Daffodil International University

Faculty of Humanities and Social Science => Law => Topic started by: Ferdousi Begum on July 14, 2013, 03:22:25 PM

Title: Nature of Civil Suits
Post by: Ferdousi Begum on July 14, 2013, 03:22:25 PM

সম্পত্তির উপর স্বত্ব ও দখলের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হলে যে মামলার মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি করা হয় তাকে দেওয়ানি মামলা বলা হয়। দেওয়ানি মামলাকেই আদালতের ভাষায় মোকদ্দমা বলা হয়।দেওয়ানি আদালতের বিচার্য বিষয় হচ্ছে সব ধরনের দৃশ্যমান স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি এবং অদৃশ্য সব ধরনের অধিকার সংক্রান্ত মোকদ্দমা। সাধারণভাবে বলা যায়, সব ধরনের স্বত্ব, অধিকার, দাবি প্রভৃতির মামলা দেওয়ানি আদালতের আওতাভুক্ত।

দেওয়ানি মামলার বিষয়বস্তু:

- যেকোনো ধরনের সম্পত্তি বা স্বত্ব নিয়ে মামলা।

- কোনো মানবিক সম্পর্ক (পিতা-পুত্র, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক) নিয়ে  বিরোধ।

- মসজিদের নামাজ পড়া বা মন্দিরে পূজা করার অধিকার নিয়ে মোকদ্দমা।

- ভোটাধিকার নিয়েও দেওয়ানি আদালতে মামলা করা হয়।


সুপ্রিম কোর্ট (আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ) ছাড়াও আমাদের দেশে পাঁচ ধরনের দেওয়ানি আদালত আছে।

জেলা জজ আদালত:

হাইকোর্ট বিভাগের পরেই জেলা জজের স্থান। জেলার সর্বোচ্চ আদালতই জেলা জজ আদালত।এ আদালত যখন দেওয়ানি প্রকৃতির মামলা করে তখন তাকে দেওয়ানি আদালত বলা হয়।আবার যখন ফৌজদারী মামলার বিচার করলে তাকে ফৌজদারী আদালত বলে।

- ১ লাখ হতে ৫ লাখ পর্যন্ত মূল্যমানের মামলার আপীল জেলা জজ আদালতে করতে হয়।

- সাকসেশন সার্টিফিকেট, লেটার অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইত্যাদি জেলা জজ ইস্যু করতে পারেন।

- জেলা জজ আদালত তার নিম্ন আদালতের মোকদ্দমা স্থানান্তর সম্পর্কিত দরখাস্ত, রিভিশন শুনানী গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করতে পারেন।

- পারিবারিক আদালতের রায় ও আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আপীল গ্রহণ ও ও নিষ্পত্তি করে থাকেন।

অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত:

অতিরিক্ত জেলা জজের বিচারিক ক্ষমতা জেলা জজের সমান। তবে কোনো মোকদ্দমা বা আপীল এই আদালতে সরাসরি দায়ের করা যায় না।

- জেলা জজ আদালতে দাখিল করা দরখাস্ত নিষ্পত্তির জন্য এ আদালতে প্রেরণ করা হলে তা শুনানী শেষে নিষ্পত্তি করা হয়।

- অতিরিক্ত জেলা জজের কোনো প্রশাসনিক ক্ষমতা নেই।

যুগ্ম জেলা জজ:

প্রত্যেক জেলায় এক বা একাধিক যুগ্ম জেলা জজ থাকেন। তিনি দেওয়ানি মোকদ্দমার সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচারক।এ আদালত ৪ লক্ষ ১ টাকা হতে অসীম মূল্যমানের বিষয়বস্তুর মূল মোকদ্দমা গ্রহণ ও বিচার নিষ্পত্তি করতে পারেন।

সিনিয়র সহকারি জজ:

প্রত্যেক জেলায় সাধারণত এক বা একাধিক সিনিয়র সহকারি জজ আদালত থাকে। সম্পত্তি, অফিস, ব্যক্তিগত অপকার, ক্ষতিপূরণ ও ধর্মীয় অধিকার-সংক্রান্ত যাবতীয় মোকদ্দমা সিনিয়র সহকারি জজ ও সহকারি জজ আদালতে দায়ের করা হয়।এ আদালত দুই লক্ষ ১ টাকা হতে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের মূল মোকদ্দমা গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করতে পারে।

সহকারি জজ আদালত:

এ আদালত সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের বিষয়বস্তুর মূল মামলা বিচারের জন্য গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করতে পারে। এ আদালতের কোনো আপিল এখতিয়ার নেই।

সিনিয়র সহকারি জজ ও সহকারি জজ আদালতে কী কী মামলা করা যায়:

- স্বত্ব ঘোষণার মোকদ্দমা৻

- স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমা।

- চুক্তি কার্যকরের মোকদ্দমা।

- দলিল, চুক্তিপত্র, লিখিত অঙ্গীকারপত্র ইত্যাদি রদ ও রহিতের জন্য মোকদ্দমা।

- যেকোনো কর্তৃপক্ষের অবৈধ আদেশ রদ ও রহিতের মোকদ্দমা।

- দখল পাওয়ার মোকদ্দমা।

- সম্পত্তি বা অফিস সংক্রান্ত কোনো অধিকার সম্পর্কে ঘোষণা পাওয়ার মোকদ্দমা।

- টাকা পাওয়ার মোকদ্দমা।

- সম্পত্তি অগ্রক্রয়ের মোকদ্দমা।

-নির্বাচনসংক্রান্ত মোকদ্দমা।