Daffodil International University
Entertainment & Discussions => Sports Zone => Football => Topic started by: mustafiz on November 19, 2013, 11:25:49 AM
-
মেসি কেন এত ঘন ঘন চোটের শিকার হচ্ছেন? মেসির সাম্প্রতিক চোটের পর এই প্রশ্নই উঠে গেছে। শুধু প্রশ্ন ওঠাই নয়, তাঁর সমালোচকেরা বারবার চোট পাওয়ার কারণ অনুসন্ধান এবং ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণও করছেন!
দায়টা আসলে মেসিরই। নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এবং প্রত্যাশা তৈরি করেছেন, টানা দুই ম্যাচে গোল না পেলেই প্রশ্ন ওঠে—মেসির কী হলো? তেমনি প্রশ্ন ওঠে চোট নিয়েও। তবে চোটের কারণ হিসেবে যেসব গল্প ছড়াচ্ছে তা উড়িয়ে দিয়েছেন মেসি। বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকা নিজে আবারও চোট পাওয়ায় বিমর্ষ এবং হতাশ। তবে উদ্বিগ্ন নন। খেলতে গেলে চোটাঘাত আসবেই—এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে মেসি পুরো মনোযোগ দিয়েছেন দ্রুত সেরে ওঠার দিকে।
এ মৌসুমে তিন-তিনবার চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন মেসি। অথচ মৌসুমের মাত্রই এক-তৃতীয়াংশ গেছে। সর্বশেষ গত ১০ নভেম্বর রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে পাওয়া চোট তো তাঁকে মাস দুয়েকের জন্য ছিটকে ফেলেছে মাঠের বাইরে। এই চোট বার্সেলোনাকে যেমন শঙ্কায় ফেলেছে, আর্জেন্টিনাকে ফেলেছে আরও বেশি। মাস কয়েক পরই বিশ্বকাপ। আর্জেন্টাইনরা শঙ্কিত তো হবেই।
আর্জেন্টিনারই পত্রিকা ওলেতে তাঁর এই ঘন ঘন চোটে পড়া নিয়ে বিতর্কিত সব মন্তব্য করা হয়েছে। মেসির খাদ্যতালিকা, ক্লাবের হয়ে বেশি চাপ নিতে গিয়েই শরীরের বারোটা বাজাচ্ছেন কি না, এমনকি প্রশ্ন তোলা হয়েছে প্রাক-মৌসুমে মেসির বেশি বেশি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলা নিয়েও। চোটের কারণে গত মৌসুমের শেষ দিকে মাঠে নামতে পারেননি। অথচ প্রাক-মৌসুমে এশিয়া-ইউরোপ-আমেরিকা ঘুরে একের পর এক প্রীতি ম্যাচ খেলেছেন। তবে কি পর্যাপ্ত বিশ্রামের ঘাটতি ছিল?
মেসি অবশ্য সেই ওলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেই জবাব দিয়েছেন সমালোচনার, ‘আমি বিমর্ষ। কারণ আমি এটা আশা করিনি। একই সঙ্গে আমি হতাশও, কারণ নতুন চোটটা পেয়েছি পুরোনো জায়গায়। তবে সত্যি বলছি, আমি উদ্বিগ্ন নই। এটা স্রেফ ঘটে গেছে। এর পেছনে বিশেষ কোনো কারণ নেই, এত অনুসন্ধানেরও কিছু নেই।’ আরও যোগ করেছেন, ‘কোনো কিছু না জেনেই লোকে এসব বলছে। এটা সত্য নয়। আমার খাদ্যতালিকা সব সময় একই রকম। আমি সব সময় যা করি, এখনো তাই করছি।’ সবশেষে মেসি সেই চিরন্তন কথাটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘চোট পেয়েছি, কারণ খেললে চোট আসবেই। একমাত্র আমিই মৌসুমে প্রচুর ম্যাচ খেলি না। লা লিগায় সবাই একই পরিমাণ ম্যাচ খেলে।’ ওয়েবসাইট।