Daffodil International University

Entertainment & Discussions => Story, Article & Poetry => Topic started by: Mohammad Nazrul Islam on July 07, 2013, 04:03:56 PM

Title: Thinking of Rabindranath (রবীন্দ্র ভাবনা)
Post by: Mohammad Nazrul Islam on July 07, 2013, 04:03:56 PM
রবীন্দ্র ভাবনা
বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক,পথিত যশা-মহা মূলব্যান হীরের টুকরো। যার বিচাছুরিত আলো বাংলা সাহিত্যকে সু-মহান উচ্চে আসীন করেছে। বাঙ্গালীর জীবন সংসারকে বাংলার সর্বত্র ব্যবহারে- করেছে, ছান্দীক, গতিময় ও যুগোপযোগী। আসলে আমাদের এই সংসারে তাই গতি-শীল, যা অমর। বদ্ধ সংর্কীন সীমানার রেখায়, বৃহৎ সৃষ্টির সম্ভব নয় বরং কালের বির্বতনে হারিয়ে যাওয়াই স্বাভাবীক। কাব্য রবীন্দ্র জীবনের সত্ত্বা ও অর্ন্তনিহিত চৈতন্য। কবি জীবন গতি বেগে চঞ্চল। তাই তিনি বলেছেন-
চিরকাল ধরিয়া দিবস চলেছে
দিবসের অনুগামী,
শুধু আমি নিজ বেগে সামলাতে নারি
ছুটছি দিবসের যামী।
বিশ্ব অনুভুতি রবীন্দ্রনাথের  জীবন দেবতার অভিপ্রেত। জীবন দেবতাই তার চির সঙ্গী। তাই তিনি বলেছেন-
‘হে চির পুরাতন চিরকাল মোরে
গড়িছ নতুন করিয়া
চিকাল তুমি সাথে ছিলে মোর,
রবে চির দিন ধরিয়া’।
সংসারের যত ব্যথিত উৎপীড়ন, আশাহীন, ভাষাহীন মানুষ আছে, তাদের ক্রন্দন কবিকে র্স্পশ করে ছিল। তাই কবি তাদের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে লিখেছেন-
এবার ফিরাও মোরে, লয়ে যাও সংসারের তীরে
হে কল্পনা বঙ্গময়ী; দুলায়োনা সমীওে সমীরে!
তরঙ্গে তরঙ্গে আর, ভুলায়োনা মোহিনী মায়ায়।
বিশ্বলোকের শ্রষ্ঠা মানুষের পরম পিতা ও সখ্য, সত্য-শিব-সুন্দরের পরম প্রকাশ। রবীন্দ্রণাথ সুস্পষ্ট ভাষায় বলেন, জীবন দেবতা ঈশ্বর নন। ‘ধর্ম শাস্ত্রে যাহাকে ঈশ্বর বলে, তিনি বিশ্বলোকের, আমি তাহার কথা বলি নাই, যিনি বিশেষ রুপে আমার, অনাদিকাল একমাত্র আমার-----। কবি জীবনের সকল সঞ্চয় কর্ম রাগিনী ও ছন্দ দিয়ে শ্রষ্ঠার জন্য বাসর রচনা করেন। বিশ্বস্বামী সোহাগী রবীন্দ্রনাথ বলেন-
গলায়ে গলায়ে বাসনার সোনা
প্রতিদিন আমি করেছি রচনা
তোমার ক্ষনিক খেলার লাগিয়া
মুরতি নিত্যনব।
আপনি বরিয়া লয়েছিল মোরে
না জানি কিসের আশে।
লেগেছে কি ভাল হে জীবন নাথ,
আমার রজনী আমার প্রভাত
আমার নর্ম, আমার কর্ম
তোমার বিজন বাসে-----
মনের কুসুম তুলি অঞ্চলে,
গেথেছ কি মালা, পরেছ কি গলে,
আপনার মনে করেছ ভ্রমন
মম যৌবনবনে?
মৃত্যুর নিরুদ্দেশ যাত্রা কবিকে মানব সংসার থেকে বিছিন্ন কওে ছিল। কবির ধারনা সেখানে ভক্তিরস নাই সেখানে ঈশ্বরের পদ ধ্বনি শুনা যায় না। সংকীর্ন জীবনের সমুদ্র-সঙ্গম কবিকে ভাবিয়ে রাখতো। তাই কবি বলেছেন-

আর কত দুরে নিয়ে যাবে মোরে
হে সুন্দরী,
বলো কোন পাওে ভিড়িবে তোমার
সোনার তর্।ী
যে সত্ত্বা সমগ্র বিশ্ব-নানা বিচিত্র সৌন্দয্যে পূর্ন করে বিরাজিত তা-ই আবার অর্ন্তলোকে শাশ্বতরুপে একাকিত্বে ঊদ্ভাসিত। যা বাইরে শব্দে, গন্ধে, বর্নে এবংঅসখ্য ছন্দ ভঙ্গিতে ইন্দ্রিয়গ্রামকে অধিকার কওে আছে যা ইন্দ্রিয়াততি হয়ে দেশ কালের অতীত রুপে কেবল মানববৃন্তে প্রস্ফুটিত হয়। শ্রষ্ঠার এই বিভিন্ন রুপি খেলা কবিকে মূহিত রাখতো। তাই কবি বলেছেন-
সীমার মাঝে অসীম তুমি,
বাজাও আপন সুর
আমার মধ্যে তুমার প্রকাশ,
তাই তো এত মধুর।