Daffodil International University

Entrepreneurship => Registration of Company => Topic started by: Badshah Mamun on March 13, 2013, 09:45:17 AM

Title: Advirtisement Copyright
Post by: Badshah Mamun on March 13, 2013, 09:45:17 AM
Advirtisement Copyright

মা-বাবা চেয়েছিলেন ছেলে চিকিৎসক হোক। কিন্তু জীবনের মোড় ঘুরিয়ে ছেলেটি যখন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হলো, তখন তাঁরা ভেবেছেন, চিকিৎসক না হোক ছেলে তো অন্তত প্রকৌশলী হচ্ছে—তার জীবনের গল্প এভাবে লেখা হলেই বা মন্দ কী! তবে মা-বাবার সেই আশার গুড়েবালি—তাঁদের ছেলে পত্রপত্রিকায় টুকটাক লেখালেখি, বিজ্ঞাপন নির্মাণসহ নানা রকম কাজ করতে করতে একসময় পেশা হিসেবে বেছে নিল কপিরাইটিং, হয়ে গেল বিজ্ঞাপনী সংস্থার কপিরাইটার! কিন্তু ‘কপিরাইটার’ বিষয়টি মাথায় আঁটে না তার স্কুলশিক্ষক বাবার।

গল্পটি একজন কপিরাইটারের জীবন থেকে নেওয়া। শীর্ষস্থানীয় একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থাতে কাজ করেন তিনি। পেশা হিসেবে কপিরাইটার বেশ পুরোনো হলেও আমাদের দেশে এর জৌলুশ বেড়েছে নতুন করে। সেই সূত্রে জন্ম নিয়েছে অনেক নতুন বিজ্ঞাপনী সংস্থা। এই পেশায় এখন কাজ করছেন অসংখ্য তরুণ।

কপিরাইটার, সে আবার কী!
কপিরাইটার নিয়ে গোলকধাঁধা আছে অনেকের—কপিরাইটার, সে আবার কী! টেলিভিশন, বেতার, পত্রপত্রিকা ও বিলবোর্ডে আমরা যে বিজ্ঞাপনগুলো দেখি, সেগুলোর আইডিয়া তৈরির গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই কপিরাইটাররা। কোনো একটি পণ্যকে কোন ভাষায় বিজ্ঞাপিত করলে সেটি ক্রেতার কাছে গ্রহণযোগ্য ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে—তার গুরুভারও এঁদের হাতে। পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে বেশ কয়েকটি ধাপে কাজ করেন তাঁরা। আর কাজটি চলে টিমওয়ার্কের ভিত্তিতে। তার পরই দাঁড়িয়ে যায় একটি বিজ্ঞাপনের আইডিয়া ও গল্প।

রাকিবুল হক ও মাহবুব মুন্না। দুজনই কাজ করেন বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান অ্যাডকমে। মুঠোফোন কোম্পানি রবি-এর ‘মন থেকে চাইলে সবই সম্ভব’ প্রচারণার আওতায় ‘কোল্ড মানে ঠান্ডা, ফ্রিজিং মানে বেসম্ভব ঠান্ডা’—এই বিজ্ঞাপনের আইডিয়া নির্মাতা দলের দুই সদস্য তাঁরা। দুজনই একসময় কাজ করতেন পত্রিকায়। তাঁদের কপিরাইটার হয়ে ওঠার গল্প অতটা জটিল নয়—‘পত্রিকায় কাজ করতে করতে মনে হলো, আইডিয়াকে আরও সুন্দর ও স্বাধীনভাবে প্রতিফলিত করতে পারব এখানে। সাধারণত ৩০ সেকেন্ড বা তারও কম সময়ে একটি পণ্যকে সহজবোধ্য ও আকর্ষণীয় ভাষায় দর্শকের কাছে প্রকাশ করতে হয় আমাদের। এখানেই কি শেষ? পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের চাওয়াও তো মাথায় রাখতে হয়। ফলে শেষমেশ পুরো ব্যাপারটি অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে।’—নিজেদের পেশা সম্পর্কে এমনভাবে গড়গড় করে বললেন রাকিবুল ও মুন্না।

অন্যদিকে, বর্তমানে গ্রে ঢাকায় কপিরাইটার হিসেবে কর্মরত তাওহিদ মিল্টন বললেন, ‘আমরা আসলে কাজ করি মানুষের মনস্তত্ত্ব নিয়ে। দৈনন্দিন জীবনের নানা এলেবেলে ঘটনা থেকে আমাদের বিজ্ঞাপনের আইডিয়াগুলো উঠে আসে। এই পেশার সম্ভাবনা এখন অনেক, কাজের ক্ষেত্রও অনেক।’

এ তো গেল ছেলে কপিরাইটারদের জবানি। মেয়েরা কি আসছেন না এ পেশায়?
‘না, ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের অংশগ্রহণও এখানে প্রায় সমান। চিরকূট ব্যান্ডের সুমী আপাও তো ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন কপিরাইটার হিসেবে।’—ঊর্মি নূরের সাফ জবাব। মার্কেটিংয়ে স্নাতক এ মেয়েটির এখনকার কর্মস্থল এশিয়াটিক জেডব্লিউটি। বললেন, ‘বিজ্ঞাপন বুঝতে গেলে বিপণন বিষয় বোঝা খুব জরুরি।’

ঊর্মি নূর, মাহবুব মুন্না কিংবা রাকিবুল হক—সবার গল্পই দীর্ঘ। তবে ‘এ পেশা আইডিয়াবাজির, এ পেশা সৃজনশীলতার’—বলতে বলতে তাঁদের প্রত্যেকের মুখে একই উচ্চারণ, ‘কপিরাইটার হতে গেলে ভালোভাবে জানতে হবে বাংলা ও ইংরেজি ভাষা। চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। প্রচুর বই পড়তে হবে। দেখতে হবে দেশ-বিদেশের চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপন।’


Source: http://prothom-alo.com/detail/date/2013-03-13/news/335962