Daffodil International University
Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Hadith => Topic started by: ariful892 on November 01, 2013, 01:32:59 AM
-
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ ও হযরত তালহা ইবনে সাহল আনসারী (রা) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের সাহায্য হতে এমন সময় হাত গুটিয়ে নেয় যখন তার ইজ্জতের উপর হামলা হচ্ছে এবং তার সম্মানের ক্ষতি করা হচ্ছে; তখন আল্লাহ্ তা'আলা তাকে এমন সময় নিজের সাহায্য হতে বঞ্চিত রাখবেন যখন সে আল্লাহ্ তা'আলার সাহায্যের আগ্রহী ( ও তলবকারী) হবে। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের এমন সময় সাহায্য ও সহানুভূতি করে যখন তার ইজ্জতের উপর হামলা হচ্ছে ও সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে, তখন আল্লাহ্ তা'আলা এমন সময় তাকে সাহায্য করবেন যখন সে আল্লাহ্ তা'আলার সাহায্য প্রার্থনা করবে।
{ আবু দাউদ, হাদিস- ৪৮৮৪}
-
সাঈ’দ ইবনে আবি হেলাল রহমাতুল্লহ আ’লাইহি হইতে বর্ণিত আছে যে, হযরত আ’ব্দুল্লহ ইবনে আ’মর রদিয়াল্লহু আ’নহুমা হযরত কা’ব রহমাতুল্লহ আ’লাইহি কে বললেন, আমাকে হযরত মুহা’ম্মাদ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর উম্মতের গুনাগুন সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেন, আমি আল্লহ তায়া’লার কিতাবে (অর্থাৎ তাওরাতে) তাঁর সম্পর্কে এইরূপ পেয়েছি, “আহমাদ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর উম্মত অত্যধিক প্রশংসাকারী হবে, তাঁরা ভাল-মন্দ সর্বাবস্থায় আল্লহ তায়া’লার প্রশংসাকারী হবে। প্রত্যেক উঁচু জায়গায় (উঠতে) তাঁরা আল্লহু আকবার বলবে এবং প্রত্যেক নিচু জায়গায় (নামতে) তাঁরা সুবহানাল্লহ পড়বে। তাঁদের আযানের ধ্বনি আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হবে। পাথরের উপর মৌমাছির মৃদু গুঞ্জনের ন্যায় নামাযের মধ্যে তাঁদের (কুরআন পাঠের) মৃদু গুঞ্জন (শ্রুত) হবে। ফেরেশতাদের কাতারের ন্যায় তাঁরা কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়াবে। নামাযের কাতারের ন্যায় যুদ্ধের ময়দানে কাতারবন্দী হয়াে দাঁড়াবে। যখন তাঁরা আল্লহর রাহে জিহাদে বাহির হবে তখন তাঁদের সামনে ও পিছনে মজবুত বর্শা হাতে ফেরেশতাগণ থাকবেন। আর যখন তাঁরা যুদ্ধের ময়দানে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়াবে তখন আল্লহ তায়া’লা তাঁদের উপর এমনভাবে ছায়া করবেন–বলে হযরত কা’ব রহমাতুল্লহ আ’লাইহি দু হাত প্রসারিত করে দেখালেন–যেমন শকুন তাহার বাসার উপর ছায়া করে থাকে। তাঁরা কখনও যুদ্ধের ময়দান হতে পলায়ন করবে না।” (আবু নুআঈম)
হযরত কা’ব রহমাতুল্লহ আ’লাইহি হতে অপর এক রেওয়ায়েতে এটাও বর্ণিত হয়েছে যে, তাঁর উম্মত অত্যধিক প্রশংসাকারী হবে, তাঁরা সর্বাবস্থায় আল্লহ তায়া’লার প্রশংসা করবে এবং প্রত্যেক উঁচু স্থানে আল্লহু আকবার বলবে। (নামায ইত্যাদি ইবাদাতের সময় নির্ধারণের জন্য) সুর্যের খেয়াল রাখবে। ময়লা আবর্জনা ফেলার জায়গায় হলেও পাঁচ ওয়াক্ত নামায সময় মত আদায় করবে। কোমরের মধ্যস্থলে লুঙ্গি বাঁধবে এবং অযুর মধ্যে আপন অঙ্গ-প্রতঙ্গ ধৌত করবে। (আবু নুআঈম)
{হায়াতুস সাহাবাহ ১/৩১-৩২}
-
(হযরত লুকমান আপন ছেলেকে উপদেশ প্রদান করেন, হে বৎস) মানুষের সহিত অনজ্ঞাসূচক ব্যবহার করিও না এবং জমিনের উপর দম্ভভরে চলিও না। নিশ্চয়ই আল্লহ তায়া’লা দাম্ভিক ও অহংকারীকে পছন্দ করেন না। আর তুমি নিজ চলনে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করিও এবং (কথা বলিতে) নিম্নস্বরে বলিও অর্থাৎ শোরগোল করিও না। (উচ্চ আওয়াজে কথা বলা যদি কোন ভালগুণ হইত তবে গাধার আওয়াজ ভাল হইত; অথচ) সমস্ত আওয়াজের মধ্যে সবচাইতে খারাপ আওয়াজ হইতেছে গাধার আওয়াজ
(সুরা লুক্বমানঃ ১৮-১৯)
-
হযরত আবু মূসা (রা) থেকে বর্ণিত, আমি হাবশার বাদশাহ নাজাশীকে বলতে শুনেছি, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি- মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সেই রাসূল, হযরত ঈসা ( আ) যার সুসংবাদ দিয়েছেন। যদি আমার দায়িত্বে রাজ্যের নানা কাজ ও মানুষের দেখভালের দায়িত্ব না থাকত তাহলে আমি তাঁর খেদমতে হাযির হয়ে তাঁর জুতা উঠাতাম।
{ সুনান আবু দাউদ,হাদিস-৩২০৫, সুনান বাইহাকী-৪/৫০}
-
****ফরজ গোসলে নাক এবং কানে ছিদ্রে অলংকার না থাকলে তাতেও পানি পোঁছানো আবশ্যক, আর অলংকার পরা থাকলে নাড়া-চাড়া দিয়ে পানি পোঁছাতে হবে। এছাড়া হাতের আংটি টাইট থাকলে সেটাও নাড়া-চাড়া দিয়ে নিতে হবে। নতুবা ফরজ গোসল আদায় হবে না। তবে ফরজ গোসল ছাড়া অন্যান্য গোসলে ছিদ্রে পানি না পোছলে সমস্যা নেই। বাকি হাতের আংটির ব্যাপারটা খেয়াল রাখতে হবে অযুর সময়ও, কারণ হাত ধোয়া অযুতেও ফরজ।
****আবু হুরাইরা [রাযি] থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, "খাবার খেয়ে শোকর আদায়কারী 'সংযমী রোজাদারের' ন্যায়।" [তিরমিজী শরীফ]
-
কুরআনে কারীম তিলাওয়াতের তিনটি বিশেষ উপকার
=============================
১. দিলের জং (গুনাহের কালিমা) মুছে যায়।
(শুআবুল ঈমান ৩ : ৩৯, হাঃ নং ১৮৫৯)
২. আল্লাহ তা‘আলার মুহাব্বত বৃদ্ধি পায়।
(সূরা আনফাল, ২/ শুআবুল ঈমান, ৩ : ৩৯৪, হাঃ নং ১৮৬৩)
৩. প্রত্যেক হরফে কমপক্ষে ১০টি করে নেকী পাওয়া যায়, না বুঝে পড়লেও। (তিরমিযী, হাঃ নং ২৯১০, মুস্তাদরাক, হাঃ নং ২০৪০) কেউ যদি বলে, না বুঝে পড়লে কোন লাভ নেই, তার এই কথা ঠিক না।
-
@@আয়েশা [রাযি] বলেন, "নবী [সা] ঘরে কোন (প্রানীর) ছবি-মূর্তি কিছু পেলে ছাড়তেন না, বরং তা সাথে সাথে ভেঙে ফেলতেন বা নষ্ট করে ফেলতেন।"
---- সহিহ বুখারী, ২/৮৮০
@@হযরত ওমর [রাযি] এর ব্যাপারে বর্ণিত, তিনি কুরআনে কারীম প্রতিদিন সকালে নিয়ে চুমু খেতেন। আর বলতেন-এটা আমার রবের নির্দেশনা, এবং আল্লাহর প্রেরিত। এমনিভাবে হযরত উসমান [রাযি]ও কুরআনে কারীমকে চুমু খেতেন এবং চোখে বুলাতেন।
---তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-২৫৯
@@হযরত আমের ইবনে রবীআহ রা. বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খুতবার মধ্যে বলতে শুনেছি-আমার উপর দরূদ পাঠকারী যতক্ষণ দরূদ পড়ে ফেরেশতারা তার জন্য দুআ করতে থাকে। সুতরাং বান্দার ইচ্ছা, সে দরূদ বেশি পড়বে না কম।
{মুসনাদে আহমদ ৩/৪৪৫; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/৪০; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ৯০৭}
-
##হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, শ'বে মি'রাজে আমার সামনে দুটি পেয়ালা উপস্থাপন করা হয়েছে। তন্মধ্যে একটি মদ, অপরটিতে দুধ ছিল। আমি দুধের পেয়ালাটি গ্রহণ করলাম। (আমার সঙ্গী) ফেরেশতা বললেন, আল্লাহর শোকর, যিনি আপনাকে সত্য দীনের ধারক করে প্রেরণ করেছেন- যদি আপনি মদের পেয়ালাটি স্পর্শ করতেন তাহলে আপনার উম্মত পথভ্রষ্ট হতে যেত।
{ বুখারী,হাদিস-৩৩৮৪, মুসলিম,হাদিস-২৭২, তিরমিযি,হাদিস-৩১৩০, তোহফাতুল আশরাফ-১৩২৭০}
##হযরত আবু উমামা (রা) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আমি আমার পরবর্তী খলীফাকে আল্লাহ্ তা'আলাকে ভর করার ওসিয়ত করছি এবং তাকে মুসলমানদের জামাত সম্পর্কে এই ওসিয়ত করছি যে, সে যেন মুসলমানদের বড়দের সম্মান করে, তাদের ছোটদের উপর রহম করে, তাদেরে উলামাদের ইজ্জত করে, তাদেরকে এইরূপ প্রহার না করে যে, অপদস্থ করে দেয়। তাদেরকে এমন ভয় দেখায় না যে, কাফের হয়ে যায়। তাদেরকে খাসী না করে যে, তাদের বংশ খতম হয়ে যায় এবং আপন দরজা তাদের ফরিয়াদ শুনার জন্য বন্ধ না করে দেয়, যার কারণে শক্তিশালী লোক দুর্বলদেরকে খেয়ে ফেলে; অর্থাৎ জুলুম ব্যাপক হয়ে যায়।
{সুনান বাইহাকী- ৮/১৬১}
-
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন নূহ আলাইহিস সালামের মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসল তিনি তাঁর ছেলেকে বললেন তোমাকে দুটি উপদেশ দিচ্ছি।
১. لا إله إلا الله (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) পাঠের নির্দেশ দিচ্ছি। কেননা সাত আসমান সাত যমীন যদি এক পাল্লায় রাখা হয় আর অন্য পাল্লায় لا إله إلا الله রাখা হয় তাহলে لا إله إلا الله এর পাল্লা ভারি হবে।
২. سبحان الله وبحمده (সুবহানাল্লাহ ওয়া বিহামদিহি) পাঠ করবে। কেননা তা প্রত্যেক বস্ত্তর সালাত এবং তাসবীহ এবং এর দ্বারা সৃষ্টিজীবকে রিযক পৌঁছানো হয়।
{মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৬৫৮৩, ৭১০১}
===================================================================
হযরত উম্মে ইসমাহ আওসিয়াহ (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যখন কোন মুসলমান গুনাহ করে তখন যে ফেরেশতা গুনাহ লেখার কাজে নিযুক্ত আছেন, তিনি সেই গুনাহ লেখতে তিন মুহূর্ত অর্থাৎ কিছু সময়ের জন্য থেমে যান। যদি এই তিন মুহূর্তের (অর্থাৎ কিছু সময়) কোন সময়ে আল্লাহ্ তা'আলার নিকট নিজের সেই গুনাহের জন্য মাফ চেয়ে নেয়; তবে সেই ফেরেশতা আখেরাতে তাকে সেই গুনাহের ব্যাপারে জানাবে না এবং কিয়ামতের দিন (সেই গুনাহের কারণে) তাকে আযাব দেওয়া হবে না।
{মুস্তাদরাকে হাকিম,হাদিস- ৭৭৪১, মু'জামুল আওসাত,হাদিস-১৬, মারিফাতুস সাহাবা,আবু নাইম,হাদিস-৭৪৫৯}
-
আবু বকর সিদ্দিক (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুমিনের ক্ষতি করে বা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সে ব্যক্তি অভিশপ্ত।
{মিরকাত-৫০৪২,তিরমিযি-১৮৬১}
=====================================================================
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কাউকে বিদায় দিতেন তখন তার হাত ধরতেন। অতপর ঐ ব্যক্তি হাত টেনে না নেওয়া পর্যন্ত তিনি তার হাত ছাড়তেন না।
{জামে তিরমিযী, হাদীস : ৩৪৪২' মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১৮৪, হাদীস : ১৭০৯২}
=====================================================================
সাহল বিন সাদ রা. বলেন, আমি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি মসজিদে এসে নামাযের অপেক্ষা করবে (ঐ সময়টি) সে নামাযে আছে বলে গণ্য হবে।
{সুনানে নাসায়ী, হাদীস : ৭৩৩}
-
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,তোমরা দুনিয়া সন্ধানে মধ্যপন্থা অবলম্বন কর। মনে রেখ প্রত্যেকের জন্য তা থেকে যা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, সে কেবল তাই পাবে।
{মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস : ২১৩৩; মুসনাদে বাযযার, হাদীস : ১৬০২}
=====================================================================
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, মাদকের উপর অভিশাপ; মাদক পানকারীর উপর অভিশাপ, পরিবেশনকারীর উপর অভিশাপ; বিক্রয়কারীর উপর অভিশাপ, ক্রয়কারীর উপর অভিশাপ; যে মাদক নিংড়ায় তার উপর অভিশাপ, যার আদেশে নিংড়ানো হয় তার উপর অভিশাপ; বহনকারীর উপর অভিশাপ, যার কাছে বহন করে নেওয়া হয় তার উপর অভিশাপ; আর যে মাদক বিক্রয়লব্ধ অর্থ ভোগ করে তার উপর অভিশাপ।
{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৩৬৭৬; জামে তিরমিযী, হাদীস : ১২৯৫}
====================================================================
আপনি বলুন, আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার জীবন, আমার মরণ (অর্থাৎ আমার সবকিছু) আল্লাহ রাববুল আলামীনের জন্য উৎসর্গিত।
[সূরা আনআম, আয়াত-১৬২]
-
যদি কেউ আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কুরবানী না করে শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে কুরবানী করে তাহলে তার কুরবানী সহীহ হবে না। তাকে অংশীদার বানালে শরীকদের কারো কুরবানী হবে না। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শরীক নির্বাচন করতে হবে।
-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৮, কাযীখান ৩/৩৪৯
============================================
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যার কুরবানীর সামর্থ্য আছে তবুও সে কুরবানী করল না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’
{মুসনাদে আহমদ ২/৩২১; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস : ৭৬৩৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫}
============================================
আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছিঃ যখন কেউ তার মুসলিম ভ্রাতার জন্য তার অনুপস্থিতিতে দু‘আ করে তখন ফেরেশতাগণ বলেন, আমীন! তখন দু‘আকারীর জন্যও অনুরূপ হবে।
- সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১৫৩৪
-
*মুআয ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা) বলেছেন, তিনটি অভিসম্পাতযোগ্য কাজ থেকে দূরে থাকো; পানিতে থুথু ফেলা, যাতায়াতের পথে এবং ছায়াদার স্থানে মলত্যাগ করা। (হাদীস নং-২৬)[কিতাবুত তাহারাত]
*হযরত আলী (রা) হতে বর্ণিত। নবী করীম (সা) বলেন; যে ঘরে ছবি, কুকুর ও অপবিত্র লোক থাকে – সেখানে রহমতের ফেরেশতাগণ (নতুন রহমতসহ) প্রবেশ করেন না। (হাদীস নং-২২৭) [কিতাবুত তাহারাত]
*আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) পাড়ায় পাড়ায় মসজিদ নির্মানের নির্দেশ দেন এবং তা পবিত্র, সুগন্ধিযুক্ত ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখারও নির্দেশ দেন। (হাদীস নং-৪৫৫)[কিতাবুস সালাত]
*আবু কাতাদ (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ মসজিদে পৌঁছে বসার পূর্বেই যেন দুই রাকাত (তাহিয়্যাতুল-মাসজিদ) নামায আদায় করে। (হাদীস নং-৪৬৭)[কিতাবুস সালাত]
-
*আবু হুরায়রা (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি মসজিদের মধ্যে কাউকে চিৎকার করে হারানো জিনিস তালাশ করতে শুনে সে যেন বলে, আল্লাহ তোমাকে তোমার ঐ জিনিস ফিরিয়ে না দিন। কেননা মসজিদ এইজন্য নির্মান করা হয়নি। (হাদীস নং-৪৭৩)[কিতাবুস সালাত]
*আবু বাকর সিদ্দীক (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ইস্তিগফারের (গুনাহে লিপ্ত হওয়ার পর লজ্জিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা) পরে তওবা করে, তবে তা ইসরার (বারবার) হিসাবে গণ্য হবে না; যদিও সে ব্যক্তি দৈনিক সত্তর বারও এরূপ করে। (হাদীস নং-১৫১৪)[কিতাবুস সালাত]
*আবু উমামা ইবন সাহল ইবন হুনায়ফ (রা) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি খাঁটি অন্তরে শাহাদাত প্রাপ্তির কামনা করে, এ ব্যক্তি নিজের বিছানায় মারা গেলেও আল্লাহ তাকে শহীদের মর্যাদা দান করবেন। (হাদীস নং-১৫২০)[কিতাবুস সালাত]
*আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার উপর এক বার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তা’য়ালা তার উপর দশ বার রহমত বর্ষন করেন। (হাদীস নং-১৫৩০)[কিতাবুস সালাত]
-
*মহানবী (সা) বলেন, যে ব্যক্তি বার বৎসর যাবত আযান দেয় তার জন্য বেহেশত অবধারিত হয়ে যায় এবং তার আযানের বদৌলতে প্রতিদিন তার জন্য ষাটটি সওয়াব এবং প্রতিটি ইকামতের বিনিময়ে ত্রিশটি সওয়াব লিখা হয়। (ইবনে মাজাহ, মিশকাত)
*নবী করিম (সা) বলেন, যে ব্যক্তি রোযাদারকে ইফতার করাবে সে রোযাদারের সমতুল্য সওয়াব পাবে -তবে এই সওয়াব অন্য ধরনের, ইহাতে রোযাদারের সওয়াবের কিছুমাত্র লাঘব হবে না। (তিরমিযী)
*হযরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেহই পূর্ন ঈমানদার হইতে পারিবে না, যে পর্যন্ত না তোমাদের মাতা-পিতা, সন্তান-সন্ততি এবং যাবতীয় মানুষ অপেক্ষা আমি তোমাদের নিকট অধিক প্রিয় না হই। (বুখারী, মুসলিম)
*মহানবী (সা) বলেছেন, রমজানের রোযা ব্যতিত অন্যান্য সমস্ত রোযার মধ্যে মহররম মাসের রোযা শ্রেষ্ঠ এবং ফরজ নামাজ ব্যতিত যাবতীয় নফল নামাজের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজ শ্রেষ্ঠ। (মুসলিম)
-
*রাসুলে করিম (সা) বলেছেন, কোন মানুষের সুনাম নষ্ট করা, কাহাকেও অভিশাপ দেওয়া, কাহাকেও গালি দেওয়া এবং অযথা কথা বলা কোন মুসলমানের উচিত নহে। (মিশকাত)
*নবী মুহাম্মদ (সা) বলেন, আমাদের এই ধর্মে যাহা নাই, এরুপ কোন নতুন বিষয় যদি কেহ প্রবর্তন করে, তবে নিশ্চয়ই সে অভিশপ্ত। (বুখারী, মুসলিম)
*মহানবী (সা) বলেছেন, কোন মুসলমানের উপর দু:খকষ্ট, শোকতাপ ও যন্ত্রনা উপস্হিত হইলে এমন কি সামান্য কাঁটা বিদ্ধ হইলেও আল্লাহ তাআলা তদ্বারা তাহার কিছু গুনাহ মার্জনা করিয়া দেন। (বুখারী, মুসলিম)
*রাসুলে করিম (সা) বলেছেন, যে ইসলাম ত্যাগ করে তাহাকে মৃত্যুদন্ড দাও। (বুখারী)
*মহানবী (সা) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা যে ব্যক্তির মৃত্যু যেস্হানে হওয়া নির্ধারিত করিয়াছেন সেই ব্যক্তিকে সেই স্হানের প্রতি আকৃষ্ট করেন। (আহমাদ, তিরমিযী)
-
*নবী মুহাম্মদ (সা) বলেন, যে ব্যক্তি আযানের পর বিনা প্রয়োজনে মসজিদ হইতে বাহির হইয়া যায় এবং পূনরায় প্রত্যাবর্তনের ইচ্ছা না রাখে সে মুনাফিক। (ইবনে মাজাহ, মিশকাত)
*মহানবী (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করে পরকালে আল্লাহ তাহার জন্য দোযখ হারাম করিয়া দিবেন। (বুখারী)
*নবী মুহাম্মদ (সা) বলেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে, তাহার বিপদের সময় আল্লাহর নিকট মুনাজাত করুক। কিন্তু সে যেন তাহার সুখের সময় অধিক পরিমানে মুনাজাত করে। (তিরমিজী)
*মহানবী (সা) বলেছেন, তিনটি কারনে আরবীকে ভালবাসিবে। এক আমি আরবী। দুই -আল-কুরআন আরবী এবং তিন – বেহেশতবাসীদের ভাষা আরবী। (বায়হাকী, মিশকাত)
-
*নবী মুহাম্মদ (সা) বলেন, যে আল্লাহকে ভয় করে, তাহার নিকট ধন-দৌলত অপেক্ষা স্বাস্হ্যই অধিক মূল্যবান। (মিশকাত)
*রাসুলে করিম (সা) বলেছেন, তোমাদের কেহ যেন গোসলখানায় প্রস্রাব করিয়া তলায় গোসল বা অযু না করে। কারন, অধিকাংশ অসৎ প্রবৃত্তি উহা হইতেই উৎপন্ন হয়। (আবু দাউদ, তিরমিজী)
*মহানবী (সা) বলেছেন, কুদৃষ্টি ও সর্পদংশন ব্যতিত অন্য কোন ব্যাধিতে ঝাঁড়ফুক নাই। (তিরমিজী, আবু দাউদ)
*রাসুলে করিম (সা) বলেছেন, প্রতিটি লোম নাপাক হয়। কাজেই সব কয়টি লোম বিধৌত করিয়া এবং চামড়া মাজিয়া গোসল কর। (তিরমিজী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)
*মহানবী (সা) বলেছেন, যাহারা অন্ধকারে হাঁটিয়া মসজিদে গমন করে, কিয়ামতের দিন তাহাদের জন্য পূর্ন আলোর সুসংবাদ প্রদান কর। (তিরমিজী, আবু দাউদ)
-
Thanks for sharing ..
-
একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আম্মাজান আয়েশা (রা) এর গোনাহ মাফের জন্য দোয়া করলেন। হযরত আয়েশা (রা) তা শুনতে পেয়ে আনন্দের আতিশয্যে হর্ষোতফুল্লচিত্তে হুজুর (সা) এর ক্রোড়ে মাথা ঝুঁকিয়ে দিলেন। হুজুর (সা) বললেন- আমার দোয়া কি তোমাকে আনন্দিত করল? তিনি জবাব দিলেন, আপনার দো'আ আবার আমাকে আনন্দ দিবে না কীভাবে? হুজুর (সা) তখন আল্লাহর কসম খেয়ে বললেনঃ আমার সমস্ত উম্মতের জন্য প্রতি নামাযেই এই দো'আ করে থাকি।
{ মাজমা- ৯/২৪৪}
-
মায়ের সম্মান নিয়ে হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) এর একটি ঘটনাঃ
(http://shomokalin.com/media/cache/article_showw/upload/images/story-of-abu-hurairas-mother-1382183833-muslim-mother.jpg)
একদিন হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) রাসুল (সাঃ) এর নিকট এসে কাঁদছেন। রাসুল (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, হে আবু হোরায়রা তুমি কেন কাঁদছ? আবু হোরায়রা বললেন, আমার মা আমাকে মেরেছেন। রাসুল (সাঃ) বললেন, কেন তুমিকি কোন বেয়াদবী করেছ?
আবু হোরায়রা বললেন, না হুজুর কোন বেয়াদবী করিনি। আপনার দরবার হতে বাড়ি যেতেআমার রাত হয়েছিল বিধায় আমার মা আমাকে দেরির কারণ জিজ্ঞেস করায় আমি আপনার কথা বললাম। আর আপনার কথা শুনে মা রাগে আমাকে মারধর করল আর বলল, হয়ত আমার বাড়ি ছাড়বি আর না হয় মুহাম্মদ (সাঃ) এর দরবার ছাড়বি।আমি বললাম, ও আমার মা। তুমি বয়স্ক মানুষ। তোমার গায়ে যত শক্তি আছে তত শক্তি দিয়ে মারতে থাকো। মারতে মারতে আমাকে বাড়ি থেকে করে দাও। তবুও আমি আমার রাসুলকে ছাড়তে পারবো না।
তখন রাসূল (সাঃ) বলেছেন, তোমার মা তোমাকে বের করে দিয়েছেন আর এজন্য আমার কাছে নালিশ করতে এসেছ? আমার তো এখানে কিছুই করার নেই।
হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বললেন, হে রাসূল (সাঃ) আমি আমার মায়ের জন্য এখানে নালিশ করতে আসি নাই। রাসুল (সাঃ) বললেন, তাহলে কেন এসেছ?
আবু হোরায়রা বললেন, আমি জানি আপনি আল্লাহর নবী। আপনি যদি হাত উঠিয়ে আমার মায়ের জন্য দোয়া করতেন, যাতে আমার মাকে যেন আল্লাহ হেদায়েত করেন।
আর তখনই সাথে সাথে রাসুল (সাঃ) হাত উঠিয়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন, হে আল্লাহ! আমি দোয়া করি আপনি আবু হোরায়রার আম্মাকে হেদায়েত করে দেন।”
রাসুল (সাঃ) দোয়া করলেন আর আবু হোরায়রা বাড়ির দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন। পিছন থেকে কয়েকজন লোক আবু হোরায়রার জামা টেনে ধরল এবং বললো, হে আবু হোরায়রা! তুমি দৌড়াচ্ছ কেন?
তখন আবু হোরায়রা বললেন, ওহে সাহাবীগণ তোমরা আমার জামা ছেড়ে দাও।আমাকে দৌড়াতে দাও।
আমি দৌড়াইয়া বাড়িতে গিয়ে দেখতে আমি আগে পৌঁছলাম নাকি আমার নবীজির দোয়া আগে পৌঁছে গেছে। হযরত আবু হোরায়রা দরজায় ধাক্কাতে লাগলো। ভিতর থেকে তার মা যখন দরজা খুললো তখন আবু হোরায়রা দেখলেন তার মার সাদা চুল বেয়ে বেয়ে পানি পড়ছে।তখন মা আমাকে বললেন, হে আবু হোরায়রা! তোমাকে মারার পর আমি বড় অনুতপ্ত হয়েছি,অনুশোচনা করেছি। মনে মনে ভাবলাম আমার ছেলে তো কোন খারাপ জায়গায় যায়নি। কেন তাকে মারলাম? আমি বরং লজ্জায় পড়েছি তোমাকে মেরে।হে আবু হোরায়রা! আমি গোসল করেছি। আমাকে তাড়াতাড়ি রাসুল (সাঃ) এর দরবারে নিয়ে চল।
আর তখনই সাথে সাথে আবু হোরায়রা তার মাকে রাসুল (সাঃ) এর দরবারে নিয়ে গেলেন। আর তার মাকে সেখানেইকালিমা পাঠ করে মুসলমান হয়ে গেলেন। পিতা মাতা জান্নাতে র মাঝের দরজা। যদি চাও, দরজাটি নষ্ট করে ফেলতে পারো,নতুবা তা রক্ষা করতে পারো। সুবাহান আল্লাহ
[তিরমিজি ] —
-
*মুআয ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা) বলেছেন, তিনটি অভিসম্পাতযোগ্য কাজ থেকে দূরে থাকো; পানিতে থুথু ফেলা, যাতায়াতের পথে এবং ছায়াদার স্থানে মলত্যাগ করা। (হাদীস নং-২৬)[কিতাবুত তাহারাত]
=====================================================
*হযরত আলী (রা) হতে বর্ণিত। নবী করীম (সা) বলেন; যে ঘরে ছবি, কুকুর ও অপবিত্র লোক থাকে – সেখানে রহমতের ফেরেশতাগণ (নতুন রহমতসহ) প্রবেশ করেন না। (হাদীস নং-২২৭) [কিতাবুত তাহারাত]
=====================================================
*আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) পাড়ায় পাড়ায় মসজিদ নির্মানের নির্দেশ দেন এবং তা পবিত্র, সুগন্ধিযুক্ত ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখারও নির্দেশ দেন। (হাদীস নং-৪৫৫)[কিতাবুস সালাত]
-
*আবু কাতাদ (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ মসজিদে পৌঁছে বসার পূর্বেই যেন দুই রাকাত (তাহিয়্যাতুল-মাসজিদ) নামায আদায় করে। (হাদীস নং-৪৬৭)[কিতাবুস সালাত]
====================================================
*আবু হুরায়রা (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি মসজিদের মধ্যে কাউকে চিৎকার করে হারানো জিনিস তালাশ করতে শুনে সে যেন বলে, আল্লাহ তোমাকে তোমার ঐ জিনিস ফিরিয়ে না দিন। কেননা মসজিদ এইজন্য নির্মান করা হয়নি। (হাদীস নং-৪৭৩)[কিতাবুস সালাত]
====================================================
*আবু বাকর সিদ্দীক (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ইস্তিগফারের (গুনাহে লিপ্ত হওয়ার পর লজ্জিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা) পরে তওবা করে, তবে তা ইসরার (বারবার) হিসাবে গণ্য হবে না; যদিও সে ব্যক্তি দৈনিক সত্তর বারও এরূপ করে। (হাদীস নং-১৫১৪)[কিতাবুস সালাত]
-
সৃষ্টির শুরু হতে আশুরা (১০ই মহররম)
একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এ দিনে পৃথিবীর বহু
উল্লেখযোগ্য ঘটনা সংঘটিত হয়। এর
কয়েকটি উপস্থাপন করছিঃ
১. আশুরার দিনে আসমান, যমিন, লওহ ও কলম
সৃষ্টি হয়।
২. এদিনে হযরত আদম (আঃ) পৃথিবীতে অবতরণ করেন।
৩. এদিনে হযরত নূহ (আঃ) মহা প্লাবনের পর
নৌকা থেকে পৃথিবীতে অবতরণ করেন।
৪. এদিনে হযরত ইবরাহীম (আঃ) 'খলিলুল্লাহ'
বা আল্লাহর বন্ধু উপাধি লাভ করেন।
৫. এদিনে হযরত ইবরাহীম (আঃ) নমরূদের অগ্নিকুণ্ড
হতে মহান আল্লাহর অসীম কুদরতে পরিত্রাণ পান।
৬. এদিনে সূদীর্ঘ ৪০ বছর পরে হযরত ইয়াকুব (আঃ)
এবং হযরত ইউসুফ (আঃ) এর পুনর্মিলন হয়।
৭. এদিনে হযরত ইউনুস (আঃ) মাছের পেট
থেকে মুক্তি লাভ করেন।
৮. এদিনে হযরত মুসা (আঃ)
বনী ইসরাঈলদেরকে সাথে নিয়ে নীল নদ পার হন।
৯. এদিনে ফেরআউন- তার সঙ্গী ও সৈন্য সামন্তসহ
নীল নদে ডুবে মারা যান।
১০. এদিনে হযরত ঈসা (আঃ) আল্লাহর অসীম
কুদরতে পিতা ছাড়া পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করেন।
১১. এদিনে হযরত ঈসা (আঃ) মহান আল্লাহর
আদেশে আসমানে আরোহন করেন। তিনি এখন্ও
আসমানে জীবিত আছেন এবং শেষ নবীর উম্মত
হিসেবে পৃথিবীতে আবার আসবেন।
১২. এদিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর দৌহিত্র
হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) ৬১ হিজরীতে এজিদ
বাহিনীর হাতে কারবালা প্রান্তরে শাহাদাত বরণ
করেন।
-
জুম'আর দিনটিকে সম্মান করার জন্য
ইহুদী-নাসারাদের উপর ফরজ করা হয়েছিল; কিন্তু তারা মতবিরোধ
করে এই দিনটিকে প্রত্যাখ্যান
করেছিল। অতঃপর
ইহুদীরা শনিবারকে আর
খ্রিষ্টানরা রবিবারকে তাদের ইবাদতের
দিন বানিয়েছিল। অবশেষে আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের জন্য
শুক্রবারকে মহান দিবস ও ফযীলতের
দিন হিসেবে দান করেছেন। আর
উম্মতে মুহাম্মদী তা গ্রহন
করে নিল।
[সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিমঃ ৮৫৫]