Daffodil International University
Faculty of Humanities and Social Science => Journalism & Mass Communication => Topic started by: Md. Khairul Bashar on December 17, 2012, 01:56:39 PM
-
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ইলেকট্রনিক অর্থ হস্তান্তর বা ইএমটিএস ও ক্যাশ কার্ড চালু করে। দুই বছর আগে চালু করা সেবা দুটি এখন বেশ জনপ্রিয়। এর মাধ্যমে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি।সেই ধারাবাহিকতায় ডিজিটালের দিকে আরেকটি পদক্ষেপ হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে ডাক বিভাগ। সেবাটি পুরোপুরি চালু হলে এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা ঝুঁকিমুক্ত উপায়ে টাকা জমা-উত্তোলন ও আদান-প্রদান কিংবা কেনাকাটা করতে পারবেন।একই সঙ্গে সেবাটি নিয়ে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে খুব সহজে প্রযুক্তির সহায়তায় পণ্য বেচাকেনা করতে পারবেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। সেবাটির মাধ্যমে মুঠোফোনে রিচার্জসহ আরও অনেক ধরনের সেবা পাবেন গ্রাহকেরা।
এই সেবা পেতে মাত্র ১০ টাকা দিয়ে একটি হিসাব খুলতে হবে গ্রাহককে। আর থাকতে হবে একটি মুঠোফোন। প্রতিটি সেবার জন্য মাশুল দিতে হবে তিন থেকে আট টাকা।ডাক বিভাগ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এই সেবার নাম ‘পোস্ট ই-পে’। বাংলায় বলা হবে ‘মুঠো ব্যাংক’। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলা ফোন ও কমলিংক ইনফো টেক লিমিটেডের প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে রাষ্ট্রীয় ডাক বিভাগ এটি চালু করেছে।মহান বিজয় দিবসে গতকাল রোববার ডাক ভবনের সভাকক্ষে এই মুঠো ব্যাংকের পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক সেবার উদ্বোধন করা হয়।ডাক বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সেবাটির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম রাজধানীর জিপিও, বনানী ও সদরঘাট—এই তিনটি ডাকঘর থেকে পরিচালিত হবে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম এবং পরে বাকি বিভাগীয় শহরগুলোতে এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে। এসব জায়গায় সফল হলে পরে জেলা ও উপজেলার ডাকঘরগুলোতে ‘মুঠো ব্যাংক’ সেবা চালু করা হবে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, বর্তমানে কেবল টাকা জমা, উত্তোলন ও স্থানান্তর করা যাবে। ছয় মাসের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেবাটির অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যাবে। কর্মকর্তারা জানান টাকা জমা, উত্তোলন, স্থানান্তরসহ এই সেবার মাধ্যমে ঘরে বসেই স্কুল-কলেজের বেতন-ভাতা ও গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা যাবে। এ ছাড়া সেবাটি ব্যবহার করে বাজার-সদাই করা ও বাস, ট্রেন কিংবা বিমানের টিকিট পর্যন্ত কাটা যাবে। এছাড়া কৃষি ভর্তুকি, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিধবা ভাতা, অতিদরিদ্রদের ভাতা মুঠো ব্যাংকের মধ্য দিয়ে নিরাপদে পৌঁছানো যাবে। এ ছাড়া সেবাটির আওতায় ই-শপ ওয়েব পোর্টাল ব্যবহার করে উৎপাদন ও বাজারজাতকারীর কাছ থেকে পণ্য কেনাবেচা করা যাবে।
কেনাবেচার পর পণ্যের পরিবহন খরচ ও পৌঁছানোর সব তথ্য অনলাইন ট্র্যাকিং পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রাহক তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারবেন। এই সেবা ব্যবহারকারী যে কেউ ঘরে বসেই নিজের কিংবা অন্যের মুঠোফোনে রিচার্জ করতে পারবেন।ডাক বিভাগের মুঠো ব্যাংক সেবা নিতে একটি হিসাব খোলাসহ প্রয়োজন হবে ছবিযুক্ত পরিচয়পত্রের একটি অনুলিপি।এমন তথ্য দিয়ে ডাক বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রাহকের ছবি ও আঙুলের ছাপ তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ে নেওয়া হবে। এক নামে একাধিক হিসাব না খোলাসহ হিসাবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা।’
সেবাটির সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট (www.postepay.gov.bd) থেকে জানা যায়, অন্যান্য ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের তুলনায় ডাক বিভাগের মুঠো ব্যাংকের সেবার মাশুল হবে অনেক কম। টাকা জমা দিতে কোনো মাশুল লাগবে না। স্থানান্তরে লাগবে তিন টাকা, আর উত্তোলন করতে সর্বোচ্চ মাশুল আট টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, হিসাব খোলার পর গ্রাহকের মুঠোফোনে একটি ডিভাইস দিয়ে দেওয়া হবে। এটি দিয়েই তিনি ব্যাংকিংসহ অন্যান্য সেবা নিতে পারবেন। গ্রাহক অবশ্য ইন্টারনেটের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকেও সেবাগুলো পাবেন। এ ছাড়া সমস্যা সমাধানের জন্য একটি কলসেন্টার করা হয়েছে।
সূত্রঃ http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-12-17/news/313781