানতে চাইলে ৯ বছরের শিশু মুকিত হাত দিয়ে দেখিয়ে বলল, 'ওই যে দেখেন রেললাইনের নিচে টিনের ঘরের সামনে মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিনের সাইনবোর্ড ঝুলছে। ওখানেই তার বাড়ি।' কিছুদূর হেঁটে বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা গেল ছোট্ট সাইনবোর্ডে লেখা, 'মুক্তিযোদ্ধা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, দেশ ও জনগণের অতন্দ্রপ্রহরী ১৯৭১ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোসলেম উদ্দিন...।' বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়া রেলওয়ে বস্তিতে থাকেন তিনি। রেললাইনের নিচে বাড়িতে নামতে গেলে মনে হয় গুহার মতো। টিনের চালের ভাঙা অংশ দিয়ে দেখা যায় সূর্যের আলো। চারদিকে ঘিঞ্জি স্যাঁতসেঁতে আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। ঘরের মধ্যে দাঁড়ালে চালে মাথা লেগে যায়। এ বাড়িতেই মোসলেম উদ্দিনের ১৫ সদস্যের বিরাট সংসার। তাঁর স্ত্রী সাজেদা ও মেয়ে রেশমা সাত-আট বছর ধরে অসুস্থ।

বগুড়ার শহীদ খোকন পার্কের পশ্চিম পাশে রাস্তার দেয়াল ঘেঁষে ড্রেনের ওপর বসে ডাল-ভাত বিক্রি করেন মোসলেম। মেয়েরা বাড়িতে রান্না করে দেন। আর প্রতিদিন সকালে ভারে করে সেই খাবার নিয়ে আসেন ফুটপাতের দোকানে। তাঁর হোটেলে পাঁচ থেকে ১০ টাকায় পেটভরে খাওয়া যায়। মোটা চালের ভাত, ডাল, আলুভর্তা, কচুভর্তা, পেঁয়াজু ও মাছভাজা বিক্রি করেন তিনি। ভাত প্রতি প্লেট দুই টাকা, আলু অথবা কচুভর্তা তিন টাকা, মাছভাজা পাঁচ টাকা। সঙ্গে ডাল ফ্রি। তিনি জানান, মূলত রিকশা ও ভ্যানের চালকরাই তাঁর হোটেলের খদ্দের। কখনো কখনো পথশিশুরাও আসে। তবে টাকা না থাকলেও কাউকে তিনি ফিরিয়ে দেন না, যার কাছে যা আছে সেই টাকার মধ্যেই পেট পুরে খেতে দেন। মোসলেম উদ্দিন জানান, তিনি এক বেলা অনাহারে থাকতে রাজি আছেন; কিন্তু কাউকে অনাহারী দেখতে চান না।এত অল্প রোজগারে সংসার চলে কিভাবে, জানতে চাইলে মোসলেম বলেন, 'হামি কুনু সময় লিরাশ (নিরাশ) হই না। ছোলপোল মাঝেমধ্যে লিরাশ হয়, তখন হামি তারকোরোক কই পরের ধন না লিবে, (নিবে) চিরদিন সুকে অবে (রবে)। হামার একফোঁটা অক্তও বৃথা যাবার পারে না। হামি ভাঙা ঘরোত থাকলেও অনেক সুকি মানুষ। দিন আনি দিন খাই। খালি কষ্ট একটাই। ট্যাকার অভাবে ছোটপোলক পড়ালেকা শিকাবার পারনু না। তবে এখন অল্প অজগারের মধ্যেই লাতিগুলাক পড়াচ্চি। হামার এক লাতি (নাতি) ফাইবে মেধা লিয়া বৃত্তি পাছে। আর আরেক লাতিও জেএসসি পরীক্ষা দিচ্চে। অন্য লাতিগুলো একুনো ছোট।'

মোসলেমের বড় ছেলে মুকুল প্রামাণিক নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র পড়ান। মেজ ছেলে হোসেন বাজারে তরকারি বিক্রি করেন আর ছোট ছেলে আমির ব্যাটারিচালিত রিকশা চালান। তাঁরাও সাধ্যমতো সহযোগিতা করেন বাবাকে।মোসলেম জানান, কখনো কোথাও মুক্তিযোদ্ধার সম্মান পাননি; সংবর্ধনা তো দূরে থাক। এটা নিয়ে তাঁর কোনো আক্ষেপও নেই। সংবর্ধনা পাওয়ার আশায় তো যুদ্ধ করেননি। তবে একবার স্বাধীনতা দিবসে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছিল তাঁকে। দোকান বন্ধ রেখে গিয়েছিলেন। রাতে ভালো খাবার খেয়ে এসে বাড়ি ফিরে দেখেন ছেলেমেয়েরা না খেয়ে বসে আছে। সেই থেকে এসব অনুষ্ঠানে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। এক দিন না খাটলে যে পরিবারের সদস্যদের মুখে ভাত জুটবে না।

মোসলেমের ছেলে হোসেন বলেন, 'আব্বা হামাকোরোক যুদ্ধের গপ্প করে। হামাকেরে বুক ভরে যায় তার গপ্প শুনে। আব্বা কয়, দেশের জন্য যুদ্ধ করিচি বাবারা। তোমরাও দেশেক ভালোবাসো।'
মুক্তিযুদ্ধের সময় ২২-২৩ বছরের টগবগে যুবক ছিলেন মোসলেম উদ্দিন। বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামে ছিল তাঁদের বাড়ি। বাবার নাম রহিম উদ্দিন প্রামাণিক। পড়ালেখা খুব একটা করেননি। সে সময় ব্যবসার পাশাপাশি কৃষিকাজও করতেন। একদিন গরু বিক্রি করতে নারুয়ামালা হাটে যান। একসময় তিনি লক্ষ করেন চলন্ত ট্রেন থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গুলিবর্ষণ করছে। তাঁর কানের পাশ দিয়ে গুলি চলে যায়। কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। সেখানেই মোসলেম উদ্দিন প্রতিজ্ঞা করেন এভাবে বসে থেকে আর নয়, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। বাড়ি ফিরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন। অনেকেই তাঁর সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। মোসলেম উদ্দিনসহ ২৫-২৬ জনের একটি দল প্রশিক্ষণ নিতে চলে যায় ভারতে। প্রশিক্ষণ শেষে যোগ দেয় ৭ নম্বর সেক্টরে। গ্রুপ কমান্ডার সোনাতলার চরপাড়া গ্রামের আবদুল ওয়ারেসের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেন তিনি। বগুড়ার ভেলুরপাড়ায় হানাদারদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে বীরত্বের পরিচয় দেন মোসলেম ও তাঁর সহযোদ্ধারা।



সূত্রঃ http://www.kalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Mobile&pub_no=1080&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=6
Title: Re: Tomato & Stroke
Post by: shan_chydiu on January 02, 2013, 11:01:57 AM
Helpful information.
Title: Re: Tomato & Stroke
Post by: irina on January 07, 2013, 12:02:49 PM
Healthy information. Nowadays ripe tomatoes are unsafe. We can add it into curry. The ripe tomatoes enhance the colour and taste as well.
Title: Re: Tomato & Stroke
Post by: nayeemfaruqui on February 20, 2013, 12:30:02 PM
Nice information...
Title: Re: Tomato & Stroke
Post by: tany on February 20, 2013, 03:04:05 PM
Good information...
Title: Re: Talk with doctor for leaving smoke
Post by: tany on February 20, 2013, 05:46:37 PM
Informative post....
Title: Re: Talk with doctor for leaving smoke
Post by: nmoon on February 25, 2013, 03:12:37 PM
It's true. They should go to doctor for survive.
Title: Re: Talk with doctor for leaving smoke
Post by: Sharmin Jahan on February 26, 2013, 12:48:48 PM
If I am not wrong, now there are some medicines for this purpose.
Title: Re: Talk with doctor for leaving smoke
Post by: fernaz on February 26, 2013, 12:51:28 PM
Absolutely Correct. If anyone wish he can leave smoking. Only the required thing is strength of his wish.