যারা সেল ফোনে অতিরিক্ত টেক্সট মেসেজ পাঠান তাঁরা ‘টেক্সট নেক’ বা ভয়ঙ্কর ঘাড়ে ব্যাথা জনিত সমস্যায় পড়তে পারেন। শরীর বিশেষজ্ঞদের মতে, টেক্সট মেসেজ পাঠাতে ঘাড় ঝুঁকিয়ে বহনযোগ্য যন্ত্রের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় ব্যবহারকারীকে। এতে তৈরি হয় ‘টেক্সট নেক’ নামের শারীরিক জটিলতা।
টেক্সট নেক শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ফ্লোরিডানিবাসী একজন ফিজিওলজিস্ট। মাথা, ঘাড় এবং কাঁধের অতিরিক্ত ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন শারীরিক দুর্বলতাকেই টেক্সট নেক দিয়ে বোঝানো হয়।
(http://imgcdn.priyo.com/201303/Neck-Pain-300.jpg)
সেলফোন, এমপিথ্রি প্লেয়ার, ই-রিডার এবং কম্পিউটারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারকারীরাই সাধারণত এ উপসর্গে আক্রান্ত হন। এসব যন্ত্র ব্যবহারকারীকে দীর্ঘ সময় সামনের দিকে ঝুঁকে থাকতে হয়।
করনেট বলেন, আপনার শরীর যখন অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে থাকে, তখন পেশির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। তাতে শারীরিক দৌর্বল্য, পেশির কাঁপুনি এমনকি তীব্র মাথাব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।
এক বিবৃতিতে তিনি জানান, মাথা সামনে-পেছনে নাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই ঘাড়ের পেশিতে চাপ বাড়তে থাকে। এ চাপ মাথার ওজনের চেয়ে বেশি হয়। তিনি আরো জানান, দীর্ঘমেয়াদে এ ধরনের বাড়তি চাপ ঘাড়ের সংযোগ এবং হাড়গুলোয় কি ধরনের প্রভাব ফেলে তা এখনো অজানা।
টেক্সট নেক এড়াতে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন করনেট।
এক: কোলের ওপর না রেখে ল্যাপটপকে রাখতে হবে চোখ বরাবর, যাতে ঘাড় না বাঁকিয়েই স্ক্রিন দেখা সম্ভব হয়।
দুই: একাধারে যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে মাঝে মাঝে একটু বিরতি নিতে হবে। সেই সঙ্গে ঘাড়ের বিভিন্ন ব্যায়ামও করা উচিত।
[Source-Internet]