Daffodil International University
Health Tips => Health Tips => Headache => Topic started by: mukul Hossain on June 15, 2013, 05:06:07 PM
-
মাথা থাকবে আর মাথায় ব্যথা হবে না তা হতে পারে না। মাথা থাকলে মাথাব্যথাও থাকবে। মাথাব্যথায় পড়েননি এমন কেউ নেই। দিনের শুরুতে, কাজের সময় এমনকি রাতে ঘুমের সময় মাথা ধরে দিনটাই মাটি করে দিতে পারে। আজ মাথাব্যথা থেকে দূরে থাকার কিছু পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো আমরা।
দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা, টেনশন এসব মনের ওপরে চাপ ফেলে। সারাক্ষণ মানসিক অস্থিরতার মাঝে থাকলে মাথা ব্যথা হবেই, এটা স্বাভাবিক। দুশ্চিন্তা কমাতে হবে, পেশাগত মানসিক চাপ ঘরে বয়ে আনা যাবে না। মনকে বিশ্রাম দিন, ঘরে ফিরে মাথা থেকে কাজের কথা বাদ দিয়ে একান্ত কিছু সময় কাটান।
বিশ্রাম নিন পর্যাপ্ত। গবেষকেরা দেখেছেন ঠিকমতো ঘুম না হলে অনেকেরই মাথায় ব্যথা হতে পারে। কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা ঘুম দরকার পূর্ণবয়স্ক মানুষের। কম ঘুমানো, ঘুমের মাঝে বাধা, সাউন্ড স্লিপ না হওয়া থেকে বাঁচতে কিছু ব্যবস্থা নিন। ঘুমের আগে ভারি কাজ করবেন না, ঠাণ্ডা পানিতে শরীর ধুয়ে ফেলুন, স্নিগ্ধ মনে বিছানায় যান। অন্ধকার শব্দহীন ঘরে একটা আরামের ঘুম দিন, পরের দিন মাথা ধরা থাকবে না।
কিছু খাবারের বদনাম রয়েছে মাথাব্যথার প্রভাবক হিসেবে। এসব খাবারের মাঝে চা, কফি, অ্যালকোহল উল্লেখযোগ্য। চা কফিতে অভ্যস্ত থাকলেও মাত্রাতিরিক্ত পান করবেন না। দিনে এক বা দুই কাপই যথেষ্ট।
মাথা মালিশে আরাম পান সকলেই। দেখা গিয়েছে মাথাব্যথায় কোমল হাতে কপালে, মাথায়, ঘাড়ে হাল্কা মালিশ দারুন কাজ করে। আপনার সঙ্গীকে বলুন মাথা টিপে দিতে। দেখবেন অনেকটা ভালো লাগবে।
অনেকের উচ্চ শব্দ, যানবাহনের তীব্র হর্ন, ভিড়বাট্টা, উজ্জ্বল আলো, দীর্ঘ ভ্রমণে মাথায় ব্যথা হয় । সাধারনত মাইগ্রেনের সমস্যায় এমন হয়। একটু সাবধান থাকলেই এসব সমস্যা এড়িয়ে চলতে পারেন। জোরে গান শোনা বাদ দিন। চেস্টা করুন কষ্টকর ভ্রমণ থেকে দূরে থাকতে তবে ঢাকা শহরের মতো কোলাহল মুখর শহরে চাইলেও শব্দ, ট্রাফিক জ্যামের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া কস্টকর।
সিগারেটের ব্যাপক ভূমিকা পেয়েছেন গবেষকেরা মাইগ্রেনের ব্যাথার পেছনে। যারা নিয়মিত ধুমপানে আসক্ত ও তাদের আশে পাশে যারা থাকেন তাদের মাথাব্যাথা বেশি হয়। তাই ধূমপান ও ধূমপায়ী থেকে দূরে থাকুন।
কেউ কেউ মাথা ব্যথা আরম্ভ হলে ঘাড়ের পেছনে ঠাণ্ডা পানি বা বরফের টুকরা লাগান। এটা অনেক সময় কাজ করে। অজু করুন। অজু করলে মাথা ও ঘাড় ঠাণ্ডা পানির স্পর্শে ব্যথা উপশমে সাহায্য করবে।
পছন্দের গান শুনতে পারেন যা মনকে শান্ত করবে। ক্লাসিকাল মিউজিক যেমন রাগপ্রধান গান বা যন্ত্রসঙ্গীত শুনতে পারেন। তবে চোখকে বিশ্রাম দিন। চোখ বন্ধ করে উপভোগ করুন বিটোভেন, মোজার্টের মতো কম্পোসারের সৃষ্টিগুলো।
যোগব্যায়াম অনেক ভালো কাজে দেয় এ ব্যাপারে। যারা নিয়মিত যোগ ব্যায়ামের মাঝে থাকেন তারা ব্যথায় আক্রান্ত হন কম। লম্বা করে গভীর শ্বাস নিন, আস্তে করে ছেড়ে দিন। পেট ফুলিয়ে শ্বাস নিন, ছেড়ে দিন। ধীরে ধীরে এমন শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে সাথে মন শান্ত হয়ে আসে, সাথে মাথাব্যথাও কমতে থাকে। চাইনিজ পদ্ধতি আকুপ্রেশার বা আকুপাংচার করেন কেউ কেউ, এটা অনেকের ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
যারা সবসময় কম্পিউটারের মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকেন বা অনেক সময় ধরে টিভি দেখেন তাদের মাথাব্যাথা হতেই পারে বার বার। চশমা ব্যবহার করে থাকেন যদি তাহলে এন্টিগ্লার গ্লাস বা রিফ্লেক্টিভ গ্লাস নিন। এটা সাধারণ চশমা থেকে অধিক পরিমাণে আলো চোখে পড়তে বাধা দেয়, ফলে চোখ আরামে থাকে, আপনিও আরামে থাকেন। টানা একনাগাড়ে মনিটর, টিভির দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। মাঝ মাঝে বিরতি নিন, উঠে পড়ুন, চোখে পানির ঝাপটা দিয়ে আসুন। যারা টানা বই পড়ে তাদের জন্যও একই কথা প্রযোজ্য।
খাবার খেতে যারা অনিয়ম করে তাদের মাইগ্রেনের সমস্যা বেশি হয়। প্রধান তিনবেলার আহার বাদ দেয়া ঠিক হবে না। পেটে ক্ষুধা নিয়ে কাজ করলে সহজেই মাথাব্যথা হয়। খাবারে পাবেন কাজ করার শক্তি। শক্তি না পেলে মস্তিস্ক দুর্বল হয়ে ব্যথার উদ্রেক করে। তাই খাবারে অবহেলা চলবে না।
প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ নিতে পারেন তবে কিছু সাধারণ নিয়ম মানলেই যেখানে অনেকটা দূরে থাকা যায় মাথাব্যথা থেকে সেখানে ওষুধের তেমন প্রয়োজন পড়ে না। যখন তখন মাথার ব্যথায় ইচ্ছেমতো ব্যথানাশক থেকে দূরে রাখার প্রয়াসেই আজকের কলামটি লেখা হয়েছে।
ডাঃ রায়হান কবীর খান
-
THANKS
-
True but I dislike such pain.. It is enough to spoil many things in life.