Daffodil International University

Entertainment & Discussions => Sports Zone => Football => Topic started by: mustafiz on November 20, 2013, 11:39:23 AM

Title: রোনালদোর হ্যাটট্রিকে বিশ্বকাপে পর্তুগাল
Post by: mustafiz on November 20, 2013, 11:39:23 AM
প্রথমার্ধে এমন তিনটা সুযোগ পেয়েছিলেন, যা থেকে তাঁর মতো খেলোয়াড়ের গোল না করাই ছিল অপরাধ। তাঁকে একের পর এক মিস করতে দেখে সমর্থকদের মেরুদণ্ডে নিশ্চয়ই শীতল স্রোত বয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জন্য রাতটা হতাশাই মুঠোয় পুরে রেখেছে কি না, এই সংশয়টা দ্বিতীয়ার্ধে মুছে ফেললেন রোনালদো নিজেই। দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে পর্তুগালকে ফাইনালে তুললেন অধিনায়ক রোনালদোই।

ওদিকে প্রথম লেগে ২-০ গোলে হেরে বিদায়ের শঙ্কা জাগানো ফ্রান্স ফিরতি লেগে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করল। নিজেদের মাঠে ইউক্রেনকে ৩-০ গোলে হারিয়েই নিশ্চিত করল বিশ্বকাপ। একই রাতে ইউরোপ থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে গ্রিস ও ক্রোয়েশিয়া।

৫০ মিনিটে করা রোনালদোর দারুণ ফিনিশিংয়ে এগিয়ে গিয়েছিল পর্তুগাল। ভাষ্যকারেরা বলছিলেন, ম্যাচটা হয়তো এখানেই শেষ। কারণ দুই লেগ মিলিয়ে পর্তুগালের অগ্রগামিতা ছিল ২-০ গোলের। বিশ্বকাপে যেতে হলে শেষ আধঘণ্টায় তিনটি গোল করতেই হতো সুইডেনকে। পর্তুগাল পেয়ে গেছে অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা।
‘শেষ ম্যাচ’টাকে শেষ হতে দিতে চাইলেন না জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, যিনি কদিন আগে দাবি করেছেন, বিশ্বকাপ তাঁকেই চায়, রোনালদোকে নয়। ৬৮ মিনিটে হেড থেকে সমতা ফেরালেন। চার মিনিট পরই বক্সের প্রান্ত থেকে দুর্দান্ত ফ্রি কিকে করে ফেললেন ২-১। জমে উঠল নাটক। আর একটা গোল হলেই বিশ্বকাপে সুইডেন! পর্তুগালের রক্ষণকে তখন মনে হচ্ছে ভূতে পাওয়া।

পর্তুগাল সমর্থকদের ভয় বাড়িয়ে দিয়ে রোনালদো নিজের বাঁ-পায়ের বুট চেপে ধরে ব্যথায় কাতরে উঠলেন। বাঁ-পায়ের পাতায় চোটের কারণেই কদিন আগে অনুশীলন করতে পারেননি। তবে কি সেই পুরোনো ব্যথাই জেগে উঠল?

না, এদিন ব্যথায় কাতর হতে নয়, রোনালদো ঠিক করেছিলেন সেই ব্যথার বিষে প্রতিপক্ষকে নীল করে দেবেন। ৭৭ মিনিটে ২-২ করে ফেললেন। দুই মিনিট পরই পূর্ণ করলেন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তাঁর দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। ম্যাচে চতুর্থ গোলটিও পেয়ে যেতেন। যোগ করা সময়ে তাঁর চিপ ডান পোস্টে বাতাসের কাঁপন ধরিয়ে বেরিয়ে গেল।

চতুর্থ গোলটি হলে পর্তুগালের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা এই রাতেই হয়ে যেতেন। ৪৭টি গোল নিয়ে আপাতত পলেতার সঙ্গে রেকর্ডটা ভাগাভাগি করে নিতে হচ্ছে।

কিন্তু এ নিয়ে রোনালদোর আফসোসের কিছু নেই। বিশ্বকাপের ভাগ্য নির্ধারণী ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে দলকে পৌঁছে দেওয়া—এর চেয়ে বেশি আর কী হতে পারে!

ওদিকে সুখবর দিয়েছে ফ্রান্সও। ফ্রান্সের জয়ের নায়কটির নামে অবশ্য চমক আছে। বেনজেমা, রিবেরি, জিরুদের কেউ নন; জোড়া গোল করে স্টাডে ডি ফ্রান্সের গ্যালারিতে গর্জন তুললেন মামাদু সাখো। ২৩ বছর বয়সী এই সেন্টার ব্যাকের গোলেই ২২ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল ফ্রান্স। ৭২ মিনিটে তাঁর গোলেই নিশ্চিত হয়েছে বিশ্বকাপ। মাঝখানে ৩৪ মিনিটে গোল করেছেন করিম বেনজেমা।

রুমানিয়ার বিপক্ষে ১-১ ড্র করলেও প্রথম লেগে ৩-১ গোলে জিতে থাকায় ৪-২ ব্যবধানে বিশ্বকাপে চলে গেল গ্রিসই। নিজেদের মাঠে আইসল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করল ক্রোয়েশিয়া।

তবে এ রাতের সবচেয়ে বড় সুখবর রোনালদোকে বিশ্বকাপে দেখতে পাওয়া। সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ অবশ্যই ইব্রাকে হারিয়ে ফেলাও!