Daffodil International University
Famous => History => Topic started by: sadia.ameen on November 24, 2013, 12:41:11 PM
-
৩০০ বছরের পুরনো এক বৈজ্ঞানিক ধাঁধা অবশেষে সমাধান করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিষয় ছিল-পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ বা কেন্দ্র কোন দিকে ঘোরে? অতঃপর লিড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সাফল্যের মুখ দেখলেন, খুঁজে পেয়েছেন উত্তর।
পৃথিবীর কেন্দ্র বা ভেতরের অংশ খনিজ লোহাসমৃদ্ধ। এটি অনেক দ্রুত গতিতে পুর্ব দিক অভিমুখে ঘুরছে। আর বিজ্ঞানীরা এই ঘূর্ণনের নাম দিয়েছেন ‘super rotation’। অর্থাৎ পৃথিবীর বাইরের অংশ যে গতিতে ঘুরছে, ভেতরের অংশটি আরো দ্রুত গতিতে ঘুরছে। পৃথিবীর বাইরের অংশ মূলত গলিত লোহা দিয়ে তৈরি আর এর ঘূর্ণের গতি হচ্ছে পশ্চিম দিক অভিমুখী।
এডমন্ড হ্যালি, যার নামানুসারে তার আবিষ্কৃত ধূমকেতুর নাম দেয়া হয়েছে ‘হ্যালির ধূমকেতু’, ১৬৯২ সালে বলেন, পৃথিবীর ভূ-চৌম্বকক্ষেত্র পশ্চিম দিক অভিমুখে সঞ্চালনশীল। কিন্তু এতদিন পর এসে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বাইরের ও ভেতরের অংশের ঘূর্ণনের মাঝে সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। পৃথিবীর দুটি অংশের এই বিপরীতমুখী আচরণের কারণ মূলত পৃথিবীর ভূ-চৌম্বক ক্ষেত্র।
গত কয়েক দশকে সিসমোগ্রাফ যন্ত্রের মাধ্যমে ভূমিকম্পের গতি-প্রকৃতি নির্ণয় করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ভূমিকম্পের ফলে পৃথিবীর অভ্যন্তরে সৃষ্ট কম্পনের গতিমুখ হচ্ছে পূর্ব দিক মুখী। লিড বিশ্ববিদ্যালয়ের School of Earth and Environment এর গবেষক ড. ফিলিপ লিভারমোর বলেন, “পৃথিবীর ভেতরের আর বাইরের অংশের গতি একটি আরেকটির পুরোপুরি উলটো। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র এর ভেতরের অংশকে পূর্বদিক অভিমুখে ধাক্কা দিতে থাকে, ফলে এই অংশটি পৃথিবীর বাইরের অংশ থেকে অধিকতর দ্রুত গতিতে ঘুরতে থাকে। এছাড়া এই চৌম্বক ক্ষেত্রের কারণেই পৃথিবীর বাইরের অংশ পূর্ব দিক অভিমুখে ঘুরে। “
পৃথিবীর কেন্দ্র বা অভ্যন্তরভাগ কঠিন লোহা দিয়ে গঠিত এবং গোলাকার এই অভ্যন্তরভাগের আকার আমাদের উপগ্রহ চাঁদের আকারের সমান। অন্যদিকে এর চারপাশে ঘিরে থাকা পৃথিবীর বাইরের অংশ অপেক্ষাকৃত নরম, গলিত লোহা দিয়ে তৈরি।
পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগের চৌম্বক ক্ষেত্রটি কয়েক দশকের মাঝে খুব কমই পরিবর্তিত হয়। তাই ধারণা করা হচ্ছে, পৃথিবীর ভেতরের ও বাইরের অংশের এই বিপরীত মুখী ঘূর্ণনের কারণ হল পৃথিবীর তড়িৎ-চৌম্বক শক্তি।
এই গবেষণা থেকে হয়তো গত ৫০ বছর ধরে পৃথিবীর পূর্বমুখী ঘূর্নন গতিতে কেন তারতম্য হচ্ছে সেটার ব্যাখ্যাও পাওয়া যাবে। গবেষণাপত্রটি Proceedings of the National Academy of Sciences এ প্রকাশিত হয়েছে।(priyo.com)
-
Interesting.