Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Pharmacy => Topic started by: Saqueeb on November 24, 2013, 02:37:28 PM
-
বিশ্বে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দূষণের পর নষ্ট হওয়া খাদ্যই সবচেয়ে বেশি পরিমান গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন করে।
বুধবার জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিবছর মানুষের জন্য উৎপাদিত খাদ্যের এক-তৃতীয়াংশই নষ্ট হয়। যা প্রায় ১.৩ বিলিয়ন টন।
ওই বিপুল পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন ও নষ্ট করার জন্য সব ধরনের শক্তি, পানি ও রাসায়নিকের অপচয়ও রয়েছে।
বিশ্বের চাষযোগ্য জমির প্রায় ৩০ শতাংশ এবং ভলগা নদীতে বছরে যে পরিমাণ পানি প্রবাহিত হয় প্রায় সেই পরিমাণ পানির দ্বারা উৎপাদিত খাদ্য মানুষ নষ্ট করে।
উৎপাদকের মূল্য অনুযায়ী মাছ ও সামুদ্রিক খাবারসহ প্রতিবছর নষ্ট হওয়া ওই খাবারের আর্থিক মূল্য প্রায় ৭৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
‘দ্য ফুড ওয়েস্টেজ ফুটপিন্ট’ শিরোনামে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, নষ্ট হওয়া খাবার থেকে প্রতি বছর প্রায় ৩.৩ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়।
যদি এটি কোনো দেশের দ্বারা দূষণ হতো তবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পর তৃতীয় বৃহত্তম কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমণকারী দেশ হিসেবে গণ্য হতো।
প্রতিবেদনে পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, খাদ্যের আরো কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন কমিয়ে আনা সম্ভব।
শিল্পোন্নত দেশগুলো অতিরিক্ত খাদ্য ক্রয়ের পর তা খেতে না পেরে ফেলে দেয়ার মাধ্যমে খাবার নষ্ট হয়।
আর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অপর্যাপ্ত কৃষি ব্যবস্থা এবং উৎপাদিত খাদ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে খাবার নষ্ট হয়।
এফএও’র প্রতিবেদনে বল হয়, অপ্রতুল প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর চাপ কমাতেই শুধু খাদ্যের অপচয় রোধ করা প্রয়োজন ব্যাপারটা এমন নয়।
বরং ২০৫০ সালে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা মেটাতে ৬০ শতাংশ খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির চাহিদাও এতে কমে আসবে।
প্রতিবেদনে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা আরো কার্যকর করতে উৎপাদক ও ভোক্তার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত করার পরমর্শ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ফসল কাটা, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে আরো বেশি বিনিয়োগের পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
-
Is it true;