Daffodil International University
Health Tips => Health Tips => Diabetics => Topic started by: Munni on July 07, 2013, 11:00:30 AM
-
রমজান মাসে রোজাদারদের খাদ্যাভ্যাস ও সময়সূচিতে পরিবর্তন আসে। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সুস্থ থাকার জন্য ডায়াবেটিক রোগীদেরও প্রয়োজন পূর্বপ্রস্তুতি। রমজান মাস শুরুর আগেই নিন সেই প্রস্তুতি।
আগে থেকেই রক্তে শর্করার মাত্রা, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা জরুরি। ডায়াবেটিসের কারণে চোখ, মস্তিষ্ক, হূৎপিণ্ড, ধমনি, কিডনি, পা, স্নায়ু ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়; এগুলো আগেই পরীক্ষা করিয়ে নিজের ঝুঁকির বিষয়ে জেনে নিন।
খাদ্যাভ্যাস, ঘুম, বিশ্রাম, ব্যায়ামের নিয়মগুলো জেনে নিন এবং ওষুধের মাত্রা বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন। বাড়িতে নিজের রক্তের শর্করা মাপার জন্য একটি যন্ত্র কিনে নিন ও তার ব্যবহার শিখে নিন।
আপনি রোজা রাখতে পারবেন কি না, তা নির্ভর করে আপনার শারীরিক অবস্থার ওপর। বিশ্বজুড়ে এই ঝুঁকি বিবেচনা করে ডায়াবেটিসের রোগীদের চার ভাগে ভাগ করা হয়। সাধারণত মধ্যম এবং কম ঝুঁকিযুক্ত ডায়াবেটিসের রোগীরা নিরাপদে রোজা রাখতে পারেন। অন্যদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখাই ভালো।
১. অত্যন্ত মারাত্মক ঝুঁকি:
রমজান মাস শুরুর আগের তিন মাসের মধ্যে রক্তে শর্করাস্বল্পতা বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া অথবা শর্করা আধিক্য।
ঘন ঘন রক্তে শর্করাস্বল্পতা।
রক্তে শর্করাস্বল্পতাজনিত লক্ষণ টের না পাওয়া।
খুবই অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস।
টাইপ ১ ডায়াবেটিস
গুরুতর অসুস্থতা
গর্ভাবস্থা
নিয়মিত ডায়ালাইসিস।
২. গুরুতর ঝুঁকি:
গড় রক্ত শর্করা ৭.৫-৯%
কিডনি, হূদ্যন্ত্র, রক্তনালির জটিলতা।
ইনসুলিন বা সালফনাইলইউরিয়া গ্রহণ ।
৩. মধ্যম ঝুঁকি:
সুনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের রোগী যাঁরা ক্ষণস্থায়ী শর্করা নিয়ন্ত্রক ওষুধ সেবন করেন।
৪. কম ঝুঁকি:
সুনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের রোগী যাঁদের কেবল খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়াম অথবা মেটফরমিন, ইনক্রেটিন, গ্লিটাজন শ্রেণীর ওষুধের মাধ্যমে রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রিত।
মেডিসিন বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল।
Source: http://www.prothom-alo.com