Daffodil International University

Health Tips => Health Tips => Skin => Topic started by: Farhana Israt Jahan on January 08, 2014, 03:48:48 PM

Title: নিখুঁত সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার ৭টি আয়ুর্বেদিক উপায়!
Post by: Farhana Israt Jahan on January 08, 2014, 03:48:48 PM
নিখুঁত সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার ৭টি আয়ুর্বেদিক উপায়!

প্রাচীনকালে এত ধরনের প্রসাধন সামগ্রী কিংবা সৌন্দর্যবর্ধক ক্রিম বা লোশন ইত্যাদি কিছুই কিন্তু ছিল না। কিন্তু তারপরেও তারা ছিলেন প্রাকৃতিক ভাবেই সুন্দর। লক্ষ্য করলে দেখবেন যে কারো সৌন্দর্যের উপমা দেয়ার সময় প্রাচীনকালের দেবীদের সাথে তুলনা করা হয় এখনো। প্রাচীনকালের ছিল আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি যা ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে করে তুলতো সুন্দর ও ঝলমলে। কোনো ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার করা হতো না রূপচর্চায়। সেই সব আয়ুর্বেদিক পদ্ধতির চর্চা এখনো রয়েছে। দরকার শুধু আপনার সুনজর ও একটুখানি সময়। আপনিও এইসব আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে সুন্দর করে তুলতে পারবেন।

ত্বক পরিস্কারের জন্য কাঁচা দুধ:
মুখের ত্বকের উপরিভাগ ও রোমকূপের গোড়া পরিস্কার করার সব চাইতে প্রাচীন পদ্ধতি হলো কাঁচা দুধ। ত্বকের উপরিভাগ ও রোমকূপের গোড়ার ময়লা যা চোখে ধরা পড়ে না এবং ফেসওয়াস দিয়েও পরিষ্কার করা যায় না, তা দূর করতে কাঁচা দুধের তুলনা হয় না। এছাড়াও দুধ প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বককে ময়েচারাইজ ও উজ্জ্বল করে তোলে। বাসায় ফিরে মুখ ধোয়ার পর একটি তুলোর বল দুধে ভিজিয়ে মুখে বুলিয়ে নিন প্রতিদিন। এক সপ্তাহের মধ্যেই ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য সমস্যা দূর হতে দেখতে পাবেন।

ত্বকের উজ্জলতা ও বয়সের ছাপ রোধে কমলালেবুর রস:

কমলালেবুর রস ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়। এবং কমলালেবুর রসের ভিটামিন সি-এর অ্যান্টিএইজিং উপাদান ত্বকে বয়সের ছাপ রোধে সহায়তা করে। এর জন্য আপনার লাগবে তাজা কমলালেবুর রস। একটি তাজা কমলা লেবুর রস বের করে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যাবহারে ত্বকের উজ্জলতা বাড়বে। এর সাথে দূর হবে ত্বকের বয়সের ছাপ।

ব্রণের সমস্যা সমাধানে অ্যালোভেরা:

অ্যালোভেরা সবচাইতে প্রাচীন ও ভালো প্রাকৃতিক উপায় ব্রণের সমস্যা সমাধানে। অ্যালোভেরার অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের সকল ধরনের ব্রন ও ইনফেকশনের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। এটা ব্রন দূর করে না কিন্তু ব্রণের কারণগুলো দূর করতে সহায়তা করে। আর এর জন্য আপনার শুধুমাত্র অ্যালোভেরার পাতা লাগবে। একটি অ্যালোভেরার পাতা ভেঙে এর ভেতরের রস বের করে নিন। এই রস সরাসরি ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন করুন। এক সপ্তাহের মধ্যে ত্বকের পরিবর্তন টের পাবেন।

ত্বকের রিঙ্কেল, পিগমেনটেশন, দাগ দূর করতে আলু:
আলু অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক একটি উপাদান যা ত্বক থেকে সব ধরনের দাগ ও ছোপ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। শুধুমাত্র একটুকরো আলু ত্বকে ঘষে নিলেই এই ধরনের সমস্যার সমাধান হবে। প্রতিদিন একটুকরো আলু মুখের ত্বকে ঘষে নিন। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ত্বক থেকে দাগ উধাও হবে ১০০ ভাগ গ্যারান্টি।

ত্বকের কোমলতায় ও মসৃণতায় মধু:

মধুতে রয়েছে হিউম্যাকটেন্ট যা ত্বকের রুক্ষতা দূর করে কোমল করে তুলতে সাহায্য করে। এবং ত্বকের ব্রণের সমস্যায় তৈরি ক্ষুদ্র গর্তগুলো দূর করে ত্বককে করে তোলে মসৃণ। হাত ও মুখ ভালো মতো ধুয়ে এক টেবিল চামচ মধু নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন ২০/২৫ মিনিট। প্রতিদিন ব্যাবহারে বেশ ভালো ফল পাবেন।

-কানিজ দিয়া
Title: Re: নিখুঁত সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার ৭টি আয়ুর্বেদিক উপায়!
Post by: R B Habib on January 08, 2014, 05:20:50 PM
Easy steps to follow. I never tried anything though.
Title: Re: নিখুঁত সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার ৭টি আয়ুর্বেদিক উপায়!
Post by: farahsharmin on April 06, 2014, 12:25:13 PM
Thanks for this post. I tried honey it works....
Title: Re: নিখুঁত সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার ৭টি আয়ুর্বেদিক উপায়!
Post by: taslima on April 16, 2014, 09:56:19 AM
very easy I will try
Title: Re: নিখুঁত সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার ৭টি আয়ুর্বেদিক উপায়!
Post by: azad.ns on June 16, 2017, 07:58:20 PM
নিখুঁত সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার ৭টি আয়ুর্বেদিক উপায়!

প্রাচীনকালে এত ধরনের প্রসাধন সামগ্রী কিংবা সৌন্দর্যবর্ধক ক্রিম বা লোশন ইত্যাদি কিছুই কিন্তু ছিল না। কিন্তু তারপরেও তারা ছিলেন প্রাকৃতিক ভাবেই সুন্দর। লক্ষ্য করলে দেখবেন যে কারো সৌন্দর্যের উপমা দেয়ার সময় প্রাচীনকালের দেবীদের সাথে তুলনা করা হয় এখনো। প্রাচীনকালের ছিল আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি যা ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে করে তুলতো সুন্দর ও ঝলমলে। কোনো ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার করা হতো না রূপচর্চায়। সেই সব আয়ুর্বেদিক পদ্ধতির চর্চা এখনো রয়েছে। দরকার শুধু আপনার সুনজর ও একটুখানি সময়। আপনিও এইসব আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে সুন্দর করে তুলতে পারবেন।

ত্বক পরিস্কারের জন্য কাঁচা দুধ:
মুখের ত্বকের উপরিভাগ ও রোমকূপের গোড়া পরিস্কার করার সব চাইতে প্রাচীন পদ্ধতি হলো কাঁচা দুধ। ত্বকের উপরিভাগ ও রোমকূপের গোড়ার ময়লা যা চোখে ধরা পড়ে না এবং ফেসওয়াস দিয়েও পরিষ্কার করা যায় না, তা দূর করতে কাঁচা দুধের তুলনা হয় না। এছাড়াও দুধ প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বককে ময়েচারাইজ ও উজ্জ্বল করে তোলে। বাসায় ফিরে মুখ ধোয়ার পর একটি তুলোর বল দুধে ভিজিয়ে মুখে বুলিয়ে নিন প্রতিদিন। এক সপ্তাহের মধ্যেই ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য সমস্যা দূর হতে দেখতে পাবেন।

ত্বকের উজ্জলতা ও বয়সের ছাপ রোধে কমলালেবুর রস:
কমলালেবুর রস ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়। এবং কমলালেবুর রসের ভিটামিন সি-এর অ্যান্টিএইজিং উপাদান ত্বকে বয়সের ছাপ রোধে সহায়তা করে। এর জন্য আপনার লাগবে তাজা কমলালেবুর রস। একটি তাজা কমলা লেবুর রস বের করে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যাবহারে ত্বকের উজ্জলতা বাড়বে। এর সাথে দূর হবে ত্বকের বয়সের ছাপ।

ব্রণের সমস্যা সমাধানে অ্যালোভেরা:
অ্যালোভেরা সবচাইতে প্রাচীন ও ভালো প্রাকৃতিক উপায় ব্রণের সমস্যা সমাধানে। অ্যালোভেরার অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের সকল ধরনের ব্রন ও ইনফেকশনের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। এটা ব্রন দূর করে না কিন্তু ব্রণের কারণগুলো দূর করতে সহায়তা করে। আর এর জন্য আপনার শুধুমাত্র অ্যালোভেরার পাতা লাগবে। একটি অ্যালোভেরার পাতা ভেঙে এর ভেতরের রস বের করে নিন। এই রস সরাসরি ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন করুন। এক সপ্তাহের মধ্যে ত্বকের পরিবর্তন টের পাবেন।

ত্বকের রিঙ্কেল, পিগমেনটেশন, দাগ দূর করতে আলু:
আলু অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক একটি উপাদান যা ত্বক থেকে সব ধরনের দাগ ও ছোপ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। শুধুমাত্র একটুকরো আলু ত্বকে ঘষে নিলেই এই ধরনের সমস্যার সমাধান হবে। প্রতিদিন একটুকরো আলু মুখের ত্বকে ঘষে নিন। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ত্বক থেকে দাগ উধাও হবে ১০০ ভাগ গ্যারান্টি।

ত্বকের কোমলতায় ও মসৃণতায় মধু:
মধুতে রয়েছে হিউম্যাকটেন্ট যা ত্বকের রুক্ষতা দূর করে কোমল করে তুলতে সাহায্য করে। এবং ত্বকের ব্রণের সমস্যায় তৈরি ক্ষুদ্র গর্তগুলো দূর করে ত্বককে করে তোলে মসৃণ। হাত ও মুখ ভালো মতো ধুয়ে এক টেবিল চামচ মধু নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন ২০/২৫ মিনিট। প্রতিদিন ব্যাবহারে বেশ ভালো ফল পাবেন।