Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Public Health => Topic started by: rumman on January 08, 2014, 06:18:24 PM
-
স্বাস্থ্যরক্ষায় সবজি ও ফলের ভূমিকা অতুলনীয়। নতুন এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, অ্যাজমা রুখতেও দারুণ ভূমিকা পালন করে শাকসবজি ও ফলমূল। ইঁদুরের ওপর গবেষণায় এ তথ্যের প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এতে বলা হয়েছে, যারা প্রচুর সবজি ও ফলমূল খায় তাদের ধুলোবালি থেকে অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। সম্প্রতি নেচার মেডিসিন সাময়িকীতে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, মানবদেহের ওপরও এই তথ্য সঠিক প্রমাণিত হতে পারে। এতে আমরা যা খাই, তা কী করে আমাদের রোগ প্রতিরোধী কোষগুলোকে সমৃদ্ধ করে, তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে এক সমীক্ষায় দেখা যায়, অ্যাজমা এবং মলত্যাগের অনিয়ম (আইবিএস) একই ধরনের প্রদাহের সৃষ্টি করে। আইবিএসে যারা ভোগে তাদের অ্যাজমার লক্ষণগুলোতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব লওসানের ডা. বেঞ্জামিন মার্শল্যান্ড বলেন, ‘সাম্প্রতিক দশকগুলোতে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অ্যালার্জি-সংক্রান্ত অ্যাজমায় আক্রান্তের হার বাড়ছে। একই সঙ্গে কমছে আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণের প্রবণতা।’
গবেষণায় তাঁর দল দেখে, স্বল্প আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া ইঁদুরের মধ্যে অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। তুলনামূলকভাবে খাবারের মধ্যে থেকে পেকটিন গ্রহণকারী ইঁদুরের মধ্যে ধুলোবালি থেকে ফুসফুসের প্রদাহে আক্রান্ত হওয়ার হার কম। পেকটিন উদ্ভিদ কোষের দেয়ালে পাওয়া যায়। এসব দ্রবণীয় আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। এগুলো অন্ত্রে গিয়ে ব্যাকটেরিয়ার সমন্বয়কে পাল্টে দেয়। এই আঁশ অন্ত্রে ফ্যাটি এসিডের ছোট ছোট শিকল তৈরি করে। এই শিকলের প্রভাবে রক্তে রোগ প্রতিরোধী কোষ তৈরি হয়, যা রক্তের মাধ্যমেই ফুসফুসসহ দেহের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে যায়।
ইঁদুরের ক্ষেত্রে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার আঁশ বিপাকের সময় ফ্যাটি এসিডের ছোট ছোট শিকল তৈরি হয়। এটাই ফুসফসের অ্যালার্জির প্রদাহ কমায়। সূত্র : দ্য মেইল।
-
necessary information, thanks