Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Pharmacy => Topic started by: Kanij Nahar Deepa on September 29, 2013, 04:23:11 PM
-
অনেক ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া মানুষের ফুসফুস, অন্ত্র কিংবা প্রজননতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এসব সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য বিজ্ঞানীরা নানা ধরণের ভ্যাক্সিন উদ্ভাবন করে চলেছেন। ফুসফুসের কথাই ধরা যাক। ফুসফুসে যদি সংক্রমণ হয় তবে এটি প্রতিরোধে ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হয়। এই ভ্যাক্সিন রোগীর ফুসফুসে প্রয়োগ করা হয় স্প্রে করার মাধ্যমে। এই ক্ষেত্রে সমস্যা যেটি দেখা দেয়, ফুসফুস এই স্প্রের সাথে থাকা ভ্যাক্সিনকে ক্ষতিকারক বলে ধরে নেয়। ফুসফুস এই স্প্রের মাধ্যমে দেয়া ভ্যাক্সিনকে তার কাছে আসতে প্রতিহত করে। ফলে ভ্যাক্সিনটি তার কার্যকারিতা হারায়।
এজন্য MITর গবেষকরা এমন এক ধরণের ন্যানো-পার্টিক্যাল তৈরি করেছেন যেটা ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা আরো বাড়িয়ে দেবে। এটি শুধু ফুসফুস সংক্রমণেই নয়, অন্ত্র কিংবা প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণের কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা করছেন গবেষকরা। এছাড়া ন্যানো-পার্টিক্যাল যুক্ত ভ্যাক্সিনের সুবিধা হচ্ছে, শরীরের যে অংশটি সংক্রমিত হয়েছে, ভ্য্যাক্সিনটি তার থেকে বেশ দূরে শরীরের অন্য কোন স্থানে প্রয়োগ করা হলেও কাজ করতে সক্ষম হবে। MITর materials science and engineering and biological engineering এর অধ্যাপক ও গবেষকদলের প্রধান ড্যারেল আরভিন বলেন, “এধরণের ভ্যাক্সিন মানুষের শ্বসন বা শ্বাস প্রশ্বাসজনিত রোগ যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা প্রজননতন্ত্রের রোগ এইচআইভি/এইডস, হারপিস সিম্প্লেক্স ভাইরাস কিংবা হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস প্রতিরোধেও ভালো কাজ করতে সক্ষম হবে।‘ আরভিন ক্যান্সার নিয়েও গবেষণা করছেন ও তিনি আশা করছেন নতুন এই প্রকল্প ক্যান্সারসহ অন্যান্য ভয়াবহ রোগ প্রতিরোধে ভ্যাক্সিন উদ্ভাবনে সাহায্য করবে।
আরভিন ও তার দল ২ বছর আগে এই বিশেষ ধরণের ন্যানো-পার্টিক্যাল তৈরি করেন। ভ্যাক্সিন যে প্রোটিন খণ্ড বা ফ্র্যাগমেন্ট দিয়ে গঠিত সেগুলোকে লিপিড দিয়ে তৈরি গোলকাকার বুদবুদ আকৃতির কাঠামোর ভেতরে রাখা হয়। আর এরা একটি আরেকটির সাথে রাসায়নিকভাবে একে অন্যের সাথে লেগে থাকে। এর ফলে পার্টিক্যালগুলো দেহের ভেতরে অনেক বেশি সময় ধরে অবস্থান করতে পারে। যেমন ইঁদুরের উপর চালানো এক গবেষণাত দেখা গিয়েছে, ন্যানো-পার্টিক্যাল দিয়ে আবদ্ধ এইচ আই ভি কিংবা ক্যান্সার এন্টিজেন ইঁদুরের দেহ অনেক দ্রুত শোষণ করে নিচ্ছে। কিন্তু সাধারণ ভ্যাক্সিন, যেগুলো ফুসফুস কিংবা ত্বকের নিচ দিয়ে প্রয়োগ করা হয়, সেগুলো অনেক ধীরে কাজ করছে।
এছাড়া দেখা গেল, এই ন্যানো-পার্টিক্যালযুক্ত ভ্যাক্সিন খুব দ্রুতই ইঁদুরের ফুসফুসে থাকা ভাইরাসগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, নতুন ধরণের এই ভ্যাক্সিন প্রয়োগের ফলে ইঁদুরগুলোর দেহের ওজন খুব বেশি হ্রাস পায় নি। আর ন্যানো-ক্যাপসুলের মাধ্যমে দেয়া ভ্যাক্সিন ভাইরাসের পুরো সংক্রমণ ব্যবস্থা নষ্ট করে দেয়।
নতুন এই ন্যানো-পার্টিক্যালগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। এই ন্যানো পার্টিক্যালগুলো শরীরে সৃষ্ট ক্যান্সার কোষগুলোকে ধ্বংস করতে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উদ্দীপিত করে। এই গবেষণাটিও ইঁদুরের উপর চালানো হয় সফলভাবে। তবে গবেষকরা বলছেন, মানুষের উপর এই নতুন ভ্যাক্সিনের প্রয়োগ শুরু করার জন্য আরো গবেষণার দরকার আছে। পুরো গবেষণাটি the National Cancer Institute, the Ragon Institute, the Bill and Melinda Gates Foundation, the U.S. Department of Defense and the National Institutes of Health কর্তৃক পরিনাপত্রচালিত হচ্ছে।
আর গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে Science Translational Medicineএর ২৫ সেপ্টেম্বর সংখ্যায়।
-
This is very important info about nanoparticle vaxin.
Md Al Faruk
Lecturer
-
This is nice and effective, but, if we can start in our lab