Daffodil International University

Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Islam & Science => Topic started by: yousuf miah on July 02, 2013, 10:50:21 AM

Title: Islam and Modernism
Post by: yousuf miah on July 02, 2013, 10:50:21 AM
বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কার, পরিবর্তন ও বিবর্তন আধুনিকতায় অল্প বিস্তর প্রভাব ফেলেছে বটে। তবে মূলত আধুনিকতা ও প্রগতির নির্ভেজাল সৌকর্য-শোভার অগ্রযাত্রার সূচনা করেছে শাশ্বত ধর্ম ইসলাম। একমাত্র ইসলামই তাবৎ কলুষতা ধ্বংস করে। উত্তম, সিদ্ধ পবিত্র এবং ইহ ও পরকালের জন্য কল্যাণকর সব কিছুর দিকনির্দেশনা দেয় ইসলাম। ইসলামই প্রকৃত আধুনিকতা ও প্রগতির ভিত্তি স্থাপন করেছে। যা কোনো কালের সীমায় আবদ্ধ থাকেনি। বরং সেই সপ্তম শতাব্দী থেকে আজ অবধি সমানভাবে বহমান রয়েছে এবং অনাগতকাল পর্যন্ত বহমান থাকবে। ইসলাম চির আধুনিক ও চির প্রগতিশীল। ইসলাম হচ্ছে ফিতরাত স্বভাবজাত ধর্ম। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সময়ের শ্রষ্টা। যে কারণে তার দেওয়া জীবন ব্যবস্থা নির্দিষ্ট সময়কালের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না, সেটা সর্বকালে উন্নতিশীল, প্রগতিশীল। ইসলাম যা কিছু ভালো তাকে গ্রহণ করতে বলে। যা কিছু মন্দ তা বর্জন করতে বলে। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল হোক যারা কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে এবং সৎকাজের আদেশ করবে আর অসৎ কাজে নিষেধ করবে। আর তারাই তো সফলকাম। (আল ইমরান, ১০৪) হজরত মুহাম্মদ (সা.) যখন এই পৃথিবীতে আগমন করেন তখন পৃথিবীটা অজ্ঞতা, কুসংস্কার, অন্ধকার, শিরক, কুফর, নৈরাজ্য ও নৈরাজ্যের ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। আধুনিকতা প্রগতি, সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্য যে সুশোভিত সৌকর্য বৈভব থাকার কথা যে সুনৈতিকতা, সুশীলতা শ্লীলতা থাকার কথা তখন তা মোটেই ছিল না। সর্বত্র বিরাজ করছিল অসভ্যতা, অশ্লীলতা ও অপসংস্কৃতি। অনৈতিকতা, অশিক্ষা, কুশিক্ষা, জুলুম, নির্যাতন, বঞ্চনা, গঞ্জনা এই পৃথিবীকে বসবাসের অনুপযোগী করে তুলেছিল। সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শুভাগমন ছিল অন্ধকার থেকে আলোয়, বর্বরতা থেকে আধুনিকতায়, পশ্চাৎপদতা থেকে প্রগতির পথে কাঙ্ক্ষিত উত্তরণ। তিনি যে আধুনিকতা ও প্রগতির পথ দেখালেন তা সর্বকালের সব মানুষের জন্য। যা কখনো পুরনো হয় না, কখনোই প্রগতি থেকে দূরে থাকে না। বরং আধুনিকতা ও প্রগতির নামে যে সব অশ্লীলতা, বেলেল্লাপনা, অন্যায় অসভ্যতার অপচেষ্টা হয় তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে। আধুনিকতা ও প্রগতির প্রধান উপাদান হচ্ছে জ্ঞান-বিজ্ঞান। ইসলাম জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনুশীলন ও চর্চার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘পাঠ কর তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন।’ (আলাক-১) আরও ইরশাদ হয়েছে, নিশ্চয়ই আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টির মধ্যে এবং রাত-দিনের পরিবর্তনের মধ্যে বোদ্ধাজনের জন্য রয়েছে নিদর্শন। (আল ইমরান-১৯০) এ ধরনের আয়াতগুলোতে যেন জ্ঞান-বিজ্ঞানের গোড়াপত্তনই করা হয়েছে।


Md.Yousuf Miah
Accounts Officer
Daffodil International University