Daffodil International University
Health Tips => Protect your Health/ your Doctor => Body Fitness => Topic started by: alaminph on November 19, 2013, 09:18:20 AM
-
চক্ষু পল্লবের রোগ
জন্মগতভাবে চক্ষু পল্লবে ফাঁক থাকতে পারে। অল্প ফাঁক থাকলে কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন না হলেও চলে। তবে বেশি ফাঁক থাকলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চক্ষু পল্লব ঠিক করে নেয়া উচিত।
অ্যাপিক্যানথাস রোগও জন্মগতভাবে হতে পারে। এই রোগের বৈশিষ্ট্য হলো ত্বকের একটি খাড়া ভাঁজ নাকের গোড়া থেকে চক্ষু পল্লবের অন্তকোণ পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে। সাধারণত এর জন্য কোনো চিকিৎসা না করলেও চলে। তবে অনেকেই চেহারার সৌন্দর্যের কথা চিন্তা করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অ্যাপিক্যানথাস মুক্ত হয়ে থাকেন।
ব্লেফারাইটিস
অক্ষিপল্লবের প্রান্তের প্রদাহকে ব্লেফারাইটিস বলে। এ রোগ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এ রোগ হলে অক্ষিপল্লবের প্রান্তে ছোট ছোট দানার মতো খুশকি হয়। রোগাক্রান্ত জায়গাটুকু লাল ও একটু ফোলা ফোলা লাগতে পারে। অনেক সময় সামান্য ঘায়ের মতো হতে পারে; যারা এই ব্লেফারাইটিসে আক্রান্ত হন, তাদের অনেকের মাথায় খুশকি দেখা যায়। চোখের খুশকি সঠিক চিকিৎসা ও চোখের স্বাস্থ্যকর অবস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে সারানো যেতে পারে। অনেক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের অ্যান্টিবায়োটিক স্টেরয়েড মলম নিয়মিতভাবে কিছুদিনের জন্য লাগাতে হতে পারে।
অঞ্জনি
চক্ষু পল্লবের কেশ প্রান্তের ফলিকল এবং জেইস গ্রন্থির পুঁজ সৃষ্টিকারী সংক্রমণকেই অঞ্জনি বলে। এই রোগে আক্রান্ত চক্ষু পল্লব লাল হয়ে ফুলে যায়, ব্যথা এবং পরের দিকে সাদা পুঁজবিন্দু দেখা দিতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিদিন দুইবার করে গরম সেক দিলেই অঞ্জনি সেরে যায়।