Daffodil International University
Entertainment & Discussions => Sports Zone => Cricket => Topic started by: maruppharm on November 12, 2013, 05:16:14 PM
-
ইডেনে শচীন টেন্ডুলকারকে শুভেচ্ছাস্বরূপ পাগড়ি পরিয়ে দিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। এরপর জড়িয়ে ধরেছিলেন। টেলিভিশনের পর্দায় যাঁরা দৃশ্যটি দেখেছেন, তাঁদের মনে একবিন্দু সন্দেহ নেই যে সৌরভ সেদিন একটু আবেগপ্রবণই হয়ে উঠেছিলেন। আবেগে ধরেছিল শচীনকেও। দুই বন্ধুর এই আলিঙ্গন আবেগে ছুঁয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদেরও।
সৌরভ শচীনকে ‘ছোটবাবু’ বলে ডাকেন। আর শচীন তাঁর নাম দিয়েছেন ‘দাদাবাবু’। প্রিয় ছোটবাবুর বিদায়বেলায় দাদাবাবুর মনও বেশ খারাপ। কলকাতার একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন, ক্রিকেট ছেড়ে থাকতে শচীনের খুব কষ্ট হবে। খুব সহজে সে ক্রিকেটহীন জীবনে মানিয়ে উঠতে পারবে না। শচীনহীন ক্রিকেট মন খারাপ করিয়ে দেবে ক্রিকেটপ্রেমীদেরও।’
কোনো কিছুই চিরদিনের নয়। জীবনের অমোঘ নিয়মে একদিন সবকিছুর ইতি ঘটে। শচীনের ২৪ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারও প্রকৃতির নিয়মেই গোধূলিবেলায় দাঁড়িয়ে। ব্যাপারটা মনে করে যেন স্বস্তি খুঁজছেন সৌরভ, ‘একদিন না একদিন শচীনকে তো ক্রিকেট ছাড়তে হতোই। কোনো খেলোয়াড়ই সারাজীবন খেলা চালিয়ে যেতে পারেন না। তবে আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা শচীনকে ৪০ বছর বয়স অবধি খেলতে দেখলাম। অতীতে গিয়ে দেখুন পিট সাম্প্রাসের মতো টেনিস তারকা মাত্র ২৯ বছর বয়সেই খেলা ছেড়েছিলেন।’
শচীনের গোটা জীবনই ক্রিকেটময় বলে মনে করেন সৌরভ। তাই মাঠের ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার পর হয়তো তাঁকে আরও বড় ক্রিকেটীয় ভূমিকাতেই দেখা যাবে—এমন আশা করলেও ‘দাদা’র শঙ্কা, ‘ক্রিকেট খেলতে পারছে না বলে শচীনের মনটা প্রায়ই বিষণ্ন হয়ে উঠবে। শচীনের জীবনে ক্রিকেট খেলার যে কোনো বিকল্প নেই।’
ইডেনে শচীন ‘ব্যর্থ’—এ কথা নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামাতে চান না ভারতীয় ক্রিকেটকে অন্যমাত্রায় নিয়ে যাওয়া এই অধিনায়ক। যে খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ার ২৪ বছরের, ক্রিকেটে যে সম্ভব-অসম্ভব সব রেকর্ডই নিজের অধিকারে নিয়ে এসেছেন, এক ইনিংসে তিনি রান করতে না পারলে তাকে ‘ব্যর্থতা’ বলার কোনো মানে দেখেন না সৌরভ। তবে ইডেনে শচীন দুই ইনিংস ব্যাট করতে পারলে আর সবার মতো খুশিই হতেন তিনি।
মুম্বাইয়ে শচীনের ২০০তম টেস্ট ম্যাচটি পাঁচ দিনে গড়ানোর সম্ভাবনা কম বলেই মনে করেন সৌরভ। সে ক্ষেত্রে ওখানেও শচীনকে হয়তো এক ইনিংসই ব্যাট করতে হবে—এমন শঙ্কা নিয়ে সৌরভ আশা করেছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুব ভালো ক্রিকেট খেলে শচীনের বিদায় মঞ্চকে উজ্জ্বল করে তুলবে।
ইডেনে শচীনকে পাগড়ি পরিয়ে, জড়িয়ে ধরার ওই মুহূর্তটি আবেগে ছুঁয়েছে সৌরভকে, ‘আমি বলতে পারব না, ওই মুহূর্তে কী কী হয়েছে। অল্প সময়ে ওই সময় অনেক কিছু ঘটেছিল।’
ইডেনের হুলুস্থুলে আলাদা করে শচীনের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি সৌরভ। তবে মুম্বাইয়ে গিয়ে আড্ডায় বসবেন তাঁর সঙ্গে। স্মৃতিকাতর হয়ে উঠবেন সোনালি সেই দিনগুলোর কথা মনে করে।