Daffodil International University
Faculty of Humanities and Social Science => Law => Topic started by: abduarif on December 16, 2013, 11:58:22 AM
-
পারস্যের কবি ওমর খৈয়ামকে আমরা রুবাইয়াতের কবি হিসেবেই চিনি। অপূর্ব ছন্দের চার লাইনের হাজার খানেক কবিতা লিখেই তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সারা দুনিয়ার কবিদের।
১১২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর অর্থাৎ আজকের এই দিনে তিনি চির বিদায় নেন। খৈয়ামের জন্ম ১০৪৮ সালে ইরানের খোরাসান রাজ্যের নিশাপুরে। আমৃত্যু খৈয়ামের একমাত্র নেশা ও পেশা ছিল জ্ঞানার্জন করা। আর এ কারণেই তিনি একাধারে গণিতে, জ্যোতিষ শাস্টে্প এবং সাহিত্যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।
ওমর খৈয়াম শৈশবে শিক্ষা লাভ করেন নিশাপুরের শ্রেষ্ঠ ইমাম মাওবাফিক উদ্দিনের কাছে। সেখানে তার সহপাঠী ছিলেন আলী ইসহাক তৌসী ও হাসান বিন সাব্বা। এই তিন সতীর্থ ওই সময় প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তাদের মধ্যে পরর্বতীকালে কেউ সমৃদ্ধবান হলে তিনি তার সৌভাগ্য অপর দু'জনের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন।
পরর্বতী জীবনে তৌসী পারস্যের সুলতানের উজির হন এবং নিজাম-উল-মুলক উপাধি পান। তখন অপর দুই বন্দু তার সঙ্গে দেখা করলে তিনি তার প্রতিজ্ঞা রক্ষা করেছিলেন। তিনি খৈয়ামকে দিতে চেয়েছিলেন জায়গির, উপাধি এবং জাগতিক ধন-সম্পত্তি; কিন্তু ওমর নির্জনে জ্ঞানচর্চার সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ জানান। নিজাম-উল-মুলক তার অনুরোধ রাখেন এবং খাজাঞ্চিখানা থেকে ১২ শ' স্ট্র্বণমদু্রা বার্ষিক বৃত্তির ব্যবস্থা করে দেন।
ওমর খৈয়াম কবি হিসেবে পরিচিতি লাভের আগেই বিখ্যাত হন গণিতবিদ হিসেবে। গণিত শাস্টে্প তার বড় অবদান হলো জ্যামিতিক উপায়ে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান বের করা। তিনি বীজগণিতের চূড়ান্ত উন্নতি সাধন করেন। ইউক্লিডের জ্যামিতির সমস্যাবলির ব্যাখ্যা দেন খৈয়াম। তার সৌরবষরাউর হিসাব ছিল নিখুঁত, যার দৈর্ঘ্য ৩৬৫.২৪২ দিন। পারস্যের সুলতানের অনুরোধে তিনি পারস্যের পঞ্জিকা সংস্কারের দায়িত্ব নেন।
খৈয়ামের রুবাইয়াত বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম সেরা একটি ক্ল্যাসিক। নিশাপুরেই রচিত হয়েছে কবির অন্তিম শয্যা। তাঁবু আকৃতির এই সমাধি ক্ষেত্রের চারপাশে রয়েছে ফুলবাগান। ফুল ঝরে পড়ছে কবির সমাধি-বক্ষে, ঠিক যেমনটি তিনি চেয়েছিলেন।
আবদুল্লাহ আরিফ, ৪ ডিসেম্বর, ২০০৬। Source: http://www.samakal.net/print_edition/archive/details.php?news=9&view=archiev&y=2006&m=12&d=04&action=main&menu_type=&option=single&news_id=43063&pub_no=413&type=
-
greatest Muslim legend.
-
অসাধারণ জ্ঞানী ওমর খৈয়াম জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিতের অনেক কঠিন রহস্য বা প্রশ্নের সমাধান দিয়ে গেলেও অনেক অজানা বা রহস্যময় বিষয়গুলোর সমাধান জানতে না পারায় আক্ষেপ করে গেছেন। তাই তিনি জীবন এবং জগতের ও পারলৌকিক জীবনের রহস্য বা দর্শন সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। এসব প্রশ্ন শুধু তার মনেই নয়, যুগে যুগে জ্ঞান-তৃষ্ণার্ত বা অনুসন্ধানী মানুষের মনের প্রশান্ত সাগরেও তুলেছে অশান্ত ঝড়। দার্শনিকরা এ ধরনের প্রশ্নই উত্থাপন করেছেন। দর্শনের যুক্তি দিয়ে অনেক কিছু বোঝানো সম্ভব হলেও তারও একটা সীমাবদ্ধতা আছে। দর্শন বা বিজ্ঞান দিয়ে যে ভাব তুলে ধরা যায় না খৈয়াম তা কবিতার অবয়বে তুলে ধরতে চেয়েছেন। আর তাই যুক্তি ও আবেগের করুণ রসের প্রভাবে ওমর খৈয়ামের চার-লাইন বিশিষ্ট কবিতাগুলো কবিতা জগতে হয়ে উঠেছে অনন্য। দার্শনিকরা একটি বই লিখেও যে ভাব পুরোপুরি হৃদয়গ্রাহী করতে পারেন না, গভীর অর্থবহ চার-লাইনের একটি কবিতার মধ্য দিয়ে ওমর খৈয়াম তা সহজেই তুলে ধরেছেন।
তিনি লিখেছেন,
“ সৃষ্টির রহস্য জানো না তুমি, জানি না আমি
এ এমন এক জটিল বাক্য যা পড়তে পারো না তুমি, না আমি
পর্দার আড়ালে তোমায় ও আমার মাঝে চলছে এ আলাপ
পর্দা যেদিন উঠে যাবে সেদিন থাকবে না তুমি ও আমি।”
অর্থাৎ সৃষ্টির রহস্যকে আমাদের কাছে রহস্যময় ও পর্দাবৃত মনে হয়। কিন্তু মনের চোখ বা আসল চোখ দিয়ে দেখা সম্ভব হলে এ পর্দা থাকে না।
আল্লাহকে জানতে হলে আগে নিজেকে জানা প্রয়োজন এমন ইসলামী বর্ণনা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি লিখেছেনঃ
“ বিশ্ব-দেখা জামশেদিয়া পেয়ালা খুঁজি জীবন-ভর
ফিরনু বৃথাই সাগর গিরি কান্তার বন আকাশ-ক্রোড়।
জানলাম শেষ জিজ্ঞাসিয়া দরবেশ এক মুর্শিদে
জামশেদের এই জাম-বাটি এই আমার দেহ আত্মা মোর।”
মহান আল্লাহর দয়া সম্পর্কে খৈয়াম প্রার্থনাসূচক রুবাইয়ে লিখেছেন,
“ দয়া যদি কৃপা তব সত্য যদি তুমি দয়াবান
কেন তবে তব স্বর্গে পাপী কভু নাহি পায় স্থান?
পাপীদেরই দয়া করা সেই তো দয়ার পরিচয়
পূণ্যফলে দয়া লাভ সে তো ঠিক দয়া তব নয়।”
-
পাপীদেরই দয়া করা সেই তো দয়ার পরিচয়
পূণ্যফলে দয়া লাভ সে তো ঠিক দয়া তব নয়
The two lines are very relevant to our today's world.
Thanks a million.
-
Thanks dear.
-
চিনে রাখলাম.....
-
He is a great poet...now-a-days great poets are few!