Daffodil International University

Health Tips => Food and Nutrition Science => Topic started by: snlatif on November 22, 2013, 11:19:28 AM

Title: ডিমের জানা অজানা
Post by: snlatif on November 22, 2013, 11:19:28 AM
১. পুষ্টিগুণের কথা বিবেচনায়, দেশি ডিমের চেয়ে ফার্মের ডিমে পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। একটি ফার্মের ডিমে ক্যালরি আছে ৮০ এবং দেশি মুরগির ডিমে ক্যালরি আছে মাত্র ৫০।

২. ফার্মের ডিমে পাওয়া যায় ৮ গ্রাম প্রোটিন ও ৬ গ্রাম চর্বি রয়েছে। ডিমের কুসুমে রয়েছে ২৫০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল, যা সম্পৃক্ত চর্বি। এছাড়াও ভিটামিন ডি সহ প্রায় ১১ ধরনের ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে।

৩. ডিমের কুসুম খুব সহজে হজম হয়। তবে হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে হাঁসের ডিম বা মুরগীর ডিমের কুসুম বাদ দেওয়াই ভালো। তবে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। ডিমের সাদা অংশটি হলো পেপটাইড, যেসব উপাদানে আমিষ তৈরি হয় তার অন্যতম এই পেপটাইড। গবেষণায় দেখা গেছে, নিম্নমাত্রায় ক্যাপ্টোপ্রিল ব্যবহারে রক্তচাপ যতটা কমে প্রায় সে পরিমাণে রক্তচাপ কমতে সহায়তা করে ডিমের এই সাদা অংশ।

৪. সিদ্ধ, পোচ, অমলেট যেভাবেই ডিম খাওয়া হোক না কেন, এর পুষ্টিগুণে তারতম্য হয় না।

৫. ডিম রাখুন ঠাণ্ডা জায়গায় । ফ্রিজ থাকলে ফ্রিজে আর না থাকলে চুনের পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। অনেক দিন ডিম ভালো থাকবে।

৬. ফ্রিজে রাখার আগে ডিম কখনও ধুবেন না। কারণ ডিমের বহিরাংশে এক ধরনের প্রতিরোধ স্তর থাকে, যা ডিম ভালো রাখে। ডিম রান্না করার আগে ফ্রিজ থেকে বের করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে রান্না করুন।

৭. যারা সুষম খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত, তাঁদের সপ্তাহে ছয়টি ডিম খেতে কোনো ক্ষতি নেই। তবে মধ্যবয়স্করা অতিরিক্ত ডিম খাওয়া থেকে সাবধান! সপ্তাহে সাতটি বা ততোধিক ডিম খেলে এই বয়সের লোকজনদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে।

৮. যেসব মহিলারা এক সপ্তাহে কমপক্ষে ৬ টি ডিম খায়, তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার এর ঝুকি ৪৪% কমে যায়। ডিমের কুসুমে কোলিন নামক একটি প্রোটিন থাকে যেটি মস্তিস্ক গঠনে ভুমিকা রাখে। তাই গর্ভবতী ও বুকের দুধ খাওয়ানো মায়ের খাদ্য তালিকায় ডিমের কুসুমের উপস্থিতি বাঞ্ছনীয়।

৯. ডিমের একটি প্রধান খাদ্য উপাদান হলো ভিটামিন এ। ভিটামিন এ রেটিনায় আলো শুষে নিতে সহায়তা করে, কর্নিয়ার পাশের মেমব্রেনকে রক্ষা করে এবং রাতকানার ঝুঁকি কমায়। মহিলাদের প্রতিদিন ৭০০ মাইক্রোগ্রাম এবং পুরুষদের প্রতিদিন ৯০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ প্রয়োজন শরীরের জন্য।

১০. ডিম এর মাধ্যমে কিছু রোগ ছড়াতে পারে বার্ড ফ্লুর মত কঠিন রোগ ছাড়াও । ডিমের গায়ে লেগে থাকা পায়খানা থেকে এমনকি ডিমের ভেতরে ও Salmonella enteritidis and Salmonella typhimurium নামক জীবানু থাকতে পারে। যা স্বাস্থ্য ঝুকির কারন । তাই ডিম অবশ্যই কাঁচা খাবেন না।


সূত্রঃ:দেহ:: জীবনের ঠিকানা।
Title: Re: ডিমের জানা অজানা
Post by: A.S. Rafi on January 06, 2014, 02:33:46 AM
a lot to know about everyday little things.. thanks for sharing.