Daffodil International University

Bangladesh => Business => Economy => Topic started by: maruppharm on October 01, 2013, 10:30:33 AM

Title: দেনা শোধের পরও রিজার্ভ ১৫শ’ কোটি ডলার
Post by: maruppharm on October 01, 2013, 10:30:33 AM
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পরও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৫শ’ কোটি ডলারের উপরে অবস্থান করছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনো আকুর দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ এত উপরে অবস্থান করেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহা ব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সোমবার আকুর ৭১ কোটি ৮০ লাখ ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ১৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। বুধবার তা বেড়ে আবার ১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।”

“প্রবাসীদর পাঠানো রেমিটেন্স এবং বাজার থেকে ডলার কেনার ফলে রিজার্ভ বেড়েছে। এই রিজার্ভ দিয়ে পাঁচ মাসের বেশি আমদানি বিল মেটানো সম্ভব।”

আকুর দেনা পরিশোধের আগে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৫ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্সের ইতিবাচক ধারা ধরে রাখতে গত অর্থবছরের মতো নতুন অর্থবছরের শুরুতেও বাজার থেকে ডলার কেনা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি জুলাই মাসের প্রথম দশ দিনে (বুধবার পর্যন্ত) কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে ১৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার কিনেছে। বুধবার ৭৭ টাকা ৭৫ পয়সা দরে ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

২০১২-১৩ অর্থবছরে মোট ৫ দশমিক ১১ বিলিয়ন (৫১১ কোটি ৪০ লাখ) ডলার কিনেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

আকুর সদস্যভুক্ত দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভূটান, মালদ্বীপ, ইরান এবং মায়ানমার।

এই দেশগুলো থেকে যে সব পণ্য আমদানি হয় তার বিল একসঙ্গে আকুর মাধ্যমে দুই মাস পর পর পরিশোধ করে বাংলাদেশ।

সোমবার মে-জুন মেয়াদের ৭১ কোটি ৮০ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।

সদ্য সমাপ্ত ২০১২-১৩ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেকর্ড ১৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।

আর বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ২৭ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার। যা ২০১১-১২ অর্থবছরের চেয়ে ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি।

ছাইদুর রহমান বলেন, “রমজান ও দুই ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীরা আগামী মাসগুলোতে বেশি রেমিটেন্স দেশে পাঠাবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।”