Daffodil International University

Faculties and Departments => Allied Health Science => Life Science => Topic started by: Asif.Hossain on October 20, 2013, 12:48:13 PM

Title: Cinnamomum tamala (তেজপাতা)
Post by: Asif.Hossain on October 20, 2013, 12:48:13 PM
তেজপাতা
বৈজ্ঞানিক পরিচিত:
Kingdom (রাজ্য): Plantae
Order (বর্গ) : Laurales
Family (গোত্র) : Lauraceae
Genus (গণ) : Cinnamomum
Species: (প্রজাতি) : tamala

সমার্থক শব্দাবলি : অংশুকবৃক্ষ, তেজপাতা গাছ, তেজপত্র গাছ।
ইংরেজি : bay laurel,  bay tree।
বৈজ্ঞানিক নাম : Cinnamomum tamala

(http://t2.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcQ1OiogIg245kKbDQOL8Zpq7VTEuzWssSvW8kqIQhQxw2V7hcr_)
দ্বিবীজপত্রী গুপ্তবীজী  Lauraceae গোত্রের বৃক্ষ। এটি একটি মাঝারি ধরনের চিরহরিৎ বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। এর কাঠের রঙ লাল আভাযুক্ত হয়ে থাকে। ধারণা করা হয়, এই গাছের আদি নিবাস ইন্দোনেশিয়া। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটানে গাছ জন্মে।
    গাছগুলো উচ্চাতায় ১৫-১৬ মিটার হয়ে থাকে। এই গাছের পাতা মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এই গাছের পাতা ১৫-২০ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ ৫-৬ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। পাতাগুলো ডালের সাথে আড়াআড়িভাবে থাকে। এই পাতাগুলি শুকিয়ে বাজারজাত করা হয়। সাধারণত মিষ্টিজাতীয় খাবারে এই গাছের পাতা ব্যবহার করা হয়।

    এর ফুলের রঙ সাদা, ব্যাস প্রায় ১/৪ ইঞ্চি। এর নয়টি পুংকেশরের বাইরে থাকে ৬টি, ভিতরে থাকে তিনটি। এই গাছের ১/২ ইঞ্চি পরিমিত ফল হয়। পাকা ফল হলদেটে-খয়েরি বর্ণের হয়ে থাকে।  সাধারণত মার্চ-এপ্রিল মাসে এই গাছের ফল সংগ্রহ করা হয় এবং পুরো ফলই বীজ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

আয়ুর্বেদী মতে তেজপাতাকে পুষ্ট ও যৌনশক্তি বর্ধক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। মস্তিষ্ক, যকৃত, প্লীহা, অন্ত্র ও পাকস্থলীর ব্যথার উপসম করে।

 

সূত্র :

    ভারতীয় বনৌষধি (চতুর্থ খণ্ড)। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ২০০২।

    ঔষধি উদ্ভিদ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহার/এম.এ হাকিম। বাংলাদেশ নিম ফাউন্ডেশান। ডিসেম্বর ২০০৫।

    বাংলা একাডেমী বিজ্ঞান বিশ্বকোষ (প্রথম খণ্ড)। আষাঢ় ১৪০৫/জুন ‌১৯৯৮।

    বাংলা বিশ্বকোষ (দ্বিতীয় খণ্ড)। নওরোজ কিতাবিস্তান।