Daffodil International University

Health Tips => Health Tips => Topic started by: ariful892 on November 09, 2013, 04:49:07 PM

Title: Importance of Cucumbers for human
Post by: ariful892 on November 09, 2013, 04:49:07 PM
শসা, আমাদের সবার পরিচিত একটি সবজি। পৃথিবীর সর্বাধিক চাষকৃত চারটি সবজির মধ্যে এটি একটি। শসা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই উপকারী। অনেক সময় এটিকে ‘সুপার ফুড’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।

খাবারের মেন্যু সব সাজানো, আর হাতে যদি থাকে একটি সবুজ শসা কেমন হবে? নিশ্চিত খাবারের মানটি ভালো হয়ে যাবে। কেন খাবেন শসা? এ নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন। চলুন জেনে নেয়া যাক শসা খাওয়ার গুরুত্ব।
(http://primenewsbd.com/admin/images_laibrary/cucumber-.jpg)

১. পানি খাওয়ার সময় নেই? নো প্রবলেম, একটি তাজা, ঠান্ডা শসা খেয়ে ফেলতে পারেন। পানির কাজ হয়ে যাবে ৯০ ভাগ পর্যন্ত।

২. আপনার শরীরের ভেতরটা হঠাৎ গরম হয়ে গেলে ঠান্ডা করার জন্যে একটি শসাই যথেষ্ট। শসা আপনার চামড়াকে সূর্যের তাপদাহ থেকে রক্ষা করে।

৩. শসা শরীরের ভেতরের ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থগুলো অপসারণে সহায়তা করে। নিয়মিত শসা খেলে কিডনির পাথরও অপসারণ হয়ে যায়।

৪. শসা শরীরের প্রতিদিনকার ভিটামিনের চাহিদার এক বিশাল অংশ পূরণ করে থাকে। ভিটামিন এ, বি এবং সি কোনটি নেই এই সবজিটিতে। শসা শরীরেরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। শরীরের শক্তি বাড়াতেও এর কোন জুরি নেই। পালং শাক আর গাজরের সঙ্গে শসার রস মিশ্রিত করে সব্জি তৈরি করলে তা শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যাপক অবদান রাখে। শসার বাকলকে অবহেলা করে ফেলে দিবেন না। কেননা, শরীরের ভিটামিন সি-এর প্রতিদিনকার চাহিদার ১২ শতাংশ কেবল এই বাকলেই রয়েছে।

৫. স্পা করতে শসার কোন জুরি নেই। কেননা, শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন। এ কারণেই বিউটি পার্লারগুলোতে শসার ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে।

৬. খাবার হজম করতে শসার ব্যাপক অবদান রয়েছে। এছাড়া, শরীরের ওজন কমানো নিয়ে যারা উদ্বিগ্ন তারা নিয়মিত শসা খেতে পারেন। শসাকে স্যুপ ও সালাদ হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। শসা আপনার চোয়ালের শক্তি বাড়াবে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ থাকায় তা কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে।

৭. শসা চোখের জ্বালাপোড়া দূর করতেও কাজে লাগে। ধূমপানের ফলে ধোঁয়াটে চোখ ও চোখের নিচে কালি পড়া দূর করে। কেননা, শসাতে রয়েছে এন্টি ইনফ্লেটরি প্রপার্টিজ (এক ধরনের জ্বালা-পোড়া দূরকারী উপাদান)।

৮. আরো আছে চমক। আপাত দৃষ্টিতে সস্তা শসা ভয়াবহ ক্যান্সার প্রতিরোধেও কাজ করে। শসাতে রয়েছে সিকোইসুলারিসিরেজিনল, লারিসিরেজিনল ও পিনোরেজিনল নামক তিনটি উপাদান। এই উপাদানগুলো কয়েক ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্যাপক কাজ করে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার ও জরায়ুর ক্যান্সার।

৯. ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ কমাতে শসার অবদান ব্যাপক। শসা খেলে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয়, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া, শরীরের কোলেস্টেরল দূর করতে শসা কাজে দেয়। শসাতে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এই তিনটি উপাদান উচ্চরক্তচাপ ও নিম্নরক্তচাপ উভয়টিই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

১০. মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও শসা কাজে লাগতে পারে। রোগাক্রান্ত মাড়ির জন্যে শসা খুবই উপকারী। যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে, তারা একটি শসা টুকরা আধা মিনিট ধরে মুখে গুজে রাখতে পারেন এবং জিহ্বা দিয়ে তা চাপ দিতে থাকুন, মুখ একদম ফ্রেশ হয়ে যাবে। শসা মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে থাকে।

১১. চুল ও নখের সৌন্দর্য বাড়াতেও শসা সহায়তা করে থাকে। শসার রস চুলকে করে সিল্কি আর শক্ত; নখ হয় সতেজ আর উজ্জ্বল।

১২. শসাতে বিদ্যমান সিলিকা শরীরের সংযোগ স্থাপনকারী কোষগুলোকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শসার সাথে যদি একটু গাজরের রস মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে তার আপনার গ্যেটে বাত দূর করবে।

১৩. মাথা ব্যথা দূর করতে শসা খেলে উপকারিতা পাবেন। তাছাড়া, মদ যদি একটু বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে একটা শসা খেতে পারেন, মাথা ধরা থেমে যাবে।

১৪. কিডনিকে সচল রাখতে শসার অবদান ব্যাপক। কিডনি যারা সচল রাখতে চান, তারা নিয়মিত শসা খেতে পারেন।