Daffodil International University
Entertainment & Discussions => Story, Article & Poetry => Topic started by: Mohammad Nazrul Islam on June 24, 2013, 12:11:39 PM
-
নজরুল
নজরুল ভাবনা যুগোপযুগী চিন্তা। এই চিন্তার বাস্তবতা সমাজ সংস্কারের মুল ভিত্তি। আধুনিক উপনিবেশবাদী চিন্তাধারা ও মৌলবাদী ভাবনার বিরুদ্ধে নজরূল ছিলেন এক প্রতিবাদী কন্ঠ। সমাজিক ধান্ধাবাজ ও শোষনের বিরুদ্ধে তিনি বুঁক ফুঁলিয়ে উচ্চারন করেছিলেন-
‘পরোয়া করি না, বাচিঁ না বাচিঁ যুগের হুজুগ কেটে গেলে
মাথার উপর জ্বলছে রবি, রয়েছে সোনার শত ছেলে
প্রার্থনা করো যারা কেড়ে খায় তে‘ত্রিশ কোটি মুখের গ্রাস
যেন লেখা হয় আমার রক্ত লেখায় তাদের সর্বনাশ,।
নজরুল চিন্তা দুদর্মনীয়, নিদিষ্ট পরিমন্ডলে সীমাহীন, বাস্তব ও আদর্শীক। সমাজের নিপিড়ন-নির্যাতন আর অভাব-অনুটনের বিরুদ্ধে তাকে সর্বদাই সংগ্রাম করতে হয়েছে। ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়েছেন। পেটের ধায়ে কখনো কুলিগিরি, আবার কখনো রুটির দোকানে দিন মুজুর খেটে গুনে ধরা সমাজের স্বরুপ উৎঘাটন, ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদে বলেছেন-
আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্চা
আমি মহামারি, আমি ভীতি এ ধরিত্রীর
আমি শাসন-ত্রাসন সংহার, আমি উষ্ঞ অধির!
ধর্মীয় অনুভুতির চেয়ে মানবতাবাদ নজরুলকে বেশী উৎজীবিত করে ছিল। তাই তিনি চির স্বৎসত একটি সত্য উচ্চারন করেন- ‘মিথ্যা শুনিনি ভাই,এই হৃদয়ের চেয়ে বড় মন্দির কা‘বা নাই’।
সত্যিকারের ধর্মীয় চেতনা যে তার ছিল না তা নয়। ধর্মীয় কুসংস্কার ও মোল্লাতন্ত্রের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সৌচ্চার। জীবনের কঠিন সময গুলোতে তিনি সমাজের মোসাহেব ও মোল্লাাদের দ্বারা তিনি বিন্দুমাত্রও উপকার পান নাই। মোল্লাদের একাচ্ছধ্য আধিপত্যের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চারন করেন-
তব মসজিদ মন্দির প্রভু নাই মানুষের দাবী
মোল্লা পুরুত লাগিয়েছে তার সকল দুয়ারে চাবি।
ভেঙ্গে পেল ঐ ভজনালয়ের যত তালা দেওয়া দ্বার,
খোদা ঘরে কে কপাট লাগায় কে দেয় সেখানে তালা?
সব দ্বার এর খোলা রবে, চালা হাতুড়ি-শাবল চালা।
নজরুল ছিলেন ভালবাসার মূর্ত প্রতীক। তিনি সারা জীবনই ছিলেন ভালবাসার কাঙ্গাল। তার হৃদয়ে প্রেম ছিল অফুরন্ত। দেহের চেয়ে মনের আর্কষন তাকে সর্বদাই আকৃষ্ট করত্। তার প্রেম ছিল, সসীম থেকে অসীমতার দিকে ধাবমান। তাই পুজাঁরিনী কবিতায় নজরুল বলেছেন-
কোথা মোর ভিখারীনি, পুজারিনী কই?
যে বলিবে –ভালবেসে সন্ন্যাসিনী আমি, ওগো মোর স্বামী
রিক্ত আমি আমি তব গরবিনী বিজয়ীনি নই।