Daffodil International University

Famous => Person => Topic started by: Kanij Nahar Deepa on December 02, 2013, 11:22:02 AM

Title: বিজ্ঞানাচার্য জগদীশচন্দ্র বসু
Post by: Kanij Nahar Deepa on December 02, 2013, 11:22:02 AM

বিজ্ঞানাচার্য জগদীশচন্দ্র বসু। বিজ্ঞানের জগতে তার অবদান অসামান্য। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে বাংলার দুই বিজ্ঞানী বিজ্ঞানের জগতে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কাজ করেছিলেন; তাদের একজন জগদীশচন্দ্র বসু, আরেকজন সত্যেন বোস।
জগদীশচন্দ্র বসুর বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলোর মধ্যে দুটি বিশেষভাবেই উল্লেখযোগ্য। একটি হল মাইক্রোওয়েভ নিয়ে তার গবেষণা। তিনি মাইক্রোওয়েভ সফলভাবে প্রেরণ করে এবং তা পরে অন্য যন্ত্র দিয়ে গ্রহণ করে দেখান।

তবে রেডিও আবিষ্কারের কৃতিত্ব কিন্তু তার নয়। রেডিওতে ব্যবহার করা হয় শর্টওয়েভ। আর তিনি কাজ করেছিলেন মাইক্রোওয়েভ নিয়ে। এই মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করা হয় মূলত টেলিভিশন ও রাডারে। এ কারণেই পরবর্তীতে নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী নেভিল মট মন্তব্য করেন, “জে সি বোস (জগদীশচন্দ্র বসু) তার সময়ের চেয়ে অন্তত ৬০ বছর এগিয়ে ছিলেন।”

তবে তার খ্যাতি সবচেয়ে বেশি উদ্ভিদের সাড়া প্রদানবিষয়ক গবেষণার জন্য। তিনি গবেষণা করে দেখান যে, আঘাত করলে প্রাণীদের মতো উদ্ভিদও সাড়া দেয়, তারাও প্রতিক্রিয়া দেখায়।

মোদ্দা কথা হল, উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবনের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য আছে। এই গবেষণা করতে গিয়ে তিনি আবিষ্কার করেন ক্রেস্কোগ্রাফ, রিজোনাস্ট রেকর্ডার প্রভৃতি।

তার সম্পর্কে বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, “জগদীশচন্দ্র যেসব অমূল্য তথ্য পৃথিবীকে উপহার দিয়েছেন, তার যে কোনোটির জন্যই স্মারকস্তম্ভ স্থাপন করা উচিত।”
বাংলায় প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিটিও লিখেছিলেন জগদীশচন্দ্র বসু। ১৮৯৬ সালে গল্পটি লেখেন তিনি ‘নিরুদ্দেশের কাহিনি’ নামে। পরে গল্পটি স্থান পায় তার একমাত্র বাংলা বই ‘অব্যক্ত’-তে। গ্রন্থভুক্ত করার সময় তিনি গল্পের নাম পাল্টে রাখেন ‘পলাতক তুফান’। পরে বোধিসত্ত্ব চট্টোপাধ্যায় গল্পটি ইংরেজিতে অনুবাদও করেন।

‘অব্যক্ত’ তিনি লিখেছেন মূলত ছোটদের জন্য। বইটির বাকি সবগুলোই বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে লেখা প্রবন্ধ।

অবশ্য ইংরেজিতে তার অনেকগুলো বৈজ্ঞানিক গবেষণা বই ও অভিসন্দর্ভ প্রকাশিত হয়েছিল। ইংরেজি বইগুলো হল-- Response in the Living and Non-living (1902), Plant response as a means of physiological investigation (1906), Comparative Electro-physiology: A Physico-physiological Study (1907), Researches on Irritability of Plants, 1913), Physiology of the Ascent of Sap (1923), The physiology of photosynthesis (1924), The Nervous Mechanisms of Plants (1926), Plant Autographs and Their Revelations (1927), Growth and tropic movements of plants (1928) এবং Ges Motor mechanism of plants (1928) |

বাংলার এই বিজ্ঞানাচার্য তার অসামান্য অবদানের জন্য জীবনে সম্মাননাও কম পাননি। ১৯১৬ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইটহুড’ প্রদান করে।

১৯২০ সালে তিনি ব্রিটেনের বিখ্যাত বিজ্ঞান সমিতি ‘রয়েল সোসাইটি’র ফেলো মনোনীত হন। পরে তিনি ফ্রান্সের বিখ্যাত বিজ্ঞান সমিতি ‘সোসাইটি ডি ফিজিক’-এর সদস্য হিসেবেও মনোনীত হন।

১৯২৭ সালে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের ১৪তম অধিবেশন বসে; জগদীশচন্দ্র বসু সে অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন।

১৯২৮ সালে তিনি মনোনীত হন ‘ভিয়েনা একাডেমি অফ সাইন্স’-এর সদস্য হিসেবে।

১৯২৯ সালে তাকে ‘ফিনিশ একাডেমি অফ সাইন্সেস এন্ড লেটার্স’-এর সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়। লিগ অফ নেশন্স গঠিত হলে, ‘লিগ অফ নেশন্স কমিটি ফর ইন্টেলেকচুয়াল কো-অপারেশন’ গঠন করা হয়; জগদীশচন্দ্রকে সেই কমিটিতেও রাখা হয়। তিনি ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ সাইন্সেস অফ ইন্ডিয়া’-র প্রতিষ্ঠাতা ফেলো ছিলেন; বর্তমানে এর নাম ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সাইন্স একাডেমি’।

বাংলার বিখ্যাত এই বিজ্ঞানীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের একজন ছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ জগদীশচন্দ্র বসুকে নিয়ে একটা আস্ত কবিতাও লিখেছিলেন, ১৩০৪ বঙ্গাব্দের ৪ শ্রাবণ। কবিতাটি তার ‘কল্পনা’ কাব্যের অন্তর্ভুক্ত। কিডজের পাঠকদের জন্য এখানে পুরো কবিতাটিই তুলে দেওয়া হল।

“বিজ্ঞানলক্ষ্মীর প্রিয় পশ্চিমমন্দিরে
দূর সিন্ধুতীরে,
হে বন্ধু, গিয়েছ তুমি; জয়মাল্যখানি
সেথা হতে আনি
দীনহীনা জননীর লজ্জানত শিরে
পরায়েছ ধীরে।
Title: Re: বিজ্ঞানাচার্য জগদীশচন্দ্র বসু
Post by: nadimhaider on December 15, 2013, 07:53:37 PM
GREAT SCIENTIST.
Title: Re: বিজ্ঞানাচার্য জগদীশচন্দ্র বসু
Post by: monirulenam on March 02, 2016, 02:14:18 PM
Thanks for Sharing