Daffodil International University
Entertainment & Discussions => Sports Zone => Cricket => Topic started by: maruppharm on November 18, 2013, 10:58:57 AM
-
ক্যারিয়ারে ১৩৯ টেস্ট আর ১১৫৭ দিন জুড়ে ছিলেন শীর্ষস্থানে। সেই শচীন টেন্ডুলকার ক্যারিয়ার শেষ করলেন আইসিসি টেস্ট ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে ১৮ নম্বরে থেকে। তার পরও অবশ্য খানিকটা স্বস্তি পাবেন মহানায়ক। সিরিজটা যে শুরু করেছিলেন গত ২১ বছরে র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে বাজে অবস্থানে (২৪তম) থেকে! কলকাতায় ১০ রানে আউট হওয়ার পরও এগিয়েছিলেন এক ধাপ। বিদায়ী টেস্টের ৭৪ রানে পাঁচ ধাপ এগিয়ে শেষ করলেন বিশের ভেতরে থেকেই।
নতুন র্যাঙ্কিং সবচেয়ে বড় সুখবরটি দিয়েছে অবশ্য টেন্ডুলকার-সতীর্থ রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। মুম্বাইয়ে ৭ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ৮০৮ রেটিং পয়েন্টে অশ্বিন প্রথমবারের মতো উঠেছেন পাঁচে। অশ্বিনের স্পিন জুটি প্রজ্ঞান ওঝা ১০ উইকেট নিয়ে চার ধাপ এগিয়ে উঠেছেন নয়ে। ব্যাটিং-বোলিংয়ের শীর্ষ জায়গাগুলোয় পরিবর্তন হয়নি। আগের মতোই শীর্ষে আছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ডেল স্টেইন। ওয়েবসাইট।
টেন্ডুলকারের র্যাঙ্কিং গ্রাফ
নভেম্বর ১৯৮৯: অভিষেক টেস্টের পর ১১১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে ঢোকা ৯৭ নম্বরে থেকে
ফেব্রুয়ারি ১৯৯০: নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৮ রানের ইনিংসে প্রথমবার সেরা পঞ্চাশে।
জানুয়ারি ১৯৯২: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনিতে ১৪৮ করে জায়গা নেন সেরা পঁচিশে।
নভেম্বর ১৯৯২: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জোহানেসবার্গে ১১১ রানের ইনিংসে সেরা বিশে প্রবেশ।
ফেব্রুয়ারি-মার্চ ১৯৯৩: ইংল্যান্ড সিরিজে ৩০২ রান করে সেরা দশে প্রথমবার।
নভেম্বর ১৯৯৪: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মুম্বাইয়ে ৩৪ ও ৮৫ রান করে ব্রায়ান লারাকে টপকে প্রথমবার ওঠেন টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। তিন মাস পরই অবশ্য জায়গা হারালেন, তাঁকে টপকে যান জিমি অ্যাডামস, ইনজামাম-উল-হক, স্টিভ ওয়াহ ও লারা।
মার্চ ১৯৯৮: চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৫৫ রান করে স্টিভ ওয়াহর কাছ থেকে কেড়ে নেন শীর্ষস্থান। তবে হারান কদিন পরই।
মে ২০০০: আবার শীর্ষে, এবার বছর খানেক পর তাঁকে সরিয়ে দেন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার।
ফেব্রুয়ারি ২০০২: নাগপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৭৬ রানে আবার এক নম্বর। প্রাপ্ত ৮৯৮ পয়েন্ট তাঁর ক্যারিয়ার-সেরা রেটিং পয়েন্ট।
সেপ্টেম্বর ২০০২: অ্যাডাম গিলক্রিস্ট শীর্ষে ওঠেন টেন্ডুলকারকে টপকে।
অক্টোবর ২০১০: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বেঙ্গালুরু টেস্টে ২১৪ ও অপরাজিত ৫৩ রানে ৮ বছরেরও বেশি সময় পর পান এক নম্বরের স্বাদ।
জুন ২০১১: শীর্ষস্থান কেড়ে নেন জ্যাক ক্যালিস, ফিরে পাননি আর কখনো।
নভেম্বর ২০১৩: ৬৯৩ রেটিং পয়েন্টে ১৮ নম্বরে থেকে ক্যারিয়ার শেষ।
৫৮.৮৭
ক্যারিয়ারের যেকোনো পর্যায়ে টেন্ডুলকারের সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড়, ৯০তম টেস্ট শেষে, ২০০২ সালে।
৪৯.৭৭
৫২তম টেস্ট শেষে টেন্ডুলকারের ব্যাটিং গড়, এরপর আর কখনো নামেনি পঞ্চাশের নিচে।
১৫
সর্বকালের সেরা ওয়ানডে ওপেনার টেস্টে ওপেন করেছেন একবারই। ১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫ রান করে বোল্ড হয়েছিলেন ক্রিস কেয়ার্নসের বলে।
২৫
২৫টি টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন টেন্ডুলকার। অধিনায়ক হিসেবে ব্যাটিং গড় ৫১.৩৫, ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন নিজের নেতৃত্বেই।
২৬৬
ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে টেন্ডুলকারের ব্যাটিং গড়। দুই টেস্ট খেলে দুই ইনিংসে করেছেন ১৮ ও ২৪৮*। মিরপুরে গড় ২৬৫, এখানেও দুই টেস্টে দুই ইনিংস, রান ১২২* ও ১৪৩। একাধিক টেস্ট খেলা মাঠগুলোয় এক শর বেশি গড় আছে আর শুধু সিডনিতে, ৫ টেস্ট খেলে ১৫৭!
১১৫
টেন্ডুলকারের টেস্ট ক্যাচ। ভারতের হয়ে বেশি ক্যাচ নিয়েছেন আর কেবল ভিভিএস লক্ষ্মণ (১৩৫) ও রাহুল দ্রাবিড় (২১০)
৪৯৩
কমপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজে টেন্ডুলকারের সবচেয়ে বেশি রান। ২০০৭-০৮ বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে করেছিলেন ৪৯৩।
৬২.৮০
নিজেসহ ৮ জন অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলেছেন। সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড় সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে ৬২.৮০। সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরি মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের নেতৃত্বে, ১৫টি।