Daffodil International University

Entrepreneurship => Business Information => Topic started by: maruppharm on October 09, 2013, 10:02:23 AM

Title: মূলধন সঙ্কটে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক কমানোর সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর
Post by: maruppharm on October 09, 2013, 10:02:23 AM
এক্ষেত্রে একীভূত করা এবং বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা।

সংসদীয় কমিটির মঙ্গলবারের বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের লোকসানী শাখাগুলো বন্ধের সুপারিশও করা হয়েছে বলে কমিটির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

হল-মার্ক কেলেঙ্কারিসহ মূলধন ঘাটতি নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর হিমশিম খাওয়ার মধ্যে সংসদীয় কমিটির এই সুপারিশ এল।

দেশে বর্তমানে বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত মিলিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সংখ্যা নয়টি। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো হল- সোনালী, জনতা, রূপালী ও অগ্রণী ব্যাংক।

সংসদীয় কমিটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে একীভূত (মার্জার) করে কার‌্যক্রম পরিচালনা এবং ক্রমান্বয়ে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার সুপারিশ করেছে বলে মুস্তফা কামাল জানান।

তিনি বলেন, “কিছুদিন পরপরই ব্যাংকগুলো সরকারের কাছে টাকা চায়। নতুন করে টাকা দেয়ার মানেই হচ্ছে আগেরটার আশা শেষ। এটা অর্থনীতির রক্তক্ষরণ। এটা বন্ধ করতে হবে।”

সংসদীয় কমিটির কার্যপত্রে দেখা যায়, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সোনালীর ৪ হাজার ৫৪৪ কোটি, জনতার ১ হাজার ৬২৩ কোটি, অগ্রণীর ২ হাজার ৪৮১ কোটি এবং রূপালীর ৪১৫ কোটি টাকা।
মুস্তফা কামাল বলেন, “এভাবে লোকসানে থাকা ব্যাংকগুলোকে মার্জার করে কিংবা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার সুপারিশ করা করা হয়েছে।”       

ভবিষ্যতে মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনা না থাকলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর লোকসানী শাখাগুলোকে বন্ধ করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

তবে এর আগে শাখাগুলোকে লাভজনক করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

মুস্তফা কামাল বলেন, “কিছু শাখা ক্রমাগত লোকসান করছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে এগুলো তদারক করে লাভজনক করার উপায় খুঁজে বের করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

“যদি কোনোভাবেই লাভজনক করা না যায় তবে সেগুলো বন্ধ করে দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। ওই শাখাগুলোর জনবলকে কেন্দ্রীয়ভাবে আত্মীকরণের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে নতুন শাখা না খোলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলেও জানান মুস্তফা কামাল। সেই সঙ্গে কোনো এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের শাখার  থাকলে সেখানে অন্য ব্যাংকের নতুন শাখা খোলার অনুমতি না দেয়ার সুপারিশও করা হয়।

হল-মার্ক কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ ধরে ভবিষ্যতে ব্যাংকে আর্থিক দুর্নীতিরোধে কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে দোষী সাব্যস্ত করার বিধান রেখে আইন প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।

হল-মার্ক কেলেঙ্কারির মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন ২৫ জনের বিরুদ্ধে সোমবার আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে। এর মধ্যে পরিচালনা পর্ষদের কারো নাম নেই।

আর্থিক দুর্নীতির জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। পাশাপাশি দুর্নীতিরোধে এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকি জোরদারের সুপারিশও করা হয়।

ব্যবসায়ী মুস্তফা কামাল নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটি ব্যাংকগুলোর ‘সিঙ্গেল ক্লায়েন্ট এক্সপোজার’ কমিয়ে আনার সুপারিশও করেছে।
সরকারদলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, “কোনো ব্যাংকে বড় আকারের ঋণ নেয়া প্রতিষ্ঠান থাকার ফলে অনেক সময় অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ নেয়ার সুযোগ পায় না। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে ঋণের সীমা নতুন করে নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে।”

একটি প্রতিষ্ঠান যাতে ভিন্ন ভিন্ন নামে একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে না পারে সে ব্যবস্থা করার সুপারিশও করেছে সংসদীয় কমিটি।

মুস্তফা কামাল বলেন, “দেখা যায়, একই ব্যক্তি তার সিস্টার কনসার্নের নামে একাধিক ব্যাংক এবং একই ব্যাংকের একাধিক শাখা থেকে ঋণ নেয়। এ কারণেই মাঝে মাঝে ঝামেলা হয়।”

মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. আলী আশরাফ, এ কে এম মাঈদুল ইসলাম, মো. তাজুল ইসলাম, ফরিদা রহমান ও সিমিন হোসেন রিমি অংশ নেন।