(http://dailykalerkantho.com/admin/news_images/219/thumbnails/image_219_71173.jpg)
মাত্র দুই হাজার কোটি টাকায় ঢাকার যানজট নিরসন! পার্থ সারথি দাসএকই সঙ্গে 'সবিরাম' ও 'অবিরাম' যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করা গেলে রাজধানীর যানজট সমস্যা সমাধান করা যাবে। এ জন্য প্রধান সড়কগুলোর সংযোগস্থলে প্রাথমিকভাবে ৭৩টি ওভারপাস বা আন্ডারপাস তৈরি করতে হবে। এতে ব্যয় হবে মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সন্তোষ কুমার রায় ও সৈয়দ আসলাম আলী এক গবেষণাপত্রে এমন আশাবাদই ব্যক্ত করেন।
গবেষণাপত্রটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করা হবে বলে তাঁরা কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন। কৌশলটির পুরো সুফল পেতে সমন্বিত গার্মেন্ট পল্লী, ভ্রমণ হ্রাসে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট নির্ভরতা বাড়ানো, কমলাপুর রেল স্টেশন জয়দেবপুরে স্থানান্তর, বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা মেট্রো রেল চালুসহ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কিছু সুপারিশও তাঁরা তুলে ধরেছেন গবেষণাপত্রে।
সন্তোষ কুমার রায় কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অতীতে বড় বড় প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, এখনো নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু স্থানভিত্তিক ওই সব ব্যবস্থায় সুফল আসেনি। যেমন কোনো ফ্লাইওভার করায় যানজট কমেনি, স্থানান্তরিত হয়েছে মাত্র। আমরা মনে করি, সিগন্যালের কারণে যান চলাচল বিঘি্নত হওয়ায় যানজট বাড়ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন লেনে সবিরাম (থেমে থেমে চলবে) ও অবিরাম (কোথাও থামবে না) যান চলাচল নিশ্চিত করতে পারলে যানজট থাকবে না। এ জন্য বড়জোর দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে।' দুই গবেষকের ভাষ্য, নতুন এ পদ্ধতিতে যানজট নিরসনে নেওয়া সরকারের বিলাসী প্রকল্প হিসেবে পরিচিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়ালপথ) প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা কম ব্যয় হবে।
সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলছেন, বছরখানেক আগে নেওয়া দ্রুত যান চলাচল পদ্ধতি বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের পাশাপাশি এই দুই প্রকৌশলীর এ প্রস্তাবটিও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতে পারে।
গবেষণাপত্রে বলা হয়, ঢাকা শহরে ঢোকার ও বের হওয়ার প্রধান পয়েন্ট চারটি। এগুলো হচ্ছে আবদুল্লাহপুর, যাত্রাবাড়ী, গাবতলী ও পোস্তগোলা (প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতু)। এসব পয়েন্টকে সংযোগকারী প্রধান সড়কগুলোও প্রধানত চারটি রুটে বিভক্ত। রুটগুলোর মধ্যে রয়েছে আব্দুল্লাহপুর/টঙ্গী থেকে ফার্মগেট ও শাহবাগ হয়ে যাত্রাবাড়ী, কুড়িল থেকে খিলগাঁও হয়ে যাত্রাবাড়ী, মহাখালী থেকে মগবাজার, কাকরাইল, বিজয়নগর ও শাপলা চত্বর হয়ে সায়েদাবাদ এবং গাবতলী থেকে আসাদগেট, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, শাহবাগ, গুলিস্তান হয়ে পোস্তগোলা/দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু রুট।
দুই প্রকৌশলী বলছেন, রাজধানীতে সিগন্যাল, ডান-বাঁয়ে মোড়, ইউটার্নের মতো নানা কারণে গাড়ির গতি ব্যাহত হচ্ছে, বাড়ছে যানজট। তবে সিগন্যাল তুলে দিয়ে ওভারপাস ও আন্ডারপাস দিয়ে গাড়ির বিরামহীন চলা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে তাঁরা আশা করছেন। এ পদ্ধতিকে তাঁরা তুলনা করছেন বাইপাস সার্জারির সঙ্গে। তাঁরা সড়কে এক লেনে সবিরাম গাড়ি ও আরেক লেনে অবিরাম গাড়ি চালানোর কথাও গবেষণায় উল্লেখ করেন। গবেষণাপত্রে বলা হয়, অবিরাম গতিতে চলাচল করলে প্রতি লেনে ঘণ্টায় কমপক্ষে এক হাজার ৭০০ গাড়ি চলতে পারবে। সে হিসাবে একদিকে দুই লেনে ঘণ্টায় মোট তিন হাজার ৪০০ গাড়ি চলতে পারবে। বর্তমানে ঢাকার কোনো সড়কেই গাড়ির প্রবাহ ঘণ্টায় তিন হাজারের বেশি নয় বলেও জানান তাঁরা।
'বাইপাস সার্জারি সমাধানের' ব্যাখ্যা দিয়ে দুই প্রকৌশলী বলেছেন, সিগন্যালের জায়গায় ছোট ছোট অতি সরল আকৃতির ওভারপাস বা আন্ডারপাস নির্মাণ করতে হবে। এগুলোর প্রতিটির ব্যয় ২৫ থেকে ৩৫ কোটি টাকার মতো হবে। চারটি প্রধান রুটে প্রাথমিকভাবে ৭৩টি ওভারপাস বা আন্ডারপাস নির্মাণ করতে হবে। তাঁদের পরিকল্পিত ওভারপাসের উচ্চতা হবে সমতল থেকে চার-সাড়ে চার ফুট উঁচু। দৈর্ঘ্য হবে ২৭৫ থেকে ৪০০ মিটার। দেশি সম্পদ, প্রযুক্তি ও প্রযুক্তিবিদদের ব্যবহার করলে এগুলো নির্মাণ করতে দুই-তিন বছরের বেশি সময় লাগবে না বলেও তাঁরা আশা করছেন।
নতুন এ কৌশলের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল বিভাগের প্রধান সারোয়ার জাহান কালের কণ্ঠকে বলেন, ''এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়ালপথ) আমাদের এ শহরের বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক প্রকল্প। তবে ৭৩টি সংযোগস্থলের সবকয়টিতে ওভার বা আন্ডারপাস স্থাপন করা সম্ভব হবে না অবকাঠামোসহ নানা সমস্যার কারণে। তবে বেশির ভাগই নির্মাণ করা সম্ভব হবে। আবার এগুলোর পাশাপাশি 'বাস র্যাপিড ট্রানজিট' (বিআরটি) চালু করতে হবে।'' তিনি বলেন, 'আমাদের এ শহরের যাত্রীদের ভ্রমণ সময় ও স্থান কম। বিআরটির স্থানে স্থানে স্টেশন থাকবে। কিন্তু এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাত্রীরা এক স্থান থেকে অনেক দূরের অনেক স্থানে যেতে পারবেন। এ ধরনের যাত্রী এখানে (রাজধানীতে) কম।'
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক আবু নাসের খান বলেন, 'এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে দ্রুতযান ও বিশেষ সড়ক থাকতে হবে। আমাদের অনেক সড়ক দখলে রয়েছে। এগুলো দখলমুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে সড়ক সম্প্রসারণ করতে হবে।'
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ বছর ধরে পরিবহন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে গবেষণা করছেন গবেষক এস এম সোহেল মাহমুদ। দুই প্রকৌশলীর নতুন গবেষণাপত্রের ব্যাপারে কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ঢাকা নগরীতে ৬৮ শতাংশ সড়কই সরু। এগুলো দিয়ে যান চলাচল করতে পারে না। মাত্র এক শতাংশ সড়কপথে গণপরিবহন চলাচল করতে পারে। এ অবস্থায় নগরীতে সড়ক বাড়াতেই হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের চারটি রুট নিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। কিন্তু এই পথে শুধু প্রাইভেটকার মালিকরাই চলতে আগ্রহী হবে। এ অবস্থায় নতুন এই 'আন্ডারপাস-ওভারপাস' প্রকল্পের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিন ধরনের সুপারিশ : নতুন এ কৌশলের পাশাপাশি ব্যবস্থা ও নীতিগত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছেন তাঁরা। স্বল্পমেয়াদি কৌশল হিসেবে ই-এডুকেশন, ই-মেডিক্যাল, ই-কমার্স, ই-গভর্ন্যান্স চালু করে সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রস্তাব করেন দুই প্রকৌশলী। এ ছাড়া আন্তজেলা বাসগুলোকে ঢাকা শহরের মধ্য দিয়ে একবার চক্কর দিয়ে আসার সুপারিশ করে বলা হয়, এর ফলে যাত্রীদের ছোট যান ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা কমবে। যত্রতত্র আড়াআড়ি পারাপার বন্ধ করে কমপক্ষে এক কিলোমিটার ব্যবধানে রাখার ব্যবস্থা, লেন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা, দ্রুততর যান সর্বডানে ও ধীরগতির যান বাম দিকের লেনে চলাচলের ব্যবস্থা করা, বাম দিকের মোড় সব সময় খোলা রাখা এবং দ্বৈত পদ্ধতির পরিবর্তে শুধু স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক পদ্ধতি দ্রুত চালুর সুপারিশ করেছেন তাঁরা।
এ ছাড়া আগামী ১০ বছরের মধ্যে কিছু মধ্য-মেয়াদি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও তাঁরা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর গার্মেন্ট কারখানাগুলোকে পর্যায়ক্রমে সমুদ্র ও স্থলবন্দরের কাছাকাছি স্থানান্তর, আন্তজেলা রেলওয়ে স্টেশনকে কমলাপুর থেকে জয়দেবপুরে নেওয়া, জয়দেবপুর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বিদ্যমান রেলওয়ে ট্র্যাকে কমিউটার রেল সার্ভিস চালু এবং ঢাকার চারপাশে সার্কুলার রোড ও বাইপাস সড়ক নির্মাণ।
আগামী ২০ বছরের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন তাঁরা। এর মধ্যে আছে ঢাকার চারপাশে স্বয়ংসম্পূর্ণ স্যাটেলাইট সিটি গড়ে তোলা, ঢাকা ও প্রতিটি স্যাটেলাইট সিটির মধ্যে কমিউটার ট্রেন সার্ভিস বা বিআরটি সার্ভিস চালু এবং স্কাই রেল বা মেট্রো রেল চালু করা।
প্রসঙ্গত, এলিভেটেড ওয়ে বা উড়ালপথ হবে প্রায় ৩২ কিলোমিটার। এটি বাস্তবায়ন করতে উদ্যোগী হয়েছে সেতু বিভাগ। বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এটি। সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকা। যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন গত ১৭ জুন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বিষয়ক কর্মশালায় জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকল্পের বিনিয়োগকারী চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে। তবে একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এটি একটি বিলাসী প্রকল্প। জানা গেছে, প্রায় এক দশক ধরে এ প্রকল্প হবে হবে করে হচ্ছে না।
এদিকে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় ঢাকা যানবাহন সমন্বয় বোর্ড ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্রুতযান চলাচল পদ্ধতি বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্যোগ নিচ্ছে। এ প্রকল্পে বিশেষ সড়ক তৈরি করে বিশেষ বাস নামানো হবে।
SOurce HERE (http://dailykalerkantho.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=09-07-2010&type=single&pub_no=219&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&news_id=71173)
(http://www.mytravelguide.com/guides-and-advice/showthread.php?s=37b8d15320e40801aa29534b476830eb&threadid=10923&highlight=DHAKA)
(http://www.mytravelguide.com/guides-and-advice/attachment.php?s=ae603f2042cea7900c5623f3f2f62b43&postid=12156)
Dhaka is a City of many different transport modes. On a typical day in Dhaka you might be lucky enough to see many types of animals pulling custom made trailors! While there is still many Rickshaws you might be surprised to see many vehicles that only suit Roads in the so-called First or Western World. The Traffic jams would consist of the above transport modes plus your Indian Tata Trucks(Although on many roads Trucks don't operate during day time),Double Deckers,Buses and many MPV type vehicles (also known as liteace in Bangladesh).
If you find your self unfortunate enough to be stuck in one of these jams on a hot and sunny day, make sure you purchase a bottle of Mirinda or some other American tasting soft drink from the street seller who is most likely to be carrying a bucket full of Western influence in a bottle!
By the way, the street sellers in Bangladesh are also know as "Feriwala" in Bengali, although if it's a young kid, you'd normaly call him/her "Pich-chi" as in "Kid".
A soft drink can or bottle isn't very expensive these day's due to rapid Globalization!
And yes, average jams in Dhaka will waste atleast 2 hours, so if your in a rush walk all the way, if you can find any footpaths for pedestrians that is!
But as far as I know, the World Bank thinks that Bangladesh will be a better and organized nation by 2020, so keep your fingers crossed!
But me personally love the jams, specially when I am buzzin!
|