Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Pharmacy => Topic started by: Kanij Nahar Deepa on July 31, 2013, 01:45:25 PM
-
যাঁদের পেপটিক আলসার বা গ্যাস্ট্রিক আছে বা যাঁরা বুক জ্বালাপোড়ায় ভুগছেন, তাঁরা কি রোজা রাখতে পারবেন? দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে পেপটিক আলসারজনিত জটিলতা কি বেড়ে যেতে পারে?
সাধারণত অভুক্ত অবস্থায় পাকস্থলীতে অ্যাসিড এবং পেপটিক রস কম নিঃসৃত হয়, কিন্তু খাবারের গন্ধ বা খাদ্যচিন্তা এগুলোর নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। তবে রমজান মাসে খাদ্য গ্রহণের সময়সূচির আকস্মিক পরিবর্তন, ঘুমের ব্যাঘাত, পানি না খাওয়া ও অতিরিক্ত তেল মসলাযুক্ত খাবার আপনার বুক জ্বালাপোড়া বাড়িয়ে দিতে পারে। এ থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে খানিকটা বাড়তি সচেতনতা।
ধূমপান, অ্যালকোহল পরিত্যাগ করার এটাই শ্রেষ্ঠ সময়।
আঁশযুক্ত শর্করা যেমন লাল আটা, ঢেঁকি ছাঁটা চাল, শাকসবজি খান, তবে সঙ্গে প্রচুর পানি খাবেন নতুবা অন্ত্রে বায়ু তৈরির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
চিড়া, দই, ছোলা, আলু উপকারী।
চর্বিবিহীন মাংস উপকারী।
ডুবো তেলে ভাজা যেকোনো খাবার আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে।
ইফতার ও সেহিরতে ফল খাবেন। বিশেষ করে কলা ও খেজুর অত্যন্ত উপকারী। তবে ফলের রস বুক জ্বালাপোড়া বাড়িয়ে দিতে পারে।
পানিশূন্যতা এড়াতে ইফতার থেকে রাতে শোয়ার আগ পর্যন্ত ১০-১২ গ্লাস ও সেহিরতে দু-তিন গ্লাস পানি পান করুন। পাশাপাশি বিভিন্ন শরবত খেতে পারেন। চা-কফি প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে পানিশূন্যতা তৈরি করতে পারে। তাই এগুলো কম পান করুন, বিশেষ করে সেহিরতে তো নয়ই।
কোনো খাবার একসঙ্গে বেশি খাবেন না। সেহিরর পরিমাণ হবে আপনার দুপুরের খাবারের পরিমাণ, রাতের খাবারের পরিমাণ একই থাকবে। ইফতার বা সেহির খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়বেন না বা ব্যায়াম করবেন না।
ওজন যেন না বেড়ে যায়।
যাঁরা আগে থেকেই পেপটিক আলসারে ভুগছেন তাঁরা পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা অব্যাহত রাখুন। বিশেষ করে সেহিরতে অবশ্যই অ্যান্টি-আলসার ওষুধ খাবেন।
ব্যথার ওষুধ এড়িয়ে চলুন।
ওপরে নিয়মগুলো সঠিকভাবে মেনে চলে বুক জ্বালাপোড়া এবং আলসার নিয়ন্ত্রণে রেখে নির্বিঘ্নে রোজা রাখুন। ভালো থাকুন।
Ref: Prothom alo
-
Thanks for sharing. :)
-
welcome Madam :)
-
informative post!
-
thank you