Daffodil International University
Health Tips => Health Tips => Topic started by: arifsheikh on June 16, 2013, 06:15:41 PM
-
বর্তমানে পেটের অবাঞ্ছিত মেদ আমাদের মাথা ব্যাথার একটি অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি যে শুধু সৌন্দর্যহানী করে তা নয়, শরীরে যে বিভিন্ন অসুখ বাসা বাধতে মোক্ষম ভূমিকা পালন করে।
পেটের এই অবাঞ্ছিত মেদ কমানোর জন্য তেমন কোনো কষ্ট করা লাগে না। শুধু নিজ ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা দরকার। মেদ কমানো কিছু পন্থা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
সময়মতো ঘুম
অসময়ের ঘুম শরীরের জৈবিক ছন্দ নষ্ট করে দেয়। এর ফলে আপনার শরীরে খাদ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। আপনার যদি রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস থাকে তাহলে আরেকবার ভাবুন। এতে পেটে চর্বি জমার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও শরীরে হরমোনের ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যায়। যা আপনার মুটিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
ছোট ছোট কিছু ব্যায়াম
পেটের মেদ কামনোর জন্য আপনাকে জিমে যাওয়া বা কষ্টকর ব্যায়াম করার দরকার নেই। ছোট ছোট কিছু ব্যায়াম নিয়মিত করতে হবে। যেমন ফ্লোর ক্রাঞ্চেস্, বার-পিস, সিঙ্গেল লেগ স্কোয়াট, পুশ-আপস্, চেয়ার ডিপস্ ৩০ সেকেন্ড করে দিনে ৪-৫ বার করে দেখুন। এর পাশাপাশি প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ হাঁটুন।
চিনির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করুন
পেটের মেদ কমাতে ৮০ ভাগ ভূমিকা রয়েছে সঠিক খাদ্যের। সঠিক খাদ্য বলতে বোঝানো হয় যেগুলো ক্যালরি কমাতে সাহায্য করে যেমন প্রোটিন বা আমিষ, শাক-সবজি, শস্যদানা ইত্যাদি। খাদ্য তালিকা থেকে যথাসম্ভব চিনি দূরে রাখুন। চিনির বদলে সুক্রোলোজ (যা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সুগার ফ্রি নামে পাওয়া যায়) ব্যবহার করুন। প্রতিবার চায়ের কাপে চিনির বদলে মধু ব্যবহার করুন। এতে চিনির বিকল্পও হবে, পাশাপাশি পেটের মেদও কমবে।
ভিটামিন সি এর সাথে থাকুন
ভিটামিন সি সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। টক জাতীয় ফলমূলে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। এই উপাদানটি আমাদের শরীরে সেই হরমোনটির ব্যালেন্স ঠিক রাখে যেটি শরীরে মেদ নিয়ন্ত্রন করে। ভিটামিন সি কারনিটিন নামক প্রয়োজনীয় একটি উপাদান তৈরী করে, যা শরীরে চর্বি পোড়াতে সহায়তা করে।
চর্বি খাবেন তবে ভালটি
জিনিসটি অনেকটা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতো। বর্তমান সময়ে ওমেগা-৩ ফ্যাট নিয়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। হবেই না কেন? যদিও এটি নিজেই একটি ফ্যাট, কিন্তু ক্ষতিকারক ফ্যাট দূর করতে এর কোন জুড়ি নেই। শাক-সবজি, মাশরুম, শস্যদানা, মাছ ইত্যাদি আপনাকে দিতে পারে যথেষ্ট পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাট।
শ্বাস-প্রশ্বাস আস্তে আস্তে
কোন পরিশ্রম ছাড়া আমরা যেই কাজটি করতে পারি তা হলো সঠিক নিয়মে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া। বেশির ভাগ মানুষই হয় দ্রুত না হয় অনেকক্ষণ পর পর শ্বাস গ্রহন করে। যদি এটি একটা ছন্দে করা যায়, অর্থাৎ আস্তে আস্তে শ্বাস গ্রহন ও নি:শ্বাস ত্যাগ করা যায় তাহলে পেটের খুব ভালো একটা ব্যায়াম হবে।
প্রতিনিয়ত যদি এটি মেনে চলা যায় তাহলে পেটের মেদ কমাতে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখবে।
-
nice post...........