Daffodil International University

Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Ramadan and Fasting => Topic started by: Farhana Israt Jahan on June 04, 2013, 05:02:27 PM

Title: ডায়াবেটিক রোগীর রোজার প্রস্তুতি
Post by: Farhana Israt Jahan on June 04, 2013, 05:02:27 PM
ডায়াবেটিক রোগীর রোজার প্রস্তুতি
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশির ভাগ ডায়াবেটিক রোগী রোজা রাখেন। ডায়াবেটিসের রোগী, যাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোজা রাখেন, তাঁরা বেশ কিছু জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন। বিশেষ করে রক্তে শর্করা বা চিনির স্বল্পতা (হাইপোগ্লাইসেমিয়া), রক্তে শর্করা বা চিনির আধিক্য (হাইপারগ্লাইসেমিয়া), ডায়াবেটিস কিটোএসিডোসিস ও পানিশূন্যতা। যাঁরা শুধু খাবার ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেন, তাঁদের রোজা রাখার ঝুঁকি কম। যাঁরা মেটফরমিন ও গ্লিটাজোনস-জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করেন, তাঁদেরও এ সময় ঝুঁকি কম।

তবে যাঁরা সালফোনাইলইউরিয়া ও ইনসুলিন গ্রহণ করেন, তাঁদের ঝুঁকি বেশি। যাঁদের সামর্থয আছে, তাঁদের রোজা রাখতে ডায়াবেটিস কোনো বাধা নয়। তবে প্রয়োজন পূর্বপ্রস্তুতি। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে রোজা রাখার প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। ডায়াবেটিসের রোগীদের রোজা রাখা সহজ ও নিরাপদ। রোজা রাখা অবস্থায় রক্ত পরীক্ষা করা এবং প্রয়োজন হলে চামড়ার নিচে ইনসুলিন ইনজেকশন নেওয়া যেতে পারে। ধর্মবিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে আমরা জেনেছি, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। সুতরাং এসব নিয়ম মেনে ডায়াবেটিক-রোজাদার রোজা রাখতে পারবেন। ডায়াবেটিসের সঙ্গে অন্য জটিলতা যাঁদের আছে, তাঁদের রোজা রাখা ঠিক নয়। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
রোজার সময় রক্তে সুগারের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখার জন্য রোগীর কী কী করণীয়, সে সম্পর্কে চিকিৎসক আপনাকে পরামর্শ দেবেন। বিশেষ করে হাইপোগ্লাইসেমিয়া যাতে না হয়, সে জন্য সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।
•   রোজার সময় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডায়াবেটিসের ওষুধ সমন্বয় করবেন না, এতে মারাত্মক পরিণতি হতে পারে।
•   রোজার সময় দিনে ও রাতে সুগার মাপা উচিত। ধর্মবিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে জানা গেছে, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।
•   সেহরির খাবার সেহরির শেষ সময়ের কিছু আগে খাওয়া উচিত। ইফতারের সময় বেশি চিনিযুক্ত খাবার খাবেন না।
•   রোজার সময় দিনের বেলা অতিরিক্ত ব্যায়াম করা উচিত নয়।
•   রোজার সময় রাতের বেলা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।