চাকরির যোগ্যতা যখন ‘ফেসবুক’ জনপ্রিয়তা
চাকরি খুঁজছেন? সামাজিক যোগাযোগে দক্ষতা আর জনপ্রিয়তা অন্যতম যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি বিষয়ক গবেষকেরা জানিয়েছেন, শুধু ফেসবুকের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েও আকর্ষণীয় চাকরি পাওয়া সম্ভব। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া।
(http://paimages.prothom-alo.com/resize/maxDim/340x340/img/uploads/media/2013/04/08/2013-04-08-09-00-31-5162872f46569-digital.jpg)
বর্তমানে সোশাল মিডিয়ার দক্ষতা একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক, টুইটার ও লিঙ্কডইনের জনপ্রিয়তা আকর্ষণীয় একটি চাকরি পাইয়ে দিতে পারে। বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠানেই সামাজিক যোগাযোগে দক্ষ ও জনপ্রিয় ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, বক্তব্য গবেষকেদের।
নিউজিল্যান্ডের হেইজ রিক্রুটমেন্টের পরিচালক জ্যাসন ওয়াকার এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বর্তমানে চাকরি দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে চাকরিপ্রার্থীর দক্ষতা ও কার্যকলাপ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে ব্যক্তির জনপ্রিয়তার ভিত্তিতেই নতুন কর্মী নির্বাচন করা হচ্ছে। একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্র।
জ্যাসন ওয়াকার আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে নির্দিষ্ট পদের জন্য যোগ্য ও দক্ষ প্রতিভাবানদের খুঁজে বের করা অনেক সহজ। কিন্তু চার-পাঁচ বছর আগেও এ সুবিধা ছিল না।
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে হেইজ রিক্রুটমেন্টের পক্ষ থেকে ২৭০ কর্মীর মধ্যে একটি জরিপ চালানো হয়েছিল। জরিপে দেখা গেছে, শতকরা ৬৪ শতাংশ নতুন কর্মী লিঙ্কডইন ব্যবহার করেন। এছাড়াও অধিকাংশই ফেসবুক ও টুইটার ব্যবহার করেন।
(http://paimages.prothom-alo.com/resize/maxDim/340x340/img/uploads/media/2013/04/08/2013-04-08-09-01-05-516287513ea26-your-facebook-twitter-linkedin-popularity-may-land-you-a-job.jpg)
নিউজিল্যান্ডের কন্ট্রাজিওন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি বিষয়ক পরিচালক টম বেটস জানিয়েছেন, বর্তমানে চাকরিপ্রার্থীদের অনলাইন প্রোফাইল ঘেঁটে দেখে তবেই তার যোগ্যতা বিচার করা হয়। যদি কেউ তাঁর জীবনবৃত্তান্তে ‘যোগাযোগ দক্ষতার’ বিষয়টি উল্লেখ করেন এবং দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে তাঁর উপস্থিতি কম তবে তাঁর জীবনবৃত্তান্তটি সঠিক হিসেবে গণ্য করা হয় না। জীবনবৃত্তান্ত পরীক্ষার সময় লিঙ্কডইন ও ফেসবুক প্রোফাইল গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চাকরিপ্রার্থীর অনলাইন উপস্থিতি ও কার্যক্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ চাকরির জন্য অত্যাবশ্যকীয় যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
পরামর্শ:
চাকরিপ্রার্থীদের অনলাইন সংস্কৃতিকে গঠনমূলক করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মানুষকে প্রভাবিত করা, বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি ও সৃজনশীল পোস্ট দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা। গবেষকেরা জানিয়েছেন, যোগাযোগ দক্ষতা থাকলে চাকরিদাতারাই খুঁজে নেবেন। চাকরির জন্য তখন আর ছুটতে হবে না, অনলাইনে আপনার উপযুক্ত সামাজিক যোগাযোগের দক্ষতাই চাকরির সুযোগ করে দেবে।
Source: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-04-08/news/343375