(http://paimages.prothom-alo.com/resize/maxDim/340x1000/img/uploads/media/2013/02/04/2013-02-04-09-27-30-510f7f02babf9-facebook.jpg)
আজ সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকের পথ চলার নয় বছর পূর্ণ হলো। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট্ট একটি ঘরে পথচলা শুরু করার পর ১০০ কোটি ব্যবহারকারীর সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট হিসেবে দ্রুত সামনে এগিয়ে যাচ্ছে ফেসবুক। শুভ জন্মদিন, ফেসবুক।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ছোট ডরমেটরিতে ৪ ফেব্রুয়ারি ফেসবুক চালু করেছিলেন মার্ক জাকারবার্গ। ফেসবুকের তথ্য অনুযায়ী, শুধু কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্যই চালু করা হয়েছিল ফেসবুক। সাইটটিতে বর্তমান ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ কোটি ছয় লাখ। এর মধ্যে প্রতিদিন ৬১ কোটি ৮০ লাখ ব্যবহারকারী দিনে অন্তত একবার ফেসবুকে লগ ইন করেন। মোবাইল ফোন থেকে প্রতিদিন ফেসবুকে লগ ইন করেন ১৫ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারী।
সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্র হিসেবে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে ফেসবুক। মিসর, সিরিয়া, তিউনিসিয়ার মতো মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ফেসবুক ‘আরব বসন্ত’খ্যাত গণজোয়ার তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে, যা সরকার উত্খাতের মতো বিপ্লব তৈরি করতে যোগাযোগে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। বিশ্বে ৭০টিরও বেশি ভাষায় ফেসবুক ব্যবহার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাইরে ৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ফেসবুক ব্যবহার করে। চিলি ও তুরস্কের মতো দেশে ৮০ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ফেসবুকপ্রেমী। সোশ্যাল ব্রেকার্সের এক তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৩০ লাখেরও বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছেন।
মার্ক জাকারবার্গ সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ২০১২ সালে ১০০ কোটি ব্যবহারকারীর মাইলফলক স্পর্শ করেছে ফেসবুক এবং মোবাইল কোম্পানি হিসেবে নিজের পরিচয় দাঁড় করাতে পেরেছে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, ফেসবুক মোবাইল পণ্যের বিজ্ঞাপন থেকে প্রচুর আয় করা শুরু করেছে। ২০১২ সালের চতুর্থ প্রান্তিক অর্থাত্ অক্টোবর মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ফেসবুকের মোট আয়ের ২৩ শতাংশ এসেছে মোবাইল বিজ্ঞাপন থেকে। ২০১১ সালে যা ছিল মাত্র ১৪ শতাংশ। ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুককে তাই ‘মোবাইল’ কোম্পানি বলছেন।
একনজরে ফেসবুকের উল্লেখযোগ্য ঘটনা
২০০৪, ফেব্রুয়ারি: ফেসবুকের যাত্রা শুরু।
মার্চ: ফেসবুকের বিস্তৃতি শুরু।
জুন: ক্যালিফোর্নিয়ায় ফেসবুকের সদর দপ্তর স্থাপিত।
সেপ্টেম্বর: ফেসবুকের ‘ওয়াল’ ফিচার উন্মুক্ত। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের বিরুদ্ধে ক্যামেরুন ও টেইলর উইঙ্কলভস যমজ ভাইয়ের মামলা।
২০০৫, সেপ্টেম্বর: ফেসবুকে জনপ্রিয়তার শুরু।
২০০৬, মে: ফেসবুক নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি।
সেপ্টেম্বর: ১৩ বছরের ওপর যে কেউ ফেসবুক ব্যবহার করতে পারবেন—এ সিদ্ধান্ত গৃহীত।
২০০৭, মে: গেম প্রকাশের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফেসবুকের আত্মপ্রকাশ।
অক্টোবর: মাইক্রোসফটের কাছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ শেয়ার বিক্রি।
২০০৮, মার্চ: শেরিল স্যান্ডবার্গ চিফ অপারেটিং অফিসার হিসেবে ফেসবুকে যোগ দেন।
এপ্রিল: ফেসবুক চ্যাট সার্ভিসের যাত্রা শুরু।
২০০৯, ফেব্রুয়ারি: ফেসবুকে লাইক যুক্ত।
জুন: অনলাইন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট হিসেবে মাইস্পেসকে অতিক্রম করে শীর্ষে ফেসবুক।
২০১০ আগস্ট: ফেসবুকে লোকেশন ফিচার।
অক্টোবর: ফেসবুক তৈরির কাহিনি নিয়ে চলচ্চিত্র দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মুক্তি।
২০১১, জুন: ফেসবুকের প্রতিদ্বন্দ্বী গুগল প্লাসের জন্ম। উইঙ্কলভস যমজের মামলা প্রত্যাহার।
সেপ্টেম্বর: ফেসবুকে টাইম লাইন উন্মুক্ত।
২০১২ জানুয়ারি: টাইম লাইনকে বাধ্যতামূলক করে ফেসবুক।
ফেব্রুয়ারি: আইপিওর জন্য আবেদন করে ফেসবুক।
২০১৩ ফেব্রুয়ারি: গ্রাফ সার্চ চালুর ঘোষণা দেয় ফেসবুক।
Source: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-02-04/news/326615