Daffodil International University
Health Tips => Food => Topic started by: snlatif on November 23, 2013, 01:59:52 PM
-
মধু প্রায় সবারই প্রিয়খাবার। এই খাবারে রয়েছেশরীরে তাপ উৎপাদনের তীব্র ক্ষমতা। তাই ঠান্ডায় মধু নিয়মিত খেলে অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার প্রবণতা দূর হবে। মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, যা রক্তশূন্যতা, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। চা, কফি ও গরম দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে হাঁচি, কাঁশি, জ্বর জ্বর ভাব, টনসিল, নাক দিয়ে পানি পড়া, জিহ্বার ঘা (ঠান্ডাজনিত) ভালো হয়। তারুণ্য বজায় রাখতে মধুর ভূমিকা অপরিহার্য। মধুর গুরুত্বপূর্ণউপকরণ ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম দাঁত, হাড়, চুলের গোড়া শক্ত রাখে, নখের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে, ভঙ্গুরতা রোধ করে। শিশুদের ছয় মাস বয়সের পর থেকে অল্প করে (তিন-চার ফোঁটা) মধু নিয়মিত খাওয়ানো উচিত। এতে তাদের পুরো দেহের বৃদ্ধি, মানসিক বিকাশ ভালো হবে। তবে মধু নিয়মিত খাওয়াতে হবে এই ঠান্ডা ঋতুতে, গরমের সময় নয়। মধু সবার শরীরে গরম তৈরি করে। যেকোনো বয়সের মানুষ অধিক পুষ্টির আশায় বেশিমধু খেলে ডায়রিয়া হয়েযাবে। তবে বড়দের তুলনায় বাড়ন্ত শিশুদের (বিশেষ করে যারা স্কুলে যায়) জন্য পরিমাণে মধু বেশি প্রয়োজন।
মধুতে নেই কোনো চর্বি। তবে অতিরিক্ত মিষ্টির জন্য ডায়াবেটিস, হূৎপিণ্ড ও উচ্চরক্তচাপের রোগীদের মধু বর্জনীয়।
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছেযে মধুতে রয়েছে উচ্চশক্তিসম্পন্ন অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট। এই এজেন্ট শরীরের ক্ষতিকর রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, নিয়মিত মধু ও সুষম খাবারে অভ্যস্ত ব্যক্তিরা তুলনামূলকভাবে বেশি কর্মক্ষম ও নিরোগ হয়েবেঁচে থাকে। রক্ত উৎপাদনকারী উপকরণ আয়রন রয়েছেমধুতে। আয়রন রক্তের উপাদানকে (আরবিসি, ডব্লিউবিসি, প্লাটিলেট) অধিক কার্যকর ও শক্তিশালী করে। শিশুদের দুর্বলতা দূর করার জন্যমধুতে রয়েছে জিংক ও ফসফরাস। মুখের ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধির জন্যও মধু ব্যবহূত হয়।পুষ্টিমূল্য বিচারে মধু হোক আপনার নিত্যসঙ্গী।
মূল লেখকঃ ফারহানা মোবিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো