Daffodil International University

Bangladesh => Business => Economy => Topic started by: maruppharm on October 01, 2013, 10:28:58 AM

Title: ‘বাংলাদেশই সেরা’
Post by: maruppharm on October 01, 2013, 10:28:58 AM
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের শুক্রবারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গত ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে এক হাজার একশ’র বেশি শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনার পর পোশাক শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আলোচনার ঝড় ওঠে তাতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়

তবে বিশ্বের অন্য যে কোনো জায়গার তুলনায় বাংলাদেশেই সবচেয়ে কম দামে তৈরি পোশাক পাওয়া যাওয়ায় এদেশের দিকেই বিদেশি ক্রেতাদের নজর বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাভারের ঘটনার পর ভারত ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর পোশাক ব্যবসায়ীরা ভেবেছিলেন, এবার ক্রেতারা তাদের দিকেই ঝুঁকবেন।

কিন্তু চীন ছাড়া ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, ক্যাম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামসহ এশিয়ার শীর্ষ পোশাক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করলে পাওয়া যায় ভিন্ন চিত্র।

তারা বলেন- বিদেশি ক্রেতারা এখনো তাদের কাছে আসছেন না। দামের দিকটা দেখলে বাংলাদেশই সেরা।

এ বিষয়ে ভারতভিত্তিক একটি তৈরি পোশাক আমদানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান অরবিন্দ সিংঘাল বলেন, “তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের শূন্য থেকে নায়ক বনে যাওয়ার পিছনে কারণ হচ্ছে, বিশ্বের আর কোনো দেশে এর চেয়ে সস্তায় শ্রম পাওয়া যায় না। অন্যান্য খরচও বাংলাদেশে কম।”

এক্ষেত্রে বর্তমানে বাংলাদেশের কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে এগিয়ে এসেছে এইচ অ্যান্ড এম ও ওয়াল-মার্টের মতো  ইউরোপ ও আমেরিকার খ্যাতনামা অনেক পোশাক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।

এইচ অ্যান্ডএমের মুখপাত্র এলিন হ্যালেরবি বলেছেন, “আমরা বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনা কমাচ্ছি না। আমাদের পোশাক সরবরাহকারীদের সঙ্গে আমরা দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের দিকে এগোচ্ছি।”

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশে এ খাতে ৪০ লাখের বেশি মানুষ কাজ করছে, যাদের অধিকাংশই নারী।

বিশ্বে তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় খুচরা বিক্রেতা ইনিডটেক্স ও এইচঅ্যান্ডএম ছাড়াও ওয়াল-মার্ট, গ্যাপ ও জেসি পেনির মতো কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ার শীর্ষ পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনায় গিয়ে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে যায়। ক্রেতাদের কাছে তাদের দেয়া দর বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি।

ভিয়েতনামের একটি পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের উপপরিচালক নুয়েন হু তুয়ান বলেন, বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে খুব কম খরচে পোশাক উৎপাদন করা হয়। ভিয়েতনামের তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ কম খরচ হয় সেখানে।

দামের কারণে পিছিয়ে পড়েন শ্রীলংকার পোশাক প্রস্তুতকারীরাও। তারা মনে করেন, বাংলাদেশের বদলে তাদের কাছে যদি কোনো ক্রেতা আসেন তবে তা হবে স্বল্প সময়ের জন্য।

এ বিষয়ে শ্রীলংকার জয়েন্ট অ্যাপারেল অ্যাসোসিয়েশন ফোরামের মহাসচিব তুলি কোড়াই বলেন, “দিন শেষে দামই সবচেয়ে বড় কথা।”