Daffodil International University
Health Tips => Health Tips => Hair Loss / Hair Maintenance => Topic started by: tasnuva on October 12, 2013, 12:56:48 PM
-
চুল যখন রুক্ষ হয়ে যায় এবং উজ্জ্বলতা হারায় তখন তা ফিরিয়ে আনার এক মাত্র উপায় হলো কন্ডিশনার ব্যবহার করা। আর বাজারে যেসব কন্ডিশনার পাওয়া যায় সেগুলোর চাইতে ঘরে তৈরী কন্ডিশনার বেশি কার্যকর ও চুলের জন্য ভালো। তাই সহজেই বাসায় বানিয়ে ফেলা যায় এমন কিছু কন্ডিশনার সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
ভিনেগার
সব ধরণের চুলের জন্য ভিনেগার একটি ভালো কন্ডিশনার। চুল শ্যাম্পু করার পরে ভিনেগার মিশ্রিত পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেললে চুল বেশ নরম ও উজ্জ্বল হয়। এক টেবিল চামচ ভিনেগার এক কাপ পানিতে মিশিয়ে নিন। এরপর শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। ভিনেগার পানি দেয়ার পর চুল আবার পানি দিয়ে না ধুলেও চলে। এই পদ্ধতিতে মাত্র একবার ব্যবহার করলেই তফাৎটা বুঝে যাবেন।
-
মধু ও তেল
মধু ও তেল ব্যবহার করার পদ্ধতিটি হলো চুলের জন্য সবচেয়ে ভালো ও উপকারী কন্ডিশনার। ২ টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল ও ২ টেবিল চামচ মধুর সাথে ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি পুরো মাথায় ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রেখে এর পর চুল ধুয়ে ফেলুন ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে। নিয়মিত ব্যবহারে চুল হয়ে উঠবে ঝরঝরে ও উজ্জ্বল।
-
কলা ও মধু
যারা সহজে নিজের চুল সামলাতে পারেন না কিংবা কোনো স্টাইল করতে পারেন না তাদের জন্য এই কন্ডিশনারটি অত্যন্ত উপকারী। কলা ও মধুর কন্ডিশনার ব্যবহার চুল সামলানো খুব সহজ হয়ে যায় এবং যেভাবে চুল স্টাইল করা হয় সেভাবেই চুল থাকে। একটা বেশি পাকা বড় কলার সাথে ২ টেবিল চামচ মধু, ৪ টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল ও এক টেবিল চামচ ভেজিটেবল গ্লিসারিন মিশিয়ে পুরো মাথায় লাগিয়ে নিন। মাথায় একটি শাওয়ার ক্যাপ পড়ে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর চুল শ্যাম্পু করে নিন। ব্যস, আপনার চুল যে কোনো চুলের স্টাইলের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলো।
-
মেয়োনেজ
ফাস্টফুডে খেতে গেলে যে জিনিসটি ছাড়া আমাদের চলেই না তা হলো মেয়োনেজ। মেয়োনেজ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হলেও চুলের জন্য খুবই উপকারী। মেয়োনেজ চুলকে কোমল ও উজ্জ্বল করে। এটা ব্যবহার করাও খুব সোজা। কিছুটা মেয়োনেজ নিয়ে পুরো মাথায় ভালো করে ম্যাসাজ করুন। এরপর গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে পুরো মাথায় ৩০ মিনিট পেঁচিয়ে রাখুন। তারপর ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
-
কন্ডিশনার হিসেবে বিভিন্ন তেল:
চুল কন্ডিশনিং করতে তেলের বিকল্প কিছু খুঁজে পাওয়া ভার ।মাথায় নিয়মিত তেল আপনার চুলের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে ও পুষ্টি যোগায় চুলে ।তেল আপনার মাথার কর্টেক্স এর ভিতরে ঢুকে ।যা আপনার ড্যামেজ চুলকে পুনরুদ্ধার করে এবং পরবর্তী ড্যামেজ হওয়া থেকে বাঁচায় ।
নারিকেল তেল :
নারিকেল তেল ড্যামেজ চুল খুব ভালোভাবে সারিয়ে তোলে ।এটি চুলের স্যাফট এর ভিতরে ঢুকে ।অ।আর তাই এটি চুল ফেটে যাওয়ার হাত থেকে চুলকে রক্ষা করে ।এতে থাকে প্রোটিন যা চুল পড়ে যাওয়া প্রতিহত করে ।এ শ্যাম্পু করার ১ঘন্টা আগে মাথায় তেল দিয়ে গরম তোয়ালে দিয়ে মাথা মুড়ে নিন বা আগের রাতে হালকা গরম করে মাথায় ম্যাসাজ করে নিন ।পরদিন ধুয়ে ফেলুন ভালো শ্যাম্পু দিয়ে ।
অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল:
অলিভ অয়েল এর গুণের কথা আর নতুন করে কি বলবো? এটি অন্যান্য সব তেলের চেয়ে অধিক হারে মাথার ত্বকে প্রবেশ করে।এক চামচ গরম অলিভ অয়েল মাথার তালুতে ও চুলে ম্যাসাজ করুন সার্কুলার মোশনে মানে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ।এরপর একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন ৪০ মিনিট ।এরপর হালকা বা মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
এভোক্যাডো অয়েল :
এই তেলটি আমাদের দেশে এত জনপ্রিয় না হলেও এটির রয়েছে চুল ড্যামেজ প্রতিহত করার চমত্কার গুণ ।এটি চুলের ভিতরে একদম চুলের কোর পর্যন্ত ঢুকে যায় এবং ময়েশ্চার করে চুলকে ।এতে অধিক পরিমাণে ফ্যাটি এসিড ও ভিটামিন ই আছে যা চুল লম্বা করে ও চুলকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল করে ।গরম এভোকেডো ম্যাসাজ করে ৩০মিনিট রেখে বা সারারাত রেখে পরদিন শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
-
চুল চকচকে করতে যবহার করা চা পাতা চার-পাঁচ কাপ পানিতে আবার ফুটিয়ে নিন। চুল কতটা লম্বা তার ওপর চা পাতায় কতটা পানি দেবেন সেটা নির্ভর করবে। পানি ছেকে ঠাণ্ডা করে ওই পানি দিয়ে শ্যাম্পু করার পর চুল
ধুয়ে নিন। চা পাতার মধ্যে ট্যানিন নামক এক ধরনের উপাদান থাকে। ট্যানিন চুল চকচকে, সিল্কি ও মসৃণ করে।
সব ধরনের চুলের জন্য এই হেয়ার রিন্স খুব উপকারী। চা পাতার পানিতে লেবুর রসও মেশাতে পারেন।
Collected