Daffodil International University

IT Help Desk => Telecom Forum => Topic started by: arefin on April 17, 2013, 10:39:24 AM

Title: Banglalink Planning a " Mass Layoff"
Post by: arefin on April 17, 2013, 10:39:24 AM
দেশের দ্বিতীয় গ্রাহক সেরা অপারেটর বাংলালিংকে গণ ছাটাইয়ের পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। গ্রামীণফোনে বড় ধরণের ছাটাইয়ের পর এখন এখানেও ছাটাইয়ের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অপারেটরটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

(http://imgcdn.priyo.com/201303/banglalink300px_0.jpg)
বাংলালিংকের কর্মীরা জানান, সম্প্রতি এখানে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বিলম্বিত করা এবং একই সঙ্গে কমিয়ে দেওয়া, বার্ষিক পারফরম্যান্স বোনাসে বড় রকম কাটছাঁট করা, এমনকি কর্মীদের খাওয়ার খরচের ভর্তূকি তুলে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। খরচ কমাতে বাদ দেওয়া হচ্ছে কর্মীদের ‘পিক অ্যান্ড ড্রপ’ সেবা।

আগে বার্ষিক মূল্য স্ফিতির বিবেচনা করে কর্মীদের মোট বেতনের ১০, ১১ এবং ১৩ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। কিন্তু চলতি বছর এপ্রিল মাসে এসে মাত্র ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দিয়েছে বাংলালিংক।

আগে বার্ষিক পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে মাসের দুই থেকে তিনটি মোট বেতনের সমপরিমান বোনাস দেওয়া হলেও এবার তা বাদ দেওয়া হয়েছে। বরং খরচ কমাতে একটি মূল বেতন পারফরম্যান্স বোনাস হিসেবে ধরা হয়েছে। এক্ষেত্রে পারফরম্যান্স বিবেচনায় একটি মূল বেতনের কারো ৫০ শতাংশ কারো বা ৭০ বা ৮০ শতাংশ বোনাস হিসেবে দেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যেই কর্মীদের জানানো হয়েছে।

কর্মীরা জানিয়েছেন, ওভার টাইমে বড় রকমের অনিয়ম করছে বাংলালিংক। পাঁচ দিন হিসেবে সপ্তাহে ৪০ ঘন্টার বেশী হলেই বাকিটা ওভার টাইম হিসেবে বিবেচনা করার কথা। কিন্তু বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ ৪৮ ঘন্টার বেশী কেউ অফিস করলেই কেবল বাকিটা ওভার টাইম হিসেবে বিবেচনা করার রেওয়াজ চালু করা হয়েছে।

ভেতরে ভেতরে ক্ষুব্ধ এমন বেশ কয়েকজন কর্মী বলছেন, আট ঘন্টা বেশী খাটানার পরেই কেবল ওভার টাইমের খাতায় হিসেব তোলা যায়। কিন্তু সেই সুযোগও কর্মীরা খুব কমই পাচ্ছেন যে অফিস থেকে বেরুনোর হিসেবেও রয়েছে কারসাজি।

কয়েকজন জানিয়েছেন, একজন কর্মী সারাদিনে কি কাজ করল তার হিসাব সন্ধ্যায় অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই কর্তৃপক্ষকে (চিফ টেকনিক্যাল অফিসারের ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে) বুঝিয়ে দিয়ে তারপর অফিস থেকে বের হওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। অফিস থেকে বেরুনোর আগে সারা দিনের কাজের তালিকা ই-মেইল করে তবেই কর্মীরা ছুটি পান বলে জানা গেছে। সঙ্গে সঙ্গে আবার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীদের কাছ থেকে তাদের জীবন বৃত্তান্ত বা সিভি নতুন করে নেওয়া হচ্ছে।

ক্ষুব্ধ কর্মী বলছেন, আগে থেকেই সকল কর্মীর জীবন বৃত্তান্ত কর্তৃপক্ষের কাছে আছে। তারপরেও তাদের ওপর চাপ তৈরী করতে এটা করা হচ্ছে।

বাংলালিংকে কর্মকর্তা এবং অন্যান্য কর্মীদের ১৮টি ধাপ থাকলেও অন্তত শেষ ১৫টি ধাপের কর্মীরা এই নির্যাতনের মধ্যে আছেন বলে জানা গেছে। অফিসে ঢুকতে কারো ১০টা পেরুলেই তাকে আধাবেলার ছুটি নিতে বাধ্য করা হয়। একইভাবে প্রায়াই শনিবারের ছুটির দিনেও কর্মীদের ডেকে নেওয়া অফিসে। নানা চ্যালেঞ্জের মুখে থাকায় মুখ বুজেই কর্মীরা সব মেনে নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক কর্মী।

কর্মীরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি অপারেটরটির চিফ টেকনিক্যাল অফিসার পদে যোগ দিয়েছেন পারিহেন ইলহামী। তিনি যোগ দেওয়ার পর থেকেই সব কিছু বদলে যেতে শুরু করেছে। নতুন নতুন নিয়ম কানুনও তিনি যোগ দেওয়ার পর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মীরা।

তাছাড়া কে ফেসবুকে আছে আর কে কি কাজ করছে সেটি তদারক করতে হরহামেশেই অফিসের বিভিন্ন ফ্লোরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সিইও জিয়াদ সিতারা।

কর্মীরা জানিয়েছেন, গ্রামীণফোনে প্রায় সাড়ে চার হাজার স্থায়ী কর্মী দিয়ে যে কাজ করে, বাংলালিংকে মাত্র ১৬৫০ জন স্থায়ী কর্মী দিয়ে সেই কাজ করানো হয়েছে। এখন এই সংখ্যাও কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন বিভাগ আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা থেকেই বর্তমান কর্মীরাই যাতে চাকুরি ছেড়ে চলে যায় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাদের কেউ কেউ।

সব মিলে ইতিমধ্যে কর্মীদের অনেকেই বিকল্প কাজ খুঁজতে শুরু করেছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।