Daffodil International University
Faculty of Humanities and Social Science => Law => Topic started by: Ferdousi Begum on May 14, 2013, 11:54:44 AM
-
রিমান্ড বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা : ব্লাস্ট বনাম বাংলাদেশ মামলায় বিচারপতি মো. হামিদুল হক ও বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল কাউকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেন। এই নির্দেশনাই ঐতিহাসিক ৫৫ ডিএলআর নামে পরিচিত। হাইকোর্টের এ নির্দেশনার বিরুদ্ধে সরকার আপিল করলে আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেয়। আপিল বিভাগেও হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকে।
রায়ে বলা হয়:
১. আটকাদেশ দেয়ার উদ্দেশ্যে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না।
২. কাউকে গ্রেফতারের সময় পুলিশ তার পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য থাকবে।
৩. অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির আত্মীয় বা কাছের কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারের বিষয়টি অবহিত করতে হবে।
৪. গ্রেফতারের কারণ একটি পৃথক নথিতে পুলিশকে লিখতে হবে।
৫. গ্রেফতারের ৩ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারকৃতকে কারণ জানাতে হবে।
৬. বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যস্থান থেকে গ্রেফতারকৃতর নিকটাত্মীয়কে এক ঘণ্টার মধ্যে টেলিফোন বা বিশেষ বার্তাবাহক মারফত বিষয়টি জানাতে হবে।
৭. গ্রেফতারকৃতকে তার পছন্দসই আইনজীবী ও নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে পরামর্শ করতে দিতে হবে।
৮. জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আইনজীবী বা পরিচিত কারও উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।
৯. কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদে প্রয়োজনীয় তথ্য না পাওয়া গেলে তদন্তকারী কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে সর্বোচ্চ তিন দিন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে উপযুক্ত কারণ থাকতে হবে।
১০. জিজ্ঞাসাবাদের আগে ও পরে ডাক্তার দেখাতে হবে।
-
Unfortunately our law enforcement agency is not very much aware on this above directions.
-
Really very sad, proper implementation of law is necessary in this regard.